শ্রম আইন
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইনের ৫ মামলা বাতিলের রায় বহাল
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালতে করা পাঁচ মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক, আর ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান।
রায়ের পর মুস্তাফিজুর রহমান খান জানান, শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের নামে করা পাঁচটি মামলা গত অক্টোবরে বাতিল করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই: ড. ইউনূস
এ মামলাগুলো বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে গত ২৪ অক্টোবর পৃথক রায় দেয় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে মামলাগুলোর কার্যকারিতা বাতিল করা হয়। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যেটি আজ খারিজ করল আপিল বিভগ।
২০১৯ সালের ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের নামে মামলা করেন তারই প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী- আব্দুস সালাম, শাহ আলম ও এমরানুল হক। একই বছর হোসাইন আহমেদ ও আব্দুর গফুর নামে আরও দই ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এসব মামলা বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস। তখন হাইকোর্ট মামলা বাতিলে রুল জারি করেন। এরপর পৃথক শুনানি শেষে গত ২৪ অক্টোবর রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: ড. ইউনূস
১ সপ্তাহ আগে
শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত চলে।
আরও পড়ুন: আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চলছে শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। সেগুলোর মধ্যে আজ প্রায় আড়াই ঘণ্টায় ১৭টি পয়েন্ট নিয়ে কথা হয়েছে। আরও ২৪টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো নিয়ে সোমবার আলোচনা করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম আইনের সংশোধন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কিছু পরামর্শ আছে। সেগুলো কতটা আমাদের দেশের স্বার্থে যৌক্তিক, সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা কোনটা গ্রহণ করতে পারব, কোনটা গ্রহণ করতে পারব না, সেক্ষেত্রে কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আবার এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে।
আলোচনা কতটা সন্তোষজনক জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জায়গায় নিশ্চয়ই সন্তোষজনক। বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।
এতে আইন ও বিচার বিভাগ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ছাড়া বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: আইন প্রণয়ণের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের জরিমানার অংক বাড়ানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী
৭ মাস আগে
শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে করলে ভালো হয় বলে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলও-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা শ্রম আইনের যে সংশোধন, সেটার বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে সংশোধনীর কথা হয়েছিল, সেখানে কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে আইএলও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, জেনেভা থেকে আইএলও- এর চারজনের একটি টিমও আজকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকে শ্রম আইনের প্রায় প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, শ্রম আইনটা পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে পাস করার জন্য। কিন্তু আইএলও প্রতিনিধিদল বলেছেন, তারাহুড়ো না করে, আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে।
আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, আইএলও’তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ ঝুলে আছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না।
তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। এই আইনের কিছু কিছু বিষয় আছে, তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। তাই আমরা দুইটি সিদ্ধান্তে এসেছি।
একটা হচ্ছে এই মিটিং আবারও অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে আইএলও-এর উদ্যোগে একটা অংশীজনদের ফ্যাসিলিটি মিটিং হবে। সেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য আছে- সেগুলো আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা বলছেন, ‘সি ম্যান’ এর নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ারার’ নাম করা। ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের ওয়ার্কার বলা।
তিনি বলেন, একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদের ওয়ার্কার বলতে হবে, আমি সেটা নাকচ করে দিয়েছি।
আমি বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদের আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে, তাদের ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে, আমরাও চাই না।
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
তিনি বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশ হবে শুধু তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। সকল শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
