কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে র্যাব ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশি অস্ত্র, একটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধারের দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে লুৎফর রহমান (৩৮) এবং টেকনাফ জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বশির আহমদের ছেলে হাশেম উল্লাহ (৩৩)।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব টেকনাফ ক্যাম্পে দায়িত্বরত এএসপি বিমান কুমার কর্মকার জানান, ১৬ জুলাই ভোররাতে টেকনাফের জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতদল র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
আরও পড়ুনঃ সাহিনুদ্দিন হত্যা: কথিত বন্দুকযুদ্ধে আসামি নিহত
বিমান কুমার বলেন, এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে র্যাব বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ আহত এক রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দিকে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আল আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকায় চিংড়ী ঘেরে মাদককারবারী ও বিজিবির সাথে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে লুতু নামে এক মাদক কারবারী ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।