খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদনে অনুমতি দেয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আইনি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছি।’
আইন মন্ত্রণালয় রবিবার সকাল ১০টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো খালেদা জিয়ার চিকিৎসা জনিত কারণে বিদেশ সফর সংক্রান্ত এক নথিতে বলেছে, বিএনপি চেয়ারপার্সন একজন আইনত সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তিনি বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, ফৌজধারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী তার ( খালেদা জিয়ার) দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে। এখন নতুন করে আবার শর্ত শিথিল এবং তাদের আবেদনের অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে যে দু’টি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে সেই শর্ত দু’টি ছিল- বাসায় থেকে এবং দেশে থেকে চিকিৎসা নিবেন।
তিনি বলেন, একবার যখন একটি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, ৪০১ ধারা কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে, সেজন্য আরে তা রি-ওপেন করার সুয়োগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশ যাত্রা: আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের নথি স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে
এর আগে গত বুধবার (৬ মে) রাতে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসভবনে তার সাথে দেখা করেন। তখন তিনি খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অবশেষে ২৭ দিন পর করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
রবিবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন ইউএনবি কে বলেন, “শনিবার করা ম্যাডামের করোনা টেস্টে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।”
চিকিৎসক দলের অন্য সদস্য জানান, খালেদা জিয়াকে এখনও অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়া প্রথম ১১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। শুরুতে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও, পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি করোনা পজিটিভ হন। এরপর তার সার্বিক চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত সোমবার (৩ মে) তাকে সিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়।