সেমিফাইনাল
৯ গোলের থ্রিলারে লড়াই করেও হারল ফ্রান্স, স্পেন-পর্তুগাল ফাইনাল
সেয়ানে সেয়ানে টক্করের পরও ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়ল ফ্রান্স, কিন্তু তারপরও কী অসাধারণভাবে ঘুরে দাঁড়াল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লুইস দে লা ফুয়েন্তের দুর্দান্ত স্পেনের বিপক্ষে পেরে উঠল না দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। ফলে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ফরাসিদের, অন্যদিকে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেছে স্পেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফিরেছিল ২০২০-২১ মৌসুমের ফাইনাল। তবে সেবার স্প্যানিশদের ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করলেও এবার আর পারল না ফ্রান্স। অপরদিকে ফরাসিদের ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠে গেল স্প্যানিশরা।
এদিন ম্যাচের ২৩ ও ২৫তম মিনিটে নিকো উইলিয়ামস ও মিকেল মেরিনোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন। তবে প্রথমার্ধের পুরোটা আলো কেড়ে নেন স্পেন অধিনায়ক তথা দলটির গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ফরাসিদের নিশ্চিত গোল হওয়ার মতো পাঁচটি শট রুখে দেন তিনি।
বিরতির পর নেমে ফের জোড়া ধাক্কা খায় ফ্রান্স। এবারের দুই গোলদাতা লামিন ইয়ামাল ও পেদ্রি।
৫৪তম মিনিটে লামিনকে ফাউল করে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ফরাসি ডিফেন্ডার আদ্রিয়েন রাবিও, আর তা থেকে ব্যবধান ৩-০-তে উন্নীত করেন এই কাতালান প্রতিভা। পরের মিনিটে স্পেনের চকিত আক্রমণে চোখে সর্ষে ফুল দেখে ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা। এ সময় নিকো উইলিয়ামসের ড্রিবলের পর বাড়ানো পাস থেকে আরও নিপুণ দক্ষতায় গোল করেন পেদ্রি।
তার পাঁচ মিনিট পর অবশ্য পেনাল্টি পায় ফ্রান্সও এবং তা থেকে প্রথমবার ব্যবধান কমান এমবাপ্পে। তবে ৭৯তম মিনিটে লামিন পঞ্চম গোলটি করলে মনে হচ্ছিল ফ্রান্সের খেলা সেখানেই শেষ। কিন্তু ফুটবল বলে কথা! যেখানে শেষ বলে কিছু নেই।
৭৯তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা রায়ান শেরকির গোলে ব্যবধান কমে দেশমের দলের। এর তিন মিনিট পর এমবাপ্পের কাছে বল যাওয়া রুখতে গিয়ে তা জালে পাঠিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন স্পেনের বদলি হিসেবে নামা ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান। ৫-৩ গোলে ব্যবধান কমে এলে পায়ের নিচে মাটি পায় ফ্রান্স; আরও জমে ওঠে খেলা।
এরপর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আরও একটি গোল করেন রাঁদাল কোলো মুয়ানি, কিন্তু তা সমতায় ফেরার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে খেলা অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে গড়ানোর সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৯০+৬ মিনিটেই শেষ হয়, আর শেষ হাসি হাসে স্পেন।
৩৩ দিন আগে
রোনালদোর আশা পূরণের রাতে নেশন্স লিগের ফাইনালে পর্তুগাল
বয়স চল্লিশ পেরিয়ে একচল্লিশে পা দিলেও যেন থামার নাম নেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর, না আছে তার পারফরম্যান্সে ভাটার টান। এমনই আরও একটি উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের রাতে অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে দেশকে আরও একবার নেশন্স লিগের ফাইনালে তুলেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনায় বুধবার (৪ জুন) রাতে উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে জার্মানিকে তাদের মাঠেই ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে প্রতিযোগিতাটির প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
এই জয়ে পর্তুগালের জার্সি গায়ে প্রথমবার জার্মানিকে হারাতে পারলেন রোনালদো। আর আরাধ্য এই জয় পেতে তার লাগল ৪০ বছর ১১৯ দিন। জাতীয় দলের জার্সিতে ২২০তম ম্যাচ খেলতে নেমে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
ক্রিকেটপাড়ায় ১৮ বছর ধরে শিরোপার প্রতীক্ষায় থাকা বিরাট কোহলির হাতে আইপিএল ট্রফি ওঠা নিয়ে যখন চারদিক থেকে প্রশংসার ধারা বইছে, তার মধ্যেই ক্রিকেট কিংবদন্তির ফুটবল জগতের আদর্শ ২৫ বছর পর দলকে এনে দিলেন বিরল এই জয়।
হ্যাঁ, সবশেষ ২০০০ সালের ২০ জুন ইউরোর গ্রুপ পর্বে ৩-০ গোলে জার্মানিকে হারিয়েছিল পর্তুগাল। এর মাঝে ২৫টি বছর কেটে গেছে। দুই দলের দেখা যে এর মধ্যে হয়নি তা নয়। তবে ওই সময়ের পর থেকে পাঁচবারের দেখায় সবকটি ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ নিতে হয়েছে পর্তুগিজদের, আর জার্মানি জয়ের আকাঙ্ক্ষা কেবল দীর্ঘই হয়েছে রোনালদোর।
এবার সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছেন শ্রমকে সাফল্যের মূলমন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এই অনন্য ফুটবলার।
৩৪ দিন আগে
আবারও হেরে আর্সেনালের বিদায়, ইন্টার-পিএসজি ফাইনাল
ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর পিএসজির মাঠে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। এই ম্যাচে তাই শুধু জিতলেই হতো না, অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের। তবে জেতা তো দূর, উল্টো আরও একবার হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে গানারদের। আর দুই লেগের সেমিফাইনালের দুটিই জিতে ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
বুধবার রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। এর ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১ এ।
প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করা উসমান দেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে এদিন একাদশ সাজান পিএসজি বস লুইস এনরিকে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের সমর্থকদের সামনেও স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে আর্সেনাল। কিন্তু ২৭তম মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯তম মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি, তবে ভিতিনিয়ার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে ধরে রাখেন আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। এর তিন মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান আরও বাড়ান আচরাফ হাকিমি।
৭৬তম মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে একটি গোল পরিশোধ করেন আর্সেনালের বুকায়ো সাকা। তার কিছুক্ষণ পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। এরপর আর কোনোপাশেই গোল হয়নি।
আরও পড়ুন: সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এনরিকের শিষ্যরা। এর মাধ্যমে পাঁচ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল লে পারিসিয়েনরা। ২০২০ সালে ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলে পিএসজি। সেবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে হৃদয় ভাঙে তাদের।
পিএসজির এবারের প্রতিপক্ষ আগের রাতে বার্সেলোনাকে বিদায় করা ইন্টার মিলান। এবারের আসরের ফাইনালের ভেন্যু আবার আলিয়ান্স আরেনা। বায়ার্নের মাঠ থেকে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে পিএসজি তাদের দুঃখ ঘোচাতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে।
আগামী ৩১ মে ইউরোপ-সেরার এই লড়াইয়ের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গতবারের ইতালি ও ফ্রান্স চ্যাম্পিয়নরা।
৬২ দিন আগে
সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। অবিশ্বাস্য লড়াই, নাটকীয় পালাবদল আর চরম এক কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিল ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনা। দিনশেষে এক দল জয়োল্লাস করে ফাইনালে উঠলেও অন্য দলও তাই মাঠ ছেড়েছে মাথা উঁচু করেই।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে সিমোনে ইনজাগির দল।
এদিন আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ইন্টারের শক্তিধর খেলোয়াড়দের ক্ষিপ্রগতির ফুটবল আর বার্সেলোনার মেধাবী তরুণদের পায়ের কারিকুরিতে পুরো ম্যাচজুড়েই ফুটবলের সত্যিকারের নির্যাস উপভোগ করার সুযোগ হয় দর্শকদের।
তবে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-৩ গোলে ড্র করে আসা ইন্টার নিজেদের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ২১তম মিনিটে লাউতারো মার্তিনেস এবং বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে পেনাল্টি থেকে হাকান চালানোলু দ্বিতীয় গোল করলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেই ড্রেসিংরুমে যায় স্বাগতিকরা।
তবে বিরতির পর পরপর দুই গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সেলোনা। ৫৪তম মিনিটে এরিক গার্সিয়ার চকিতে করা গোল এবং তার ছয় মিনিট পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দানি অলমো।
