এসসিআরএফ
ড্রেজিংয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ১০টি নৌপথ পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ
নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে (পলি অপসারণ) অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সংগঠনটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নদী খনন ও পলি অপসারণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে।
লঞ্চমালিক নেতাদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফ আরও জানায়, ৩১টি নৌপথ সচল থাকলেও সেসব পথের বিভিন্ন স্থানে নাব্য সংকট রয়েছে। ফলে লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে সচল নৌপথগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা কমছে।
আরও পড়ুন: বিআইডব্লিউটিএ’র খননকৃত ১২টি নৌপথের অর্ধেক পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ
নৌযাত্রী, নৌশ্রমিক ও অধিকার কর্মীদের বরাতে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী খনন ও পলি অপসারণে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। এ কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১৫ বছরেও নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মধ্যে ৪১টি স্বীকৃত নৌপথ থাকলেও ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মাত্র ৩১টি রুটে বাণিজ্যিক লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল করছে। তীব্র নাব্য সংকটের কারণে বাকি নৌপথগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা এক বছরে ৩৪ শতাংশ কমেছে: এসসিআরএফ
৮ মাস আগে
বিআইডব্লিউটিএ’র খননকৃত ১২টি নৌপথের অর্ধেক পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নখাতের এক প্রকল্পের অধীনে খনন করা ১২টি নৌপথের অর্ধেকই ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় নাব্যতার অভাবে ওইসব নৌপথ যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করতে পারছে না।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়।
৫০৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগ।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাত্রী ও পণ্যবাহী জলযানসমূহের নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১৬ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ১২টি নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকাল ছিল অক্টোবর ২০১১ থেকে জুন ২০১৫।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকালে প্রয়োজনীয় খনন করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে নিয়মিত পলি অপসারণের মাধ্যমে নাব্যতা বজায় রাখা হয়নি। ফলে অর্ধৈক নৌপথ পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে।
এসসিআরএফ জানায়, জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত দুই বছর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এছাড়া নৌ পরিবহন বিশেষজ্ঞ, নৌযান মালিক ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে।
তবে বিআইডব্লিউটিএ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য দেয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এসসিআরএফ জানায়, প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হলেও সংস্থাটির র ড্রেজিং বিভাগ দীর্ঘ দুই মাসেও চিঠির জবাব দেয়নি।
‘১২ নৌপথ খনন’ প্রকল্পের আওতায় থাকা নৌপথগুলো হলো- ঢাকা-তালতলা-ডহুরী-জাজিরা-মাদারীপুর, লাহারহাট-ভেদুরিয়া, সাহেবেরহাট-টুঙ্গীবাড়ী-লাহারহাট, সদরঘাট-বিরুলিয়া, পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী, ডেমরা-ঘোড়াশাল-পলাশ, ঢাকা-রামচর-মাদারীপুর, ঢাকা-শরীয়তপুর, চাঁদপুর-নন্দীর বাজার-শিকারপুর-হুলারহাট, হুলারহাট-চরচাপিল-গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি এবং ঢাকা-সুরেশ্বর-আঙ্গারিয়া-মাদারীপুর।
তবে এগুলোর মধ্যে সদরঘাট-বিরুলিয়া, ডেমরা-ঘোড়াশাল-পলাশ, হুলারহাট-চরচাপিল-গোপালগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি নৌপথ কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া, নাব্যতা সংকটের কারণে আরো কয়েকটি নৌপথের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতির কারণে সঠিকভাবে নদী খনন ও নৌপথ সংরক্ষণ হচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
১ বছর আগে
ঢাকার লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা এক বছরে ৩৪ শতাংশ কমেছে: এসসিআরএফ
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঢাকা থেকে লঞ্চে করে বরিশালসহ উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করত।
এক বছরের মধ্যে, এই সংখ্যা ৩৩ হাজার থেকে কমে ১২ হাজারে পৌঁছেছে।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সংগঠনটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে।
এ ছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৮০টি লঞ্চ ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যেত। এই সংখ্যা কমে ২০ এ পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরে লঞ্চ চলাচল ২৫ শতাংশ কমেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জরিপ ও মনিটরিং করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
জরিপকালে নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ, নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতাদের পাশাপাশি লঞ্চের কর্মী, যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এসসিআরএফ রিপোর্ট অনুসারে, অভ্যন্তরীণ শিপিং ব্যবসায় মন্দার কারণে মালিকরা এক বছরে কমপক্ষে ২০টি লঞ্চ বন্ধ করেছে। এর বাইরে আরও অন্তত ছয়টি লঞ্চ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ আধুনিক ও আরামদায়ক হয়েছে। মানুষ স্বল্প সময়ে সড়কপথে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে পারছে।
