দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে ছয় লাখ ২১ হাজার ২৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসময় মারা গেছে ৪২৯ জন রোগী।
সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর মধ্যবর্তী ব্যবধান বিবেচনা করে আগামী সপ্তাহগুলোতে মৃত্যু আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে দেশটির বিশেষজ্ঞেরা।
গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে দেশটিতে ৭৪ লাখেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ লাখের বেশি।
ওমিক্রনের বিস্তার সরকারি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পূর্বাভাসের চেয়েও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মহামারির বিস্তার নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগ কমাতে বলেছেন, ওমিক্রন টিকা নেয়া লোকদের জন্য মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে বেশি মারাত্মক নয় এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারির শুরুতে দেশে মারাত্মক আঘাতকারী ডেল্টা স্ট্রেনের চেয়ে কম বিপজ্জনক।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ওমিক্রন ঢেউ শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অনেক ইউরোপীয় দেশের চেয়ে জনসংখ্যার আকারের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়াতে এখনও করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। কর্মকর্তারা এ জন্য টিকার সফলতার কথা জানিয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশেরও বেশি বুস্টার ডোজ নিয়েছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে অবমূল্যায়ন করেছেন। ডেল্টার চাপে বিপর্যস্ত হাসপাতাল ও এর কর্মীরা করোনার নতুন কোনো বড় ঢেউয়ে কিভাবে চাপ সামলাবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আগেই তা ভাবা উচিত ছিল।
সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ শিথিল করে জনসাধারণের কাছে ভুল বার্তা পাঠানোর জন্য সরকারের সমালোচনা করে বিশেষজ্ঞেরা। কারণ এতে জনসাধারণের মনে ধারণা জন্মে যে ওমিক্রন একটি হালকা বিষয়।
কোরিয়ার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লি সাং-উন একটি ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তাদের আশঙ্কার চেয়েও বড় ওমিক্রন বিস্ফোরণের জন্য ‘ক্ষমাপ্রার্থী’।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন