সেমিফাইনাল
আতলেতিকোকে বিদায় করল বার্সেলোনা, কোপায় এল ক্লাসিকো ফাইনাল
সব প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ায় কেবল কোপা দেল রে-ই ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদের সামনে একমাত্র শিরোপা। ফলে ফাইনালে উঠতে যে দলটি চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না, তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন অনেকে। তবে চেষ্টা চালালেও ধারহীন ফিনিশিংয়ে সাফল্য পায়নি দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
বুধবার রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় কোপা দেল রের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লস রোহিব্লাঙ্কোসরা।
২৭তম মিনিটে ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেন ফেররান তোরেস। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে একবার জালে বল পাঠান আতলেতিকোর অলেকসান্দার সোরলথ, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি আর গোনায় ধরা হয়নি। ফলে ৫-৪ অগ্রগামিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
আরও পড়ুন: ৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ম্যাচজুড়ে এদিন বেশ কয়েকবার বার্সেলোনার ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করলেও একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি আতলেতিকো মাদ্রিদ। তাদের নেওয়া মোট ৬টি শটের পাঁচটি ছিল পোস্টের বাইরে, অন্যটি রক্ষণে কাটা পড়ে। অপরদিকে, বার্সেলোনার ১৪টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম লেগের ম্যাচে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২ গোল খেয়ে বসা বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল করে ম্যাচটি ৪-৪ গোলের সমতায় শেষ করে আতলেতিকো। ফলে ফিরতি এই লেগের ওপরই নির্ভর করছিল সেমিফাইনালের ভাগ্য। তাতে শেষ হাসি ফুটল কাতালান জায়ান্টদের মুখে।
এই জয়ে ২০২৫ সালে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল বার্সেলোনার। নতুন বছরে ২১টি ম্যাচ খেলে এখনও হারের মুখ দেখেনি দলটি। এর মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচ ড্র করেছে তারা, বাকি সবগুলোতে পেয়েছে জয়ের দেখা।
এছাড়া অবসর থেকে ফেরার পর বার্সেলোনার জার্সি গায়ে জড়িয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনি, যার ১৭ জিতেছেন এবং দুটি ম্যাচ ড্র হয়। এর মধ্যে ১০ ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রেখেছেন এই পোলিশ গোলরক্ষক।
১১ দিন আগে
৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
বারবার এগিয়ে গিয়েও পা হড়কাতে বসা রিয়াল মাদ্রিদ প্রত্যাবর্তনের আরও একটি গল্প লিখে যখন ফাইনালের পথ ধরেছে, তখন যোগ করা সময়ে ফের গোল করে আরও একবার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। তবে অতিরিক্ত সময় শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে এগোচ্ছে, তখন শেষ গোলটি করে রিয়ালকে ফাইনালে পৌঁছে দিলেন আন্টোনিও রুয়েডিগার।
অতি সংক্ষেপে কোপা দেল রের প্রথম সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের বর্ণনা মোটামুটি এমনই। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান হয়ে থাকল প্রথম লেগে রিয়ালের করা একমাত্র গোলটি। ওই গোলের সুবাদে অগ্রগামিতায় ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে সোসিয়েদাদকে চেপে ধরে অগ্রগামিতায় দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ষোড়শ মিনিটে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে ঘরের মাঠের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন আন্দের বারেনেচিয়া।
পাবলো মারিনের হেডারে বাড়ানো পাস ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে গিয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে আন্দ্রেই লুনিনকে পরাস্ত করেন এই স্প্যানিশ। ফলে রিয়ালের প্রথম লেগের অগ্রগামিতা ফিরতি লেগের শুরুতেই মিলিয়ে যায়।