আরও পড়ুন: ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা
এ কারণে ঢাকা ও বৃহত্তর বরিশালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং লঞ্চ যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে।
এতে বলা হয়, যথাযথভাবে নদী খনন ও পলি অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে নাব্যতা সংকটের কারণে অনেক নৌপথ পরিত্যক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া লঞ্চের যাত্রীদের অনীহার কারণে কমছে যাত্রী সংখ্যা
এসসিআরএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে নৌপথে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশই বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিগামী লঞ্চের যাত্রী।
যদিও লঞ্চ মালিকদের দাবি, যাত্রী কমে যাওয়ায় তাদের ব্যবসা খুবই সংকটে পড়েছে। তবে তারা এই দাবির জন্য গ্রহণযোগ্য তথ্য দিতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বরং সরকারি তথ্য অনুযায়ী লঞ্চ ব্যবসা এখনও লাভজনক। তবে আগের তুলনায় মুনাফার হার কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মালিকদের দাবি, প্রতিদিন ৩০-৩৫টি লঞ্চে মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী ঢাকা ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে, সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন অন্তত ৬০টি লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে যায় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ‘র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে এসসিআরএফ জানিয়েছে, এই বছরের ১৯ আগস্ট মোট ৬২টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল এবং পার্শ্ববর্তী ঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁদপুর অঞ্চলে ২২টি, বরিশাল অঞ্চলে ১০টি, ভোলা অঞ্চলে ১৪টি, পটুয়াখালী অঞ্চলে ৬টি এবং অন্যান্য অঞ্চলে ১০টি লঞ্চ ছিল।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
বরিশালের ৪০ লঞ্চঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
১ বছর আগে
৬ মাসে রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৩১: এসসিআরএফ
চলতি বছরের (২০২৩ সালের) প্রথম ৬ মাসে ১৩৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১১০ জন।
শনিবার (৫ আগস্ট) শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মধ্যে জানুয়ারিতে সবচেয়ে কম ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারিতে সর্বাধিক ৪৪টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন ৩৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন।
এসসিআরএফ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া এপ্রিলে ১৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০ জন এবং আহত হয়েছেন আর ৬৯ জন।
এদিকে মে মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪টি। এতে ২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ১১৩: জিসিবি ও জাতীয় কমিটির যৌথ প্রতিবেদন
অপরদিকে, জুন মাসে ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হয়েছেনে ১৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৩।
এসসিআরএফ জানায়, রেলপথ দুর্ঘটনার উপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং ১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা ও ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে রেল পরিবহন ব্যবস্থা ও দুর্ঘটনার উপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দুর্ঘটনার ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ।
আরও পড়ুন: রেল কর্মীদের অবরোধ: ৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
দুর্ঘটনার ৯টি কারণ হলো-
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, সিগনালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি, ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিং, ইঞ্জিনের সক্ষমতার অতিরিক্ত বগি সংযোজন, রেললাইনে পাথরের স্বল্পতা, ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু, আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, জনবল সংকট এবং নড়বড়ে ট্র্যাক তথা রেললাইনে নিম্নমানের স্লিপার ও ফিশপ্লেটসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়-
সরকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। উন্নয়ন বাজেটেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
রেলপথ বাড়লেও দীর্ঘদিনের পুরোনো লাইনগুলো ঠিকমতো সংস্কার না করায় দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ২০৯: এসসিআরএফ
১ বছর আগে
সড়ক দুর্ঘটনার ১৬ প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ
সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে প্রায় ১৬টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনস রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ)।
