শেখ রাসেল দিবস
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন
নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদযাপন করা হয়।
স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পূষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। এরপর শেখ রাসেলের জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস
অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপনের এই মুহূর্তে দু’টি অনুভূতি আমাকে তাড়িত করছে। প্রথমত, সেদিন মাত্র ১০ বছর বয়সের শেখ রাসেল, জাতির পিতা, বঙ্গমাতা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, এমন নৃশংসতা সারা পৃথিবীতে বিরল। দ্বিতীয়ত, যে শিশুর বাবার নেতৃত্বে একটি স্বাধীন দেশ জন্মলাভ করেছে, সেখানে আজ সেই শিশুটি নেই, কিন্তু আমরা আছি। এটা আমার মাঝে এক গভীর দুঃখবোধ ও গ্লানির জন্ম দিয়েছে।’
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের কেউ কেউ এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পালিয়ে আছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা এ সকল নৃশংস খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে।
১ বছর আগে
ক্যানবেরায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন এবং শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতালয় প্রধান ও কাউন্সেলর তাহলীল দেলাওয়ার মুনের উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তুষার রায়।
ড. শাহরিয়ার ফিরোজ বলেন, অসীম সম্ভাবনাময় শিশু ছিলেন শেখ রাসেল। যারা শিশু রাসেলকে হত্যা করেছিল তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উল্লেখ করেন, বিখ্যাত দার্শনিক রাসেলের নামানুসারে বঙ্গবন্ধু তাঁর ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন শেখ রাসেল এবং বেঁচে থাকলে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে রাখতে পারতেন অসাধারণ অবদান।
শিশুরা যেন সৎ, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য সব ধরনের সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ড. ফিরোজ।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তুষার রায় শিশু রাসেলের অসাধারণ গুণাবলীর ওপর আলোকপাত করেন।
পড়ুন: শেখ রাসেলের মতো যেন আর কোন শিশুকে জীবন দিতে না হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হতে পারতেন অবিসংবাদিত এক নেতা।
অনুষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. ফিরোজ। এসময় শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর মো: সাইফুল্লাহ এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্তবাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর নাঈম রুবাইয়্যাত। শেখ রাসেলের ওপর কবিতা আবৃত্তি করেন কাউন্সেলর সালাহউদ্দিন।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করে নিজ নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক মৌন প্রার্থনা করা হয়।
পড়ুন: জাপান দূতাবাসে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপিত
২ বছর আগে
১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’
আগামী ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় বারের মত 'ক' শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে সারাদেশে একযোগে এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে পালিত হবে শেখ রাসেল দিবস ২০২২।
বুধবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।
দিবসটি উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর সকাল ৬টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: লিসবনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
সকাল সাড়ে ৬টায় স্ব স্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে।
আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টায় পরিকল্পনা কমিশনের সামনে থেকে বিআইসিসি প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সকলের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যা লী অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) হল অব ফেমে শেখ রাসেল দিবস-এর উদ্বোধন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, হল অব ফেমে দুপুর আড়াইটায় ‘শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ড ন্যায় বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার, একই স্থানে সন্ধ্যা ৬টায় ‘কনসার্ট ফর পিস এন্ড জাস্টিস’ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও ১৬ অক্টোবর রাত ৯টায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘ট্রাজিক এন্ড অব শেখ রাসেল: এ শেম ইন হিউমেন হিস্টোরি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে দেশের সকল বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে চিত্রাংকন, দাবা, জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন অতিথি পরায়ণ, বন্ধুবৎসল ও প্রাণচাঞ্চল্য ভরপুর একজন শিশু। শেখ রাসেলের এই অকাল প্রয়াণে সুখ-দুঃখ হয়তো কোনদিন আমাদের শেষ হবে না। শেখ রাসেল দিবসে সারা বাংলাদেশের সাড়ে তিন কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ রাসেলের নির্মলতা, তার দুরন্ত এবং নির্ভীক শৈশবের গল্প সেটি আমরা পৌঁছে দিতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের এই শিশু-কিশোরদেরকে সেই বিজয়ের গৌরবগাঁথা ইতিহাস থেকে বারবার বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা শেখ রাসেল জাতীয় দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করেছি ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’ এই শব্দগুলোর মধ্য দিয়ে শেখ রাসেলকে আমরা স্মরণ করতে চাই। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর-কিশোরীদেরকে একটি নির্মল শৈশব-কৈশোর এবং একটি নির্ভীক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আরও পড়ুন: নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে বিনা উদ্ভাবিত ‘শেখ রাসেল’ ধান
গুলিস্তানে শেখ রাসেল কমপ্লেক্সে আগুন
২ বছর আগে
লিসবনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় সোমবার ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল-এর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দূতাবাস দিবসটি উদযাপন করেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ শহিদ শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে শহিদ শেখ রাসেল-এর জীবনের উপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচকগণ মত প্রকাশ করেন যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতেন তবে জাতি একজন দূরদর্শী নেতা পেত। বক্তারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কর্তৃক শেখ রাসেল-এর নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন বলেন, পরিবারের সবচেয়ে আদরের কনিষ্ঠ সন্তান হওয়া সত্ত্বেও শেখ রাসেল তার শৈশবের অধিকাংশ সময় পিতার সান্নিধ্য হতে বঞ্চিত হয়েছেন, কারণ বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ সময়ই পাকিস্তানি শাসকচক্র কর্তৃক কারাবন্দী থাকতেন।
আরও পড়ুন: কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত
রাষ্ট্রদূত গভীর দুঃখের সাথে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবারের অনান্য সদস্যদের সাথে শেখ রাসেল-এর শহিদ হবার কথা স্মরণ করে বলেন, ১০ বছর বয়সী একটি বালককে হত্যা করতে যাদের হাত কাপলো না তাতেই বোঝা যায় স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল সেই খুনি চক্রটি কতটা নির্মম ও বর্বর ছিল। সেই একই প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এখনও দেশবিরোধী নানাবিধ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত সকলকে সতর্ক করেন এবং সবাইকে একসাথে তাদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতি চিরদিন তাকে ভালোবাসার সাথে স্মরণ করবে।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেল-এর জীবনের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
সবশেষে, শহিদ শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
৩ বছর আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন স্মরণে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১’ উদযাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি শেখ রাসেলের জন্ম দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্পর্কে আরও জানতে পারবে যা তাদেরকে মানবতাবাদী ও অধিকারবোধ সম্পন্ন ভবিষ্যত নাগরিকে পরিণত করবে।
পড়ুন: কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত
শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ পড়ার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন ‘ঘাতকেরা নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের পালিয়ে থাকা খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচার আওতায় আনতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পড়ুন: শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে আজ
৩ বছর আগে
শিশুদের ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী
জীবনকে অর্থপূর্ণ ও সাফল্যমণ্ডিত করতে সন্তানদের সঠিকভাবে ভালোবাসা ও স্নেহ দিয়ে গড়ে তোলার জন্য দেশের জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই আমি দেশের মানুষের কাছে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভালোবাসা দেয়া, জীবনকে সার্থক এবং অর্থবহ করে তোলার আহ্বান জানাই।
সোমবার শেখ রাসেল দিবস-২০২১ এর উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালোবাসা দিয়ে শিশুদের সঠিকভাবে তৈরি করা সবার দায়িত্ব এবং আদর্শ হওয়া উচিত।
পড়ুন: রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা: প্রধানমন্ত্রী
‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে আজ
তিনি বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধশালী ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় যেখানে কোনো অন্যায় থাকবে না এবং মানুষ একটি সুন্দর জীবন উপভোগ করবে।
শিক্ষাকে শিশুদের জন্য অমূল্য সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার এবং প্রযুক্তির এই যুগে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে ভালো কিছু শেখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এই সম্পদ (শিক্ষা) কখনও হারিয়ে যাবে না বা কেউ তা ছিনিয়ে নিতে পারে না। শিক্ষা একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আধুনিক এবং প্রযুক্তির যুগে সরকার ডিজিটাল শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারিত করছে। আজ বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয়, কারণ সেখান থেকে সবকিছু জানা যায়। তাই এটি থেকে তোমরা শুধু ভালো জিনিসগুলো শিখবে এবং নিজেকে সঠিকভাবে নিজেকে গড়ে তুলবে।’
পড়ুন: খাদ্য অপচয় বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হচ্ছে আজ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার সারা দেশে শেখ রাসেল দিবস পালিত হচ্ছে।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণকারী শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্য সদস্যের সাথে নির্মমভাবে নিহত হন।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বছর ১৮ অক্টোবরকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সকাল ৮টার দিকে দলটি বনানী কবরস্থানে রাসেলের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এছাড়া ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদের কবরেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে বিশেষ দোয়া, সূরা ফাতিহা পাঠ ও দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেডারেশন কাপ ফুটবল: শেখ রাসেলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই সভায় যোগ দেবেন।
৩ বছর আগে