১০ মাস আগে
সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই (সংসদে) উঠবে, অবশ্যই পাস হবে।’
আরও পড়ুন: দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, “আইএলও’র গভর্নিং বোর্ডের মিটিং আগামী মার্চে হবে। আমাদের যে অগ্রগতি ও এই শ্রম আইনের ব্যাপারে কী সব কাজ করছি তার একটা ব্রিফিংয়ের জন্য আজকের মিটিংটা ছিল।”
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। মন্ত্রণালয়কে তিনি কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন তারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করার পরই সবকিছুর আলোচনা আপনাদের সঙ্গে করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আমি আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারব না।’
আরও পড়ুন: দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়েও আজকে আমরা আলোচনা করেছি। এখানেও যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন এনেছি, আমি খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করব।’
স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করা আপনারা যৌক্তিক মনে করছেন কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘শ্রমিকরা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য সেটাই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
১০ মাস আগে
টাইপিংয়ে ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন ফেরত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করে এমন টাইপিং ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন রাষ্ট্রপতি ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মন্ত্রী।
এছাড়া নির্বাচনের পর যখন নতুন সংসদ বসবে, তখন সেই ত্রুটি সংশোধন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না, রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, কথা হচ্ছে, শ্রম আইনটা পাস করার আগে এটি যখন সংসদে যায়, তখন একটা ত্রুটি ছিল। দেখা গেছে, এটা অন্য কোনো ত্রুটি না, এটা টাইপিংয়ের ত্রুটি।
সেটা হচ্ছে, একজায়গায় শ্রমিকদের সঙ্গে যদি মালিকরা বেআইনি আচরণ করেন, তাহলে তাদের জন্য একটি সাজার কথা আইনের মধ্যে আছে।
সেটা একটু মিসপ্লেস হয়ে গিয়েছিল। যেটা ২৯৪-এর ১ ধারা হওয়ার কথা ছিল, সেটা সেরকম না হয়ে, অন্যরকম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, অনেকগুলো বিল খুব তাড়াতাড়ি পাস হয়েছিল গত সংসদে। সে কারণে এ ভুলটা পরে ধরা পড়েছে। যে কারণে শ্রম মন্ত্রণালয় জিনিসটা রাষ্ট্রপতির কাছে সইয়ের জন্য গেছে, তখন এটা যেহেতু পরিলক্ষিত হয়েছে যে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়ে যেতে পারে, সেজন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ভুলের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সই না করে জাতীয় সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটি সংসদে পাস হয়ে গেছে এবং এই জায়গাটুকু সংশোধন করতে হবে। এই সংশোধনের জন্য আইনটি আবার সংসদে যেতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, তার মানে হচ্ছে, যেহেতু এখন তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে এবং বর্তমান সংসদের আর অধিবেশন হবে না, সেহেতু নির্বাচনের পর যে নতুন সংসদ বসবে, সেখানে এটা উপস্থাপন করা হবে এবং ভুল সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা হবে।
সরকার যখন দেখতে পেল যে শ্রমিকদের যে অধিকার দেওয়া হয়েছিল, তাতে কিছু ত্রুটি হয়ে গেছে এবং সেটা শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করবে, এজন্য সরকার এটা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে জানিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি তার আইনি বিচারে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন এটা জাতীয় সংসদে পাঠানোর জন্য আবার সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
আইনটি কি দ্বাদশ সংসদে আবার উঠবে, নাকি মন্ত্রিসভায় পুনর্বিবেচনা করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইনটি এখন সংসদে আছে। যে ত্রুটিটা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের সময় সঠিক ছিল, ভুলটা পরে হয়েছে। এ কারণে এটি মন্ত্রিসভায় যাওয়ার দরকার পড়বে না। এ কারণে নতুন সংসদে সংশোধনী হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আইনটিতে মালিকদের কিছু আচরণের ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। বলা আছে, কোনো মালিক কোনো বেআইনি লকআউট শুরু করলে কিংবা চালিয়ে গেলে, অথবা তা এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো কাজ করলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই সাজাটা ছিল পাঁচ হাজার টাকা, কিন্তু এটা ২০ হাজার টাকা করেছি। এখানেই ত্রুটিটা হয়ে গেছে। এই ত্রুটি যখন শ্রম মন্ত্রণালয় ধরতে পেরেছে, তখন এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতি এটিকে ফেরত দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০০৬ সালের শ্রম আইনে দুটি উপধারায় বেআইনি শ্রমিক ধর্মঘট এবং মালিক-পক্ষের বেআইনি লকআউটের ক্ষেত্রে যে শাস্তি ছিল, তার কিছুটা সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়।
