অন্নপূর্ণা সার্কিট
নেপালের অন্নপূর্ণা ট্রেকিংয়ে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অজানা ও রহস্যময় জনপদ অন্বেষণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার নাম ট্রেকিং, যেখানে ভাঙতে হয় দুঃসাহসিকতা ও শারীরিক সহনশীলতার বাঁধ। পিলে চমকে দেওয়া উচ্চতায় বিস্তৃত বীথিকাজুড়ে আন্দোলিত হয় ভয়ঙ্কর সুন্দরের উপাখ্যান। নতুন কিংবা অভিজ্ঞ; যে কোনো ট্রেকারের মনেই এই নৈসর্গ সৃষ্টি করে দুর্গমকে আলিঙ্গনের এক অদম্য নেশা। আর ঠিক এ কারণেই অবিস্মরণীয় হিমালয়ের বুকে নেপালের অন্নপূর্ণা পরিণত হয়েছে ট্রেকারদের স্বর্গরাজ্যে। এই জনপ্রিয় ট্রেকিং গন্তব্য নিয়েই আজকের ভ্রমণ নিবন্ধ। চলুন, অন্নপূর্ণা ভ্রমণের উপায় ও প্রয়োজনীয় খরচ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অন্নপূর্ণার ভৌগলিক অবস্থান
উত্তর-মধ্য নেপালের গন্ডাকি প্রদেশের অন্নপূর্ণা পর্বতশ্রেণীর প্রধান পর্বত অন্নপূর্ণা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮ হাজার ৯১ মিটার। এর সুপরিচিত ট্রেকিং অঞ্চলটি হলো ৭ হাজার ৬২৯ বর্গ-কিলোমিটারের অন্নপূর্ণা কন্জার্ভেশন এরিয়া। এখানকার ট্রেকিং রুটগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হলো-
· অন্নপূর্ণা অভয়ারণ্য থেকে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পের রুট
· অন্নপূর্ণা হিমাল ও জমসম রুটসহ অন্নপূর্ণা সার্কিট
· জমসন থেকে জোমসম ও মুক্তিনাথ মন্দিরের রুট
এছাড়াও ঘোরেপানি বা ঘান্ড্রুকের মতো আরও কিছু প্রসিদ্ধ রুট রয়েছে। প্রায় সবগুলো রুটেরই শুরু হয় পোখারা শহর থেকে। বিভিন্ন আকারের হওয়ায় প্রত্যেকটি রুট অতিক্রম করতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ের প্রয়োজন হয়। ন্যূনতম ৩ থেকে ৪ দিন থেকে শুরু করে কোনো কোনো রুটে ২ সপ্তাহেরও অধিক সময় লেগে যায়।
আরো পড়ুন: ট্রেকিং, হাইকিং, ক্যাম্পিং ও ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে নিরাপদে থাকার উপায়
নেপালের পর্যটন ভিসা আবেদনের পদ্ধতি
সার্কভুক্ত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নেপালে রয়েছে বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা। মূলত ১৫ দিনের কম সময়ের জন্য ভ্রমণ করা হলে কোনো ভিসা ফি’র প্রয়োজন হয় না। বিমানবন্দরেই কাস্টম্সের সময় ‘পর্যটন ভিসা’ এবং ‘আগমন কার্ড’-এর জন্য দরকারি ফর্ম পূরণ করা যায়। তবে বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় নেপাল অভিবাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও ভিসার আবেদন করা যায়। এতে করে কাস্টম্সে সময় বাঁচে। ভ্রমণের ন্যূনতম ১০ দিন আগে থেকে আবেদন জমা দেওয়া যায়।
আবেদনের লিংক: https://nepaliport.immigration.gov.np/on-arrival/IO01
এই পর্যটন ভিসার আবেদনের জন্য যে নথিপত্র লাগবে, তা হচ্ছে-
· নেপালে পৌঁছার দিন থেকে কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকা বৈধ পাসপোর্ট
· সম্পূর্ণ পূরণ করা ভিসা আবেদন ফর্ম
· সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড)
বিমানবন্দরে অভিবাস সংক্রান্ত কাজের সময় সঙ্গে রিটার্ন টিকেট, নেপালে হোটেল বুকিংয়ের কাগজ, এবং পাসপোর্ট রাখতে হবে।
