জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তারা শান্তিরক্ষা কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘নির্দিষ্ট এবং কার্যকর প্রতিশ্রুতি ও উদ্যোগ’ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। শান্তিরক্ষায় নারীদের জন্যও একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরির দিকে মনোনিবেশ করা হয়।
তারা শান্তিরক্ষায় নারীদের বর্ধিত এবং অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার তাৎপর্যও তুলে ধরেন।
সোমবার ঢাকায় ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক-২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার; নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি; শান্তি অভিযানের জন্য জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল; ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্সের জন্য জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল; বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক; জাতিসংঘের পুলিশ উপদেষ্টা; মহাপরিচালক, কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপারেশন; উরুগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক মহাপরিচালক সমাপনী অনুষ্ঠানে তাদের বক্তব্য দেন।
দুই দিনব্যাপী প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে ‘শান্তি রক্ষায় নারী’ ধারণাকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবিলা করা, লিঙ্গ-সমন্বিত নীতি প্রণয়নের গুরুত্ব, নিশ্চিত করা লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল নেতৃত্ব, নারী শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি, জবাবদিহিতার গুরুত্ব, এলসি ইনিশিয়েটিভ ফান্ডের ব্যবহার ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের