স্টেট ডিপার্টমেন্ট
ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির প্রতিনিধি দল
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার; ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক ও ব্যুরো ফর এশিয়ার মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।
প্রতিনিধি দল বৈঠকে 'কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতিতে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার'- উপায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’
শনিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসির প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের এই সফরে তরুণ কর্মী ও সুশীল সমাজের নেতা, শ্রমিক সংগঠক এবং মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরিতে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর ও সম্প্রসারিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি দিয়েছেন তা দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গত ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, 'অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
৮ মাস আগে
ইসরায়েলের জন্য বাইডেন প্রশাসনের ‘অন্ধ সমর্থন’র প্রতিবাদে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার পদত্যাগ
হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে বাইডেন প্রশাসনের ইসরায়েলের প্রতি ‘অন্ধ সমর্থন’র প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা জোশ পল।
জোশ পল ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে অধিদপ্তরের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোতে কাজ করেছেন। এই ব্যুরো অন্যান্য দেশগুলোতে মার্কিন অস্ত্র হস্তান্তর তত্ত্বাবধান করে।
গত বুধবার তার দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি বলেছেন, তার দেশের ইসরায়েলের জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবস্থা করার মতো ‘সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের’ সঙ্গে একমত হতে না পারায় তিনি চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
পল বলেন, তিনি সবার কাছে তার মতামত স্পষ্ট করতে চান। ইসরায়েলের উপর হামাসের আক্রমণ ‘একটি দানবের দানবীয়তা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ইসরায়েল যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং তার সঙ্গে আমেরিকা যে সমর্থন দিচ্ছে; তা দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয় দেশের জনগণের জন্য দুর্ভোগ আরও বাড়াবে।’
তিনি লিখেছেন, ‘এই প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এবং কংগ্রেসের সুনিশ্চিত পক্ষপাতিত্ব মূলত রাজনৈতিক সুবিধা, বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ব এবং আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর নির্মিত একটি আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া। অর্থাৎ বলা যায়, এটি অত্যন্ত হতাশাজনক ও সম্পূর্ণরূপে নজিরবিহীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হলো এক পক্ষের জন্য অন্ধ সমর্থন দীর্ঘমেয়াদে উভয় পক্ষের জনগণের স্বার্থের জন্য ধ্বংসাত্মক।’
আরও পড়ুন: গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
১ বছর আগে
মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা: গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করেননি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত ভিসা বিধিনিষেধ নীতিতে গণমাধ্যমের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করেননি।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘আমি বলব যে শুক্রবার আমাদের ঘোষিত এই নতুন ভিসা বিধিনিষেধের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত মে মাসে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সে সময় কোনো পক্ষ নেওয়া উদ্দেশ্য ছিলনা। বরং বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা প্রকৃত উদ্দেশ্য।
ভিসা বিধিনিষেধে গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, 'আমি মনে করি আমরা যা বলেছি এবং ভিসা রেকর্ড গোপনীয় হওয়ায় আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যা বা নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম প্রকাশ করিনি। তবে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে এগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ঢাকা: শাহরিয়ার আলম
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের পর বিষয়টি স্পষ্ট করে মার্কিন দূতাবাস সোমবার একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ‘আমরা (ভিসা সীমাবদ্ধতা) নীতিটি যে কারো বিরুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি (যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে)। এর মধ্যে সরকারপন্থী, বিরোধী দল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য বা মিডিয়া ব্যক্তিরা রয়েছে।’
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেছেন, যে কাউকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে ‘ক্ষুণ্ণ’ করতে দেখা গেলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতিটি তার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এর মধ্যে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়ার জন্য সহিংসতার ব্যবহার এবং পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দল বা ভোটারকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা কিংবা সুশীল সমাজ বা মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রকাশ করতে বাধা দেওয়ার কাজে জড়িত থাকার জন্য নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিসা নীতির মুখোমুখি হতে পারে: হাস
১ বছর আগে
‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি’: মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলরের সাক্ষাৎ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে।
সাক্ষাতের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের আগে ডেরেক শোলে বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের 'বিশাল সম্ভাবনা' দেখছে এবং তা বাড়ানোর আরও সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করুন: এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে মোমেন
