আইএফসি
পোশাক খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন: আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্প ও টেকসই ব্যবসার জন্য পোশাক খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়াইনেন।
তিনি লিঙ্গ সমতার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক খতে আমার ভাল অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি। খাতটিকে আরও টেকসই উন্নয়নে লিঙ্গ সমতা, নারীর দক্ষতা ও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।’
পোশাক শিল্পে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব ও দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস: অ্যাডভান্সিং উইমেন লিডারশিপ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রোডাক্টিভিটি ইন দ্য সাপ্লাই চেইন’- শীর্ষক অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) পরিচালিত ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নস’ বা গিয়ারের উদ্যোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত গিয়ার উদ্যোগটি ২০১৬ সাল থেকে ৮০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যার মধ্যে ৫২৮ জন সুপারভাইজরের ভূমিকায় উন্নীত হয়েছেন।
গিয়ার পোশাক খাতের নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদের কর্মজীবনে নেতৃত্বমূলক পদে যেতে সহায়তা করে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, গিয়ারের ফলে শ্রমিকদের লাইন দক্ষতা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের থেকে নারীরা ৩৯ শতাংশ বেশি মজুরি পান গিয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে।
বাংলাদেশের জন্য পোশাক খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেখানে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ কাজ করেন। এই খাতে কর্মরত ৫৫ শতাংশই নারী। যাদের মাত্র ৫ শতাংশ সুপারভাইজর বা নেতৃত্বদানকরী ভূমিকায় আছেন। যে পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করছে গিয়ার।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বাহ্যিক বিষয়গুলোর সঙ্গে বাণিজ্যকে জটিল না করার আহ্বান বিজিএমইএর
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কারখানার মালিক, ক্রেতা, উন্নয়ন অংশীদার, জাতিসংঘ সংস্থা ও সুশীল সমাজসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজেন একটি অন্তভুক্তিমূলক পোশাক খাত তৈরিতে।
বাংলাদেশে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘গিয়ারেরমত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এখানে লিঙ্গ সমতার অগ্রগতি অনেককে অনুপ্রাণিত করছে।’
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাচে লীনা খান বলেন, ‘গিয়ার প্রোগ্রামে যারা অংশ নিয়েছেন তারা নিজের উন্নতির পাশাপাশি ব্যবসায়েরও উন্নতি করছেন। পোশাক শিল্পে কর্মীদের অধিকার উন্নত করতে এবং খাতটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সরকার, মালিক, শ্রমিক ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রোগ্রামটি খুব ভালভাবে কাজ করছে।’
অনুষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্পের জন্য কৌশলগত আলোচনা, সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং নীতি বিষয়ক একটি আলোচনার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
গিয়ার প্রোগ্রামের অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে পরিচালিত একটি ফ্যাশন শো দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
১ বছর আগে
ব্র্যাক ব্যাংককে বাণিজ্য অর্থায়ন, চাকরি সংরক্ষণে সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন ডলার দিল আইএফসি
ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডকে কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগকে (এসএমই) সহায়তার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করছে।
এই বিনিয়োগটি চাকরি সংরক্ষণে অবদান রাখতে এবং ব্যাংকের এসএমই আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক গ্রাহকদের কার্যকরী মূলধন এবং বাণিজ্য অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তাকে সহযোগিতার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য আনবে।
আইএফসি বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে প্রাইম ব্যাংকের অনুরূপ ঋণের সঙ্গে এই বিনিয়োগটি বাজারে একটি ইতিবাচক সংকেত পাঠাবে এবং স্থানীয় ব্যাংক ও এসএমইগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার অর্থায়নের চাহিদাকে সমর্থন করার জন্য অতিরিক্ত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইএফসি’র ৩২.৫ মিলিয়ন ডলার