এরপর ৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনাকে একটি পেনাল্টি দিয়েও রিভিউ করে তা বাতিল করে দেন রেফারি। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে তৃতীয় গোলটি করে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়ার ওই গোলে বার্সেলোনা যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে, তার মধ্যেই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফ্রান্সেসকো আচেরবির গোলে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে ইন্টার। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধেই ৯৯তম মিনিটে আরও একটি গোল করে স্বাগতিকদের ফের লিড এনে দেন দাভিদে ফ্রাত্তেসি। এরপর থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত দলটির ওপর আক্রমণের বুলডুজার চালায় বার্সেলোনা। বেশ কয়েকটি অসাধারণ সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তার কয়েকটি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে ও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং অসাধারণ নৈপুণ্যে আরও কয়েকটি ঠেকিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান জমার। ফলে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
এর ফলে ছয় বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেও বিদায় নিতে হলো কাতালান জায়ান্টদের। এর সঙ্গে দলটির কোয়াড্রাপল জয়ের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল।
বুধবার অপর সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে খেলতে নামবে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে দলটির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল মিকেল আর্তেতার দল। ফলে ফাইনালের টিকিট কাটতে প্রতিপক্ষের মাঠে বিশেষ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির।
৬৩ দিন আগে
ইউরোপা-কনফারেন্স লিগে ইংলিশ ক্লাবগুলোর জয়জয়কার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির কাছে আর্সেনালের হারতে হলেও উয়েফার অপর দুই টুর্মামেন্টের শেষ চারে ভালো করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। গত রাতে ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগে খেলা তিন ইংলিশ ক্লাবের তিনটিই পেয়েছে বড় জয়ের দেখা।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষের জন্য স্পেনের অন্যতম প্রতিকূল স্টেডিয়াম সান মামেসে খেলতে নেমেছিল চলতি মৌসুমে নিদারুণ ভুগতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে মাঠে নেমেই পুরনো চেহারায় ফেরে দলটি। আর তাতে করে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে তুলে নেয় ৩-০ গোলের দারুণ এক জয়।
অথচ প্রিমিয়ার লিগে এই দলটিই সবশেষ পাঁচ ম্যাচ জয়বঞ্চিত। এই সময়ে মাত্র দুটি ম্যাচ ড্র করে দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে রুবেন আমোরিমের দল।
বিলবাও ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান ম্যাচের ৩৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের দলে পরিণত হয় এর্নেস্তো ভালভের্দের দল। তার পাঁচ মিনিট আগেই অবশ্য কাসেমিরোর গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। এরপর লাল কার্ডের ওই ফাউল থেকে পাওয়া পেনাল্টি গোলে পরিণত করে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও একটি গোল করেন এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে অল-আউট ডিফেন্স খেলে ইউনাইটেডকে আটকে রাখতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ‘নিয়ে ফেলেছেন’ আনচেলত্তি
এখানে ব্রুনো ফের্নান্দেসের কথা বিশেষ করে না বললেই নয়। দল মৌসুমজুড়ে ভুগতে থাকলেও একাই আলো ছড়িয়ে চলেছেন এই পর্তুগিজ। চলতি মৌসুমের সব মিলিয়ে ৫২ ম্যাচ খেলে ১৯ গোল ও ১৮ অ্যাসিস্টসহ মোট ৩৭ গোলে অবদান রেখে ফেলেছেন এরই মধ্যে।
৬৭ দিন আগে
বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান
ইন্টারের ডেরা থেকে জয় নিয়ে যাওয়া যে ভীষণ কঠিন, তা জেনেও অদম্য উদ্যোমে সেই অসাধ্য সাধন করতে চেয়েছিলেন হ্যারি কেইন-থমাস মুলাররা। তবে শত চেষ্টা করেও সাফল্যের দেখা পাননি তারা। এগিয়ে যাওয়ার পর উল্টো পিছিয়ে পড়ে পরে ম্যাচ ড্র করলেও সামগ্রিক ফলাফলে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয়েছে বাভারিয়ানদের।
বুধবার রাতে ইতালির সান সিরো স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
তবে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বায়ার্নের ২-১ গোলের হারই দুই লেগের এই লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আর ৪-৩ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠে গেছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
