সুবিধা
ট্রেন বন্ধ রেখে বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়া বিকৃত মানসিকতার পরিচয়: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বাস মালিকদের সুবিধার জন্য ট্রেন বন্ধ রেখে তাদের সুবিধা দেওয়া বিকৃত মানসিকতার পরিচয়।
শুক্রবার (১ জুন) দুপুরে পাংশা উপজেলায় কৃষি মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রেলওয়ে কারখানায় উৎপাদন বাড়াতে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে: রেলপথমন্ত্রী
জিল্লুল হাকিম বলেন, রেলকে ব্যবহার করে কেউ সুবিধা নেবে এটা দিতে আমরা রাজি না। মাঝে মাঝে ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুয়েকটি ট্রেন বন্ধ রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রেলপথ সম্প্রসারণ হচ্ছে, রেলের নতুন নতুন বগি আসছে। আমরা ভারত থেকে ২০০ বগির জন্য চুক্তি সম্পাদন করেছি। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আরও ২৬০টি বগি আসবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী
প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ দেওয়া হবে: রাজবাড়ীতে রেলপথমন্ত্রী
৬ মাস আগে
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
রিয়েল এস্টেট, স্টক মার্কেট, স্টার্ট-আপ বা ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো বিনিয়োগের অনুকূল দিগন্ত উন্মোচন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। মার্কিন ডলারের হার বেড়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বিনিয়োগের বিনিময় হারে। অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যের ডলার আয়ের সঙ্গে উন্নত হয় রেমিটেন্স ক্রয় ক্ষমতা। প্রবাসীদের এই অর্থ দেশে থাকা তাদের পরিবারের জন্য যেমন সহায়ক হয়, তেমনি সম্ভাবনা তৈরি হয় দেশের বাজারে আরও বিনিয়োগের। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগের উপায় বাংলাদেশ সরকারের নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশি (এনআরবি) বন্ডগুলো। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড বা ইউএসডিআইবি।চলুন, এই বন্ডে বিনিয়োগের পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কী
সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই এনআরবি বন্ড ইস্যু করা হয় মার্কিন ডলারে।
এটি মূলত রেমিটেন্সের বিপরীতে ফরেন কারেন্সি (এফসি) বা বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য নিবেদিত একটি সঞ্চয় প্রকল্প। অন্যান্য অধিকাংশ বন্ডের মতো এই বন্ডেও রয়েছে মুনাফা লাভ এবং সুদাসলের উপর কর-মুক্তির সুবিধা।
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের বৈশিষ্ট্য
- এই বিনিয়োগ সুবিধাটি অনিবাসী বাংলাদেশি বা বাংলাদেশে বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের জন্য
- বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের এই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে তাদের এফসি অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়
- বন্ডের মূল্য রেমিটেন্সের উপর মার্কিন ডলারে যে কোনো মূল্যের হয়ে থাকে
- বন্ডের মেয়াদ ৩ বছর
- বর্তমানে সাধারণত ৫০০, ১ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার, এবং ৫০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যমানের ইউএসডিআইবি ইস্যু করা হয়
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
ইউ.এস. ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কেনার উপায়
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বৈধ পাসপোর্টের অনুলিপি (বাংলাদেশে অবস্থান করলে দেশে আগমন ও প্রস্থানের সিলসহ পৃষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে)
- সম্প্রতি তোলা আবেদনকারি এবং নমিনি উভয়ের এক কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি
- ওয়ার্ক পারমিট অথবা ভিসার অনুলিপি
- তহবিলের উৎস সম্পর্কিত কাগজপত্র (চাকরির পরিচয়পত্র বা বেতন প্রাপ্তির স্লিপ)
- অন্য কেউ স্পন্সর করে থাকলে তার পাসপোর্টের অনুলিপি এবং আয় সংক্রান্ত নথি
- সম্পূর্ণ পূরণকৃত এবং স্ব-হস্তে স্বাক্ষরকৃত আবেদনপত্র
বন্ড ক্রয় পদ্ধতি
বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বা আভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ওয়েব পোর্টাল থেকে বন্ড ক্রয়ের আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করা যায়।
এছাড়া দেশে বা বিদেশে এই বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বিনামূল্যেই এই ফর্ম বিতরণ করে থাকে।
ফর্ম পূরনের পর ফর্ম সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি যে কোনো ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানে ইমেল করতে হবে। উপরোক্ত নথিপত্র ছাড়াও বন্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও কিছু দরকারি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফিরতি ইমেলে এনআরবি গ্রাহককে অবহিত করবেন।
এরপর স্ব-হস্তে স্বাক্ষরকৃত আবেদন ফর্মসহ যাবতীয় কাগজপত্র কুরিয়ারের মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় পাঠাতে হবে। তারপর আবেদনকারির বন্ডের মূল্য পরিশোধের সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বন্ড ইস্যু করবেন। পরিশেষে ক্রয়কৃত বন্ডের পরিচিতি স্বরূপ একটি অ্যাডভাইস কপি গ্রাহককে প্রেরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
যে প্রতিষ্ঠানগুলো এই বন্ড ইস্যু করে থাকে, সেগুলো হলো:
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- দেশের ভেতর ও বাইরে অবস্থিত বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোর এডি (অনুমোদিত ডিলার) শাখা
- প্রতিনিধি অফিস, ফরেন করেসপন্ডেন্ট
- শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর এক্সচেঞ্জ হাউস
বন্ড ক্রয়ের জন্য আবেদন পদ্ধতি
নিম্নের লিঙ্ক থেকে বন্ডে বিনিয়োগের আবেদন ফর্মটি সরাসরি ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। https://ird.gov.bd/sites/default/files/files/ird.portal.gov.bd/forms/6ef7c349_b2ef_4608_bd1d_3c7b80b2f3f6/Editable_Purchase_US_Dollar_Investment_Bond_converted.pdf
ফর্ম পূরণে যে তথ্যগুলো প্রয়োজন হয়, তা হলো:
- আবেদনকারী বা বন্ড ক্রেতা এবং তার নমিনির নাম ও ঠিকানা
- নমিনির সঙ্গে আবেদনকারীর সম্পর্ক
- বন্ড ক্রেতার পাসপোর্ট নম্বর
- বন্ডের মূল্য
- এফসি অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং যেই ব্যাংকের যে শাখাতে অ্যাকাউন্টটি রয়েছে, তার নাম ও ঠিকানা
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট ইস্যুর স্থান, এবং পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম তারিখ
- বন্ড ক্রেতার চাকরির পদবি, কোম্পানির নাম
- বন্ড ক্রেতার বাংলাদেশ ও বিদেশের ঠিকানা
- সবশেষে আবেদনকারীর সই
আরও পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
৬ মাস আগে
নির্বাচন কমিশনারদের বেতন-সুবিধা সংক্রান্ত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
বেতন নির্ধারণ করে 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) আইন, ২০২৪' এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার(২০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ মন্ত্রিসভা কমিটির
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, সিইসির বেতন হবে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা এবং নির্বাচন কমিশনারের বেতন হবে ৯৫ হাজার টাকা। বেতনের পাশাপাশি ৫০ শতাংশ বিশেষ ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা পাবেন তারা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এতে মূলত সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সুযোগ-সুবিধা ও বেতন নির্ধারণ করা হয়। প্রস্তাবিত আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আগের আইন অনুসরণ করা হয়েছে।’
বিদ্যমান আইনটি ১৯৮৩ সাল থেকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেহেতু সামরিক শাসনামলে প্রণীত আইন পরিবর্তনের জন্য উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা রয়েছে, তাই খসড়া আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৭ সালের মধ্যে রপ্তানি ১১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণের খসড়া নীতিমালায় মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন
মহেশখালীতে মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে আইনের খসড়ায় মন্ত্রিসভার অনুমোদন
৭ মাস আগে
যাত্রীদের সুবিধার্থে ঈদে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বৃদ্ধি
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সুবিধার্থে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
অভ্যন্তরীণ রুটে অতিরিক্ত ৯টি (যাওয়া-আসা মিলে ১৮টি) ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ারলাইন্সটি।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইট
আগামী ৪ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইটসমূহ পরিচালনা করা হবে। সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর ও বরিশাল রুটে এসব অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এ ছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটের যাত্রীরা বিমানের বৃহদাকার উড়োজাহাজসমূহে ভ্রমণ করতে পারবেন।
যাত্রীরা বিমানের যেকোনো সেলস সেন্টার, বিমান ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com, বিমান কল সেন্টার ১৩৬৩৬ ও বিমান অনুমোদিত ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে এসব রুটের টিকিট কিনতে পারবেন।
এ ছাড়া বিমানের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস থেকে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে প্রমোকোড BGDEAL24 ব্যবহার করে মূল ভাড়ার উপর ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের দায়িত্ব অবহেলায় প্রবাসীর মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ ও তদন্তের দাবি
ফেসবুকে বিমানের লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকা পোস্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
৮ মাস আগে
চীনে ভিসামুক্ত সুবিধা পাচ্ছে আরও ৬ দেশ: ওয়াং ই
সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের নাগরিকরা পরীক্ষামূলকভাবে ভিসামুক্ত নীতির অংশ হিসেবে ভিসা ছাড়াই চীনে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) চীনের জাতীয় আইনসভার চতুর্দশ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনের সাইডলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ মার্চ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ওয়াং বলেন, 'আমরা আশা করি আরও অনেক দেশ চীনা নাগরিকদের ভিসা সহজীকরণের প্রস্তাব দেবে এবং আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক নেটওয়ার্ক তৈরি এবং আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট দ্রুত পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: রাখাইনে অস্ত্রবিরতি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