শনিবার (২২ জুলাই) ঝালকাঠিতে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। আর এর ঘটনার পর সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২৩ জুলাই) এসসিআরএফ তাদের পর্যবেক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে সারাদেশে ২ হাজার ৭৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৮৯৮ জন মারা গেছে এবং ৪ হাজার ৭২০ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে ১ হাজার ৭৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এসসিআরএফের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের নীতিনির্ধারণী সংস্থাগুলো আন্তরিক। তবে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর জবাবদিহিরও অভাব রয়েছে।
পরিবহন খাতে মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রভাব, জনপ্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ এবং চালক, শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাবও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনায় ৬ মাসে নিহত ৫৭: এসসিআরএফ
এসসিআরএফের চিহ্নিত সড়ক দুর্ঘটনার ১৬টি প্রধান কারণ হলো- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; অদক্ষ, অসচেতন ও অসুস্থ চালক; বিপজ্জনক গতিতে গাড়ি চালানো; প্রচলিত আইন ও নিয়ম না মেনে ওভারটেকিং;
কোনো নির্দিষ্ট সাপ্তাহিক ছুটি এবং কাজের সময় নির্দিষ্ট না থাকায় ড্রাইভার ও হেলপার ক্লান্ত থাকা; জরাজীর্ণ রাস্তা; জাতীয় মহাসড়ক এবং আন্তঃজেলা সড়কে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মোড়; দূরপাল্লার রাস্তায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল; হাইওয়েতে ধীর গতিতে চলা তিন চাকার গাড়ি; অদক্ষ নাবালক ও তরুণদের মোটরসাইকেল চালানো দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
এ ছাড়া বিআরটিএর সক্ষমতার অভাব এবং সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম ও দুর্নীতি; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং হাইওয়ে পুলিশ ও অন্যান্য সম্পদের অভাব; সাধারণ জনগণের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব; চালক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; বিদ্যমান আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শিথিলতা; এবং টার্মিনাল ও মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজিও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
জলাভূমি, গাছ এবং নদী রক্ষা করুন: এসসিআরএফ
১ বছর আগে
নৌ দুর্ঘটনায় ৬ মাসে নিহত ৫৭: এসসিআরএফ
অভ্যন্তরীণ নৌপথে দুই ঈদযাত্রাসহ দেশে গত ছয় মাসে ৫৪ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৫০ জন আহত এবং নিখোঁজ হয়েছেন ৩৪ জন। তবে এ সময়ে বড় ধরনের কোনো লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এ ছাড়া হতাহতের তালিকায় কোনো নারী ও শিশু নেই।
বুধবার (১৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এসসিআরএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌ দুর্ঘটনার উপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে এবং ১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, নয়টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা ও ছয়টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নৌ দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহ পর নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত খুঁজে পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের অধিকাংশেরই সলিল সমাধি ঘটেছে। এ হিসেবে ছয় মাসে নিহতের সংখ্যা হবে ৯১।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে দুর্ঘটনার কবলে কন্টেইনারবাহী জাহাজ
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে পাঁচটি নৌ দুর্ঘটনায় আটজন নিহত, পাঁচজন আহত ও ছয়জন নিখোঁজ হয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে ১৩টি নৌ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত, ২৪ জন আহত ও ১৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
মার্চে সাতটি নৌ দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে নয় ও পাঁচ। এ মাসে নৌ দুর্ঘটনায় কেউ নিখোঁজ হননি।
এপ্রিলে নয়টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত ও নিখোঁজের সংখ্যা যথাক্রমে ছয় ও তিন।
মে মাসে সাতটি দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত, তিনজন আহত ও তিনজন নিখোঁজ হয়েছে।
জুন মাসে নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩টি। এতে নিহত, আহত ও নিখোঁজ হয়েছে যথাক্রমে ১০, সাত ও আটজন।
দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান:
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনা কবলিত নৌযানগুলোর মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট, তেলবাহী, বাল্কহেড (বালিবাহী নৌযান), পণ্যবাহী ও লাইটার জাহাজ। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ট্রলার ও বালুবাহী নৌযানের অনুমোদিত নকশা, বার্ষিক ফিটনেস সনদ (সার্ভে) ও নিবন্ধন নেই।
এসসিআরএফের পর্যবেক্ষণে দুর্ঘটনার ১৩টি কারণ চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সারা দেশে বিপুলসংখ্যক অবৈধ নৌযান চলাচল, অদক্ষ ও সনদবিহীন চালক, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, নৌ মন্ত্রণালয়ের আদেশ লঙ্ঘন করে রাতে বালিবাহী নৌযান চলাচল।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও নৌ পুলিশের তদারকির অভাব, ভ্রাম্যমান আদালতের স্বল্পতা এবং নৌপথে নাব্যসংকট, বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, সব দুর্ঘটনার যথাযথ তদন্ত না হওয়াও কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন না করা, আইন ভঙ্গকারী ও দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের যথাযথ শাস্তি না দেওয়া ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।
আরও পড়ুন: সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় পরের ৩ মাসে (এপ্রিল-জুন) সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে নারী মৃত্যুর হার কমেছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
অন্যদিকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৫ দশমিক ১২ শতাংশ বাড়লেও মৃত্যুর হার কমেছে ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সব মিলিয়ে গত ৩ মাসে নিহত ও আহতের হার বছরের শুরুর ৩ মাসের তুলনায় যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭১ ও ২০ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে।
জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে হওয়া সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা শেষে এসসিআরএফ এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: জলাভূমি, গাছ এবং নদী রক্ষা করুন: এসসিআরএফ
সংস্থাটি বলেছে, ১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও নিউজ এজেন্সি এবং ৬টি আঞ্চলিক দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ মাসে সারাদেশে ২ হাজার ৭৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৮৯৮ জন নিহত এবং ৪ হাজার ৭২০ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে প্রথম ৩ মাসে ১ হাজার ৩০২টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৮৪ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪৮৫ জন আহত হয়েছেন। পরবর্তী ৩ মাসে ১ হাজার ৪৭৯টি দুর্ঘটনায় যথাক্রমে ১ হাজার ৪১৪ জন নিহত এবং ২ হাজার ২৩৫ জন আহত হয়েছেন।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৩ মাসে নিহত ও আহতের হার শুরুর ৩ মাসের তুলনায় যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭১ ও ২০ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে।
৬ মাসে ৪০৪ জন নারী ও ৪৫৫টি শিশুর প্রাণ ঝরেছে। এক্ষেত্রে, নারী ও শিশুর মৃত্যুর হার যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৯৪ ও ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম ৩ মাসে ২১১ জন নারী এবং পরের ৩ মাসে ১৯৩ জন নারী সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে নারী মৃত্যুর হার কমেছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
একই সময়ে প্রথম ৩ মাসে ২১০টি শিশু এবং পরের ৩ মাসে ২৪৫টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ফলে, শিশুমৃত্যু হার বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এসসিআরএফ
অন্যদিকে, ৬ মাসে ১ হাজার ৭৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৮৮ জন নিহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির যথাক্রমে ৩৮ দশমিক ৭৯ ও ৩৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম ৩ মাসে ৫২৭টি দুর্ঘটনায় ৫৭৯ জন এবং পরের ৩ মাসে ৫৫২টি দুর্ঘটনায় ৫০৯ জন নিহত হয়েছেন।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রথম ৩ মাসের তুলনায় গত ৩ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৫ দশমিক ১২ শতাংশ বাড়লেও মৃত্যুর হার কমেছে ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ।
এসসিআরএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৭ জন পথচারী মারা গেছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩৭০ জন এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৩০৭ জন নিহত হয়েছেন। এতে, ৩ মাসের ব্যবধানে পথচারীদের মৃত্যুর হার কমেছে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ।
পর্যালোচনায় সড়ক দুর্ঘটনার ১৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ। সেগুলো হলো- ফিটনেসবিহীন যানবাহন; অদক্ষ ও শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত চালক; বেপরোয়া গাড়ি চালানো; প্রচলিত আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘন করে ওভারটেকিং; নিয়োগপত্র না থাকা এবং নির্ধারিত সাপ্তাহিক ছুটি ও কর্মঘণ্টা না থাকায় চালক ও সহকারীদের মানসিক অবসাদ; বিভিন্ন স্থানে জরাজীর্ণ সড়ক; জাতীয় মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট; দূরপাল্লার সড়কে ভাড়ায় বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেলের চলাচল; মহাসড়কে ধীর গতির ৩ চাকার গাড়ি; যুবক ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানো; বিআরটিএ'র সক্ষমতা না থাকা এবং সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম ও দুর্নীতি; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব; চালক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; বিদ্যমান আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শিথিলতা এবং টার্মিনাল ও মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি।
আরও পড়ুন: ঈদে সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে ৯০ লাখ মানুষ: এসসিআরএফ
১ বছর আগে
ঈদে সড়কপথে ঢাকা ছাড়বে ৯০ লাখ মানুষ: এসসিআরএফ
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীসহ এর আশপাশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনের কাছে ফিরবে। এসব মানুষ ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে।
এর মধ্যে সড়কপথে যাবে ৬০ শতাংশ। এই হিসেবে সড়কপথের যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে।
বুধবার (১৪ জুন) ঢাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) প্রকাশিত ঈদ-পূর্ব প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকার ৬০ শতাংশ মানুষ সড়কপথে বাড়ি যাবে: এসসিআরএফ
অবশ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরে ঈদে বাড়ি ফেরা বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ না থাকায় প্রতিবেদনটি শতভাগ তথ্যনির্ভর নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি আশীষ কুমার দে।
এসসিআরএফ জানায়, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সড়কপথে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রার জন্য সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
সর্বশেষ জনশুমারির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনসংখ্যা যথাক্রমে ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ ও ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫।
দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস শিল্প গাজীপুর অঞ্চলে হওয়ায় গাজীপুর মহানগরের জনসংখ্যা এখন প্রায় ৭০ লাখ। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বাস করে ২৫ লাখ মানুষ।
এসব শহরের বাইরে তিন জেলায় আরো প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস করে। এছাড়া নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা যথাক্রমে ২৬ ও ২০ লাখ।
এসসিআরএফ জানায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জনবহুল বড় শহরসহ শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ বর্তমান আবাসস্থল ছেড়ে যায়।
গবেষক, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং পরিবহন বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের তথ্যমতে, সব মিলিয়ে ঢাকা অঞ্চল ছেড়ে যায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
সাধারণত এক সপ্তাহ আগে ঈদযাত্রা শুরু হয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র সাতদিনে বিপুলসংখ্যক মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার সক্ষমতা সড়ক পরিবহন খাতে নেই।
সরকার সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থবরাদ্দ দিলেও দূরপাল্লার অনেক সড়কের কিছু স্থানের অবস্থা এখনো বেহাল রয়েছে। সারা দেশে আট শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কগুলোতে প্রাণি বহনকারী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানসহ হাজার হাজার মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে। এছাড়া জাতীয় মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের অনেক স্থানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হয়।
সব মিলিয়ে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ যানজট, বাসের সময়সূচি বিপর্যয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
তবে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
এতে ঈদ যাতায়াতে জনদুর্ভোগ অনেক কমবে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ মাসে ৫৭৯ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
রেল দুর্ঘটনায় ২০১৯ সালে ৪২১ জনের প্রাণহানি: এসসিআরএফ
১ বছর আগে
ঈদের ছুটিতে ঢাকার ৬০ শতাংশ মানুষ সড়কপথে বাড়ি যাবে: এসসিআরএফ
ঈদুল ফিতরের সময় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকারে বাইরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ যাবে সড়ক পথে। বাকি ৪০ শতাংশ চলে যাবে নৌ ও রেলপথে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ।
তবে সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরে সম্পূর্ণ ডাটাবেজ না থাকায় প্রতিবেদনটি শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল ঈদের আগের ৯ দিনে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা সড়ক পরিবহন খাতের নেই।
এসসিআরএফ পর্যবেক্ষণ অনুসারে, জাতীয় মহাসড়কসহ অনেক রাস্তায় টোল আদায় করা হয় ম্যানুয়ালি। বেশ কিছু দূরপাল্লার রাস্তার কিছু জায়গা জরাজীর্ণ। সারা দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। এছাড়া ঈদে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে। সব মিলিয়ে বাসের সময়সূচি বিঘ্নিত হওয়া, বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘ যানজট ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নির্দেশনার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সড়কে জনদুর্ভোগ কমবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসসিআরএফ জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহৎ জনবহুল শহরসহ শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকার অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ তাদের বর্তমান আবাসস্থল ত্যাগ করে।
গবেষক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা অঞ্চল থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ চলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে ঈদুল ফিতরে ২৫ শতাংশ মানুষ নৌপথে এবং ৫৫ শতাংশ সড়কপথে যাতায়াত করত। পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রীর হার কমেছে ৫ শতাংশ। অন্যদিকে সড়কে যাত্রীর হার ৫ শতাংশ বেড়ে ৬০ শতাংশ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি আরও ১ দিন বাড়ল
১ বছর আগে
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ মাসে ৫৭৯ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সারা দেশে এক হাজার ৩০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ৪৮৪ জন নিহত ও দুই হাজার ৪৮৫ জন আহত হয়েছেন। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের (১৬ দশমিক ৪৮) মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির দিক থেকে মোটরসাইকেলের অবস্থান শীর্ষে।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ২০৯: এসসিআরএফ
এ সময়ে ৫২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫৭৯ জন; যা মোট দুর্ঘটনা ও নিহতের যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৪৭ ও ৩৯ দশমিক ০১ শতাংশ। দুই চাকার এ ক্ষুদ্র বাহনে গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছে ৬ জনেরও (৬ দশমিক ৪৩) বেশি মানুষ।
ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং এ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এসসিআরএফের সভাপতি আশীষ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর
১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা এবং ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনা এড়াতে পদ্মা সেতুর ওপর মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা ও ঈদযাতায়াতে সকল মহাসড়কে এই বাহন নিষিদ্ধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে এসসিআরএফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে সর্বাধিক ৪৭৯টি দুর্ঘটনায় ৫৮৪ জন নিহত ও এক হাজার ১০২ জন আহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে সর্বনিম্ন ৩৯২টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪১১ ও এক হাজার ১০২।
জানুয়ারিতে ৪৩১টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮৯ জনের। এ তিন মাসে সর্বাধিক ৪২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাসড়কে; যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সড়কে নিহতের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পথচারি।
এ সময়ে ৩৭০ জন পথচারি মারা গেছেন; যা মোট নিহতের ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তিন মাসে ২১১ নারী ও ২১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মোট প্রাণহানির মধ্যে নারী ও শিশুর অবস্থান যথাক্রমে ১৪ দশমিক ২১ ও ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ সময়ে অন্যান্য গাড়িচালক ও সহকারি নিহত হয়েছেন ২০৯ জন; যা মোট প্রাণহানির ১৪ দশমিক ০৮ শতাংশ।
দুর্ঘটনার সড়কভিত্তিক পর্যবেক্ষণ
প্রতিবেদনে সড়কভিত্তিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, তিন মাসে সর্বাধিক ৪২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মহাসড়কে; যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আঞ্চলিক সড়কে ঘটেছে ৩২৭টি; যা মোট দুর্ঘটনার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। গ্রামীণ সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও হার যথাক্রমে ২৮৭ ও ২২ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং শহরের সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও হার যথাক্রমে ১৮৯ ও ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৭৮টি (৬ দশমিক ০১ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য স্থানে।
আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনায় ২০১৯ সালে ৪২১ জনের প্রাণহানি: এসসিআরএফ
দুর্ঘটনার সময়ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ
প্রতিবেদনে সময়ভিত্তিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, তিন মাসে সবচেয়ে বেশি ৩৭৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকালে; যা মোট দুর্ঘটনার ২৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
দুপুরে ও রাতে ঘটেছে যথাক্রমে ৩৬৪টি ও ২৪৭টি; যা মোট দুর্ঘটনার যথাক্রমে ২৭ দশমিক ৯৫ ও ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া ১৬৩টি ঘটেছে বিকালে; যা মোট দুর্ঘটনার ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। অন্যান্য সময়ে ঘটেছে বাকি ১৫২টি (১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ) দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১২ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
দুর্ঘটনার ১৬টি কারণ
পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার ১৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ। সেগুলো হলো- ১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন। ২. অদক্ষ ও অসুস্থ চালক। ৩. গাড়ির বেপরোয়া গতি। ৪. প্রচলিত আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ওভারটেকিং। ৫. নিয়োগপত্র, সাপ্তাহিক ছুটি ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকায় চালক ও সহকারিদের মানসিক অবসন্নতা। ৬. বিভিন্ন স্থানে সড়কের বেহাল দশা। ৭. জাতীয় মহাসড়ক ও আন্ত:জেলা সড়কে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক। ৮. দূরপাল্লার সড়কে বাণিজ্যিকভাবে বিপুলসংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচল। ৯. মহাসড়কে স্বল্পগতির তিন চাকার যানবাহন চলাচল। ১০. তরুণ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানো। ১১. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ও সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারির অনিয়ম-দুর্নীতি। ১২. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। ১৩. সাধারণ মানুষের সচেতনতার ঘাটতি ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকা। ১৪. চালক ও পথচারিদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা। ১৫. প্রচলিত আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শিথিলতা এবং ১৬. বিভিন্ন টার্মিনাল ও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি।
আরও পড়ুন: সড়কপথে ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে এসসিআরএফের ১২ সুপারিশ
১ বছর আগে