সেমিফাইনাল
বিতর্কিত পেনাল্টির যে ব্যাখ্যা দিলেন ভিএআর বিশেষজ্ঞ
ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ইংল্যান্ডের টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব ছাপিয়ে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে ফুটবলবোদ্ধা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।
ঘটনাটি ঘটে সপ্তদশ মিনিটে। এসময় বক্সের মধ্যে বল পেয়ে জোরালো শটে গোল আদায় করতে চান ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। কিন্তু তিনি বলে শট নিতে গেলে তা বুট দিয়ে প্রতিহত করতে যান ডাচ ডিফেন্ডার ডেনসেল ডুমফ্রিস। তবে তার পা বলে ছোঁয়ার আগেই কেইনের শটটি নেওয়া হয়ে যায়, আর ডুমফ্রিসের শটে পায়ে দারুণ ব্যথা পেয়ে পড়ে গিয়ে কাতরাতে থাকেন কেইন।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
এ ঘটনায় শুরুতে রেফারি ফাউলই দেননি। তবে কিছুক্ষণ ম্যাচ চলার পর খেলার মধ্যে বাঁ হাত ঢোকায় ভিএআর। রেফারিকে সাইডলাইনের টিভি রিপ্লে দেখতে বলা হয়। টিভি রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
যদিও রিপ্লেতে সেটিকে ফাউল বলে মনে হচ্ছিল না, টিভি ধারাভাষ্যকারদেরও মতও ছিল তা-ই। আবার ওই মুহুর্তের আগমুহুর্তে বুকায়ো সাকার হাত ছুঁয়ে বল কেইনের কাছে যায়। ফলে পেনাল্টির আগেই সেটি হ্যান্ডবল ছিল।
তবে রেফারির সিদ্ধান্তই যেখানে চূড়ান্ত, সেখানে বিতর্ক হলেও রায় যায় ইংল্যান্ডের পক্ষে। আর স্পট কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান কেইন।
এরপর ম্যাচে আর গোল না হলেও নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তোলেন অলি ওয়াটকিন্স।
৪ মাস আগে
ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
পুরো আসরজুড়ে নিজেদের খুঁজতে থাকা ইংল্যান্ড অবশেষে জ্বলে উঠল। সমর্থকদের নিজেদের স্বভাবসুলভ ফুটবল উপহার দিয়ে জয়ও ছিনিয়ে নিল শেষ মুহূর্তে।
বুধবার রাতে ডর্টমুন্ডের জিগনাল ইডুনা পার্কে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচে প্রথমার্ধের ৭, ১৮ ও ৯০তম মিনিটের শেষ সেকেন্ডে তিনটি গোল দেখে দুই দলের সমর্থকরা, যার প্রথমটি ছিল নেদারল্যান্ডসের, পরের দুটি ইংল্যান্ডের।
এই ম্যাচে শুধুই জয় নয়, ফাইনালে দুর্দান্ত স্পেনের মোকাবিলা করার আগে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে সমর্থকদের মনে আশার সঞ্চার করেছে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ‘সুপার সাব’-এ শেষ মুহুর্তে ডাচদের হুদয় ভেঙে ফাইনালে ইংল্যান্ড
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে নেদারল্যান্ডস। এর ফল পেতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করা লাগেনি তাদের। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন পিএসজির ডাচ মিডফিল্ডার জাভি সিমোন্স।
সতীর্থের থ্রু বল পেয়েই বক্সের সামনে থেকে ডেকলান রাইসকে পরাস্ত করে জোরালো শট নেন ২১ বছর বয়সী সিমোন্স। বল গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে গন্তব্যে চলে যায়।
৪ মাস আগে
‘সুপার সাব’-এ শেষ মুহূর্তে ডাচদের হৃদয় ভেঙে ফাইনালে ইংল্যান্ড
১-১ গোলের সমতা নিয়ে অতিরিক্ত সময়ে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল দুই দলই। এরইমধ্যে ম্যাচের শেষ মিনিটের শেষ সময়ে ইংল্যান্ডের একটি অলস আক্রমণ চকিতে গতি পায়, আর তা থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন কিছুক্ষণ আগেই বদলি হিসেবে মাঠে নামা অলি ওয়াটকিন্স।
ফলে একেবারে শেষ মুহূর্তে নেদারল্যান্ডসের হৃদয় ভেঙে ফাইনালের টিকিট কেটেছে গতবারের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড।
বুধবার রাতে ডর্টমুন্ডের জিগনাল ইডুনা পার্কে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: দলীয় ঐক্য ও তারুণ্যের চমকে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে স্পেন
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন পিএসজির ডাচ মিডফিল্ডার জাভি সিমোন্স।
সতীর্থের থ্রু বল পেয়েই বক্সের সামনে থেকে ডেকলান রাইসকে পরাস্ত করে জোরালো শট নেন ২১ বছর বয়সী সিমোন্স। বল গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে গন্তব্যে চলে যায়।
৪ মাস আগে
কানাডার স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে গেল কানাডা। পার্থক্য হয়ে থাকলেন সেই লিওনেল মেসি। ফলে প্রথমবার কোপা আমেরিকা খেলতে এসেই সেমিফাইনালে ওঠার পর থামল কানাডার স্বপ্নযাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে সর্বশেষ আট আসরের ৬টিতেই ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এদিন দলের হয়ে গোলের খাতা খোলেন হুলিয়ান আলভারেস। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো রদ্রিগো দে পলের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান আলভারেস। এরপর প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এটি চলতি কোপার আসরে দ্বিতীয় এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি আসরে তার নবম গোল।
আরও পড়ুন: হেরে ব্রাজিল কোচ বললেন, আরও সময় প্রয়োজন
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। ৫১তম মিনিটে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সামনে থাকা এসনো ফের্নান্দেসকে তা দিয়ে ফেলেন কানাডার একজন ডিফেন্ডার। তিনি জোরালো শট নিলে গোলমুখে থাকা মেসির আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে যায়।
এই গোলের মাধ্যমে কোপার চলতি আসরে গোলখরা ঘোচালেন মেসি। এটি আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ১০৯তম গোল। শুধু তাই নয়, এই গোলের মাধ্যমে কোপা আমেরিকার ছয় আসরে গোল করলেন তিনি।
তবে এদিন গোল খেলেও কোনোভাবে দমিয়ে যায়নি কানাডা। গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে জেসি মার্শের শিষ্যরা। কিন্তু কোনোভাবে আর্জেন্টিনার ডেডলক ভাঙতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচজয়ীদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
৪ মাস আগে
স্পেন-জার্মানি সেমিফাইনাল: ম্যাচজুড়ে যা হলো
শুরুতে এগিয়ে গিয়েও চার মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যাওয়া ফ্রান্স ম্যাচের বাকিটা সময়জুড়ে নিজেদের খুঁজে ফিরল। তবে দলীয় ঐক্য ও সঠিক সময়ে কোচের সঠিক সিদ্ধান্তে বারবার ম্যাচের রাশ টেনে ধরে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্পেন।
মঙ্গলবার রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের স্পেন।
এদিন ফ্রান্সের নেওয়া ১৫টি শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে, অপরদিকে স্পেনের ১০টি শটের লক্ষ্যে থাকা দুটি শট থেকেই আসে গোল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধজুড়ে ফ্রান্স একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করলেও ম্যাচে বল দখলে সার্বিকভাবে এগিয়ে ছিল স্পেনই (৫৮ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: দলীয় ঐক্য ও তারুণ্যের চমকে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে স্পেন
দলের তিন নিয়মিত সদস্যের অনুপস্থিতিতে দানি কার্ভাহালের পরিবর্তে ইউরোর সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে হেসুস নাভাসকে (৩৮) রাইট উইং ব্যাক হিসেবে মাঠে নামান লুইস দে লা ফুয়েন্তে। এছাড়া রবিন লে নরমান্দের পরিবর্তে রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক নাচো এবং পেদ্রির বদলি হিসেবে শুরুর একাদশে খেলতে নামেন দানি অলমো।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে স্পেন। বক্সের মধ্যে ডান পাশে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ধরে দূরের পোস্টের দিকে অসাধারণ এক ক্রস বাড়ান লামিন ইয়ামাল। তবে ঠিকঠাক জায়গায় থেকেও উড়ন্ত হেডারে নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বঞ্চিত করেন ফাবিয়ান রুইস।
তবে এরপরই ম্যাচে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। অষ্টম মিনিটে স্পেনর আক্রমণের কার্বন কপি থেকে গোল আদায় করেন রাঁদাল কোলো মুয়ানি।
ডান পাশে প্রতিপক্ষের বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দূরের পোস্টে ক্রস দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তা থেকে হেডারে বল জালে জড়ান পিএসজি ফরোয়ার্ড কোলো মুয়ানি।
এটিই চলতি ইউরো আসরে ওপেন প্লে থেকে ফ্রান্সের প্রথম গোল। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮৭টি প্রচেষ্টার পর অবশেষে গোল পায় ফ্রান্স।
৪ মাস আগে
দলীয় ঐক্য ও তারুণ্যের চমকে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে স্পেন
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে নিষ্প্রভ থাকার পর সেমিফাইনালে অবশেষে জ্বলে উঠল ফ্রান্স। শুরুতেই গোল করে সমালোচকদের দাঁতও ভেঙে দিল। তবে স্পেনের ভ্রাতৃপ্রতিম ফুটবলের সামনে আক্রমণের পর আক্রমণ করে আর একবারের জন্যেও রক্ষণের লাল তালা ভাঙতে পারলেন না এমবাপ্পে-দেম্বেলেরা।
অপরদিকে, আসরজুড়ে দলীয় পারফরম্যান্স, ক্ষিপ্র গতি আর প্রতিভার জোরে দুর্দান্ত ফ্রান্তের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়ে গেল স্পেন। মাঝে চার মিনিটে দুই গোল করে ব্যবধান গড়ে দিলেন দুই স্প্যানিশ তরুণ। একজন ১৬ বছরের স্কুলপড়ুয়া লামিন ইয়ামাল, অপরজন ২৬ বছর বয়সী লাইপসিগের প্রতিভাবান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দানি অলমো।
ফলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিফাইনালে এসে অবশেষে নিজেদের মেলে ধরলেও স্পেনের ‘ব্যান্ড অব ব্রাদার্সের’ কাছে হার স্বীকার করে নিয়ে বাড়ির পথ ধরতে হয়েছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের।
আরও পড়ুন: সুন্দর ফুটবলের মধ্যে দিয়েই জিততে চায় স্পেন: দে লা ফুয়েন্তে
মঙ্গলবার রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের স্পেন।
এদিন ম্যাচের নবম মিনিটেই কিলিয়ান এমবাপ্পের বাড়ানো দারুণ এক ক্রসে হেড দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ফ্রান্সের রাঁদাল কোলো মুয়ানি।
৪ মাস আগে
টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
বৃষ্টির কারণে ভেজা মাঠ শুকাতে বেশ কিছুটা সময় লাগলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও ভারত। এদিন টসভাগ্য গেছে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের দিকে।
গায়নার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাটলার।
বৃষ্টির আগে পিচ রিপোর্টে হার্শা ভোগলে ও মাইকেল আথারটন বলেছিলেন, এই পিচে বল বেশি ওপর উঠবে না। ফলে স্পিনাররা সুবিধা পাবেন।
শুরুতে ব্যাট করে এই মাঠে সংগ্রহের গড় ১৬৭ রান।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টির হানা, পণ্ড হলেই ফাইনালে ভারত
শুরুতে বোলিং করার ইচ্ছাই ছিল জানিয়ে বাটলার বলেন, ‘ভালো সারফেস মনে হচ্ছে। বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পর বল একটু কমই উঠবে। তাই আগে বোলিং করলে সুবিধা পাওয়া যাবে বলেই মনে হচ্ছে। গত ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিতই থাকছে।’
রোহিত বলেন, ‘টস জিতলেও আগে ব্যাটিং করতাম। আমরা শুরুতেই (স্কোর) বোর্ডে রান রাখতে চাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিচ স্লো হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। এই মুহূর্তে কী করা দরকার, সেটিই আমাদের কাছে মুখ্য। আমরাও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামছি।’
পরিসংখ্যান বলছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একটি ম্যাচে আগে ব্যাট করে হারে ইংল্যান্ড। তবে তিন ম্যাচে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তিনটিতেই সফল তারা।
অন্যদিকে, ২০২১ সালের পর থেকে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপে মোট পাঁচবার হেরেছে ভারত। ওই পাঁচটি ম্যাচের সবগুলোতেই শুরুতে ব্যাটিং করেছিল তারা।
ইংল্যান্ড একাদশ: ফিলিপ সল্ট, জস বাটলার (অধিনায়ক), জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, মইন আলী, লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ ও রিস টপলি।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, আর্শদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
আরও পড়ুন:আফগানদের বিধ্বস্ত করে ‘চোকার’ তকমা ঘোচাল দক্ষিণ আফ্রিকা
রেকর্ড বইয়ে ১৩ পরিবর্তন আনল প্রোটিয়া-আফগান ম্যাচটি
৪ মাস আগে
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টির হানা, পণ্ড হলেই ফাইনালে ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামার অপেক্ষা করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ভারত। বৃষ্টির কারণে টস হতে দেরি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি হলেও ম্যাচটি নিয়ে নির্ভার থাকবে ভারতীয় শিবির। কারণ ম্যাচটি পণ্ড হয়ে গেলে ফাইনালে উঠে যাবে রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।
চলমান বিশ্বকাপ আসরের জন্য আইসিসির খেলার শর্তে প্রথম সেমিফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে থাকলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য তা নেই। আবার সেমিফাইনালে উঠলে ভারতের আবদার মেটাতে তাদের দ্বিতীয় সেমিফাইনালেই রাখতে হয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।
এ দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক চলছে।
