জাহাঙ্গীর
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া আইনানুগ ছিল না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রবিবার (১৮ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
জাহাঙ্গীরের আইনজীবী এতথ্য নিশ্চিত করেন। আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে সময় আবেদন করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট করেন।
পরে একই বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এরপর গত ১৫ মার্চ এ রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আজ রবিবার হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এরপর গত বছর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তিনি রিট করেন।
রিট বিচারাধীন অবস্থায় গত বছর ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমের ক্ষমা ঘোষণা করে দলটি।
গত ২১ জানুয়ারি সে ক্ষমা ঘোষণার চিঠি পান জাহাঙ্গীর আলম।
এরপর গত ৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন।
ভোটগ্রহণ ২৫ মে।
তবে ঋণ খেলাপীর অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে তার মায়ের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং নির্বাচনেতার মা মেয়র পদে বিজয়ী হন।
আরও পড়ুন: শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না: হাইকোর্ট
১ বছর আগে
জাহাঙ্গীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট একরামুল হক টুটুল।
দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মামলায় সেই বিচারকের হাইকোর্টে জামিন
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পশ্চিম ভিরুলিয়া সরকার বাড়ীর ওসমান গনি সরকারের ছেলে মো. আব্দুর রহিম সরকার হাইকোর্টে এ রিট করেন।
রিটে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত দ্রুত শেষ করতে আবেদন জানানো হয়।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে ‘গ্রাফ্ট ইজ হিজ মিডল নেইম’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন যুক্ত করা হয় রিট আবেদনটিতে।
রিটে জাহাঙ্গীর আলম মেয়র থাকাকালীন আসা দুর্নীতির অভিযোগ দুদক আইনে বেধে দেয়া সময়ে অনুসন্ধান শুরু বা শেষ করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং অবিলম্বে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন এবং আইন অনুসারে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার সচিব, অতিরিক্ত সচিব মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, বিএফআইউ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং জাহাঙ্গীর আলমকে বিবাদী করা হয়েছে।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলম ও তার অনুসারীরা দুর্নীতিতে কিছুই ছাড়েননি। এমনকি জাতীয় শোক দিবসে দুঃস্থদের খাওয়ানোর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থও তারা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) প্রতিটি ক্ষেত্র ছুঁয়েছে তাদের দুর্নীতির হাত।
অনুদান বিতরণ, বালু ভরাট, সড়ক প্রশস্তকরণ-এমনকি নালা-নর্দমা পরিষ্কার থেকে বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের জন্য দেয়া খাবারের মতো ছোট আকারের কর্মকাণ্ডে ও ভাগ বসিয়েছেন জিসিসির বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তার অনুসারীরা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থও এর বাইরে ছিল না।
আরও পড়ুন: আদর্শ প্রকাশনীর বইমেলায় স্টল বরাদ্দ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
জিসিসির অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অজস্র অভিযোগের এমন বিশদ বিবরণ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গঠিত একটি তদন্ত কমিটির তৈরি এ প্রতিবেদনে জাহাঙ্গীরের বিভিন্ন দুর্নীতি-অপকর্মের তথ্যসহ বিভিন্ন পর্যবেক্ষণও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন গত তিন অর্থবছরে (২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১) আটটি এলাকায় বর্জ্য অপসারণে ব্যয় করেছে ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
অথচ সেসব এলাকার কোনো আবর্জনা পরিষ্কার না করেই এর বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
জিসিসির তদন্ত প্রতিবেদনে বর্ণনা করা হয়েছে যে কীভাবে জাহাঙ্গীরের তত্ত্বাবধানে সব আইন উপেক্ষা করে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছিল।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন দল তাকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়।
এরপর তার দুর্নীতি ও অপকর্মের বিষয়গুলো আবারও সামনে আসে।
২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হলে জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ভিডিওতে তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করতে এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
দল থেকে বহিষ্কারের সাত দিন পর ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সে সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ভূমি দখল, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগকে জাহাঙ্গীরের স্থগিতাদেশের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে।
পরে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে দলের পক্ষ থেকে সাধারণ ক্ষমার পর জাহাঙ্গীরের অনুসারীরা উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন।
দলের ভেতরকার সূত্রগুলো বলছে, তারা এখন জাহাঙ্গীরের মেয়র পদ পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
তবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপরেই নির্ভর করছে এ সিদ্ধান্ত।
গত সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা তা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেব।
তদন্ত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, এখনও মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। আমরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। এখন আমরা সেই নথিগুলো বিশ্লেষণ করছি। আমরা শিগগিরই প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ করব।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি কালো দাগ সৃষ্টি করেছে: হাইকোর্ট
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে বলে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
১ বছর আগে
বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের (গাসিক) সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে করা মানহানি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার মামলাটি বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। এর আগে এ মামলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর জামিন নিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এ মামলায় গত ৩১ আগস্ট ফরিদপুরের ৩ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন মেয়র জাহাঙ্গীর।
এরপর গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে এই মামলা হয়। মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
২ বছর আগে
গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
গত বুধবার ফরিদপুরে জেলার ৩নং আমলী আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ জারি করেন।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’র পক্ষে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার বাদি আইনজীবি কামাল হোসেন জানান, ফরিদপুরের ৩নং আমলী আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ উদ্দিনের আদালত ৫০৪/৫০৫/৫০৫ (ক) ধারায় আসামি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা সাতটি মামলায় তিনি বর্তমানে আগাম জামিনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার পঞ্চগড়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা
জাহাঙ্গীর আলম সাময়িক বরখাস্ত, গাজীপুরে তিন সদস্যের প্যানেল মেয়র গঠন
২ বছর আগে
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।বি)-
বরখাস্তের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের করা রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মশিউর রহমান সবুজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ১৪ আগস্ট রিটটি করা হয়। ১৭ আগস্ট শুনানি শেষে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বেঞ্চ আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীরের একটি মন্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। ওই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন তিনি। ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আওয়ামী লীগ, তিনি তার জবাবও দেন। তবে কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসে। এরপরই ওই বছরের ২৫ নভেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতিবছর হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানা অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে ‘বিতর্কিত মন্তব্যের’ অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় হওয়া সাতটি মামলায় সম্প্রতি ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এই জামিন আদেশ হয়।
আরও পড়ুন:এবার পঞ্চগড়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা
জাহাঙ্গীর আলম সাময়িক বরখাস্ত, গাজীপুরে তিন সদস্যের প্যানেল মেয়র গঠন
২ বছর আগে
রিভিউ আবেদন করবেন আ’লীগের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করার দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম রিভিউ আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। শনিবার দুপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের মেয়র এ কথা জানান। এ সময় আবেগ তাড়িত কন্ঠে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমার আর্জি জানান।
তিনি অভিযোগ করেন যে ছাত্র রাজনীতি করার সময় থেকে একটি প্রতিপক্ষ নানাভাবে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তার ঘরে বসে তিন ঘন্টার আলাপচারিতাকে খন্ড খন্ড করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি কোন ভুল করিনি, অন্যায় করিনি। তবুও প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মাথা পেতে নিব। প্রধানমন্ত্রী বললে আমি ফাঁসিতে যেতেও রাজি আছি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দুই কারখানায় আগুন
তিনি তার আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমার অস্তিত্ব জুড়েই বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগ। বাকি জীবন আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য ও সমর্থক হয়ে থাকতে চাই।’
এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে এখানে একটি হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এদিকে দলের সিদ্ধান্তকে সঠিক দাবি করে ওই সিদ্ধান্ত কে অভিনন্দন জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান।
আরও পড়ুন: পিকআপ ভ্যানের চাপায় গাজীপুরে ৩ পথচারী নিহত
গাজীপুরে কেমিকেল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয় ইউনিট
৩ বছর আগে