এদিন প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে পরিষ্কার এগিয়ে থাকলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় বায়ার্ন। ইন্টার মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রাখলেও তা থেকে সফলতা পায়নি। ফলে স্কোরবোর্ড অপরিবর্তিত রেখেই বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতি থেকে ফিরেই গোল করে দলকে অগ্রগামিতায় সমতায় ফেরান কেইন। তবে ৫২ মিনিটে করা ওই গোলের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় ছয় মিনিট পরই। ম্যাচের ৫৮ ও ৬১তম মিনিটে যথাক্রমে লাউতারো মার্তিনেস ও বায়ার্ন ছেড়ে গত গ্রীষ্মে ইন্টারে যোগ দেওয়া বেনিয়ামিন পাভার্দ বল জালে পাঠালে চকিতে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে জার্মানরা।
ইন্টারের জার্সিতে এদিন প্রথম গোলের দেখা পান পাভার্দ, আর সেটিও তার পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে। আর টানা পাঁচ ম্যাচ জালের দেখা পেয়ে ইন্টার খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়ে ফেলেন লাউতারো। ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম কোনো খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়ল।
৭৬তম মিনিটে অবশ্য এরিক ডায়ার গোল পেলে ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বায়ার্ন, কিন্তু ইন্টারের অভেদ্য রক্ষণ আর সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণ দলটিকে অলআউট আক্রমণে উঠতে দেয়নি। ফলে গোলও আর পাওয়া হয়নি। এর ফলে হতাশা সঙ্গী করে ঘরে ফিরতে হয় ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যদের।
আর এর সঙ্গে শেষ হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থমাস মুলারের বর্ণিল এক অধ্যায়। বায়ার্ন মিউনিখে এটিই যে শেষ মৌসুম, তা তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। এবার হেরে বিবর্ণ বিদায় নিতে হলো বছরের পর বছর ধরে বায়ার্নকে সেবা দিয়ে আসা এই সৈনিককে।
৮৩ দিন আগে
ব্যাপক তোড়জোড় করেও হেরে গেল রিয়াল, সেমিফাইনালে আর্সেনাল
ফিরে আসার নানা গল্প, একের পর এক ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়, বের্নাবেউয়ের ছাদ অবরুদ্ধ করে ম্যাচের আয়োজন—সব বৃথা গেল রিয়াল মাদ্রিদের। যাবে না-ই বা কেন, আসল যে কাজ, অর্থাৎ মাঠের খেলায় যা করে দেখানোর দরকার ছিল, সেটাই যে করতে পারেনি তারা। উল্টো শেষদিকে গোল খেয়ে আবারও হেরে নিদারুণ এক বিদায় নিতে হয়েছে দলটির।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি আর্সেনালের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এই ফলাফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৫-১-এ। এমিরেটস স্টেডিয়ামে গত সপ্তাহে ৩-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই একটি করে পেনাল্টি পেলেও বাজে শট নিয়ে থিবো কোর্তোয়ার হাতে ধরা পড়েন বুকায়ো সাকা। কিছুক্ষণ পর এমবাপ্পেকে পেনাল্টি দিয়েও পাঁচ মিনিটের দীর্ঘ ভিএআর রিভিউ শেষে তা বাতিল করে দেন রেফারি।
৩ গোলের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে মাঠে নামলেও প্রথমার্ধে গোল করা তো দূরের কথা, গোলে একটি শটও নিতে পারেনি রিয়াল। পক্ষান্তরে চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখে আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি করে শট লক্ষ্যে রাখে দুদলই, তবে তা থেকে আর্সেনাল দুটি ও রিয়াল একটিকে গোলে পরিণত করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করেও হতাশ গিরাসি, হেরেও সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে প্রথম স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আনেন আর্সেনাল উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। এর দুই মিনিট পর নিজেদের ভুলে ভিনিসিয়ুসের কাছে গোল খায় লন্ডনের দলটি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
এর ফলে আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজ আরও দীর্ঘ হলো রিয়ালের। সেইসঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই এবার বিদায় নিতে হলো গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
অন্যদিকে, ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল আর্সেনাল। ২০০৮/০৯ মৌসুমে আর্সেন ওয়েঙ্গার সবশেষ দলটিকে ইউরোপের এলিট এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তুলেছিলেন।
অপর ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে প্রথম লেগ ২-১ গোলে হারায় সামগ্রিক লড়াইয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমের সেরা চার দল নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ২৯ এপ্রিল ঘরের মাঠে পিএসজিকে আতিথ্য দেবে আর্সেনাল এবং পরের রাতে বার্সেলোনার মাঠে খেলতে নামবে ইন্টার।
পরের সপ্তাহে ৬ মে ইন্টার-বার্সা এবং ৭ মে পিএসজি-আর্সেনালের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
৮৩ দিন আগে
হ্যাটট্রিক করেও হতাশ গিরাসি, হেরেও সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের অধীনে বদলে যাওয়া বার্সেলোনার আক্রমণের যে ধার, তার বিন্দুমাত্রও দেখা মিলল না পুরো ম্যাচজুড়ে। ঘর সামলাতেই পার হয়ে গেল নিজেদের খুঁজে ফেরা দলটির সময়। মাঝে তিনটি গোল হজম করে হেরেও গেল, তবুও অগ্রগামিতায় এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
জার্মানির জিগনাল ইডুনা স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগে বার্সেলোনার মাঠে ৪-০ গোলে হেরে থাকায় সেমিফাইনালে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত হয়নি দ্বিতীয় লেগের এই জয়। দুই লেগ মিলিয়ে অগ্রগামিতায় ৫-৩ গোলে পিছিয়ে থাকায় শেষ আট থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে নিকো কোভাকের শিষ্যদের।
এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন অবশ্য ডর্টমুন্ডের গিনিয়ান স্ট্রাইকার সেরহু গিরাসি। দলের তিনটি গোলের সবগুলো এসেছে তার পা থেকে। হ্যাটট্রিকের রাতে হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়, হয়েছেন এখন পর্যন্ত টুর্মামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও; দলকে জেতানোর রাতে তবুও থেমেছে তার যাত্রা।
বার্সেলোনা এদিন নিজেদের পা থেকে কোনো গোলই করতে পারেনি। একটি গোল যে পেয়েছে, তাও ডর্টমুন্ডের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া আত্মঘাতী গোল।
তারা যে কতটা নিষ্প্রভ ছিল, পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই তার আভাস পাওয়া যায়। ম্যাচজুড়ে ৫৪ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রাখলেও মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেন লেভানডোভস্কি, রাফিনিয়ারা। অপরদিকে, মোট ১৮টি শটের ১১টি লক্ষ্যে রাখে ডর্টমুন্ড।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
এর ফলে টানা ২৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা থামল ফ্লিকের শিষ্যদের। নতুন বছরে এটিই তাদের প্রথম হার। অবসর ভেঙে ফেরা পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনিরও বার্সার জার্সিতে হয়েছে প্রথম হারের অভিজ্ঞতা। নিজের ২৩তম ম্যাচে এসে হারলেন তিনি।
৮৪ দিন আগে
আতলেতিকোকে বিদায় করল বার্সেলোনা, কোপায় এল ক্লাসিকো ফাইনাল
সব প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ায় কেবল কোপা দেল রে-ই ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদের সামনে একমাত্র শিরোপা। ফলে ফাইনালে উঠতে যে দলটি চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না, তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন অনেকে। তবে চেষ্টা চালালেও ধারহীন ফিনিশিংয়ে সাফল্য পায়নি দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
বুধবার রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় কোপা দেল রের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লস রোহিব্লাঙ্কোসরা।
২৭তম মিনিটে ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেন ফেররান তোরেস। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে একবার জালে বল পাঠান আতলেতিকোর অলেকসান্দার সোরলথ, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি আর গোনায় ধরা হয়নি। ফলে ৫-৪ অগ্রগামিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
আরও পড়ুন: ৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ম্যাচজুড়ে এদিন বেশ কয়েকবার বার্সেলোনার ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করলেও একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি আতলেতিকো মাদ্রিদ। তাদের নেওয়া মোট ৬টি শটের পাঁচটি ছিল পোস্টের বাইরে, অন্যটি রক্ষণে কাটা পড়ে। অপরদিকে, বার্সেলোনার ১৪টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম লেগের ম্যাচে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২ গোল খেয়ে বসা বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল করে ম্যাচটি ৪-৪ গোলের সমতায় শেষ করে আতলেতিকো। ফলে ফিরতি এই লেগের ওপরই নির্ভর করছিল সেমিফাইনালের ভাগ্য। তাতে শেষ হাসি ফুটল কাতালান জায়ান্টদের মুখে।
এই জয়ে ২০২৫ সালে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল বার্সেলোনার। নতুন বছরে ২১টি ম্যাচ খেলে এখনও হারের মুখ দেখেনি দলটি। এর মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচ ড্র করেছে তারা, বাকি সবগুলোতে পেয়েছে জয়ের দেখা।