ভারতের স্থানীয় সময়সূচিকে প্রাধান্য দিয়ে দলটিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাখে আইসিসি। কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ভারতের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টায়। এ সময়ে দেশটির বিপুলসংখ্যক ক্রিকেটভক্তের জন্য খেলা দেখা বেশ কঠিন। তাই রাত ৮টায় শুরু হওয়া দ্বিতীয় সেমিতেই দলটিকে রাখা হয়েছে।
আইসিসিতে ভারতের প্রভাব এবং ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে আইসিসির আয়- সবকিছু মিলিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: আফগানদের বিধ্বস্ত করে ‘চোকার’ তকমা ঘোচাল দক্ষিণ আফ্রিকা
দ্বিতীয় কারণটি নিয়েও সমালোচনা কম হচ্ছে না। প্রথম সেমিফাইনালে রিজার্ভ ডে থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কেন সেই সুবিধা রাখা হলো না, তা নিয়ে আইসিসিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকে।
তবে এ বিষয়ে আইসিসির সাফাই, ফাইনাল ম্যাচের আগে পর্যাপ্ত সময় না থাকার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে তারা। সময় না থাকার পেছনে ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচিকে দায়ী করেছে সংস্থাটি।
২৯ জুন বার্বাডোজের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল হওয়ার কথা। অর্থাৎ দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পর মধ্যে মাত্র একটি দিন সময় রাখা হয়েছে। তাই রিজার্ভ ডে রাখার সুযোগ নেই বলে আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য অন্যভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বৃষ্টি বাগড়া দিলেও এই ম্যাচের জন্য ২৫০ মিনিট বাড়তি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সময় নষ্ট হলেও তার জন্য ওভার কমানো হবে না, সম্পূর্ণ ম্যাচ খেলানো হবে।
এরপরও যদি খেলা শুরু করা না যায়, তবেই ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমানোর সিদ্ধান্তে যাবে আইসিসি। তবে এক্ষেত্রে দুদলকেই কমপক্ষে ১০ ওভার করে খেলানো হবে, গ্রুপ পর্বে যা ছিল মাত্র ৫ ওভার। এরপরও খেলা সম্ভব না হলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেই কপাল পুড়বে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। কারণ, সুপার এইট পর্বে ইংল্যান্ডের চেয়ে (৪) ভারতের পয়েন্টই (৬) বেশি ছিল। আর টুর্নামেন্টের নিয়ম এটা।
আরও পড়ুন: রেকর্ড বইয়ে ১৩ পরিবর্তন আনল প্রোটিয়া-আফগান ম্যাচটি
৪ মাস আগে
রেকর্ড বইয়ে ১৩ পরিবর্তন আনল প্রোটিয়া-আফগান ম্যাচটি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় চরম বিপর্যস্ত হয়েছে আফগানিস্তান। প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৫৬ রানেই আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে আফগান ব্যাটারদের।
এমন এক ইনিংসে বেশকিছু রেকর্ড হয়েছে, আবার কিছু রেকর্ড ভেঙে গড়া হয়েছে, যার বেশিরভাগ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য গৌরবের হলেও আফগানিস্তানের জন্য লজ্জার।
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৮ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে কোনো দলের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম রেকর্ডটিও তাদের। ২০১০ বিশ্বকাপে মাত্র ১৪ রান সংগ্রহ করতে গিয়ে ছয় উইকেট হারায় তারা।
পাওয়ার প্লেতে পাঁচ
বৃহস্পতিবারের প্রথম সেমিফাইনালে পাওয়ার প্লেতে পাঁচ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এটি চলতি বিশ্বকাপে পঞ্চমবার ৫ উইকেট হারানোর ঘটনা।
মজার বিষয় হচ্ছে, এর আগের চারটি ইনিংসের দুটি ছিল এই আফগানদের বিপক্ষে অন্য দলের। তবে এবার আফগানিস্তানই এই লজ্জার রেকর্ডে নাম ওঠাল।
গ্রুপপর্বে উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারে ৫টি করে উইকেট নেন রশিদ-নবীরা।
এছাড়া গ্রুপপর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজও উগান্ডার পাঁচ উইকেট নেয়। আরেকটি ইনিংস আয়ারল্যান্ডের, পাকিস্তানের বিপক্ষে নাকানি-চুবানি খেয়েছিলেন পল স্টার্লিংরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বনিম্ন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে আফগানিস্তান। এর মাধ্যমে চলতি বিশ্বকাপের শুরুতে গড়া রেকর্ডটি (৭৭) পেছনে ফেলে লঙ্কানদের স্বস্তি দিয়েছে তারা।