এরপর ট্রেকিংয়ের জন্য অতিরিক্ত পার্মিট নিতে হবে। একটি এসিএপি (অন্নপূর্ণা কন্জার্ভেশন এরিয়া প্রোজেক্ট) অফিস থেকে এসিএপি পার্মিট। এর জন্য পাসপোর্ট আর ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগে। পার্মিট ফি ১ হাজার নেপালি রুপি বা ৮৮৯ টাকা (১ নেপালি রুপি = ০ দশমিক ৮৯ বাংলাদেশি টাকা)।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে- টিআইএমএস (ট্রেকিং ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) কার্ড, যার জন্য খরচ হবে আরও ১ হাজার রুপি (৮৮৯ টাকা)।
আরো পড়ুন: এভারেস্টজয়ী ৬ বাংলাদেশি: লাল-সবুজের পতাকা হাতে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের অনুপ্রেরণা
অন্নপূর্ণা ভ্রমণে কি কি দেখবেন
রাজকীয় পর্বতমালার পটভূমিতে এখানে রয়েছে অবারিত রডোডেনড্রন বন, আলপাইন তৃণভূমি ও হিমবাহ উপত্যকা। চোখে পড়ে তুষার চিতাবাঘ, নীল ভেড়া ও দুর্লভ প্রজাতির পাখি। অনন্য সংস্কৃতির প্রতিনিধিরূপে বহুকাল ধরে এখানে বসবাস করছে গুরুং, থাকালি ও মানাঙ্গির মতো সম্প্রদায়গুলো। ফলে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় জন কোলাহলের গ্রামগুলোতে দেখা যায় প্রাচীন মঠের মতো নানা ধর্মীয় স্থান।
তন্মধ্যে ঘোরেপানি গ্রামের কাছাকাছি অবস্থিত পুন হিল অন্নপূর্ণা ও ধৌলাগিরি রেঞ্জ সূর্যোদয় দর্শনের জন্য বিখ্যাত।
তিব্বতি শৈলীতে প্যাগোডার মতো ছাদ ও জটিল কাঠের খোদাইয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মুক্তিনাথ মন্দির। এখানে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ১০৮টি জলধারা সম্বলিত স্থাপনা মুক্তিধারা। ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের কারণে মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে একাধিক চিরন্তন শিখার ‘জ্বালা মাই’।
মন্দিরের পেছনে অভিজাত থুরং লা পাস এবং অন্নপূর্ণা ও ধৌলাগিরি পর্বতমালার তুষারাবৃত শৃঙ্গ।
নার্ফু নদীর পাশে রয়েছে নিঃসঙ্গ অথচ অপরুপ সুন্দর নার্ফু ভ্যালি। মাস্তাঙ জেলার উপরের অংশে পাওয়া যাবে নেপালের প্রাচীন গুপ্ত শহর লো মান্থাংর দেখা। তিলিকো লেকের স্বচ্ছ পানিতে চারপাশের পাহাড়ের প্রতিফলন যেন সম্মোহনের নামান্তর।
ট্রেকারদের যাত্রা বিরতির জন্য জনপ্রিয় স্টপেজ ঘান্ড্রুক গ্রাম, যেখান থেকে পাহাড়ি বীথিকার সবচেয়ে আশ্চর্য রূপটা দেখা যায়।
থুরং লা পাস ধরে ৫ হাজার ৪১৬ মিটার পথ পাড়ি দেওয়ার সময় চোখে পড়ে অন্নপূর্ণা ১, ২, ৩ ও ৪, মানাস্লু, গঙ্গাপূর্ণা ও ল্যাংট্যাং হিমাল।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অন্নপূর্ণা ট্রেকিংয়ের সেরা সময়
অতিরিক্ত তুষারপাতের কারণে শীতকালে প্রায়ই ট্র্যাক বন্ধ থাকে। অন্নপূর্ণা ট্রেকিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হচ্ছে বসন্তকাল। অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের সময়কে বেছে নেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া শীতের আগ দিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মৌসুমটাও ভালো।
সরাসরি নেপালের ফ্লাইট এবং হোটেল বুকিং করবেন যেভাবে
অভিবাসন সংক্রান্ত কাজের জন্য আগাম ফ্লাইট টিকেট এবং হোটেল বুকিং করে নেওয়াটা জরুরি। বিমানের টিকেটের জন্য অনলাইন পোর্টালগুলোর মধ্যে রয়েছে গোজায়ান, ফ্লাইট এক্সপার্ট ও শেয়ার ট্রিপ। এগুলোতে রাউন্ড ট্রিপের বিমান ভাড়া নির্ভর করবে কিছু বিষয়ের উপর যেমন এয়ার লাইনস কোম্পানি, বুকিংয়ের সময়, বিভিন্ন অফার, ইত্যাদি।
শেয়ার ট্রিপ ও গোজায়ানের মাধ্যমে প্রতি রাতের জন্য জনপ্রতি ৬৯৪ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫১৩ টাকার মধ্যে হোটেল বুকিং দেওয়া যাবে।
কাঠমান্ডু ও পোখারার অনেক ট্রাভেল স্টোরে স্লিপিং ব্যাগ ও ডাউন জ্যাকেট ভাড়া পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে স্লিপিং ব্যাগ ভাড়া প্রতিদিনের জন্য ২০০ থেকে ৫০০ রুপি বা ১৭৮ থেকে ৪৪৪ টাকা। অপরদিকে, ডাউন জ্যাকেট ভাড়া দিনপ্রতি ২০০ থেকে ৪০০ রুপির (১৭৮ থেকে ৩৫৬ টাকা) মধ্যে।
আরো পড়ুন: ভিয়েতনাম ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অন্নপূর্ণার সামগ্রিক ভ্রমণ খরচ কেমন হতে পারে
একদম নতুনদের জন্য অন্নপূর্ণা ভ্রমণে গাইড সঙ্গে নেওয়া আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিনের জন্য গাইডকে দিতে হতে পারে ৩ থেকে ৪ হাজার রুপি (২ হাজার ৬৬৬ থেকে ৩ হাজার ৫৫৫ টাকা)।
বিভিন্ন আকারের পাহাড়ি পথগুলোতে যাত্রা পথে থাকার জন্য ট্রেকারদের প্রথম পছন্দ থাকে ট্রি-হাউসগুলো। প্রতি রাতের জন্য এখানে ভাড়া দিতে হয় ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপি (৩৫৬ থেকে ১ হাজার ৩৩৩ টাকা) পর্যন্ত। এখানে সরবরাহকৃত খাবারের দাম সাধারণত ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপির (৪৪৪ থেকে ১ হাজার ৩৩৩ টাকা) মধ্যে হয়ে থাকে।
তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো যাত্রার জন্য খাবারের জন্য দিনপ্রতি ২ থেকে ৩ হাজার রুপি (১ হাজার ৭৭৮ থেকে ২ হাজার ৬৬৬ টাকা) বাজেট রাখা উচিত। শহরের রেস্তোরাঁ বা স্ট্রিট ফুডগুলোতে খরচ হতে পারে ২০০ থেকে ৫০০ রুপি (১৭৮ থেকে ৪৪৪ টাকা)।
পদব্রজে ভ্রমণ শুরুর পূর্বে যানবাহনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শেয়ার্ড জিপের খরচ জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৮০০ রুপি (৪৪৪ থেকে ৭১১ টাকা)। তবে লোকাল বাসে এই খরচটা ২০০ থেকে ৩০০ রুপিতে (১৭৮ থেকে ২৬৭ টাকা) নেমে আসে। তবে কাঠমান্ডু থেকে সরাসরি পোখারার ট্যুরিস্ট বাসের টিকেট মূল্য জনপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ রুপি (৮৮৯ থেকে ১ হাজার ৬৭ টাকা)।
সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১৪ দিনের ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে নেপাল ভ্রমণের জন্য সম্ভাব্য বাজেট ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই বাজেট ৫৩ হাজার ৩২৭ থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৫৪ টাকার সমান।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের ক্রাবি ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ট্রেকিংয়ের জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
· মাইনাস ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় থাকার জন্য উপযোগী কাপড়-চোপড় সঙ্গে নেওয়া
· কাপড়ের ফেব্রিক পলেস্টার বা সিনথেটিক হওয়া উচিত। এতে করে ঘামে ভিজে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে না।
· পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার জন্য আরামদায়ক বুট, ট্রেকিং স্যান্ডেল ও ৩ থেকে ৪ জোড়া মোজা
· ক্যামেরার সঙ্গে চার্জারসহ অতিরিক্ত ব্যাটারি ও পাওয়ার ব্যাংক
· ব্যাগ খুব ভারী হওয়া চলবে না
· পাঞ্চ টাইপের রেইনকোর্ট
· ত্বকের আর্দ্রতার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি
· পোলার্ড আইস সানগ্লাস
· পাতলা ও মোটা মোট ২ রকমের গ্লাভ্স
· পাসপোর্ট ও এনআইডির মূল্য কপির সঙ্গে ফটোকপি ও কমপক্ষে ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি |
আরো পড়ুন: ভুটান ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ট্রেকিংয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ নিতে হবে। এছাড়াও নিতে হবে:
· মেডিকেল ফার্স্ট এইড
· হেক্সিসল (বিমানে বহন নিষেধ, তাই নেপালে প্লেন থেকে নেমে কিনে নিতে হবে)
· ওয়ান টাইম ব্যান্ড এইড ও মাইক্রোপোর ব্যান্ডেজ
· আইস কুল ম্যাক্স
শেষাংশ
নেপালের অন্নপূর্ণা ট্রেকিং মানেই অমূল্য এক অভিজ্ঞতা, যেখানে বিস্ময়কর প্রকৃতির সঙ্গে সন্নিবেশ ঘটে অনন্য জনগোষ্ঠীর সান্নিধ্য। এই অভিজ্ঞতা লাভের জন্য নেপালের অন-অ্যারাইভাল ভিসার পাশাপাশি নিতে হবে এসিএপি ও টিআইএমএস পার্মিট। বৈচিত্র্যপূর্ণ পাহাড়ি পথগুলোর কোনো কোনোটি অতিক্রম করতে ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যায়। তাই ভ্রমণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকা জরুরি। ট্রেকিংয়ের সময় যাত্রা বিরতির জন্য স্লিপিং ব্যাগ বা ডাউন জ্যাকেট নেওয়া একই সঙ্গে আরামদায়ক ও রোমাঞ্চকর। সর্বোপরি, একটি স্বাস্থ্যকর ট্রেকিং অভিজ্ঞতার জন্য ওষুধপত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো সঙ্গে রাখা অপরিহার্য।
আরো পড়ুন: তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
১ মাস আগে
নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বিধিনিষেধের বেড়াজালে বন্দি ছিলো আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো। বিশ্বজুড়ে লকডাউনের প্রকোপটা ধীরে ধীরে হালকা হওয়ার পর থেকে সেই বিধিমালাতেও আসছে শিথিলতা। সেই সাথে যারা ভ্রমণের মাঝে জীবনের অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজে পান তাদের দীর্ঘশ্বাস ফেলার দিন শেষ হতে যাচ্ছে। যে দেশগুলো নিজেদের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিচ্ছে সেগুলোর মধ্যে হিমালয়ের দেশ নেপালও আছে। শত বছরের পবিত্র স্থাপনায় সমৃদ্ধ দেশটি সারা বিশ্বের পর্যটকদের প্রিয় দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশি পর্যটকরা কিভাবে নেপালের বিভিন্ন ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন- তা নিয়েই আজকের ভ্রমণ বিষয়ক ফিচার।
নেপালের জগদ্বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানসমূহ
কাঠমান্ডু
নেপালের সাংস্কৃতিক রাজধানী কাঠমান্ডু হল সেই জায়গা যেখানে নেপালের বেশিরভাগ অ্যাডভেঞ্চার শুরু হয়, কারণ এই শহরেই রয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জনাকীর্ণ মহানগর কাঠমান্ডুর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে দরবার স্কোয়ার যেটি সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের কারণে বেশ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। স্থাপনাটির অনেকাংশেরই পুনরুদ্ধারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ের উপর স্বয়ম্ভুনাথের প্রাচীন বৌদ্ধ কমপ্লেক্স থেকে কাঠমান্ডু উপত্যকার অপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়ে।
আরও পড়ুন: নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক
৩ বছর আগে