অর্থায়ন প্যাকেজটি চলমান জনস্বাস্থ্য সংকটের সময় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করার জন্য আইএফসি’র ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈশ্বিক কোভিড-১৯ প্রথম অগ্রাধিকার অর্থায়ন সুবিধার অংশ। এই নতুন বিনিয়োগটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সলিউশনস (ডব্লিউসিএস) প্রোগ্রামের অধীনে আসে, যা উদীয়মান-বাজারের ব্যাংকগুলোকে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করছে, তাদের সংগ্রামী সংস্থাগুলোকে সমর্থন করতে সক্ষম করে।
এই প্রকল্পটি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাইভেট সেক্টর উইন্ডো ব্লেন্ডেড ফাইন্যান্স ফ্যাসিলিটি দ্বারাও সমর্থিত হবে, যা আইএফসি’র ডব্লিউসিএস প্রোগ্রামে সহায়তা প্রদান করছে।
ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক এবং দেশের একমাত্র এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সেলিম আরএফ হুসেন বলেছেন, ‘আমাদের এসএমই এবং কর্পোরেট গ্রাহকরা কোভিড-১৯ এর বিঘ্নিত প্রভাব থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার অপর্যাপ্ত প্রাপ্যতা তাদের নিয়মিত ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে’।
আরও পড়ুন: খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় আইএফসি’র ৬০০ কোটি ডলারের অঙ্গীকার
কোভিড-১৯ মহামারির পর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, যা ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাসহ একাধিক কারণেও প্রভাবিত হয়েছে।
আইএফসি-এর দক্ষিণ এশিয়ার পোর্টফোলিও ম্যানেজার জুন ইয়ং পার্ক বলেছেন, ‘আইএফসি বাংলাদেশের মতো রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতিতে ব্যাংকিং খাতকে সহায়তা করছে, যেগুলো বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিকূলতার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে’।
‘আইএফসি বাংলাদেশের প্রধান ব্যাংকিং অংশীদারদের অবিচল সহযোগিতা প্রদান চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে যাদের উল্লেখযোগ্য এসএমই পোর্টফোলিও রয়েছে, যেমন ব্র্যাক, যাদের সঙ্গে আইএফসি গত ১৯ বছরে ইক্যুইটি এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
আইএফসি ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে।, যার ফলে দেশের নাগরিকদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এবং কোভিড-১৯ সংকটের শুরু থেকে আইএফসি বাংলাদেশের ব্যাংক ও কোম্পানিগুলোকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সলিউশন এবং তারল্য সহায়তায় ৩৬০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের জন্য আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান বলেন, ‘মহামারির প্রভাবের সঙ্গে লড়াই করার দীর্ঘ তিন বছর পর, বাংলাদেশে ব্যবসাগুলো চ্যালেঞ্জিং বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। ‘বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার প্রচেষ্টা এবং একটি স্থিতিস্থাপক মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: আইএফসি’র সঙ্গে পিপিপি’র চুক্তি স্বাক্ষর
১ বছর আগে
খাদ্য অনিরাপত্তা মোকাবিলায় আইএফসি’র ৬০০ কোটি ডলারের অঙ্গীকার
বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতের শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) খাদ্য অনিরাপত্তা সংকট মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সক্ষমতা জোরদার এবং খাদ্য অস্থিতিশীলতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে উৎপাদন সহায়তার জন্য নতুন এক ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থায়ন সুবিধা চালু করেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থায়নের একটি মূল অংশ টেকসই উৎপাদন ও খাদ্য মজুদ সরবরাহে সহায়তা করা হবে। আর এই অর্থায়ন নতুন গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
এই অর্থ আইএফসি’র খাতগুলোকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য মূল্য শৃঙ্খলে বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে। আর আইএফসি’র দক্ষতা রয়েছে এরকম খাতগুলো হচ্ছে-কৃষি ব্যবসা, উৎপাদন, অবকাঠামো, প্রযুক্তি, সেইসাথে আর্থিক খাত ও বাণিজ্য অর্থায়ন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ করতে হবে: ইফাদ প্রধান
আইএফসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাখতার দিওপ বলেন, ‘সাপ্লাই চেনকে শক্তিশালী করে এবং জনগণের সাশ্রয়ী মূল্যের খাদ্যের প্রবেশাধিকার রয়েছে ও তা বৃদ্ধি করতে পারার বিষয়টি নিশ্চিত করে এই উদ্যোগটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে স্থিতিস্থাপক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।’