ওই আইনে কোনো শ্রমিক কোনো বেআইনি ধর্মঘট করলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড, অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো মালিকও কোনো বেআইনি লকআউট করলে ঠিক একই শাস্তির মুখোমুখি হবেন বলে আইনি বিধান করা হয়।
এবার আইনটির যে সংশোধনী প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে, সেখানে শ্রমিকদের বেআইনি ধর্মঘটের ক্ষেত্রে জরিমানা পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়। কিন্তু মালিকদের ক্ষেত্রে জরিমানা আগের মতই পাঁচ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
অপরাধ করায় বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
শ্রম আইনের সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে: বাণিজ্য সচিব
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও শ্রম আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন নিয়ে সোমবার সভা করেছি। আমাদের কতটা অগ্রগতি হয়েছে এবং আগামীতে আরও কী করতে হবে, তা নিয়েই কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে যেহেতু স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে, সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা অন্য দেশগুলো বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু অঙ্গীকার দেখতে চায়, সেগুলো বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা করেছি।
বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ সেখানেও সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল। তাদের চাওয়াগুলো পূরণ করার জন্য এসব সংস্কার এনেছিলাম।
তিনি বলেন, গেল ১০ বছরে আমরা অনেক সংস্কার এনেছি। যে কারণে শ্রম আইনে তিনবার সংস্কার আনা হয়েছে। চারবার ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের শিল্পায়নের কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার নিয়েও সোমবার কথা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
কোথায় কোথায় সমস্যা আছে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের বাণিজ্যে যারা বড় অংশীদার, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২৫ বিলিয়ন ডলার আমরা রপ্তানি করি। শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করলেও সেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই না। বরং পৃথিবীর মধ্যে বলা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রে আমরা অনেক বেশি শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করছি। কিন্তু তাদের কিছু দাবি আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনগুলো অনুমোদন করেছি, সে অনুযায়ী আমাদের শ্রম আইনে একটা ন্যূনতম থ্রেশহোল্ড আছে, একটি কারখানায় মোট শ্রমিকের ২০ ভাগ সদস্য যদি সংগঠন করতে চায়, তাহলে সেটা করতে পারবে। এটাকে ১০ শতাংশ করার দাবি তারা করেছিল, আমরা ১৫ শতাংশ করে দিয়েছি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বেপজা আইনের ক্ষেত্রে সংগঠন করার অধিকার আছে, কিন্তু আমরা সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন বলি না, আইনে সেটাকে বলা হয়েছে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে তারা বলে যে ট্রেড ইউনিয়ন প্রবর্তন করতে হবে। বিষয়টি প্রায় একই। এখনও সংগঠন হচ্ছে, তখনও সংগঠন হবে। কিন্তু নামটি যেন শ্রম সংগঠন হয়। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বেপজা আইনটা সংশোধন করা হবে। সংশোধনটা কীভাবে হবে, সেটা সব অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, শ্রম আইনে মোটাদাগে দুটি জিনিস তারা দাবি করেছে। তারা চাচ্ছে বেপজাতে শ্রম সংগঠন করার অধিকার দিতে আর থ্রেশহোল্ডটা কমিয়ে আনা অর্থাৎ শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সমঝোতায় যেসব ইস্যু ছিল, সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিকী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, সেটা কিন্তু সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে। সর্বশেষ ১২ থেকে ১৬ নভেম্বর একটা উচ্চ পর্যায়ের দল ঢাকায় এসে সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আর বাংলাদেশ যে সংস্কারগুলো নিয়ে এসেছে, সেগুলোর প্রশংসাও করেছেন।
সচিব বলেন, তারা বলেছেন আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন তাদের চাওয়াগুলো আরও বেশি বাস্তবায়ন দেখতে চান। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশ যেহেতু শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়, সেহেতু তাদের চাওয়াগুলোকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশ যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যায়।
তপনকান্তি বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল এই পাঁচ বছর মেয়াদি। সেক্ষেত্রে কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে, কিছু বাস্তবায়ন হয়নি।
বেপজা আইনের সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশীজন যারা আছে, বিদেশি বিনিয়োগকারী সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। এরইমধ্যে বেপজা আইনে অনেকগুলো সংশোধন আনা হয়েছে। এখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে, বিশেষ করে আইএলও আইনে ত্রিপক্ষীয়ভাবেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটাও সরকার, শ্রমিক ও মালিকপক্ষ মিলে ঠিক করবে, কীভাবে করা হবে। বেপজার শ্রমিক কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনকে ট্রেড ইউনিয়ন করতে হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।
এসব সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, তাদের চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে, যেমন বেপজা আইনে সংস্কার করা হয়েছে, শ্রম আইনটিই বেপজার মতো প্রযোজ্য হবে, বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধন আনা হয়েছে, এ অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। এজন্য কয়েকদিন লাগবে, প্রস্তুতি নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন— শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এহছানে এলাহী ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব
১ বছর আগে
মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করে শ্রম আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করে, মাতৃত্বকালীন ছুটি ১১২ দিন (১৬ সপ্তাহ) থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, ‘এখন একজন নারীকর্মী শিশুর জন্মের আট সপ্তাহ আগে এবং জন্মের আট সপ্তাহ পরে মিলিয়ে মোট ১৬ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি পান। খসড়া আইনে ছুটি ১২০ দিন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, একজন নার সন্তান প্রসবের আগে বা পরে তার সুবিধাজনক সময়ে ছুটি উপভোগ করতে পারেন।
এছাড়া প্রস্তাবিত আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য তিন হাজারের বেশি কর্মী আছে এমন একটি কোম্পানিতে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সই প্রয়োজন এবং তিন হাজারের কম কর্মী আছে এমন কোম্পানিতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সই প্রয়োজন। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী উভয় ক্ষেত্রেই ২০ শতাংশ সই প্রয়োজন।
একটি গ্রুপ অব কোম্পানির ক্ষেত্রে একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য ২০ শতাংশ শ্রমিকের (৩০ শতাংশের পরিবর্তে) সই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নয় আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। কারণ ট্রাইব্যুনালের নেতৃত্বে হাইকোর্টের একজন বিচারপতি রয়েছেন।
মন্ত্রিসভা বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (অধিগ্রহণের অস্থাবর সম্পদ নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে, যাতে এই ধরনের সংস্থাগুলো সরকারের অনুমতি ছাড়া স্থাবর সম্পদ অর্জন করতে পারে না।
মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রয়, অনুদান বা অন্য কোনো মাধ্যমে স্থাবর সম্পদ অর্জন করতে পারে না।
সেখানে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে পায়রা-কুয়াকাটা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৩-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভা কূটনৈতিক, পরিষেবা এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তার পারস্পরিক ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ও আলজেরিয়ার মধ্যে সই হওয়া একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে।
এদিকে, বিদেশি জমিতে কৃষি বিনিয়োগের বিষয়ে নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অব্যাহতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: নওগাঁ ও মেহেরপুরে ২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণের বৈধতা দিতে এভিডেন্স অ্যাক্ট-এর সংশোধনীর খসড়া অনুমোদন
১ বছর আগে
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে 'হাতিয়ার' হিসেবে শ্রম আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন অবিলম্বে বন্ধ করতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সংস্থাটি বলেছে, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই শ্রম আইনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
‘মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাটি বাংলাদেশের বিপর্যস্ত মানবাধিকার পরিস্থিতির একটি দৃষ্টান্ত। যেখানে কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতা খর্ব করেছে এবং সমালোচকদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ‘আইনের অপব্যবহার এবং প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ন্যায়বিচারের নামে এই প্রহসন বন্ধ করার এখনই সময়।
আরও পড়ুন: প্রতিহিংসাবশত ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
অ্যামনেস্টি বিশ্বাস করে যে নাগরিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত ইস্যুগুলোর জন্য ইউনূস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করা 'শ্রম আইন এবং বিচার ব্যবস্থার চরম অপব্যবহার এবং তার কাজ এবং ভিন্নমতের জন্য রাজনৈতিক প্রতিশোধের একটি রূপ'।
‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অস্বাভাবিক গতিতে বিচার চলছে তা বাংলাদেশের অন্যান্য শ্রম অধিকার সম্পর্কিত আদালতের মামলার সম্পূর্ণ বিপরীত। এর মধ্যে ২০২২ সালে বিএম কনটেইনার ডিপো এবং ২০২১ সালে হাশেম ফুডস ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও রয়েছে, যেখানে নিয়োগকর্তার অবহেলা ও নিরাপত্তা মান না মানার কারণে প্রায় ১০০ জন শ্রমিক নিহত হন।
উভয় ক্ষেত্রেই কোম্পানির মালিকরা কোনো ফৌজদারি দায়বদ্ধতার মুখোমুখি হননি এবং সামান্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে জবাবদিহিতা এড়িয়ে গেছেন।
অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, 'ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের নিরলস অপপ্রচার প্রমাণ করে যে, ৮৩ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ীকে দণ্ডিত করার মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপনে কতটা মরিয়া হয়ে উঠতে ইচ্ছুক বর্তমান সরকার।
ক্ষুদ্র ঋণের অগ্রদূতকে লক্ষ্যবস্তু করে শ্রম আইনের অপব্যবহার না করে ধারাবাহিক লঙ্ঘনের জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে আরও ভালভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যারা শ্রম অধিকার লঙ্ঘন করে তাদের নিঃসন্দেহে জবাবদিহি করতে হবে। তবে ড. ইউনূসকে হয়রানি করতে আইন ও বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার না করে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিত হবে অনিরাপদ কারখানার মতো যেসব বিষয় শ্রমিক অধিকারকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলছে, যা বাংলাদেশের হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন কেড়ে নিচ্ছে সে দিকে মনযোগ দেওয়া।
গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে এবং শ্রম আইন-২০০৬ এর অধীনে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। বোর্ডের অপর তিন সদস্য আশরাফুল হাসান, নূর জাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ড. ইউনূসকে নিয়ে ওয়ান ইলেভেনের অশুভ খেলায় লিপ্ত হতে চায় : কাদের
১ বছর আগে
ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের করা আবেদন খারিজ করে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রবিবার (২০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ
আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গিয়ে অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা দেখতে পান, ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীদের স্থায়ী হওয়ার কথা ছিল, তাদের তা করা হয়নি। তাদের জন্য কোনো অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির মুনাফার পাঁচ শতাংশ আইন অনুসরণ করে শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর প্রফেসর ইউনূস মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
চলতি বছরের ৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারের আদেশ দেন শ্রম আদালত।
পরে ড. ইউনূস অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে আবারও হাইকোর্টে রিট করেন। এরপর গত ৮ আগস্ট হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে দেন।
রবিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন শুনানি শেষে আবেদনটি নিষ্পত্তি করেন।
আরও পড়ুন: মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে আনা যৌন নির্যাতনের মামলার শুনানি শুরু আপিল বিভাগে
সাঈদীর মৃত্যু: শাহবাগে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় ৫ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বিচার চলবে
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ফলে বিচারিক আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ, দানকর দিতে হবে ১২ কোটি টাকা
আদালতে ড. ইউনূসের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
জানা যায়, শ্রম আইন লঙ্ঘনের এ মামলায় গত ৬ জুন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক।
অপর তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
পরে অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। এর শুনানি নিয়ে গত ২৩ জুলাই বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন। রুলে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার বাদীসহ প্রতিপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গত ৩ আগস্ট এ মামলায় জারি করা রুল দুই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এই রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী সোমবার রুলের ওপর হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। মঙ্গলবার শুনানি গ্রহণ শেষে হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ করে দেন।
২০২১ সালের ১৬ আগস্ট কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের কার্যালয় পরিদর্শন করে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান।
একই বছরের ১৯ আগস্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ টেলিকমকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, ৬৭ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার কথা থাকলেও গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ তা করেনি।
এছাড়া কর্মচারী অংশীদারিত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়নি।
পরে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত ৬ জুন ঢাকার শ্রম আদলত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।
অন্য আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান এবং পরিচালক নূর জাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান। পরে অভিযোগ গঠন আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে রুল ২ সপ্তাহে নিষ্পত্তির নির্দেশ
ড. ইউনূসের দানকর নিয়ে আপিলে শুনানি ২৩ জুলাই
১ বছর আগে