এর আগের রেকর্ডটিও ছিল আফগানদের (৮০)। ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৮০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। সেবারও ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের গড়া রেকর্ড (৮১) ভেঙে দেয় তারা।
নিজেদের সর্বনিম্ন
এদিন টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান সংগ্রহ করেছে রশিদ খানের দল। এর আগে ২০১৪ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭২ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
এছাড়া এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ২০১০ সালে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে ৮০ রানে ইনিংস শেষ করার রেকর্ড আছে আফগানদের।
বিশ্বকাপে দ্বিতীয়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে পূর্ণ একাদশ নিয়ে খেলে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। তবে ৫৫ রান নিয়ে তালিকার তলানিতে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। দুবাইয়ে ২০২১ আসরে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এই লজ্জার রেকর্ড গড়ে ইংলিশরা।
এছাড়া ২০১৪ আসরে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড (৬০) এবং ২০১৬ আসরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের (৭০) নামও রয়েছে এই তালিকায়।
সেমিতে সর্বনিম্ন আফগানিস্তান
৫৬ রানে অলআউট হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ইতিহাসে প্রথম এত কম রানে গুটিয়ে গেল কোনো দল।
এর আগে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই ১০১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১৩১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে অস্ট্রেলিয়ার।
ফারুকির অর্জন
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তানের সাফল্যের নেপথ্যে ছিল ফজলহক ফারুকির অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য।
৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনিই। শুধু তাই নয়, এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ড।
এ তালিকার পরের তিনটি রেকর্ডই শ্রীলঙ্কার, একটি ভারতের। ২০২১ বিশ্বকাপে ১৬ উইকেট নেওয়ার পরের আসরে (২০২২) ১৫ উইকেট নিয়ে পরপর দুই আসরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা।
এছাড়া ১৫টি উইকেট আছে ২০১৫ বিশ্বকাপে ত্রাস ছড়ানো অজন্তা মেন্ডিসের নামের পাশেও।
তবে চলতি আসরে ভারতের আর্শদীপ সিংয়ের ঝুলিতেও ১৫টি উইকেট রয়েছে। আজ রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। এই ম্যাচেও তাকে দেখা যেতে পারে। আবার ম্যাচটি জিতলে ফাইনালেও খেলার সুযোগ থাকবে এই তরুণ পেসারের। ফলে ফারুকির রেকর্ডটি নিজের করে নেওয়ার সুযোগ থাকছে তার সামনে।
৪ মাস আগে
আফগানদের বিধ্বস্ত করে ‘চোকার’ তকমা ঘোচাল দক্ষিণ আফ্রিকা
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারতে হারতে ‘চোকার’ তকমা পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সব মিলিয়ে সাতবার বিশ্বকাপের সেরা চারে উঠেও ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি দলটির। সবশেষ গত নভেম্বরে ভারত বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালে তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। অবশেষে তাদের সেই দুর্দশা ঘুচল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানদের ৯ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোনো সংস্করণে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে আইডেন মার্করামের দল।
টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৮.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইনিংস শুরু করতে নেমে দলীয় পাঁচ রানের মাথায় কুইন্টন ডি ককের (৫) উইকেটটি হারালেও রিজা হেন্ড্রিকস (২৯) ও মার্করামের (২৩) ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা।
অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরা হয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৫৬/১০ (১১.৫)- (আজমতউল্লাহ ১০, গুলবাদিন ৯; শামসি ৩/৬, ইয়ানসেন ৩/১৬, নর্টিকিয়া ২/৭, রাবাদা ২/১৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৬০/১ (৮.৫)- (হেন্ড্রিকস ২৯, মার্করাম ২৩; ফারুকি ১/১১)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মার্কো ইয়ানসেন।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না আফগানিস্তান
৪ মাস আগে