তিনি বলেন, এর ফলে চীনা নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ আরও সহজ হবে এবং বিদেশি বন্ধুরা চীনকে নিজের দেশের মতো অনুভব করবে।
ওয়াং আরও উচ্চমানের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের প্রচার, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের বিশ্বব্যাপী ভিত্তিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং বিশ্বব্যাপী শিল্প, সরবরাহ এবং ডেটা চেইনকে স্থিতিশীল ও নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে রয়্যাল থাই সরকার ইতোমধ্যে চীন ও কাজাখস্তানের পর্যটকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করেছে।
থাইল্যান্ড এবং চীন চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য পারস্পরিক ভিসামুক্ত প্রবেশের জন্য একটি চুক্তি সই করেছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকরও হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
এই চুক্তির আওতায় চীনা ও থাই নাগরিদের মধ্যে বৈধ পাসপোর্টধারী জনগণ অন্য দেশের ভূখন্ডে প্রবেশ, প্রস্থান বা ট্রানজিটের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের জন্য ভিসামুক্ত সুবিধা পাবেন। তবে যারা বসবাস, কর্মসংস্থান, শিক্ষা বা পড়াশোনা, গণমাধ্যমের কাজ বা অন্যান্য কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ভ্রমণ করবেন, তাদের ক্ষেত্রে স্ব স্ব দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হবে।
এর আগে থাইল্যান্ড ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনা পর্যটকদের জন্য অস্থায়ী ভিসামুক্ত সুবিধা দিয়েছে।
থাইল্যান্ডের অন্যতম বড় বাজার হলো চীন। কেবল ২০২৩ সালেই থাইল্যান্ড সফরকারী চীনা নাগরিকের সংখ্যা ৩৫ লাখে পৌঁছেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটি মালয়েশিয়ার পরে এবং দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত এবং রাশিয়ার আগে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১ লাখ ২০ হাজার চীনা নাগরিক থাইল্যান্ড সফর করেছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চীনকে বাংলাদেশের আহ্বান
৯ মাস আগে
গ্রাহক চাহিদা-সুবিধা বিবেচনায় গ্রামীণফোন নিয়ে এলো সহজ প্ল্যান
গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল পার্টনার গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে সহজ ও সুবিধাজনক সব প্ল্যান।
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের নতুন এ উদ্যোগ।
নানা ধরনের কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমৃদ্ধ সেবার অভিজ্ঞতা দিতে নতুন প্ল্যানগুলো ডিজাইন করা হয়েছে।
অবিরাম ডাটা বান্ডেলের সঙ্গে চরকি, হৈচৈ, লায়ন্সগেট, টি-স্পোর্টসসহ অন্যান্য জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন সুবিধাসহ বেশ কয়েকটি নতুন সাপ্তাহিক ও মাসিক ডাটা প্ল্যান এনেছে গ্রামীণফোন, যা বিনোদনের দিগন্তকে প্রসারিত করেছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ লাখ সুবিধাবঞ্চিত তরুণকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিবে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
সাপ্তাহিক ডাটা প্ল্যানে ৪০ জিবি পর্যন্ত এবং মাসিক ডাটা প্ল্যানে ২০০ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। সম্পূর্ণ ডাটা ভলিউম ব্যবহারের পর ক্রয় করা প্ল্যানের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৭ দিনের প্ল্যান এবং ৩০ দিনের প্ল্যান, উভয় প্ল্যানের ক্ষেত্রে ফেয়ার ইউসেজ পলিসি (২৫৬ কেবিপিএস) প্রযোজ্য হবে।
ব্যবহারবান্ধব ও ভ্যালু ফর মানি– এই প্ল্যানগুলো সহজেই কেনা যাবে। মাইজিপি, ফ্লেক্সিলোড, আইভিআর ও ইউএসএসডি– যেকোনো মাধ্যমে প্ল্যানগুলো কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
ডিজিটাল দুনিয়ায় নিশ্চিন্তে যুক্ত থাকার সুবিধা নিয়ে সাজানো ফিচার-প্যাকড এই প্ল্যানগুলো ঝামেলামুক্ত একটি সাইন-অন প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করে উপভোগ করা যাবে।
এ ছাড়াও গ্রাহকরা এখন গ্রামীণফোনের কম্বো ও ডাটা প্ল্যানে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন, যেখানে প্ল্যানের মেয়াদের মধ্যে পুনরায় ক্রয় করলে বোনাস ডাটা পাবেন তারা। তাছাড়া ডাটা প্ল্যানে অগ্রিম ক্রয়ের সুবিধাও উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রামীণফোন তার পোর্টফোলিওকে আরও সহজ করার পাশাপাশি প্রিমিয়াম অফারগুলো আরও বিস্তৃত করেছে। অত্যধিক সংখ্যক অপশনের মধ্য থেকে বিকল্প বেছে নেওয়ার ঝামেলা দূর করা হয়েছে।
এতে গ্রাহকের ইউসেজ জার্নির অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে আরও সহজ, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব। একইসঙ্গে গ্রাহকদের নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সেবা বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমেরই কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। আর এটি বিবেচনায় নিয়ে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের জন্য সহজ, উদ্ভাবনী, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের চেষ্টা করে, যা তাদের পরিবর্তনশীল ও বৈচিত্র্যময় কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণ করছে। অবিরাম ডাটা প্ল্যানসহ সহজ নতুন প্ল্যানগুলো গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি নতুন প্ল্যানগুলো গ্রামীণফোন গ্রাহকদের যেমন সবসময় রাখবে কানেক্টেড, তেমনি বিনোদনেরও সুযোগ করে দেবে। গ্রাহকরা মাসিক ডাটা ও কম্বো প্ল্যানগুলোর সঙ্গে ওটিটি সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে বিনোদনের জগৎ উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নতুন এসব প্ল্যান নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষমতায়ন, যেখানে যোগাযোগ সক্ষমতা একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২৬ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন
১০ মাস আগে
শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার সহকারী বাণিজ্য মন্ত্রীর
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সিনেটর টিম আয়ার্স।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রী শুক্রবার (২১ জুলাই) এ আশ্বাস দেন। সিডনির কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অফিসে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্প, রেমিট্যান্স, ক্ষুদ্র অর্থনীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গত দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রশংসাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কটন, উল, এলএনজি, অর্থনৈতিক প্রযুক্তি (Fintech), তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত সেবা (ITES) এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুযোগ রয়েছে বলে আল্লামা সিদ্দিকী উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যবিষয়ক সহকারী মন্ত্রীকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ সফরের আহ্বানও জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দক্ষ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতাসহ শ্রমিকদের কল্যাণার্থে এ খাতে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত সংস্কারমূলক কর্মসূচি এবং অধিক গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপন, নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিতকরণ, উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিজিএমইএ’র ইএসজি অর্জনের লক্ষ্যের বিষয়টিও তিনি অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রীকে জানান।
সহকারী মন্ত্রী টিম আয়ার্স বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা ও বাংলাদেশের উৎপাদকদের দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক এ শিল্পকে বহুমুখীকরণে সহায়তা করছে।
টিম আয়ার্স বলেন, বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য এবং সরকারের সম্পৃক্ততার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো টেকসই শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিক সংগঠন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার উল ও কটন শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
২০২১ সালে বাংলাদেশের ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতাকে (টিফা) পরবর্তী স্তরে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন টিম আয়ার্স।
বর্তমানে বিজিএমইএ’র ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়া সফর করছে। গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় মেলবোর্নে তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক সম্মেলনের আয়োজনও করা হয়।
এ ছাড়া শুক্রবার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যৌথ সভার আয়োজন করে। এতে সিডনিতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সক্ষমতাকে তুলে ধরা হয়। এ সভায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা, ব্রান্ড ও শিল্পপ্রতিনিধিসহ ৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সামরিক শাসক ও মৌলবাদীদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে আ. লীগ: জয়
১ বছর আগে
রাবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে ২৯, ৩০ ও ৩১ শে মে তিনটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ফ্লাইট গুলো ঢাকা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টায় যাত্রা করে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজশাহী পৌঁছাবে এবং রাজশাহী থেকে বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা করে বিকাল ৫টা ৩৫মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: করোনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মকর্তার মৃত্যু
বিমানের ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস সেন্টার, কল সেন্টার (০১৯৯০৯৯৭৯৯৭) ও অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকে টিকেট কেনা যাবে।
বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com ও মোবাইল অ্যাপস থেকে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রমোকোড NEWYEAR23 ব্যবহার করে মূল ভাড়ার ওপর পাঁচ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।
বিশেষ ফ্লাইটের পাশাপাশি ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে সপ্তাহে চার দিন নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।
প্রতি শুক্র, শনি ও রবিবার ঢাকা থেকে সকাল ১১টা ১৫মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইট ছেড়ে যায় এবং রাজশাহী থেকে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে এবং রাজশাহী থেকে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
ঢাকা-রাজশাহী রুটের টিকেট কেনা ও আনুষঙ্গিক তথ্যের জন্য বিমানের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং প্রয়োজনে বিমানের কলসেন্টার (০১৯৯০৯৯৭৯৯৭) ও সেলস কাউন্টার, রাজশাহী (০১৭৭৭৭১৫৭৩৬) সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন: এ বছর হজ ফ্লাইটে নিজস্ব বিমান ব্যবহার করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হলো ৫ম বোয়িং ৭৩৭-৮০০
