অভিযান-১০
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত সকল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এ ঘটনায় আহত ও নিহতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আহতদের মধ্যে কেউ চিকিৎসায় অর্থ সাহায্য চেয়ে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসককে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
আদেশে সকল নৌযানের ফিটনেস সংক্রান্ত তথ্য ৯০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া লঞ্চ দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, নৌ পরিবহন সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালালসহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
এর আগে ২৭ ডিসেম্বর সকল নৌযানের ইঞ্জিনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার এই রিট করেন।
অপরদিকে ২৬ ডিসেম্বর আরও একটি রিট করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। সেখানে নিহতদের আপাতত ১০ লাখ ও আহতদের পাঁচ লাখ টাকা করে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, দাবি মালিকের
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
ঝালকাঠির লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় সুগন্ধা নদী থেকে মঙ্গলবার আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে এ দাঁড়িয়েছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানায়, নিহতদের মধ্যে একজনের বয়স আনুমানিক ১২ বছর এবং আরেক ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩২ বছর।
নিহত ব্যক্তির মুখমন্ডল পোড়া ছিল এবং শরীরে অফ হোয়াইট শীতের পোশাক ও পড়নে জিন্সের প্যান্ট ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার ডি.এ.ডি শফিক।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ সিআইডির
টানা পঞ্চম দিনের মতো সুগন্ধা নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
সোমবার লঞ্চ টার্মিনালে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম ৪১ জন নিখোঁজ যাত্রীর তথ্য দিয়েছে বলে জানান ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন।
এদিকে, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে লঞ্চ মালিকদের একজন হামজালাল শাহ ও লঞ্চ স্টাফসহ ৮ জনকে আসামি করে ঝালকাঠির থানায় সোমবার মধ্য রাতে একটি মামলা হয়েছে।
ঢাকার বকসনানগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চ, জাহাজের ইঞ্জিনের যাবতীয় তথ্য চেয়ে রিট
লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় তার বোন তাসলিমা আক্তার (৩০), তাসলিমার বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম (১২) ও সুবর্না আক্তার তানিয়া ( ৮) ও তাসলিমার ভাতিজা জুনায়েদ ইসলাম বায়েজিদ (২০) নিখোঁজ রয়েছে। তারা এই লঞ্চযোগে একসঙ্গে বরগুনায় তাসলিমা আক্তারের শ্বশুরবাড়ী যাচ্ছিল।
এর আগে সোমবার ভোরে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় ঢাকার নৌআদালত লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: কেরানীগঞ্জ থেকে এক মালিক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
লঞ্চ, জাহাজের ইঞ্জিনের যাবতীয় তথ্য চেয়ে রিট
লঞ্চ, জাহাজসহ বিভিন্ন নৌযানের ইঞ্জিনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই রিটে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার সোমবার এ রিট করেন। রিট আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী আনিসুর রহমান। আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, নৌ পরিবহন সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২
আবেদনে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং সকল নৌযানে ইঞ্জিনের বিষয়ে প্রতিবেদন ও বৈধ লাইসেন্স পারমিটের প্রতিবেদন কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: কেরানীগঞ্জ থেকে এক মালিক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২
ঝালকাঠির কাছে সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ এ দাঁড়িয়েছে। সোমবার সকালে ঝালকাঠি জেলার শচিলাপুরে বিষখালী নদী থেকে সর্বশেষ লাশটি উদ্ধার করা হয়।
জেলার জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সকাল ৯টার দিকে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত হাকিম শরীফ (৬০) বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা।
তার পরিবারের তিন সদস্য - স্ত্রী প্রিয়া বেগম (৫৫), মেয়ে হাফসা (১৭) এবং ছেলে নাসির উল্লাহ (২)নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তবে সোমবার টানা ৪র্থ দিনের মতো সুগন্ধা নদীতে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড সদস্য ও দমকলকর্মীরা।
এদিকে লঞ্চ টার্মিনালে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম এ পর্যন্ত ৪৭ জন নিখোঁজ যাত্রীর তথ্য দিয়েছে বলে জানান ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন।
লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের অন্যতম মালিক হামজালাল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৪১ জন। এছাড়া ঘটনায় ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং আহতদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে লঞ্চটিতে ঠিক কত জন যাত্রী ছিলেন এবং নিখোঁজ যাত্রীর সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে শেবাচিমে র্যাবের ডিজি
ঝালকাঠিতে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে শুক্রবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) পরিদর্শন করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
র্যাব সদর দপ্তরের এএসপি (মিডিয়া) ইমরান খান বলেন, র্যাবের ডিজির নির্দেশে একটি হেলিকপ্টার বরিশালে পৌঁছেছে এবং গুরুতর আহত দুই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াবাড়ি নামক স্থানে শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ এবং আহত ৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, দাবি মালিকের
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রী বহনকারী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন: নিহত ৩৯, আহত অর্ধশতাধিক
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী এখন মালদ্বীপে অবস্থান করলেও তিনি দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৭ সদস্যের কমিটি গঠন
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে শুক্রবার ভোরে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ জন নিহতের ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় মন্ত্রণালেয়র যুগ্মসচিব তোফায়েল আমেদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিআইডব্লিউটিএ'র একজন, নৌপরিবহন অধদপ্তরের একজন, নৌপুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং ফায়ার সার্ভিসের একজন করে প্রতিনিধি। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের পৃথক কমিটি গঠন করে। বন্দর ও পরিবহন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন, নিহত বেড়ে ৩৯
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী প্রায় ৮০০ যাত্রী বহনকারী অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং ৭২ জন আহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সরকারের পক্ষ থেকে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াবাড়ি নামক স্থানে শুক্রবার ভোরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ফজলুল হক ইউএনবিকে বলেন, আমাদেরকে ভোর সাড়ে তিনটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানানো হয়। তবে ঘন কুয়াশার কারণে প্রথমদিকে ফায়ার সার্ভিসের জাহাজগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা সময় নেয়।
ইউএনবিকে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, লঞ্চ থেকে ৩৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ৭২ জনের মধ্যে গুরুতর আহত ৬৬ যাত্রীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (এসবিএমসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটিকেও তীরে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: হতাহতের ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে