বন্দুক
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
পুলিশের বরাতে স্থানীয় কেটিএনভি নিউজ চ্যানেল এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৩৪ মিনিটে গুলি চালানো হয় এবং সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ গুলিবর্ষণের শিকার দুইজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে।
বাকি তিনজনের শারীরিক অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের একজন মুখপাত্র নিহতদের ‘গৃহহীন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের রটারডামে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩
তিনি জানান, হামলাকারী এখনও পলাতক।
অন্যদিকে দেশটির এবিসি ৭ নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, লাস ভেগাসে ঘটা শুক্রবারের ঘটনা লস অ্যাঞ্জেলেসের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত না।
এই সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে সম্ভবত একজন সিরিয়াল কিলার তিনজন গৃহহীনকে গুলি করে হত্যা করেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, নিহত তিনজন ফুটপাতে বা গলিতে একা একা ঘুমাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে বন্দুক হামলায় ৮ জন নিহত
ক্যালিফোর্নিয়ার বাইকার বারে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
পঞ্চগড়ে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ আহম্মেদ (২৭)।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে (রাত আড়াইটায়) জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে পুলিশ বক্সে এই ঘটনা ঘটে।
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর অভিমান করে নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
ফিরোজের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর আফতাবগঞ্জ এলাকায়। সে ওই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
ঘটনার পর পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে আসেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, ফিরোজ গত ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক গার্ডে যোগদান করেছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা শহরের পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে। এসময় অন্যান্য সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফিরোজকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর কনস্টেবল ফিরোজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে ওসি জানান।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটার সময় তার সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় তার মুখ, নাক, কান ও মাথা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গলার নিচে ও মাথার উপরে একটি ক্ষত চিহ্ন ছিল। সম্ভবত এটি একটি বুলেট ইনজুরি বা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু।
পুলিশ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ তার স্ত্রী উপমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফিরোজ গলায় গুলি চালায়। ফিরোজের স্ত্রী উপমাও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদকের টাকা না পেয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা
কলেজে বন্দুক নিয়ে সহকর্মী শিক্ষকদের হুমকি অধ্যক্ষের, অতঃপর যা ঘটলো
বন্দুক-গুলি নিয়ে নিজ কলেজের সহকর্মী শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কলেজ থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করা হলে পুলিশ এসে বন্দুকসহ ওই অধ্যক্ষকে থানায় নিয়ে যায়।
এরপরেই থানা চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষকরা।
সোমবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। গোলাম মোস্তফা উপজেলার চরারহাট শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নদীর গতিপথ বন্ধ করে বালু ভরাট, হুমকিতে হাট-বাজার
কলেজে গিয়ে জানা যায়, গত ১১ থেকে ১২ মাস অনুপস্থিত থাকার পর অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা একনলা একটি বন্দুক ও সাত রাউন্ড গুলি নিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজে আসেন। এসময় তিনি পিয়নের মাধ্যমে সহকর্মী শিক্ষকদের দ্বিতীয় তলায় ডেকে নেন।
একপর্যায়ে তিনি শিক্ষকদের বলেন, আমি হাইকোর্টের রায় পেয়েছি। আপনারা বিল-বেতন শিটে সই করবেন। যদি না করেন তাহলে আমি আপনাদের গুলি করে দিব। এসময় তিনি বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দিলে শিক্ষকেরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতি দেখে একজন শিক্ষক কলেজ থেকে ৯৯৯-এ কল দেন। দ্রুত সেখান থেকে নবাবগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ কলেজে রওনা দেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ কলেজে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষকে থানায় নিয়ে আসেন। প্রায় ৮ ঘণ্টা থানায় রাখার পর সন্ধ্যা ৭টায় তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ৯৯৯ এর কল পেয়ে আমরা তাকে থানায় নিয়ে এসেছিলাম। সে তার বন্দুকের বৈধ কাগজ আমাদেরকে দেখিয়েছে। পরে তাকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। তবে বন্দুকটি তার বাড়িতে রাখতে সমস্যা হওয়ায় সে বন্দুকটি আমাদের হেফাজতে রেখে গেছে। এছাড়া আমরা জিডি মূলে বন্দুকটি আমাদের অস্ত্রাগারে জমা রেখেছি।
ওসি আরও বলেন, কি কারণে কলেজে বন্দুক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে তার কাছ থেকে একটি লিখিত নেয়া হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সে যদি কাউকে হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড হুমকি, সতর্ক করলেন আরব নেতারা
অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি আনসার আল-ইসলামের
মার্কিন বন্দুক সহিংসতার জন্য পুঁজিবাদ দায়ী: আল জাজিরা
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বন্দুক সহিংসতার জন্য পুঁজিবাদ দায়ী।
রবিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সম্পূর্ণভাবে মানুষের ওপর মুনাফা আদায়ে ব্যস্ত। উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে ‘পরিবেশের কর্পোরেট ধ্বংস’, ‘দরিদ্র সংখ্যালঘুদের কারাবাস’ এবং ‘নিশ্চিতভাবে অসুস্থ একটি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার’ কথা বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিদেশে মার্কিন আচরণ বলার অপেক্ষা রাখে না যে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বা অন্যান্য সামরিক হত্যায়’ যেখানেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেখানেই অনেক সমস্যা তৈরি হয়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুঁজিবাদকে আমেরিকার অন্তর্নিহিত রোগ হিসেবে দেখতে ব্যর্থ হওয়ার অর্থ হল, দেশটির ক্রমবর্ধমান সহিংস ঘটনাগুলোকে ‘বিচ্ছিন্ন সমস্যা’ হিসেবে দেখা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রে শপিংমলে গোলাগুলিতে নিহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে বন্দুক হামলা, বন্দুকধারীসহ নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের টুলসা এলাকার সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতালের একটি ভবনে গুলিতে বন্দুকধারীসহ অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৫২ মিনিটে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের টুলসা মেডিকেল ভবনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন মারা গেছেন।
তুলসা পুলিশ বিভাগের ডেপুটি চিফ এরিক ডালগ্লিশ মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেছেন, হামলাকারীও মারা গেছেন। স্পষ্টতই তিনি (বন্দুকধারী) নিজেই নিজেও ওপর গুলি চালান।
ডালগ্লিশ জানান, সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল ক্যাম্পাসের চিকিৎসকদের কার্যালয় নাটালি মেডিকেল বিল্ডিং থেকে বিকাল ৪ টা ৫২ মিনিটে গোলাগুলির খবর পায় পুলিশ।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার চার মিনিটের মাথায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে গোলাগুলির শব্দ পান পুলিশ সদস্যরা। আরও পাঁচ মিনিট পর ভুক্তভোগী ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হামলার আগে স্কুলের দরজায় তালা দেয়া হয়নি: টেক্সাস পুলিশ
ডালগ্লিশ বলেছেন, হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি, তবে তার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছর হতে পারে। তিনি কি কারণে এই মারাত্মক হামলা করেছেন তাও স্পষ্ট নয়। অজ্ঞাতপরিচয় এই বন্দুকধারীর কাছে হামলার সময় একটি হ্যান্ডগান ও একটি রাইফেল ছিল।
সন্ধ্যা ৬টার ঠিক আগে এক ফেসবুক পোস্টে পুলিশ জানায়, আমাদের কর্মকর্তারা এখনও বিল্ডিংয়ের প্রতিটি কক্ষ পরীক্ষা করছেন। আমরা জানি সেখানে একাধিক হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা মৃতদের পরিচয় জানাতে প্রস্তুত নয়।
এদিকে এ ঘটনার কারণে বুধবার বিকালেই সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল ক্যাম্পাস লক করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, টেক্সাসের উভালদে রব এলিমেন্টারি স্কুলে এআর-স্টাইলের আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে সশস্ত্র ১৮ বছর বয়সী বন্দুকধারী ১৯ শিশু ও দুই শিক্ষককে হত্যা করার আট দিন পর বুধবার এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত বার্তায় বন্দুক নিয়েও লিখেছিলেন টেক্সাসের বন্দুকধারী
টেক্সাসে স্কুলে বন্দুক হামলা, ১৯ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২১
ব্যক্তিগত বার্তায় বন্দুক নিয়েও লিখেছিলেন টেক্সাসের বন্দুকধারী
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্কুলে হামলার আগে ব্যক্তিগত বার্তায় বন্দুক নিয়েও লিখেছিলেন বন্দুকধারী সালভাদর রামোস। অনলাইনে পাঠানো ওইসব বার্তায় তিনি বন্দুক কেনার আগ্রহের কথা লিখেন। শুক্রবার টেক্সাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৫ মে টেক্সাসের ইউভালডেতে রব এলিমেন্টারি স্কুলে ঢুকে নির্বিচার গুলি চালিয়ে ১৯ শিশু ও দুই শিক্ষককে হত্যা করে ১৮ বছর বয়সী সালভাদর রামোস।
তবে হামলার এক ঘন্টারও কম আগে তিনি প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন বলে আগের বর্ণনা থেকে সরে এসেছেন গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। তিনি এ হামলার একদিন পর বুধবার বলেছিলেন, ‘শুধুমাত্র তথ্য যা আগে থেকে জানা ছিল তা হলো বন্দুকধারী স্কুলে পৌঁছানোর প্রায় ৩০ মিনিট আগে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল।’ অ্যাবটের এই দাবি প্রযুক্তি সংস্থাগুলি আগাম সতর্কতা প্রদান করতে পারে কিনা সে সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে।
শুক্রবার টেক্সাসের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান স্টিভেন ম্যাকক্র বলেছেন, বন্দুকধারী এক ব্যক্তিগত বার্তায় এই হুমকিমূলক মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: টেক্সাসে স্কুলে বন্দুক হামলা, ১৯ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২১
তিনি বলেছেন, ‘তদন্তের প্রথম দিকে যা বলা হয়েছিল আমি তা সংশোধন করতে চাই। হামলাকারী প্রকাশ্যে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন যে তিনি হত্যা করতে চলেছেন, তিনি তার দাদীকে গুলি করতে চলেছেন এবং দ্বিতীয়ত তারপর তিনি গুলি করেছিলেন। তৃতীয়ত তিনি একটি স্কুলে গুলি চালিয়েছেন। এই ঘটনা ঘটেনি?’
