সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের নাগরিকরা পরীক্ষামূলকভাবে ভিসামুক্ত নীতির অংশ হিসেবে ভিসা ছাড়াই চীনে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) চীনের জাতীয় আইনসভার চতুর্দশ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনের সাইডলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ মার্চ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ওয়াং বলেন, 'আমরা আশা করি আরও অনেক দেশ চীনা নাগরিকদের ভিসা সহজীকরণের প্রস্তাব দেবে এবং আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক নেটওয়ার্ক তৈরি এবং আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট দ্রুত পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: রাখাইনে অস্ত্রবিরতি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
তিনি বলেন, এর ফলে চীনা নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ আরও সহজ হবে এবং বিদেশি বন্ধুরা চীনকে নিজের দেশের মতো অনুভব করবে।
ওয়াং আরও উচ্চমানের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের প্রচার, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের বিশ্বব্যাপী ভিত্তিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং বিশ্বব্যাপী শিল্প, সরবরাহ এবং ডেটা চেইনকে স্থিতিশীল ও নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে রয়্যাল থাই সরকার ইতোমধ্যে চীন ও কাজাখস্তানের পর্যটকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করেছে।
থাইল্যান্ড এবং চীন চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য পারস্পরিক ভিসামুক্ত প্রবেশের জন্য একটি চুক্তি সই করেছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকরও হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
এই চুক্তির আওতায় চীনা ও থাই নাগরিদের মধ্যে বৈধ পাসপোর্টধারী জনগণ অন্য দেশের ভূখন্ডে প্রবেশ, প্রস্থান বা ট্রানজিটের ক্ষেত্রে ৩০ দিনের জন্য ভিসামুক্ত সুবিধা পাবেন। তবে যারা বসবাস, কর্মসংস্থান, শিক্ষা বা পড়াশোনা, গণমাধ্যমের কাজ বা অন্যান্য কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ভ্রমণ করবেন, তাদের ক্ষেত্রে স্ব স্ব দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হবে।
এর আগে থাইল্যান্ড ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনা পর্যটকদের জন্য অস্থায়ী ভিসামুক্ত সুবিধা দিয়েছে।
থাইল্যান্ডের অন্যতম বড় বাজার হলো চীন। কেবল ২০২৩ সালেই থাইল্যান্ড সফরকারী চীনা নাগরিকের সংখ্যা ৩৫ লাখে পৌঁছেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটি মালয়েশিয়ার পরে এবং দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত এবং রাশিয়ার আগে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১ লাখ ২০ হাজার চীনা নাগরিক থাইল্যান্ড সফর করেছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চীনকে বাংলাদেশের আহ্বান