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কেউ আলোচনা করলে হস্তক্ষেপ মনে করে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের 'অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা' বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১০ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দপ্তরটির মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমাদের এই আকাঙ্ক্ষা থাকছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে বারবার তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
রাশিয়া, চীন ও ইরানের গণমাধ্যমের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মিলার বলেন, ‘আমি জানি না কেন কেউ আমাদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বানে আপত্তি জানাবে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূত ইমরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার 'ফলপ্রসূ' বৈঠক
তিনি বলেন, ‘আমরা এক রাজনৈতিক দলকে রেখে অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য দেশ যখন আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলে তখন আমরা এটাকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করি না। আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার সুযোগ হিসেবে এ ধরনের আলোচনাকে স্বাগত জানাই এবং আমরা জানি না কেন অন্য কোনো দেশ আপত্তি করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন কি না জানতে চাইলে মিলার বলেন, তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানব পাচার মোকাবিলাসহ অভিন্ন মানবিক উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় ওয়াগনারের 'স্বল্পস্থায়ী' বিদ্রোহের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জড়িত ছিল না: বাইডেন
যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জেয়ার আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তার সফরের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়ায় বুধবার তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় 'অভিন্ন সমাধান' এগিয়ে নিতেই তার এই সফর। আরও মুক্ত, উন্মুক্ত, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবদান রাখা এবং পুরো অঞ্চলে শরণার্থী এবং স্থানীয়দের জন্য মানবিক সহায়তা জোরদার করা।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইড এর এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর প্রতিনিধি দলে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, জেয়া গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, সার্বজনীন মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে, শরণার্থী ও মানবিক ত্রাণকে সমর্থন করতে, আইনের শাসন ও মাদকবিরোধী সহযোগিতা, দুর্নীতি ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, সশস্ত্র সংঘাত রোধ করতে এবং মানব পাচার নির্মূলে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হয়না: মোমেন
১ বছর আগে
স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সমস্ত কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ১৫ মে (যুক্তরাষ্ট্র সময়) স্টেট ডিপার্টমেন্টে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মার্কিন দূতাবাস বা এর কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশদ বিবরণে প্রবেশ করতে যাচ্ছি না।’
তিনি অবশ্য উল্লেখ করেছেন যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, যে কোনও স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই ‘সমস্ত কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ এবং কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে এবং কর্মীদের উপর যে কোনও আক্রমণ প্রতিরোধে সমস্ত উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিককে অতিরিক্ত নিরাপত্তা এসকর্ট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্যাটেল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল অপর রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করছে না: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বলেছেন, ‘তারা চাইলে অর্থের বিনিময়ে পেতে পারে। আমরা করদাতাদের অর্থ দিয়ে এই অতিরিক্ত (নিরাপত্তা) এসকর্ট পরিষেবা প্রদান করব না।’
মোমেন বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে কোনো সরকারই এ ধরনের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেয় না।
মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি যে এ ধরনের সেবা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
১ বছর আগে
হাইতিতে ১৭ মার্কিন মিশনারি অপহৃত
হাইতিতে শিশুসহ ১৭ মার্কিন খ্রিস্টান মিশনারিকে অপহরণ করেছে একটি অপরাধী গোষ্ঠী। শনিবার একটি এতিমখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছে ওহিও ভিত্তিক খ্রিস্টান এইড মিশনারিজ।
এক মিনিটের ওই বার্তায় বলা হয়েছে, এটি একটি বিশেষ সতর্ক বার্তা। দোয়া করেন যেন অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্যরা অনুতপ্ত হয়।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, মিশনের ফিল্ড ডিরেক্টর মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কাজ করছে।
মার্কিন সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা অপহরণের এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত আছেন। তিনি বলেন, বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের অন্যতম অগ্রাধিকারে রয়েছে।
৭ জুলাই নিজ বাসভবনে হাইতির প্রেসিডেন্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন এবং আগস্টে এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশটির দুই হাজার ২০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়। এরপর থেকে দেশটি ক্রমবর্ধমান সংঘবদ্ধ অপহরণের বিরুদ্ধে আবারও লড়াই করছে।
হাইতিতে জাতিসংঘের সমন্বিত কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী,চলতি বছরের প্রথম আট মাসে অপহরণের শিকার ৩২৮ ভুক্তভোগী হাইতির জাতীয় পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেছেন। এ সংখ্যা গত বছরে ছিল ২৩৪ জন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অপহরণের পর অপরাধী গোষ্ঠী কয়েক’শ ডলার থেকে ১০ লাখ ডলারের বেশিও মুক্তিপণ দাবি করে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহ নাকচ হাইতির প্রধানমন্ত্রীর
হাইতিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১,৯৪১
আততায়ীর গুলিতে হাইতির প্রেসিডেন্ট নিহত
৩ বছর আগে