লবিস্ট
বিএনপির রাষ্ট্রদ্রোহিতার তদন্ত করে কাজ শুরু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) যে কাজগুলো করেছে এবং করছে এগুলো রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত করে তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে তাদের খরচের হিসাব দিতে হয়। এখানে যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার জন্য, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য, তারা এই হিসাব নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে কি না। সেটি নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবে। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, কী করবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের লেখা দুটি চিঠি গণমাধ্যমের সামনে পড়ে শোনান। এই চিঠি দুটির একটি লেখা হয়েছে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ও অন্যটি ২৪ এপ্রিল। এছাড়া বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে দলটির নেতারা যে চুক্তি করেছেন তার নথিও তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশের ওপর ব্যবস্থা, এমনকি নিষেধাজ্ঞা দিতে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তিনি দাবি করেন, ‘একজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি আজ আমাদের দলের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ কোথাও নেয়, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপের দায়িত্ব তার, বিএনপির নয়।’
তবে সেই প্রবাসীর উদ্যোগে বিএনপির সমর্থন আছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
লবিস্ট নিয়োগের কথা অস্বীকার করলেও চিঠি লেখার কথা স্বীকার করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিগুলো কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।’
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে তিনি (মির্জা ফখরুল) আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন।’
চিঠির বক্তব্য তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তার কথার সারমর্ম হচ্ছে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করা। উনি গতকাল বলেছেন, তিনি সাহায্যের কোনো কথা বলেন নি। এখানে সাহায্য পূনর্মূল্যায়ন ও প্রকারান্তরে সাহায্য বন্ধের আহ্বান তিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব এই নথিগুলো কিভাবে অস্বীকার করবেন?
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে যারা এভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশকে বিব্রত করার জন্য এবং রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য, তাদের আসলে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা যে প্রচন্ড মিথ্যাচার করেন এটির প্রমাণ হলো এই নথিগুলো। দে আর অল লায়ার্স। তারা দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ এই নথিগুলো।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েও মিথ্যাচার করেছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যাচার করেছে ক্রমাগতভাবে গতকাল খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় তা প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ তাদের পুরো রাজনীতিটাই মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
২ বছর আগে
লবিস্ট নিয়োগে খরচ করা প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বিএনপিকে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করতে লবিস্ট নিয়োগে বিএনপি যে টাকা খরচ করেছে তার প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আজ নির্বাচনকে সামনে রেখে লবিস্ট নিয়োগে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিটি পয়সার হিসাব চাই। তাদের প্রতিটি পয়সার হিসাব দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা এবং ষোড়শ অধিবেশনের সমাপনী আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে, নির্বাচন বানচাল করা, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, জঙ্গি ও জাতির পিতার খুনিদের রক্ষা, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি রোধ করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে; ভালো কোনো উদ্দেশ্যে নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লবিস্ট নিয়োগে বিএনপি হাজার হাজার ডলার খরচ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘তারা কোথা থেকে এই অর্থ পেল? তারা এই বৈদেশিক মুদ্রা কোথা থেকে পেল? তারা কীভাবে এটি খরচ করেছে?’
সরকারের পিআর ফার্ম নিয়োগের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের বিনিয়োগ, রপ্তানি ও উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশ ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য পিআর ফার্ম নিয়োগ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু বিএনপির উদ্দেশ্য কী ছিল? উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ধ্বংস করা এবং মিথ্যা অপপ্রচার ও অসত্য তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা।’
আরও পড়ুন: লবিস্ট নয় ভুল ধারণা পরিবর্তনে পিআর ফার্ম নিয়োগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহায়তা প্রদানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তদবির করার জন্য বিএনপি ও জামায়াত আটটি সংস্থাকে নিয়োগ করেছে।
বুধবার জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ ধারায় বক্তব্য দেয়ার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং র্যাবকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিষেধাজ্ঞার জন্য জাতিসংঘের শান্তি অপারেশন বিভাগের কাছে আবেদন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক যে বিএনপির নিয়োগকৃত লবিস্টরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন বিবৃতি দিয়েছে যা দেশের মানুষকে ক্ষুব্ধ করবে। বিএনপি তাদের (যুক্তরাষ্ট্রকে) বলেছে, বাংলাদেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।
আব্দুল মোমেন বলেন, মার্কিন আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ বৈধ। ভারত, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশ এবং বিশ্বের অনেক সংস্থা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য লবিস্ট নিয়োগ করে।