তবে ৩০তম মিনিটে এন্দ্রিকের একক নৈপুণ্যে উল্লাসে মাতে বের্নাবেউ। ফলে আবারও লিড নেয় রিয়াল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে কোনোভাবেই আর এগিয়ে যাওয়া হয়ে উঠছিল না স্বাগতিকদের। অন্যদিকে, চাপে কোণঠাসা লা রিয়াল সমতায় ফেরার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিল। এর মাঝে আক্রমণে ধার বাড়াতে এন্দ্রিককে উঠিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নামান আনচেলত্তি। তবে ৭২তম মিনিটে উল্টো এক আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: আট গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আতলেতিকো মাদ্রিদের
প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে দূরের পোস্টের দিকে শট নেন মারিন। গোলমুখ থেকে তা ক্লিয়ার করতে গেলে ডাভিড আলাবার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে অগ্রগামিতায় ২-২-এ সমতায় ফিরে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পায় সোসিয়েদাদ।
দ্বিতীয়বার সমতায় ফেরার আট মিনিট পর গোল করে লা রিয়ালকে জয়ের বন্দর দেখান ওইয়ারসাবাল। এবারও দুর্ভাগা আলাবার পায়ে লেগে ঠিকানা খুঁজে নেয় ওইয়ারসাবালের শট।
ম্যাচের তখন আর মিনিট দশেক বাকি। এ সময় প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় ইমানোলের শিষ্যরা। তবে অবিশ্বাস্যভাবে চার মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচভাগ্য নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেয় মাদ্রিদ।
৮২তম মিনিটে বেলিংহ্যাম ও ৮৬তম মিনিটে অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি গোল করে চকিতে রিয়ালকে এগিয়ে নেন। অগ্রগামিতায় ফল তখন রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে, ৪-৩।
কিন্তু না! যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফের সোসিয়েদাদের ত্রাতা হয়ে ওঠেন ওইয়ারসাবাল। ফলে ৪-৩ গোলে সোসিয়েদাদ ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও ৪-৪ অগ্রগামিতায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে কেউ গোল না পাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারা অব্যাহত থাকে। শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে গড়াচ্ছে, তখনই গর্জন করে ওঠে বের্নাবেউ।
১১৫তম মিনিটে কর্নার থেকে আর্দা গুলেরের নেওয়া ক্রসে হেড দিয়ে রিয়ালকে কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক গোলটি এনে দেন রুয়েডিগার। এরপর আর সোসিয়েদাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর মাদ্রিদ জায়ান্টদের তাদের মাঠে এসে চার গোল দিয়েও হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরতে হয় সোসিয়েদাদকে।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বুধবার রাতে মাঠে নামবে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। প্রথম লেগে এই দুই দলের লড়াই শেষ হয় ৪-৪ ড্রয়ে। ফলে ফিরতি লেগে জয়ী দলই ফাইনালে রিয়ালের মুখোমুখি হবে।
১২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে ফাইনালে ভারত
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার দুঃস্বপ্ন এখনও তাড়া করে বেড়ায় ভারতীয় ক্রিকেটের সমর্থকদের। তবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে ফাইনালে উঠে এতদিন পর সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে রোহিত শর্মার দল।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে চার উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত।
এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই ২৬৪ রান তুলে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ৯৬ বলে ৭৩ রান করে দলটির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এছাড়া মিডল অর্ডারে নামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি করেন ৬১ রান।
