সভা
রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখায় প্রবাসীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা ও আইনানুগ কাজের মাধ্যমে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি প্রবাসীদের জন্য বিশেষ পেনশন স্কিম, অফশোর ব্যাংকিং ও প্রবাসে ব্যবসায় মালিকানা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আহ্বান জানিয়েছে দাতা সংস্থাগুলো
সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন ও মহানবীর (সা.) রওজা শরিফ জিয়ারত শেষে বৃহস্পতিবার(২০ জুন) সন্ধ্যায় মদিনার স্থানীয় একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আওয়ামী যুবলীগ মদিনা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জেদ্দায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ড. হাছান মাহমুদ তাঁর দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা ও বিদেশে থাকাকালে দেশের জন্য মনের আকুতি তুলে ধরে বর্তমান প্রবাসীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি আছেন। বিশ্বের অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাও এর থেকে কম। তিরিশ লাখ প্রবাসী বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশের জন্য তা বড় অবদান। এ বিষয়ে যত্নবান থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের শুভেচ্ছা বিনিময়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, একজন প্রবাসী যত সহজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারেন, দেশের জেলা আওয়ামী লীগের নেতার পক্ষেও তা সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের জন্য বিশেষ পেনশন স্কিম চালু করেছেন, যার সুবিধা ৫৫ বছর বয়সের মানুষও নিতে পারেন। প্রবাসীদের জন্য অফশোর ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে, যেখানে সহজে ডলার অ্যাকাউন্টও খোলা যায়।
প্রবাসে শুধু অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে ব্যবসায়ের মালিকানা অর্জনে উৎসাহ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রবাসীই বিদেশে তার দেশের প্রতিনিধি। সে যদি অপরাধ করে, তবে তার দেশের বদনাম হয়। সে কারণে বসবাসের দেশের আইন-কানুন মেনে চলা উচিত।
কমিউনিটি সভায় আরও বক্তব্য দেন মদিনা প্রবাসী আনিসুর রহমান পলাশ, রাজু আহমেদ, এ কে এম আসগর আলি, মুসা আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ লিটন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহমুদ মিলন, মোশাররফ শিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজাদা প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ শুক্রবার সৌদি আরব থেকে সরাসরি ভারতের নয়া দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সঙ্গী হবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
৬ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভার সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়মিত সভায় সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও ট্রাস্টের চেয়ারপারসন চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ম্যানেজমেন্ট কমিটি বিগত সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর বিষয়ে আলোচনা করে।
সভায় উপকমিটির প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
ট্রাস্টির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ হেলাল উদ্দিন, ফরিদা শেখ, রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ট্রাস্টির অন্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
৯ মাস আগে
বিসিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) ১৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) চেম্বার কার্যালয়ে শারীরিক উপস্থিতি ও অনলাইনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বাররের ভাইস প্রেসিডেন্ট আজিজুল আকিল ডেভিড।
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের ভুল স্বীকার
বিসিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল আল মামুন মৃধা তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়নে চেম্বারের নিরলস ভূমিকার কথা পূনর্ব্যক্ত করেন।
২০২২ কর্মবর্ষে চেম্বারের বিভিন্ন বাস্তবায়িত কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই চেম্বার দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিকাশে, বিশেষ করে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আশরাফ আহমেদ
সভার সভাপতি আজিজুল আকিল ডেভিড চেম্বারের অভীষ্ট লক্ষ্যসমূহ উল্লেখ করে বলেন, এই চেম্বার দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারিদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে যে ভূমিকা পালন করছে, বর্তমান নির্বাহী কমিটির নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে তা আরও বেগবান ও বহমুখী করে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বিদেশে কর্মী না পাঠালে দরিদ্রের হার ১০% বাড়ত: প্রবাসীকল্যাণ সচিব
১ বছর আগে
বিএসএমএ-কমনওয়েলথের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সভা
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সম্ভাবনাময় বাজারে বাংলাদেশের ইস্পাত রপ্তানি বাড়াতে স্টিলখাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করবে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ অ্যানুয়াল সামিটে বাংলাদেশের স্টিল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার প্রক্ষিতে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফেকচারস অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: টোকিওতে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
এফবিসিসিআইর গুলশানে অফিসে (আকাশ টাওয়ার) অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন, স্টিল ম্যানুফেকচারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সেক্রেটারি জেনারেল ড. সুমন চৌধুরীসহ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন মাথাপিছু ইস্পাত ব্যবহার দ্বারা পরিমাপ করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমান গড় মাথাপিছু ইস্পাত ব্যবহার হয় ৪৮ কেজি।
তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বেশিভাগই উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। তাদের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন অবকাঠামোতে প্রয়োজনীয় স্টিল রপ্তানির মাধ্যমে বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করে ডলারের উপর চাপ কিছুটা কমানো সম্ভব। স্টিল ম্যানুফ্যাকচারারদের শুধু গুণগত মান খেয়াল রাখতে হবে।
আলোচনায় ড. সুমন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা বছরে প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এটি সর্বমোট ২০ মিলিয়ন টন হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ১৯৯০ সালের পরে বাংলাদেশে অবকাঠামো, নির্মাণ কাজ দ্রুত বাড়তে থাকলে ইস্পাতের চাহিদাও একই হারে বাড়ে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে দেশের অনেক বড় বড় ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ সময়, লৌহ ও লৌহজাত পণ্যকে রপ্তানিমুখী শিল্পে রূপান্তরের জন্য সরকারের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকাত চান ব্যবসায়ীরা।
