গণঅনশন
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচি
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ইউটিলিটি সার্ভিসের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীতে পাঁচ ঘণ্টার গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পদক প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বিএনপির
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলের ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ইউনিট ও সব সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভা হয়েছে। আমরা ২ এপ্রিল ঢাকা শহরে গণঅনশন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি জানান, দলটির কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছেন তারা।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, চাল, সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল ও সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় গত দুই মাস ধরে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘সব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে এবং গ্যাস কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম বাড়ানোর নতুন প্রস্তাব দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
২ বছর আগে
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি বসতে চান শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কথা বলতে চান সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। এক্ষেত্রে অনলাইনে প্ল্যাটফর্মে আমরা বসতে চাই। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী সরাসরি সিলেট না আসলেও মন্ত্রীর প্রতিনিধি আসলে তাদের সঙ্গে বসতে রাজী আছি।
এ সময় তাদের পক্ষ থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে অনড় থাকার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: অনশনের চতুর্থ দিনে ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, বাকিরাও অসুস্থ
টানা দশ দিনের আন্দোলনে শনিবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর এলাকায় মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: অনশনরত অবস্থাতেও আলোচনায় বসতে পারেন শিক্ষার্থীরা: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
গণঅনশনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিএনপির সমলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগের দাবিতে বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচিতে মাস্ক না পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এর সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, একদিকে তারা করোনা নিয়ে সরকারের সমালোচনা করবেন, অন্যদিকে নিজেরাই স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না, মাস্ক পরবে না, দূরত্ব বজায় রাখবে না।রবিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ সমালোচনা করেন।তিনি বলেন, গতকাল করোনায় মৃত্যু শূন্য ছিল। এটি সবাই মিলে কাজ করার জন্য হয়েছে। এটি বহু প্রতিক্ষিত ছিল। বিনামূল্যে নয় কোটি টিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কেউ দূরত্ব রাখছেন না, মাস্ক পরছেন না। এতে করে সংক্রান্ত যেকোনো সময়ে আবারও বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা গতকালই দেখলাম একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীরা কেউই মাস্ক পড়েনি। যেখানে হাজার হাজার লোক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছে কিন্তু কারো মুখে মাস্ক নেই। এত দুইটা বিষয় বোঝা যায়, করোনা এত ভালোভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে যে, যার ফলে তারা আর মাস্কই পড়তে চায় না। ওনারাই আবার বিগত সময়ে অনেক সমালোচনা করেছেন। এখন গতকাল আবার তারাই মাস্ক ছাড়া বক্তব্য দিচ্ছেন। কর্মীরাও মাস্ক পড়ছে না। এতে করে তারা প্রত্যেকেই হওয়ার আশঙ্কায় পড়ে গেল। সুতরাং আমাদেরকে এসব বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে।মন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও সামাজিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানগুলো করতে হবে। সাংবাদিক ভাইদের বলবো আপনারা এই বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশের স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে
খালেদা জিয়ার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দলের নেতা-কর্মীরা রাজপথে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এ দেশের মাটির সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। আমাদের অবশ্যই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে এবং বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আমরা যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি প্রদানের দাবিতে দেশব্যাপী গণঅনশন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী গণঅনশন করেন।
এ সময় তাদের দাবি দ্রুত মেনে না নেয়া হলে সরকার পতনে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এ কর্মসূচি থেকে সরকারকে বলতে চাই, আমাদের নেত্রীকে (খালেদা) মুক্তি দিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিন এবং চিকিৎসা নেয়ার জন্য তাকে বিদেশে পাঠান। অন্যথায় গণঅনশনের মাধ্যমে আজকে যে কর্মসূচি শুরু হলো তা আপনার পতন নিশ্চিত করবে।’
এ সময় ফখরুল ও দলের অন্যান্য নেতা-কর্মী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মুক্ত না করে এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য না পাঠানো পর্যন্ত ঘরে না ফেরার শপথ নেন।
পরবর্তীতে বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর দেয়া পানি পান করে সাত ঘণ্টার গণঅনশন ভঙ্গ করেন বিএনপি নেতারা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
খালেদা জিয়া মৃত্যুর সাথে লড়ছেন: ফখরুল
গণতন্ত্রের অভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ: ফখরুল
৩ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের অবস্থান ধর্মঘট ও গণঅনশন
সম্প্রতি মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান ধর্মঘট ও গণঅনশন পালন করছেন।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।
এই বিক্ষোভটি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী প্রতিবাদ মিছিল, সমাবেশ ও বিক্ষোভের একটি অংশ।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: শাহবাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ
বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন,‘প্রশাসনের গাফিলতির কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।’
বাংলাদেশ ইস্কনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ দাস বলেন, ‘হিন্দু স্থাপনায় হামলা বাংলাদেশে নতুন নয়। সাম্প্রতিক হামলা প্রতিরোধ করা যেতে পারে, যদি পূর্ববর্তী হামলার অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ‘সহিংসতা বিরোধী কনসার্ট’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন,‘মুসলমান ও হিন্দু উভয়ের অবদানে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কিন্তু কিছু অপরাধী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মাধ্যমে সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করি।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মহিলা উপপরিষদের সভাপতি তাপসী রানী সরকার বলেন,‘এ ধরনের হামলা চলতে থাকলে বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু অবশিষ্ট থাকবে না।’
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় দেশজুড়ে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
৩ বছর আগে