ভারতের হয়ে দশ ওভারে মাত্র ৪৮ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শামি। এছাড়া দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও রবীন্দ্র জাদেজা নেন দুটি করে উইকেট।
২৬৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারালেও ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত।
তিনে ব্যাট করতে নামা বিরাট কোহলিই এদিন ভারতের জয়ের ভীত গড়ে দেন। ৯৮ বলে ৮৪ রান করার পথে শ্রেয়াস আইয়ার (৪৫), অক্ষর প্যাটেল (২৭) ও লোকেশ রাহুলের (৪২*) সঙ্গে গড়েন যথাক্রমে ৯১, ৪৪ ও ৪৭ রানের জুটি।
পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই যখন জয়ের সুবাতাস পেতে শুরু করেছে ভারত, ঠিক তখনই একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে আউট হন ২৪ বলে ২৮ রান করা হার্দিক পান্ডিয়া। পরে জাদেজাকে নিয়ে ভারতীয়দের জাহাজ জয়ের বন্দরে নোঙর করেন রাহুল।
এদিন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পেলেও কার্যকর সময়ে ভারতীয় ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিকেই কেবল ভারতকে রুখে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় দলটি। পরে সময় যত গড়িয়েছে, জয়ের পাল্লা ভারতের দিকেই তত ভারী হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে নাথান এলিস ৪৯ রান খরচ করে এবং অ্যাডাম জ্যাম্পা ৬০ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচটি জিতলেও বৃষ্টির কারণে পরের দুই ম্যাচ পণ্ড হয়। ফলে ওই এক ম্যাচ জিতেও অপরাজিত থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দুবারের শিরোপাধারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ২৬৪/১০ (৪৯.৩ ওভার) (স্মিথ ৭৩, ক্যারি ৬১, হেড ৩৯; শামি ৩/৪৮, জাদেজা ২/৪০, চক্রবর্তী ২/৪৯)।
ভারত: ২৬৭/৬ (৪৮.১ ওভার) (কোহলি ৮৪, আইয়ার ৪৫, রাহুল ৪২*; এলিস ২/৪৯, জ্যাম্পা ২/৬০)।
ফলাফল: ভারত চার উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বিরাট কোহলি।
৪০ দিন আগে
আট গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আতলেতিকো মাদ্রিদের
দারুণ সব ফুটবলারে ভরা অসাধারণ ভারসাম্যের আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে কেমন খেলবে বার্সেলোনা—তা নিয়ে দলটির সমর্থকদের অনেকেই ছিলেন সংশয়ে। তবে চলতি মৌসুমের প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দলটির বিপক্ষে হতাশা সঙ্গী হয়েছে কাতালান জায়ান্টদের।
মঙ্গলবার রাতে বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-৪ গোলে ড্র করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
ম্যাচের প্রথম ৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও একপর্যায়ে ৪-২ গোলে পিছেয়ে পড়েছিল দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। কিন্তু শেষের দিকে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের সমন্বয়হীনতা আর রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমতায় ফেরার স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মাদ্রিদের দলটি।
অপরদিকে, ৪-২ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে সেই ব্যবধান খোয়ানোয় বার্সেলোনার সঙ্গী হয়েছে হতাশা।
পরের লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আতলেতিকোর মাঠে। ফলে এই ড্রয়ের পরে ঘরের মাঠে নিজ সমর্থকদের সামনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ থাকবে তাদের।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
ম্যাচ শুরু হতেই এদিন স্বাগতিকদের চেপে ধরে গোল আদায়ের চেষ্টা করে আতলেতিকো মাদ্রিদ, তাতে দারুণ সাফল্য পায় দলটি। প্রথম মিনিটেই আন্তোয়ান গ্রিজমানের ক্রসে বার্সার ডি-বক্সের ভেতর থেকে হেডারে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন হুলিয়ান আলভারেস, কিন্তু বল ক্রসবার ঘেঁষে জালের ঢোকার আগমুহূর্তে তা ক্লিয়ার করেন ভয়চিয়েখ স্টান্সনি।
তবে পরের মুহূর্তে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি বার্সার এই পোলিশ গোলরক্ষক। কর্নার থেকে ছোট পাসে বল পেয়েই গোলমুখে উড়িয়ে দেন গ্রিজমান, এরপর দূরের পোস্টের কাছ থেকে হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন আলভারেস।
প্রথম মিনিটেই গোল হজম করার পর সমতায় ফেরায় মনোযোগ দেয় বার্সেলোনা। তবে তাদের হাই ডিফেন্স লাইন ভেঙে ষষ্ঠ মিনিট পড়তেই আরও এক গোল করে এগিয়ে যায় আতলেতিকো মাদ্রিদ।
এবারও সেই আলভারেস-গ্রিজমান যুগলবন্দি, তবে এবারের গোলটি করেন গ্রিজমান। আলভারেসের ডিফেন্সচেরা পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে খানিকটা এগিয়ে আসা স্টান্সনিকে বোকা বানান ফরাসি তারকরা।
৪৭ দিন আগে
কোহলির সেঞ্চুরি, পাকিস্তানকে বিপদে ঠেলে সেমির পথে ভারত
ম্যাচের ফল একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করতে পারেন কিনা, তা-ই দেখার বাকি ছিল। জয়ের জন্য যখন ২ রান দরকার, শতক হাঁকাতে কোহলির দরকার তখন ৪। তবে চার মেরেই সব হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে দিলেন তিনি।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ভারতীয় বোলারদের প্রতাপ সামলে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতেই ২৪১ রান তুলে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
২৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখে ২৪৪ রান করে জয়োল্লাস করে ভারত। ইনিংসের ৪৫ বল বাকি ছিল তাদের।
ভারতের এই জয়ে মূল কাজটি করেন তাদের বোলাররা। দীর্ঘ সময় উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানের রানের গতি এমনভাবে তারা কমিয়ে দেন যে প্রথম ইনিংসে একেকটি বাউন্ডারি দেখতেই ৪০-৪৫ বলের মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে দর্শকদের।
শেষের দিকে রানরেট বাড়াতে গিয়ে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়ার লজ্জাও বরণ করতে হয় তাদের।
অপরদিকে, ফিল্ডিং চলাকালে বোলারদের পাশাপাশি ভারতের ফিল্ডারদেরও খানিকটা কৃতিত্ব দিতে হয়। তাদের পরিশ্রমী মানসিকতার কারণেই অনেকগুলো এক পাকিস্তানি ব্যাটাররা দুইয়ে রূপ দিতে পারেননি, অনেকগুলো সম্ভাব্য চার আটকে গেছে তিনে। এরপর রান তাড়ায় নেমে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাই উপহার দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা।
অবশ্য শুরুর দিকে (পঞ্চম ওভারের শেষ বলে) রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও সময় যত গড়িয়েছে, জয়ের পাল্লা ততই ভারতের পক্ষে ভারী হয়েছে।
৩১ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর পাকিস্তান দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় ১০০ রানের মাথায়। ৫২ বলে ৪৬ রান করা শুভমান গিল এদিন অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও কোহলির সঙ্গে দারুণ একটি জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে কোহলির ১১৪ রানের জুটিটি পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
৬৭ বলে ৫৬ রান করে শ্রেয়াস ফেরার অল্প সময় পর হার্দিক পান্ডিয়াও আউট হলে ভারতের তখন প্রয়োজন ৬০ বলে মাত্র ১৯ রান। এরপর শেষ মুহূর্তে সেঞ্চুরির মাধ্যমে দলকে জেতানোর পথে অনন্য এক কীর্তি গড়েন কোহলি।
৪৯ দিন আগে
কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
সেমিফাইনালের চার দল নিশ্চিত হওয়ার পর ছিল কে কার প্রতিপক্ষ হচ্ছে—ছিল তার অপেক্ষা। অবেশেষে সেই অপেক্ষারও অবসান হয়েছে। ড্রয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনালের প্রত্যেক দলের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হয়েছে।
স্প্যানিশ সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে আতলেতিকো মাদ্রিদকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বার্সেলোনা এবং রিয়াল সোসিয়েদাদকে পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