এরমধ্যে রয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে লৌহ ও লৌহজাত পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ শুল্ক সুবিধা, আংশিক বন্ড সুবিধা, নগদ সহায়তাসহ রপ্তানি অন্যান্য সহযোগিতা, রপ্তানিমুখী ইস্পাত কারখানায় জ্বালানি মূল্যে সুযোগ-সুবিধা, সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নতকরণসহ অন্যান্য নীতি সহায়তা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র পরিচালক এবং বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. আমির হোসেন নুরানী, মেট্রোসেম ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক শুনিল কুমার অধিকারীসহ ইস্পাত শিল্পের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল ও সার আমদানির অনুমোদন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির
জঙ্গিবাদ-অপরাজনীতির প্রতিবাদে ইআরডিএফবির মতবিনিময় সভা শনিবার
১ বছর আগে
শেষ হলো ঢাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভা
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তারা শান্তিরক্ষা কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘নির্দিষ্ট এবং কার্যকর প্রতিশ্রুতি ও উদ্যোগ’ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। শান্তিরক্ষায় নারীদের জন্যও একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরির দিকে মনোনিবেশ করা হয়।
তারা শান্তিরক্ষায় নারীদের বর্ধিত এবং অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার তাৎপর্যও তুলে ধরেন।
সোমবার ঢাকায় ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক-২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার; নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি; শান্তি অভিযানের জন্য জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল; ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্সের জন্য জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল; বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক; জাতিসংঘের পুলিশ উপদেষ্টা; মহাপরিচালক, কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপারেশন; উরুগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক মহাপরিচালক সমাপনী অনুষ্ঠানে তাদের বক্তব্য দেন।
দুই দিনব্যাপী প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে ‘শান্তি রক্ষায় নারী’ ধারণাকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবিলা করা, লিঙ্গ-সমন্বিত নীতি প্রণয়নের গুরুত্ব, নিশ্চিত করা লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল নেতৃত্ব, নারী শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি, জবাবদিহিতার গুরুত্ব, এলসি ইনিশিয়েটিভ ফান্ডের ব্যবহার ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
১ বছর আগে
ওআইসি’র সভায় সুদানে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ
সুদানে অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি এবং শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সুদান পরিস্থিতিতে নিয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসি’র এক জরুরি সভায় বিবাদমান সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং সুদান র্যা পিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর প্রতি এ আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ওআইসি মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
সৌদি আরবের সভাপতিত্বে সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ওআইসির নির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভা বুধবার সংস্থাটির জেদ্দাস্থ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) ওআইসির সভায় এ আহ্বান জানান।
সভার শুরুতেই ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা সুদান পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সুদানের এ লড়াই শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য সুদানের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষাকে ক্ষুণ্ণ করছে। সেখানে যুদ্ধের ফলে ব্যাপক মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এবং ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যুদ্ধের ফলে ইতোমধ্যে সুদানে অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে, খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সেখানে ব্যপক লুটপাট হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ ও বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাসিন্দারা যার শিকার হচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সুদানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন যারা প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষা করছেন। বাংলাদেশ সরকার তাদের সুদান থেকে নিরাপদে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সুদান থেকে বাংলাদেশিসহ বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সৌদি আরবের আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশও সেখান থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি বিদেশিদের নিরাপদ প্রত্যাবসনের সুযোগ সৃষ্টি ও মানবিক সাহায্যের নিরাপদ সুযোগ সৃষ্টির জন্য সুদানের সরকার ও বিবদমান দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
ওআইসির জরুরি সভায় রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, যুদ্ধের সময় সুদানে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মিশন প্রধানের বাসভবনে হামলা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং কূটনৈতিক নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি সুদান সরকার এবং যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনৈতিক মিশন এবং এর কর্মীদের নিরাপত্তা এবং সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার বিষয়ে অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত, ওআইসির জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ওআইসি সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে: মোমেন
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংসদীয় কমিটির ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত
সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কপ-২৭ সম্মেলন থেকে প্রত্যাশা ও বাস্তবতাসহ বেশ কিছু বিষয় যেমন- সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গড়ে ওঠা হোটেল, মোটেল, রিসোর্টের মালিকদের তালিকা এবং বন অধিদপ্তরে নিয়োগ, পদোন্নতি, অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, ব্লু ইকোনমি ও পোভার্টি এনভায়রনমেন্ট নেক্সাসসহ সিস্টেম অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যাকাউন্টিং (এসইইএ) বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
কমিটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট গড়ে তোলার মালিকদের নাম উপস্থাপন এবং ব্যক্তিগতভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ নারীদের মাতৃত্বকালীন ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ম্যানগ্রোভ বন নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শেখ রাসেল ইকোপার্ক বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের জন্য খুলনার জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
কমিটি মন্ত্রণালয়কে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন পরবর্তী জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনে, কপ-২৮ এর জন্য বাংলাদেশ থেকে একজন কো-চেয়ারম্যান নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে ও এ বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে বলেছে।
এসইইএ প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতার জন্য তথ্য ও উপাত্ত প্রদানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সহায়তা করার জন্য একটি সুপারিশও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি বন্ধের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
দেবোত্তর সম্পত্তি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আত্মঘাতী: ঐক্য পরিষদ
১ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সাংবাদিক ফোরামের কোর কমিটির সভা ২ নভেম্বর
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সাংবাদিক ফোরামের সভা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ সভা হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ফোরামের দীর্ঘদিনের রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী আগামী ২ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় ফোরামের কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কোর কমিটির ওই সভায় প্রেস ক্লাবের আসন্ন নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জয়লাভের ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবর রক্ষার দাবি ডিইউজের
সভায় নেতারা বিশেষ উদ্দেশ্যমূলক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
সভায় আরও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে বিভক্ত করে অন্য কোনও পক্ষের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে যে কোন ব্যক্তির যে কোনও ধরনের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডকে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার অবিলম্বে মুক্তি এবং হেনস্তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ডিইউজের
১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিইউজের উদ্বেগ
২ বছর আগে
তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের আলোচনা সভা
তুরস্ক সফররত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির(ডিসিসিআই)প্রতিনিধিদলের সাথে ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্সের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে তুরস্ক সফর করছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তুরস্ক চেম্বারের নির্বাহী কমিটির সদস্য বুরহান পোলাত তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।
তিনি উল্লেখ করেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, কারণ দেশটি গত কয়েক দশকে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী পণ্যের বহুমুখীকরণের উপর জোরারোপ করেন।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য তুরস্ক একটি অপার সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ চামড়া, ওষুধ, তৈরি পোশাক ও হালকা প্রকৌশল শিল্পে আশাব্যঞ্জক উন্নতি সাধন করতে পেরেছে। এছাড়াও তিনি দু’দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদেরকে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার আহ্বান জানান।
বুরহান পোলাত দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।
ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স প্রায় ছয় লক্ষাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্বলিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন। বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের এ দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৭১ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে তবে তা তরান্বিত করার জন্য দু’দেশের উদ্যোক্তাদের আরও বেশি হারে বিনিয়োগে উৎসাহিত হতে হবে। কারণ বর্তমান বাণিজ্যের পরিমাণ মোটেও সন্তোষজনক নয়।
তিনি বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের জন্য ২৩তম বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্যস্থল। বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশসমূহের মধ্যে তুরস্ক ২৯তম বৃহত্তম দেশ যে দেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৩০ দশমিক ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন ডি-আট ভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে কার্যকর অর্থনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। তিনি বাংলাদেশের শিল্পখাতের আধুনিকায়নে তুরস্কের প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান, এসএমই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যৌথ গবেষণা কার্যক্রম এবং এগ্রো ভেলু চেইনের উন্নয়নে তুরস্ককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিজনেস ফোরাম শেষে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইস্তাম্বুল চেম্বারের প্রায় ৩৫০টির বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার বিটুবি ম্যাচ-মেকিং অনুষ্ঠিত হয় যেখানে দু’দেশের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ সম্ভাবনা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন। বিটুবি সেশনে অংশগ্রহণকারী তুরস্কের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এছাড়াও ইস্তাম্বুল চেম্বারের সভাপতি সেকিব এভডাচিভ এবং ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধে ব্যর্থ হয়েছে মেটা, অ্যামনেস্টির নিন্দা
২ বছর আগে
মেক্সিকোতে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বুধবার বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত মেক্সিকো সিটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন।
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা, বাংলাদেশের স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী লুবনা মরিয়মসহ প্রায় ৪০ জন বাংলাদেশি উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইউনেস্কো ও মেক্সিকো সরকার আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ‘মুন্ডিয়াকাল্ট ২০২২’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে মেক্সিকো সফর করছেন।
আরও পড়ুন: বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা
দূতাবাস আগমনের পর সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দূতাবাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য ও ‘বঙ্গবন্ধু লাইব্রেরি’ পরিদর্শন করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বাংলাদেশিরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সাথে খোলাখুলি আলোচনা করেন। তারা বাংলাদেশ থেকে মেক্সিকোর ভিসা সংগ্রহে জটিলতা, মেক্সিকোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু না হওয়া, মেক্সিকো হতে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণের জটিলতাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। বিষয়গুলো নিয়ে তিনি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে আলোচনা করবার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে মেক্সিকোতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি যথাযথভাবে তুলে ধরবার জন্য উপস্থিত বাংলাদেশিদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং এক্ষেত্রে যার যার অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য আগতদের পক্ষ হতে মেক্সিকোতে একটি ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ চালু করবার প্রস্তাব দেয়া হয়।
মতবিনিময় সভা শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আগতদের নিয়ে প্রতিমন্ত্রী কেক কেটে শুভকামনা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধে ব্যর্থ হয়েছে মেটা, অ্যামনেস্টির নিন্দা
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বক্তৃতা দিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
২ বছর আগে