সাম্প্রদায়িক
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তুলে ধরতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি ও ঐক্য উপস্থাপনের জন্য একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একতার বাংলাদেশ’।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা এই তথ্য জানায়।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী 'একতার আলোয় বাংলাদেশ' নামের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হবে।
একতার বাংলাদেশের আহ্বায়ক প্লাবন তারেক বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশে সকল ধর্ম, বর্ণ ও মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সমতাভিত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে এই প্ল্যাটফর্ম।’
তিনি বলেন, 'আমরা যারা এখানে কাজ করছি তারা সবাই মনে করি আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। তাই এখানে বিভেদের কোনো জায়গা নেই। আমরা আমাদের কর্মসূচির মাধ্যমে এই মানসিকতার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। আমি আশা প্রকাশ করছি, ৮ ও ৯ তারিখের এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে জাতি জুলাই বিপ্লব, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্ম, বর্ণ ও আদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সমতাভিত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্রের প্রতিফলন প্রত্যক্ষ করবে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় গ্যালারি কসমসে 'আর্ট ফর এইড: রিবিল্ডিং লাইভস' প্রদর্শনী শুরু
১ মাস আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ: ধর্মমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেন, এটি আমাদের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।
শনিবার (১৮ মে) বরিশালে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি অডিটোরিয়ামে পুরোহিত ও সেবাইতদের বিভাগীয় সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয় সতর্ক থাকুন: হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আবহমানকাল থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পীঠস্থান। বিভিন্ন ধর্ম-গোত্রের মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে। উৎসব-পার্বণে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনার অন্যতম হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এই চেতনাকে সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা আজ সম্মানজনক একটি জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে।
পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি তাদের আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধি ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল প্রভৃতি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রূপকল্প-২০৪১। এছাড়া জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা সবাইকে সমান তালে এগিয়ে নিতে চাই। সব ধর্মের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আগামী দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে আরও বেশি কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
আরও পড়ুন: হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে: ধর্মমন্ত্রী
৫ মাস আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আবহমান বাংলার চিরায়ত বৈশিষ্ট্যই হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এই সোনার বাংলায় যে কোনো ধর্মীয় উৎসবে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সবার এক অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পীরগঞ্জ।
আরও পড়ুন: পরিবেশগত ঝুঁকি রোধে টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে: স্পিকার
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনী রংপুর-৬ এর অন্তর্গত পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশ পীর কালী মন্দির চত্বর প্রাঙ্গণে 'জয় মা সৎসঙ্গের শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনা, ভজন কীর্তণ ও প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, পীরগঞ্জে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে সেজন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেয়। মা-বোনসহ পরিবারের সবাই মিলে যেন ভাব-গাম্ভীর্য সহকারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
স্পিকার আরও বলেন, ধর্ম যার উৎসব সবার। তাই সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে উদ্যোগী হতে হবে। এসময় তিনি যেকোনো অনুষ্ঠানের আগে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: স্পিকার
শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত রচনা করতে হবে: স্পিকার
১ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা সকলে একসঙ্গে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।
আমাদের স্লোগান ছিল – ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। কে হিন্দু, কে মুসলিম সেই ভেদাভেদ ছিল না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গ্রামগুলো আজ শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম আজ আলোকিত, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। কর্ণফুলী ট্যানেলের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
আরও পড়ুন: তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগ সরকারের এসব উন্নয়ন বিএনপি দেখে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। এক - বাংলাদেশ স্বাধীন করা। দুই - ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
প্রথমটি জাতির জনক করে গেছেন। দ্বিতীয়টি করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আজও আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। বিশেষ করে ভোলায় আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক এবং অভিন্ন হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অত্যন্ত শান্তিতে বসবাস করছি।
এছাড়া আমাদের ধর্মের দিক থেকে কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু। কিন্তু মনের দিক থেকে আমরা সকলে এক। আমাদের ঈদে হিন্দু ভাইরা আসেন। তাদের পূজায় আমরা যাই। আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই।
ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে এর সভাপতিত্বে তোফায়েল আহমদের ভোলার গাজীপুর রোডস্থ বাসভবনে এই মতবিনিময় সভায় বক্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, সদর উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, সদর উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি মানস ঘোষ শান্ত প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে: তোফায়েল আহমেদ
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক হামলায় গ্রেপ্তারদের বিচার দ্রুত শেষ করা হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, দেশে সাম্প্রদায়িক হামলায় গ্রেপ্তারদের বিচার কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে।
শনিবার দুপুরে সাভারের দত্তপাড়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত নবীন আইনজীবীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন,সাম্প্রদায়িক হামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। নতুন করে আইন তৈরি করে বিচার কার্যক্রম করলে দেরী হবে,তাই প্রচলিত আইনেই বিচার কার্যক্রম হবে।
তিনি আরও বলেন,এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না,সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীরা দেশ ও সমাজের শক্রু।
এই দেশে কোন দুস্কৃতিকারীদের জায়গা নেই জানিয়ে তিনি বলেন,বাংলাদেশ শান্তি প্রিয় দেশ। এদেশে সকল ধর্মের মানুষরা শান্তিতে বসবাস করবে।
অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সবুর খাঁনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:মণ্ডপে হামলা: ৪ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী, দেশপ্রেমিক ও অসম্প্রদায়িক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীস্থ ১৫ আগস্টের শহীদদের ও জাতীয় চার নেতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় এ আহ্বান জানান।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বোনা হয়। বর্তমানে দেশ থেকে এসব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দূর করা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তাই দেশের সকল গণতন্ত্রকামী, দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’
জেল হত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও ১৯৭৫ সালের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় সেখানে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান এবং জাহাঙ্গির কবির নানক; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবুল আলম হানিফ, ড. দীপু মনি, এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:ফরিদপুরে জেল হত্যা দিবস পালিত
২ বছর আগে
সহিংসতায় ইন্ধনদাতাদের নাম শিগগিরই প্রকাশ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ইন্ধনদাতাদের নাম শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১০ মামলা হয়েছে। রংপুর ও নোয়াখালীর ঘটনার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে ইন্দনদাতাদের নাম বলেছে গ্রেপ্তাররা। শিগগিরই সেই ইন্ধনদাতাদের নাম প্রকাশ করা হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ -সংলাপ' এ তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি বলে গেছেন এদেশ সবার, এদেশে ধর্ম নিয়ে বৈষম্য হবে না। এদেশ হবে ধর্ম নিরপেক্ষ। আমরা সে আদর্শই ধারণ করে চলেছি।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি দেখেছি হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলে যার যার ধর্ম পালন করে আসছেন। কিন্তু ইদানিং দেখি পূজামণ্ডপে সহিংসতা হচ্ছে। পূজামণ্ডপে কে বা কারা কোরআন শরীফ রেখে দিয়ে একটা উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নাগরিক সমাজের
তিনি বলেন, আমরা শুরুতেই ধরে নিয়েছিলাম যে কোরআন শরীফ রেখে দিয়েছে কোনো এক জায়গা থেকে এসেছে। আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। আমাদের পুলিশের সকল পর্যায়ের টিম সেখানে পাঠিয়েছিলাম, যাতে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হয়। আমরা দেখলাম একটা মসজিদের পাশে একটা পুকুর ছিল, পুকুরে মাছ চাষ হতো, পুকুরের মাছচাষি মসজিদের বারান্দায় একটা ক্যামেরা বসিয়েছে। যেখানে পরিষ্কার দেখা গেছে কেউ মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে হনুমানের গদার স্থানে কোরআন রেখে গদা নিয়ে বেড়িয়ে চলে এলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যখন এ ঘটনা সামনে চলে এলো তখন তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি, তার নাম প্রকাশ করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সহিংসতা সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে একটি মহল।
এসময় সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মেহ্দী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. শফিইল্লাহ সুমন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, শাহজাহান মোল্লা, হাসিফ মাহমুদ শাহ, শাহাদাত হোসেন রাকিব উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
দেশে ঘটে যাওয়া একের পর এক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন 'মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব' ম্যুরালের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: শাহবাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল দেশের মানুষের সমৃদ্ধ ঠিকানা দেবার জন্য ও মানবতার পতাকা তুলে ধরবার জন্য। আর সেই পতাকাই আজ পাকিস্তানী প্রেত্মাতা যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে না তারা বার বার থাবা দিচ্ছে। এই অশুভ চক্র দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করে দেশের মধ্যে বিঙ্খৃলা সৃষ্টি করতে চাই। এই অশুভ চক্রকে বাংলার মাটি থেকে সমূলে উৎপাটনের জন্য সরকার প্রধানের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখনই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের উপর আঘাত করছে। তাই আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে এই অপশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় একুশে পরিষদের সম্প্রীতি সমাবেশ ও মানববন্ধন
এর আগে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিনের সঞ্চালনায় অনলাইনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস.এ মালেক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মতিউর রহমান লাল্টু, প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, প্রফেসর ড. অরবিন্দু সাহা, প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল, প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান, প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি সামছুল ইসলাম জোহা, সাধারণ সম্পাদক ও আন্তবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মহাসচিব মীর মোর্শেদুর রহমান প্রমুখ।
এসময় বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইবি শাখার সকল স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননা: সন্দেহভাজন ইকবাল ৭ দিনের রিমান্ডে
৩ বছর আগে