স্প্যানিশ সুপার কাপের মতো কোপা দেল রেতেও এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দুই লেগের সেমিফাইনালে বিপক্ষ দলকে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা যদি ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারে, তবেই সেই সম্ভবানা বাস্তবে রূপ নেবে।
টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচ নকআউট হলেও সেমিফাইনাল খেলা হবে দুই লেগে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, আর দ্বিতীয় লেগের খেলা হবে এপ্রিলের ২ তারিখে।
এবার প্রথম লেগের ম্যাচটি ঘরের মাঠে খেলবে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও বার্সেলোনা এবং দ্বিতীয় লেগ ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে মাদ্রিদের দুই দল।
আগামী ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে চলতি মৌসুমের কোপা দেল রে ফাইনাল।
আরও পড়ুন: বেতিসকেও ৫ গোল দিয়ে কোপা দেল রের কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
গত মৌসুমে মায়োর্কাকে হারিয়ে ৪০ বছর পর কোপা দেল রে জেতা আথলেতিক বিলবাও এবার বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকেই। ২৪ বার এই শিরোপা জিতে কোপা দেল রে জয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাস্কে অঞ্চলের এই ক্লাবটি।
তবে ৩১ বার কোপা দেল রে জয় করে তালিকায় সবার উপরে অবস্থান বার্সেলোনার। ২০ বার এই শিরোপা জিতে তৃতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া ১০ বার কোপা দেল রে জিতে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর তৃতীয় শিরোপা জয়ের অভিযানে এবার সেমিফাইনাল উৎরে যাওয়ার চেষ্টা করবে রিয়াল সোসিয়েদাদ।
৬০ দিন আগে
বিতর্কিত পেনাল্টির যে ব্যাখ্যা দিলেন ভিএআর বিশেষজ্ঞ
ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ইংল্যান্ডের টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব ছাপিয়ে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে ফুটবলবোদ্ধা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।
ঘটনাটি ঘটে সপ্তদশ মিনিটে। এসময় বক্সের মধ্যে বল পেয়ে জোরালো শটে গোল আদায় করতে চান ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। কিন্তু তিনি বলে শট নিতে গেলে তা বুট দিয়ে প্রতিহত করতে যান ডাচ ডিফেন্ডার ডেনসেল ডুমফ্রিস। তবে তার পা বলে ছোঁয়ার আগেই কেইনের শটটি নেওয়া হয়ে যায়, আর ডুমফ্রিসের শটে পায়ে দারুণ ব্যথা পেয়ে পড়ে গিয়ে কাতরাতে থাকেন কেইন।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
এ ঘটনায় শুরুতে রেফারি ফাউলই দেননি। তবে কিছুক্ষণ ম্যাচ চলার পর খেলার মধ্যে বাঁ হাত ঢোকায় ভিএআর। রেফারিকে সাইডলাইনের টিভি রিপ্লে দেখতে বলা হয়। টিভি রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
যদিও রিপ্লেতে সেটিকে ফাউল বলে মনে হচ্ছিল না, টিভি ধারাভাষ্যকারদেরও মতও ছিল তা-ই। আবার ওই মুহুর্তের আগমুহুর্তে বুকায়ো সাকার হাত ছুঁয়ে বল কেইনের কাছে যায়। ফলে পেনাল্টির আগেই সেটি হ্যান্ডবল ছিল।
তবে রেফারির সিদ্ধান্তই যেখানে চূড়ান্ত, সেখানে বিতর্ক হলেও রায় যায় ইংল্যান্ডের পক্ষে। আর স্পট কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান কেইন।
এরপর ম্যাচে আর গোল না হলেও নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তোলেন অলি ওয়াটকিন্স।
২৭৭ দিন আগে
ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
পুরো আসরজুড়ে নিজেদের খুঁজতে থাকা ইংল্যান্ড অবশেষে জ্বলে উঠল। সমর্থকদের নিজেদের স্বভাবসুলভ ফুটবল উপহার দিয়ে জয়ও ছিনিয়ে নিল শেষ মুহূর্তে।
বুধবার রাতে ডর্টমুন্ডের জিগনাল ইডুনা পার্কে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচে প্রথমার্ধের ৭, ১৮ ও ৯০তম মিনিটের শেষ সেকেন্ডে তিনটি গোল দেখে দুই দলের সমর্থকরা, যার প্রথমটি ছিল নেদারল্যান্ডসের, পরের দুটি ইংল্যান্ডের।
এই ম্যাচে শুধুই জয় নয়, ফাইনালে দুর্দান্ত স্পেনের মোকাবিলা করার আগে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে সমর্থকদের মনে আশার সঞ্চার করেছে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ‘সুপার সাব’-এ শেষ মুহুর্তে ডাচদের হুদয় ভেঙে ফাইনালে ইংল্যান্ড
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে নেদারল্যান্ডস। এর ফল পেতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করা লাগেনি তাদের। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন পিএসজির ডাচ মিডফিল্ডার জাভি সিমোন্স।
সতীর্থের থ্রু বল পেয়েই বক্সের সামনে থেকে ডেকলান রাইসকে পরাস্ত করে জোরালো শট নেন ২১ বছর বয়সী সিমোন্স। বল গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে গন্তব্যে চলে যায়।
২৭৭ দিন আগে
‘সুপার সাব’-এ শেষ মুহূর্তে ডাচদের হৃদয় ভেঙে ফাইনালে ইংল্যান্ড
১-১ গোলের সমতা নিয়ে অতিরিক্ত সময়ে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল দুই দলই। এরইমধ্যে ম্যাচের শেষ মিনিটের শেষ সময়ে ইংল্যান্ডের একটি অলস আক্রমণ চকিতে গতি পায়, আর তা থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন কিছুক্ষণ আগেই বদলি হিসেবে মাঠে নামা অলি ওয়াটকিন্স।
ফলে একেবারে শেষ মুহূর্তে নেদারল্যান্ডসের হৃদয় ভেঙে ফাইনালের টিকিট কেটেছে গতবারের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড।
বুধবার রাতে ডর্টমুন্ডের জিগনাল ইডুনা পার্কে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: দলীয় ঐক্য ও তারুণ্যের চমকে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে স্পেন
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন পিএসজির ডাচ মিডফিল্ডার জাভি সিমোন্স।
সতীর্থের থ্রু বল পেয়েই বক্সের সামনে থেকে ডেকলান রাইসকে পরাস্ত করে জোরালো শট নেন ২১ বছর বয়সী সিমোন্স। বল গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে গন্তব্যে চলে যায়।
২৭৭ দিন আগে
কানাডার স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে গেল কানাডা। পার্থক্য হয়ে থাকলেন সেই লিওনেল মেসি। ফলে প্রথমবার কোপা আমেরিকা খেলতে এসেই সেমিফাইনালে ওঠার পর থামল কানাডার স্বপ্নযাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে সর্বশেষ আট আসরের ৬টিতেই ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এদিন দলের হয়ে গোলের খাতা খোলেন হুলিয়ান আলভারেস। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো রদ্রিগো দে পলের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান আলভারেস। এরপর প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এটি চলতি কোপার আসরে দ্বিতীয় এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি আসরে তার নবম গোল।
আরও পড়ুন: হেরে ব্রাজিল কোচ বললেন, আরও সময় প্রয়োজন
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। ৫১তম মিনিটে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সামনে থাকা এসনো ফের্নান্দেসকে তা দিয়ে ফেলেন কানাডার একজন ডিফেন্ডার। তিনি জোরালো শট নিলে গোলমুখে থাকা মেসির আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে যায়।
এই গোলের মাধ্যমে কোপার চলতি আসরে গোলখরা ঘোচালেন মেসি। এটি আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ১০৯তম গোল। শুধু তাই নয়, এই গোলের মাধ্যমে কোপা আমেরিকার ছয় আসরে গোল করলেন তিনি।
তবে এদিন গোল খেলেও কোনোভাবে দমিয়ে যায়নি কানাডা। গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে জেসি মার্শের শিষ্যরা। কিন্তু কোনোভাবে আর্জেন্টিনার ডেডলক ভাঙতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচজয়ীদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
২৭৮ দিন আগে