এছাড়া অবসর থেকে ফেরার পর বার্সেলোনার জার্সি গায়ে জড়িয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনি, যার ১৭ জিতেছেন এবং দুটি ম্যাচ ড্র হয়। এর মধ্যে ১০ ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রেখেছেন এই পোলিশ গোলরক্ষক।
৯৭ দিন আগে
৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
বারবার এগিয়ে গিয়েও পা হড়কাতে বসা রিয়াল মাদ্রিদ প্রত্যাবর্তনের আরও একটি গল্প লিখে যখন ফাইনালের পথ ধরেছে, তখন যোগ করা সময়ে ফের গোল করে আরও একবার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। তবে অতিরিক্ত সময় শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে এগোচ্ছে, তখন শেষ গোলটি করে রিয়ালকে ফাইনালে পৌঁছে দিলেন আন্টোনিও রুয়েডিগার।
অতি সংক্ষেপে কোপা দেল রের প্রথম সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের বর্ণনা মোটামুটি এমনই। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান হয়ে থাকল প্রথম লেগে রিয়ালের করা একমাত্র গোলটি। ওই গোলের সুবাদে অগ্রগামিতায় ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে সোসিয়েদাদকে চেপে ধরে অগ্রগামিতায় দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ষোড়শ মিনিটে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে ঘরের মাঠের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন আন্দের বারেনেচিয়া।
পাবলো মারিনের হেডারে বাড়ানো পাস ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে গিয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে আন্দ্রেই লুনিনকে পরাস্ত করেন এই স্প্যানিশ। ফলে রিয়ালের প্রথম লেগের অগ্রগামিতা ফিরতি লেগের শুরুতেই মিলিয়ে যায়।
তবে ৩০তম মিনিটে এন্দ্রিকের একক নৈপুণ্যে উল্লাসে মাতে বের্নাবেউ। ফলে আবারও লিড নেয় রিয়াল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে কোনোভাবেই আর এগিয়ে যাওয়া হয়ে উঠছিল না স্বাগতিকদের। অন্যদিকে, চাপে কোণঠাসা লা রিয়াল সমতায় ফেরার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিল। এর মাঝে আক্রমণে ধার বাড়াতে এন্দ্রিককে উঠিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নামান আনচেলত্তি। তবে ৭২তম মিনিটে উল্টো এক আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: আট গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আতলেতিকো মাদ্রিদের
প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে দূরের পোস্টের দিকে শট নেন মারিন। গোলমুখ থেকে তা ক্লিয়ার করতে গেলে ডাভিড আলাবার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে অগ্রগামিতায় ২-২-এ সমতায় ফিরে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পায় সোসিয়েদাদ।
দ্বিতীয়বার সমতায় ফেরার আট মিনিট পর গোল করে লা রিয়ালকে জয়ের বন্দর দেখান ওইয়ারসাবাল। এবারও দুর্ভাগা আলাবার পায়ে লেগে ঠিকানা খুঁজে নেয় ওইয়ারসাবালের শট।
ম্যাচের তখন আর মিনিট দশেক বাকি। এ সময় প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় ইমানোলের শিষ্যরা। তবে অবিশ্বাস্যভাবে চার মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচভাগ্য নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেয় মাদ্রিদ।
৮২তম মিনিটে বেলিংহ্যাম ও ৮৬তম মিনিটে অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি গোল করে চকিতে রিয়ালকে এগিয়ে নেন। অগ্রগামিতায় ফল তখন রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে, ৪-৩।
কিন্তু না! যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফের সোসিয়েদাদের ত্রাতা হয়ে ওঠেন ওইয়ারসাবাল। ফলে ৪-৩ গোলে সোসিয়েদাদ ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও ৪-৪ অগ্রগামিতায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে কেউ গোল না পাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারা অব্যাহত থাকে। শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে গড়াচ্ছে, তখনই গর্জন করে ওঠে বের্নাবেউ।
১১৫তম মিনিটে কর্নার থেকে আর্দা গুলেরের নেওয়া ক্রসে হেড দিয়ে রিয়ালকে কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক গোলটি এনে দেন রুয়েডিগার। এরপর আর সোসিয়েদাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর মাদ্রিদ জায়ান্টদের তাদের মাঠে এসে চার গোল দিয়েও হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরতে হয় সোসিয়েদাদকে।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বুধবার রাতে মাঠে নামবে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। প্রথম লেগে এই দুই দলের লড়াই শেষ হয় ৪-৪ ড্রয়ে। ফলে ফিরতি লেগে জয়ী দলই ফাইনালে রিয়ালের মুখোমুখি হবে।
৯৮ দিন আগে