ইউক্রেনের যুদ্ধ ও কোভিড মহামারি থেকে একটি অসম বৈশ্বিক পুনরুদ্ধার ক্ষুধা ও অপুষ্টির ক্রমবর্ধমান মাত্রা যোগ করেছে, যা ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান তীব্র আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর দ্বারা আরও খারাপ হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে এবং ফলন হ্রাস পাচ্ছে।
প্ল্যাটফর্মটি খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের তিন হাজার কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিকে পরিপূরণে সহায়তা করবে। কারণ আইএফসি অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ফাউন্ডেশন, ব্যাংকের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি।
আরও পড়ুন: এশিয়ায় খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ১৪ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৬০০ কোটি ডলার সহায়তার লক্ষ্য হবে খাদ্য পণ্যের বাণিজ্য সহজতর করা, কৃষকদের ইনপুট সরবরাহ করা, ইউক্রেনসহ প্রধান উৎসগুলোকে দক্ষ উৎপাদন সমর্থন করা ও গন্তব্য দেশগুলোতে খাদ্য পণ্যের কার্যকর বিতরণ করা। এই অর্থ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে এবং এর জলবায়ু ও পরিবেশগত পদচিহ্ন কমাতে সহায়তা করবে।
এর মধ্যে রয়েছে কার্যকর শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সারের প্রবেশাধিকার উন্নত করা, সার উৎপাদন ও ব্যবহারকে পরিবেশবান্ধব করা, ফসলের ক্ষতি ও খাদ্যের অপচয় কমানো, সাপ্লাই চেনের দক্ষতা উন্নত করা এবং অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা প্রশমন করা।
আইএফসি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য। যা বাংলাদেশসহ উদীয়মান বাজারে বেসরকারি খাতের ওপর নজর রাখা বৃহত্তম বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। ২০২২ অর্থবছরে আইএফসি উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেসরকারি কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য রেকর্ড তিন হাজার ২৮০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার তৈরির আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
২ বছর আগে
আইএফসি’র সঙ্গে পিপিপি’র চুক্তি স্বাক্ষর
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ) শনিবার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সঙ্গে ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালকে সজ্জিত, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ’ বিষয়ে একটি ‘লেনদেন উপদেষ্টা পরিষেবা চুক্তি’ স্বাক্ষর করেছে।
পিপিপিএর সিইও মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও আইএফসি’র ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার মিসেস নুজহাত আনোয়ার তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
একই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান আইএফসি’র ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে ‘লেটার এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও পিপিপিএ’র চেয়ারম্যান ড. আহমদ কায়কাউস এবং নৌ পরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের প্রথম ট্রায়াল জাহাজ মোংলা বন্দরে
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর: ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে একাধিক সহযোগিতা চুক্তির সম্ভাবনা
২ বছর আগে
আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশে দ্বিগুণ বিনিয়োগ করা হবে: আইএফসি
বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হেক্টর গোমেজ আং বলেছেন, আইএফসির লক্ষ্য হলো কর্মসংস্থানের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করা। দেশের টেকসই পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করা এবং সবুজ প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে নতুন এই বিনিয়োগ করা হবে।
বৃহস্পতিবার পাঁচ দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে হেক্টর গোমেজ আং এসব কথা বলেন। সফরকালে তিনি ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, থিংক ট্যাংকস, সম্ভাব্য নতুন গ্রাহক এবং অন্যান্য মূল অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জ্বালানি এবং জ্বালানি সঞ্চালন এবং করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নীত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সাশ্রয়ী আবাসন আইএফসির বিনিয়োগের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন আং।