১ বছর আগে
প্রিপেইড গ্যাস মিটারের আওতায় আসছে সিলেট
গ্যাসের অপচয়রোধে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসছে সিলেট। এমতাবস্থায় ৫০ হাজার আবাসিক গ্রাহককে বিনামূল্যে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করে দেবে জালালাবাদ গ্যাস টি. এন্ড ডি. সিস্টেমস লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল)।
এ ব্যাপারে জেজিটিডিএসএল এবং দি কনসোর্টিয়াম অব জেনার মিটারিং টেকনোলজি (সাংহাই) লিমিটেড ও হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড, চীনের সঙ্গে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) একটি চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তির আওতায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ও সিলেট সদর উপজেলার ৫০ হাজার গ্রাহক প্রিপেইড গ্যাস মিটারের আওতায় আসবে।
এ উপলক্ষে এদিন দুপুরে জালালাবাদ গ্যাস ভবনে আয়োজিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জেজিটিডিএসএল-এর পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. শহিদুল ইসলাম এবং হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল-এর রিজিওনাল সিইও লিও জু নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
জালালাবাদ গ্যাসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ মতিন, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী লিটন নন্দীসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে গলা কেটে হত্যা
অনুষ্ঠানে জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ মতিন বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে জালালাবাদ গ্যাসের ইতিহাসে নতুন একটি অধ্যায় সূচিত হলো।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। দীর্ঘ ১৯ মাসের প্রচেষ্টার পর মিটার স্থাপনের জন্য চায়না কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করা হলো।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের ৫০ হাজার গ্রাহক উপকৃত হবেন।
হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল-এর রিজিওনাল সিইও লিও জু বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ এদেশে অনেক প্রকল্পে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। তারা দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এ কাজে নিয়োজিত। জালালাবাদ গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রকল্প পরিচালক লিটন নন্দী জানান, আবাসিক বাসা বাড়িতে গ্যাসের অপচয় রোধ এবং গ্রাহকদের বিল সাশ্রয়ে মূলত এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেট ও উপশহর এলাকায় প্রিপেইড মিটার স্থাপন করবেন।
এ বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এ দু’টি এলাকায় মিটার স্থাপন করা হবে। এ দু’টি স্থানে পাইলটিংয়ের পর নগরীতে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বৃহৎ আকারে মিটার স্থাপনের কাজে হাত দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘নারী সেজে থাকা’ যুবককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা!
তিনি জানান, জালালাবাদ গ্যাসের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের বিনামূল্যে মিটার লাগিয়ে দেয়া হবে। মিটারের মূল্য মাসিক ভাড়া হিসেবে সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, এটি কন্টাক্টলেস স্মার্ট কার্ডভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন গ্যাস পরিমাপের মিটার। নিকটস্থ রিচার্জ পয়েন্ট থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ক্রেডিট কিনে প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করা যাবে। রিচার্জ শেষ হলেও এতে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের সুবিধা থাকবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে ১৬৫১১ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রিপেইড গ্যাস মিটার থাকলেও সিলেটে প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছে এ পদ্ধতি।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে প্রথম সিলেট নগরীতে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় গ্যাসের ক্ষেত্রেও প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলো।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাদ থেকে পড়ে ব্যক্তির মৃত্যু
২ বছর আগে
এলডিসি-পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পাবে: অস্ট্রেলিয়া
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণের পরেও বাংলাদেশকে রপ্তানিতে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা দেয়া অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রথম যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এই তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্কের গতিশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য বৃহত্তর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ প্রবাহের সম্ভাবনার ওপর একটি গবেষণা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টের (টিফা) অধীনে গঠিত, জেডব্লিউজি-এর প্রথম বৈঠকে সাধারণ বাণিজ্য সমস্যা, পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্য, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিনিয়োগের প্রচার, শক্তি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: আইটি কানেক্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ইইউ
২ বছর আগে