লুণ্ঠন
যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘দেশে লুণ্ঠনের রাজনীতি তৈরি হয়েছে। যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত।’
মঙ্গলবার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে কৃষক সম্প্রদায় নিয়ে জাপা'র সহযোগী সংগঠন জাতীয় কৃষক পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির মধ্যে বিরাজমান বাস্তবতাকে তুলে ধরার আগে মৌলিক গণতান্ত্রিক আদর্শ তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, দেশ সঠিকভাবে না চললে দেশের জনগণ আবারও নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি বদল করবে।
তিনি বলেন, জনগণই দেশের সম্মিলিত মালিক এবং তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কে শাসন করবে এবং কীভাবে তাদের ভোটাধিকার চর্চা করবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারও দয়ায় নয়, আমরা জনগণের ভালোবাসায় ক্ষমতায় আসতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণই দেশের মালিক এবং তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কার দ্বারা এবং কীভাবে দেশ পরিচালনা করা হবে।’
আড়ও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে যারা দেশের জন্য ভাল কাজ করতে চায় তারা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান তার ভাইয়ের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দলের সভাপতি হিসাবে তার কার্যক্রমে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন।
সব খালি জমি কৃষির আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘পুলিশ সামান্য টাকার জন্য কৃষকদের হয়রানি করছে। কৃষকদের বাঁচাতে সরকারকে যে পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া দরকার তা দেয়া উচিত।’
জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি সহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষক পার্টির অন্যান্য নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
১ বছর আগে
বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে সরকারের ব্যাপক লুণ্ঠন প্রকাশ পেয়েছে: বিএনপি
সারাদেশে ‘নজীরবিহীন’ লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারকে নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, এতে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে সরকারের ব্যাপক লুণ্ঠন প্রকাশ পেয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট এখন প্রকাশ পেয়েছে। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের লুণ্ঠনের অভয়ারণ্য হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত। সে কারণে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুতের আসল চিত্র ফুটে উঠেছে।’
রবিববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনসাধারণের জন্য একটি ভয়ানক বিপদে পরিণত হয়েছে, যা মানুষকে হতাশায় ফেলেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ (রবিবার) যখন বাড়ি থেকে আসছিলাম, তখন অন্য দিনের মতো রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ লোডশেডিং চলছিল।’
তিনি বলেন, ‘লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বড়াই করেছেন। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কঙ্কাল জীবন্ত হয়ে এখন জাদুঘর থেকে এসে নৌকায় উঠে(আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক) নাচানাচি করছে।’
রিজভী বলেন, ‘জবাবদিহিতা না থাকলে উন্নয়ন হয়ে পড়ে ফাঁপা, যা হাইড্রোজেন বেলুনের মতো বাতাসে উড়ে যাবে। এ কারণে দেশ এখন ভয়াবহ লোডশেডিং দেখছে।’
আরও পড়ুন: ত্রয়োদশ সংশোধনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা পেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল জনগণের টাকা লুটপাট করা এবং ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট কোম্পানিগুলোকে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে বিপুল অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি করে দেয়া। এজন্য তারা একটি আইন প্রণয়ন করে তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে।’
ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, কমিশন মূলত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত ও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন; যেমন তারা (ইসি) মূলত প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই করবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভয়ংকর স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের অবস্থান পরিষ্কার যে বর্তমান সরকার ও ইসির অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি যোগ দেবে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে চায়: বিএনপি
২ বছর আগে
র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, রক্ষা করে: মুখপাত্র
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে তাদের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, মানবাধিকার রক্ষা করে।’
কমান্ডার মঈন বলেন, র্যাবের ৯ হাজার সদস্যের মধ্যে অন্তত ২৮ জন বিভিন্ন অপারেশনে নিহত এবং দুই হাজার সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত এক হাজার সদস্য চিরস্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, র্যাবের ধারাবাহিক তৎপরতার কারণে বাংলাদেশ জঙ্গি ও সুন্দরবনের জলদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আইজিপিসহ র্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
তিনি আরও বলেন, র্যাব বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও বনদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ও তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমরা এখনও কোনো চিঠি পাইনি। এ বিষয়ে অফিসিয়াল চিঠি পাওয়ার পর আমরা পদক্ষেপ নেব।’
তিনি বলেন, কারও পক্ষেই আইনের ঊর্ধ্বে ওঠার সুযোগ নেই। র্যাব যেহেতু অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী তুলনায় অনেক বেশি কঠোর, তাই র্যাবের কোনো কর্মকর্তা আইন লঙ্ঘন করলে তার আরও কঠোর সাজা হয়।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ও ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে দেশটির ট্রেজারি বিভাগ র্যাব, বেনজির আহমেদ ও অন্য ছয় কর্মকর্তাকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
আরও পড়ুন: সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ ছাড়াও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্যরা হলেন-র্যাব ইউনিট-৭ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।
২০১৮ সালের কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ এর ঘটনাটি উল্লেখ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এ কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নির্বাহী আদেশ (ইও) ১৩৮১৮ জারি করা হয়েছে। এর মানে হলো দেশটিতে এ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পত্তি থাকলে তা জব্দ করা হবে। এ প্রথম বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইজিপিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখান ঢাকার
৩ বছর আগে