দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা
ইরানের উপমন্ত্রী ও শাহরিয়ার আলমের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
ইরানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী ড. মেহেদি সাফারি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি আইওআরএ’র অধীনে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের এক ফাকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ইরানের উপমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনীতি, জ্বালানি, রাসায়নিক সার ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শ এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
শাহরিয়ার আলম সাফারিকে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আরও সফরের আহ্বান জানান।
এসময় তারা আইওআরএ-এর অধীনে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আরওু পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি শিপিং সংযোগ ও পিটিএ চায় বাংলাদেশ
ঢাকায় আইওআরএ'র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক আরও গভীর হবে: মোমেন
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে দুই দেশের পানি ব্যবস্থাপনা, প্রতিরক্ষা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচারসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী সোমবার রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েল একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে হায়দরাবাদ হাউসে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন। সেখানে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচাররোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে । কেননা দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য বর্ধিত সহযোগিতা চায়।
এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই এই সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়াসহ বহুমুখী সম্পর্ক স্থাপিত হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক রয়েছেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও হাসিনার সঙ্গী হবেন। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
পড়ুন: সহযোগিতার নতুন দ্বার খুলবে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। সফরে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। হায়দরাবাদ হাউসে তিনি মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন। পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও শেখ হাসিনা আজমীর শরীফ পরিদর্শনেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
সফরে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে উভয় পক্ষই উচ্চ পর্যায়ের এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে।
পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ঢাকা-দিল্লির বহুমাত্রিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রত্যাশা
হামলা হলে পুলিশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও নিবিড়ের অঙ্গীকার বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তীতে দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও নিবিড় ও বেগবান করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠকে এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন দু’দেশের মন্ত্রীরা।
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিজ নিজ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
বৈঠকে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
সিঙ্গাপুর সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন তিন দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে এবং আসিয়ান ফোরামে সেক্টরাল ডায়ালগ্ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তি তরান্বিত করতে সিঙ্গাপুর সরকারের সহায়তা কামনা করেন। এ প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান উভয় ক্ষেত্রেই তাঁর সরকারের অকুন্ঠ সমর্থনের কথা জানান।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এনআইসি সদস্য হলেন এনায়েতুল্লাহ খান
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিঙ্গাপুর কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বিশেষ এওয়ার্ড চালুকরণের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মোমেন সিঙ্গাপুরের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দ্রুততম সময়ে চলমান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বিষয়ক নেগোসিয়েশন সমাপ্ত করে এ চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্নকরণ, ছাত্র ও পেশাদার পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্কলারশিপ ও বৃত্তি চালুকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নূন্যতম মজুরি নিশ্চিতকরণ ও স্বার্থসংরক্ষণসহ বিবিধ দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে তাঁরা বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান এসকল বিষয়ে সিঙ্গাপুর সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চলতি বছরে তাঁর সুবিধজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছার কথা জানান।
এ বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম, এনডিসি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) মো. নাজমুল হুদা, পরিচালক (পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দপ্তর)-সহ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতায় সন্তুষ্ট সিঙ্গাপুর, সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪ সমঝোতা স্মারক সই
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) মঙ্গলবার চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
সমঝোতা স্মারক হলো- বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সহযোগিতা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং এমিরেটস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের (ইসিএসএসআর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক, দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক।
পড়ুন: মায়ের মমতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করলে জনগণ অবশ্যই সমর্থন করবে: শেখ হাসিনা
দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ও এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন
দুই নেতার উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত সই বিনিময় হয়।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা সোমবার পাঁচ দিনের সরকারি সফরে উপসাগরীয় দেশটিতে পৌঁছেছেন।
পড়ুন: প্রযুক্তির যুগে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ‘সোনালী’ সুযোগ দেখছেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়া ‘উদ্যমীভাবে কাজ করতে চায়’ উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেছেন, বৃহত্তর ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দেশের ‘সোনালী’ সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতার (টিফা) প্রস্তাবিত সুযোগগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের ভবিষ্যত সম্পর্কে আমার পূর্বাভাস জিজ্ঞাসা করেন-আমি আবারও বলি, ভবিষ্যতটি হবে সোনালী সময়।’
হাইকমিশনার অবশ্য বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলোকেও মোকাবিলা করা দরকার বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সেই সোনালী ভবিষ্যতের সুবিধা নিয়ে একসাথে এমনভাবে কাজ করা দরকার যা এই চ্যালেঞ্জগুলোকে ‘গঠনমূলকভাবে’ মোকাবিলা এবং দেশগুলোর কল্যাণে সহায়তা করে।
‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার তার মূল বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
শনিবার কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে এ সংলাপের আয়োজন করে।
কসমস ফাউন্ডেশন অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের আয়োজন করে আসছে।
সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
৩ বছর আগে