গোমেজ আং বলেন, ‘আইএফসি জ্বালানি বৈচিত্র্য উৎসাহিত করে এবং ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ২০ শতাংশের বেশি বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়তা করেছে। আমরা জ্বালানির মিশ্র্রণ এবং সঞ্চালনের ক্ষেত্রে আরও কাজ করতে চাই, এবং এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, সবুজ, সাশ্রয়ী আবাসনে নতুন সুযোগ অনুসন্ধান করতে চাই।’
আরও পড়ুন: ঢাকা ও মস্কো লেনদেন-বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করছে: রুশ রাষ্ট্রদূত
তিনি আরও বলেন, ‘একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বাসযোগ্য ঢাকা দিয়ে শুরু হবে এবং আমরা সাশ্রয়ী আবাসন খাত উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ)এর সঙ্গে এক বৈঠকের পর দেয়া বক্তব্যে গোমেজ আং বাংলাদেশকে উচ্চাকাঙ্খা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে আরও বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। সুতরাং টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এবং বহিস্থ: বাণিজ্যিক ঋণের দিকে নজর দেয়া অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা খুবই আশাব্যঞ্জক হয়েছে এবং আমরা ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য উম্মুখ।’
গোমেজ আং বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধিতে এবং উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ওপর জোর স্ক্যান্ডিনেভিয় রাষ্ট্রদূতদের
বিগত বছরগুলোতে আইএফসির বিনিয়োগ বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে এবং সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। এসব উদাহরণের মধ্যে রয়েছে বিকাশ, চালডাল, ট্রাক লাগবে এবং সিটি ব্যাংকে ইক্যুইটি বিনিয়োগ; যা মহামারির সময়ে ডিজিটাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করেছে। করোনা মহামারি বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোর গুরুত্ব অনুধাবনে সাহায্য করেছে, যেটি আইএফসি চিহ্নিত অপর একটি বিনিয়োগ ক্ষেত্র।
এসময় গোমেজ আং এর সঙ্গে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য আইএফসি-র নবনিযুক্ত কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টমান এবং আইএফসির উর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
মার্টিন হল্টমান বলেন, ‘আইএফসি এদেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে করোনা মহামারির প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে। মহামারির প্রথম ১৮ মাসে আমরা ব্যবসায় সহায়তা করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি। এসব বিনিয়োগ ব্যবসা সচল রাখতে, রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে৷ আমরা আগামী জুনে সমাপ্য চলতি অর্থবছরের মধ্যে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
২০১০ সাল থেকে আইএফসি বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে প্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। আগামী পাঁচ বছরে আইএফসির লক্ষ্যমাত্রা বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় খাতে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ কর্মসূচি, যার মধ্যে রয়েছে হালকা প্রকৌশল, অর্থনৈতিক অঞ্চল, আর্থিক ও পুঁজিবাজার এবং প্রবৃদ্ধি-সক্ষম টেকসই অবকাঠামো। এবছর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপন করছে। বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে বেসরকারি খাতে উৎসাহ দিতে আইএফসি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান প্রত্যাবাসনে নিহিত: পররাষ্ট্র সচিব
২ বছর আগে
বন্ড, ঋণ মার্কেট বিকাশে আইএফসিকে সহযোগিতার আহ্বান
আন্তর্জাতিক বাজারে বন্ড ও অন্যান্য ঋণ মার্কেট বিকাশে বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
৪ বছর আগে
আইএফসি ও ওমেরা পেট্রোলিয়ামের ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চুক্তি
বিশ্বব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার জন্য ওমেরা পেট্রোলিয়ামের সাথে এক বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
৪ বছর আগে
সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে আইএফসির সাথে চুক্তি
কুষ্টিয়া জেলায় ৩৫-৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সহায়তার জন্য টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) সাথে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য আইএফসি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
৪ বছর আগে