ফেসবুক ইতোমধ্যে বুধবার উল্লেখ করেছে যে হুমকিগুলি সরাসরি বার্তায় ছিল, কোনও পাবলিক পোস্ট নয়।
১৮ বছর বয়সী সালভাদর রামোস কাকে বার্তা পাঠিয়েছেন ম্যাকক্র তা বলেননি।
তিনি শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, রামোস তার বোনকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে একটি বন্দুক কিনতে সাহায্য করতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ কীভাবে সেই অনুরোধ জানতে পেরেছে তা তিনি বলেননি।
ম্যাকক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রামোসের আরও চারটি ব্যক্তিগত বার্তার কথা জানান।
২৮ ফেব্রুয়ারি চার ব্যক্তির সঙ্গে চ্যাটে রামোস যে একজন স্কুল শ্যুটার- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
১ মার্চ চ্যাটে রামোস একটি বন্দুক কেনার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।
৩ মার্চ চ্যাটে, অন্য একজন বলেছিলেন ‘শুনতে পেলাম যে আপনি একটি বন্দুক কিনছেন।’ ম্যাকক্র বলেন, রামোস উত্তর দিয়েছিলেন, ‘কিনেছি’।
১৪ মার্চ অন্য একজন অনলাইন ব্যবহারকারী রামোসকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কি স্কুল বা অন্য কোথাও গুলি করতে যাচ্ছেন?’। রামোস উত্তর দিয়েছিলেন, ‘না , প্রশ্ন করা বন্ধ করুন এবং আপনি দেখতে পাবেন।’
ম্যাকক্র সেই চ্যাটগুলির অন্তর্ভুক্ত অন্য কারোর পরিচয় প্রকাশ করেননি।
আরও পড়ুন: ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদস্যকে গুলি করে হত্যা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক চায় পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ওয়াশিংটনে মুদি দোকানে বন্দুক হামলায় নিহত ১
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে একটি মুদি দোকানে বন্দুক হামলায় একজন নিহত ও আরও একজন আহত হয়েছেন। সোমবার ওয়াশিংটনের রিচল্যান্ডের ফ্রেড মেয়ার স্টোরে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। পরে জরুরি নম্বরে ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তবে এর আগেই হামলাকারী পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, বন্দুক হামলাকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম অ্যারন ক্রিস্টোফার কেলি (৩৯)। দেশটির পুলিশ কর্তৃপক্ষ হামলাকারীকে খুঁজছে।
রিচল্যান্ড পুলিশ কমান্ডার ক্রিস লি বলেছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি গুলি চালানোর পরে দোকান থেকে পালিয়ে গেছে। তবে সে পায়ে হেঁটে নাকি গাড়িতে করে পালিয়েছে এখনও তা জানা যায়নি।
রিচল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান ব্রিজিট ক্ল্যারি বলেছেন, বন্দুক হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পাশাপাশি দুজন ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের একজন পুলিশ আসার আগেই মারা যান, অন্যজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহত ব্যক্তির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তার শারিরীক অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড: করোনা বিরতির পর আবার বিচার শুরু
হামলার শিকার দুজনই শেতাঙ্গ আমেরিকান। তাদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দোকানটির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গুলি করার আগে সন্দেহভাজন এবং নিহত ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন হয়েছিল। তবে কি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছিল তা জানা যায়নি এবং তারা দুজন একে অপরকে চিনত কিনা তাও জানা যায়নি।
পুলিশ প্রধান জানান, আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করব আমরা। একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশ বিভাগকে অনুসন্ধান ও তদন্তে সহায়তা করছে।
ফ্রেড মায়ার কর্তৃপক্ষ এক টুইটে বলেছেন যে তারা গভীরভাবে দুঃখিত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তারা সবধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছেন।
আরও পড়ুন: গভীর কুয়ায় আটকা পড়া মরক্কোর শিশুটি মারাই গেল
কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
উখিয়া ও টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২: অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে র্যাব ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশি অস্ত্র, একটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধারের দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে লুৎফর রহমান (৩৮) এবং টেকনাফ জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বশির আহমদের ছেলে হাশেম উল্লাহ (৩৩)।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব টেকনাফ ক্যাম্পে দায়িত্বরত এএসপি বিমান কুমার কর্মকার জানান, ১৬ জুলাই ভোররাতে টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতদল র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
আরও পড়ুনঃ সাহিনুদ্দিন হত্যা: কথিত বন্দুকযুদ্ধে আসামি নিহত
বিমান কুমার বলেন, এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে র্যাব বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ আহত এক রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দিকে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আল আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকায় চিংড়ী ঘেরে মাদককারবারী ও বিজিবির সাথে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে লুতু নামে এক মাদক কারবারী ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বন্দুক দিয়ে মাথায় গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা
কুড়িগ্রাম, ২৮ আগস্ট (ইউএনবি)- কুড়িগ্রাম সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সেলিম জাহাঙ্গীর (৩৮) নিজের ইস্যু করা সরকারি বন্দুক মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।