আরও পড়ুন: লবিস্ট নয় ভুল ধারণা পরিবর্তনে পিআর ফার্ম নিয়োগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, তবে এখানে মূল বিষয় হচ্ছে লবিস্ট (বিএনপির) নিয়োগের উদ্দেশ্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি-জামায়াত মোট আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে।
২০১৪ সালে, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য একটি ফার্ম নিয়োগ করেছিল। এ জন্য তারা দেড় লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে। তারা তাদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য আরেকটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি মাসে রিটেইনার ফি হিসেবে এক লাখ ২০ হাজার ডলার এবং প্রতি বছর ২৭ লাখ ডলার ব্যয় করেছে বিএনপি।
মোমেন বলেন, বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত চারটি এবং ২০১৯ সালে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি যৌথভাবে তিনটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির তৃণমূলের কেউই চাইবে না দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাক। শুধুমাত্র তাদের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা তাদের না জানিয়ে এমন কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে চিঠি শান্তিরক্ষা মিশনে কোন প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী তার বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার লবিস্ট নিয়োগ করেনি বরং একটি পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার এমন কোনো সংস্থাকে নিয়োগ দেয়নি যারা সিনেট এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টে লবিং করবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতেই এটা করেছে। দেশের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা মোকাবিলা করতেই সত্য প্রচার করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৪-১৫ সালে বিজিআর নামে একটি সংস্থা নিয়োগ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ বিরোধী অভিযান রুখতে বিজিআর নিয়োগ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য এবং বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রী ওইসব লবিস্ট ফার্মকে টাকা দিতে বিএনপি যে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং কীভাবে ওই টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে তা তদন্তের দাবি জানান।
তিনি বলেন, সরকার ও বিএনপির মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তাতে দেশের কোনো ক্ষতি হতে পারে না।
র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
মোমেন বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে সময় লাগবে এবং সঠিক তথ্য দেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র তা তুলে নেবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের নির্ভরযোগ্য অপরাধ দমনকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করছে এবং আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সংলাপের কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, এপ্রিল মাসে নিরাপত্তা সংলাপ হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছি। ইনশাআল্লাহ, যখনই আমরা তাদের কাছে সঠিকভাবে তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হব, আমি বিশ্বাস করি র্যাবের মতো একটি ভাল সংস্থার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। তবে প্রক্রিয়াটি আগামীকাল (শিগগিরই) শুরু হবে না। সময় লাগবে। আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো ধরনের পূর্ব আলোচনা ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের প্রচারণার কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তারা শুধু মার্কিন সরকারের কাছে মিথ্যা তথ্যই প্রকাশ করেনি, বিশ্বের বিভিন্ন বৃহৎ মানবাধিকার সংস্থাকেও তারা মতামত দিয়ে আসছে যে র্যাব খুবই খারাপ একটি সংগঠন।
তিনি বলেন, র্যাব জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তারা দেশের সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার বন্ধ করেছে। এই বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু লোক মিথ্যা তথ্য দেয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আসে।
তিনি বলেন, র্যাব এমন কোনো খারাপ কাজ করেনি যে, বিশ্বে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে। বরং এটি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
মোমেন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রধানদের কাছে চিঠি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা ওই চিঠিতে দেশকে সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও তারা বাংলাদেশের কারণে আমেরিকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়েও অপপ্রচার চালিয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২ বছর আগে
লবিস্ট নয় ভুল ধারণা পরিবর্তনে পিআর ফার্ম নিয়োগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের সুশাসন ও ইতিবাচক ইমেজ তুলে ধরতে লবিস্ট নয় পিআর (পাবলিক রিলেশনস বা জনসংযোগ) ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে লবিস্ট নিয়োগ করলে সরকার ভুল ধারণা পাল্টাতে পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছিল। এটাকে আমরা বলি পিআর ফার্ম। তবে লবিস্ট নয়।’
মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে চিঠি শান্তিরক্ষা মিশনে কোন প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘লবিস্ট নিয়োগ দেয়া দোষের কিছু নয়। তবে যখন তাদের দেশ ও দেশের স্বার্থের ক্ষতির উদ্দেশ্যে নিয়োগ দেয়া হয় তা অন্যায়।
বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশ ও দেশের স্বার্থের ক্ষতি।’
তিনি বলেন, ‘আপনার ও আমার মধ্যে ঝগড়া থাকতে পারে। কিন্তু এর জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মাসব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
সুইজারল্যান্ডের লুজানের ফটো এলিসি মিউজিয়ামের সহযোগিতায় বাংলাদেশে অবস্থিত দেশটির দূতাবাস, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে অঞ্চলভিত্তিক রোডম্যাপ হবে
যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ প্রত্যাখান বিএনপির
বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি- সরকারের এমন অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘বানোয়াট’ বলে দাবি করেছে দলটি।
সরকারের দিকে পাল্টা অভিযোগ তুলে দলটি বলছে, নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছর ধরে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এটা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ। যখন একটি সংস্থা ও এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিলো, যখন বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক সম্মেলনে দাওয়াত দেয়া হলো না, তখন এই ইস্যু তোলা হলো। আমরা জানতে চাই, এই বিষয় কেন আগে সামনে এলো না।’
বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
এর আগে জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও দলটির অন্যান্য নেতা-কর্মী তার (জিয়া) কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সংবাদপত্রে এর আগে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জনসাধারণের অর্থ লুণ্ঠনের মতো অপকর্ম ঢাকতে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যখন পত্রিকায় এই ধরনের খবর এসেছে তখন সরকার কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রভু হলো পাকিস্তান: কৃষিমন্ত্রী
তিনি জানান, সরকারের এ অভিযোগের বিষয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে লবিস্টদের জন্য কমপক্ষে তিন দশমিক ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে এবং তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নথি শেয়ার করেন যা পাবলিক ডোমেনেও রয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকার তার তিন মেয়াদে কখনই কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। তবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বকে তথ্যের ভিত্তিতে জানাতে এবং দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে মিডিয়া ফ্রন্টে একটি কোম্পানি নিযুক্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
২ বছর আগে
আওয়ামী লীগ সরকার কখনই লবিস্ট নিয়োগ করেনি, করার পরিকল্পনাও নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার তার গত তিন মেয়াদে কখনোই কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। বরং বাংলাদেশ ও এর জনগণের সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানাতে এবং দেশের বিরুদ্ধে চালানো বিভিন্ন অপপ্রচারের বদলে দেশের বিভিন্ন সফলতাকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য ২০১৫ সালে একটি পিআর ফার্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা পরিষ্কার করতে চাই যে আওয়ামী লীগ সরকার তার গত তিন মেয়াদে কোনো লবিস্টকে নিয়োগ করেনি। আর এই মুহূর্তে কোনও লবিস্ট নিয়োগ করার পরিকল্পনাও আমাদের নেই। আমরা যা করেছি তা সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সাফল্যকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী পার্লামেন্টে তার গতকালের বক্তব্যের পুনরুল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) লবিস্টের পেছনে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
এসময় শাহরিয়ার দেশে নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে তথ্যভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিবেদনের উল্লেখ করেন, যেগুলো গত চার-পাঁচ বছরে আন্তর্জাতিক মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক গণমাধ্যমে যখন কোনো নেতিবাচক ধারণা থাকে এবং কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ও এর জনগণ সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু লেখে, তখন বাংলাদেশকেও সত্য দিয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা জনসংযোগ বা পিআর ফার্ম নিযুক্ত করেছি, কারণ সাধারণত দেশি- বিদেশি গণমাধ্যমে আমাদের অর্জনগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয় না।
শাহরিয়ার বলেন, সরকার শুধু সেই কাজগুলোই করবে যা ‘আইনগতভাবে সঠিক‘’ এবং দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে পরিচালিত কিছু গণমাধ্যম বিএনপি-জামায়াতের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে এবং তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে।
তিনি বলেন, ‘ওই আটটি চুক্তির মধ্যে অন্তত তিনটিতে বিএনপির নয়া পল্টন কার্যালয়ের ঠিকানা মূল ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
শাহরিয়ার বলেন, ওয়াশিংটনে ব্লু স্ট্র্যাটেজিস, এলএলসি এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল - সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে মে ২০২০ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, বিএনপি কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাঠিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আটটি চুক্তি সংক্রান্ত এসব নথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াত একই মুদ্রার দুই পিঠ। চারটি নথিতে জামায়াতের নাম পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে এই চুক্তির বাইরে আরও অনেক কিছু আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লবিস্টকে কাজে লাগানো দোষের কিছু নয়, তবে ঘটনা আড়াল করে বাংলাদেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: প্রজন্মের উন্নয়নে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এটাকে লবিস্টদের বিরুদ্ধে সরকারের কূটনীতির পরাজয় হিসেবে দেখছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এটাকে আমাদের কূটনীতির বিরুদ্ধে পরাজয় হিসেবে দেখছি না।
র্যাবের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং শিগগিরই উচ্চ পর্যায়ের মতবিনিময় হবে।
তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। আমরা আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি আশা করেন যে তারা কোনো লবিস্টকে নিয়োগ না দিয়েই সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মধ্যেমে একটি ইতিবাচক ফলাফল আনবে।
শাহরিয়ার বলেন, যেখানে নগদ অর্থ জড়িত সেই পথ ব্যবহার করে তারা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে বিশ্বাসী না।
২ বছর আগে
বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি অবৈধ অর্থ ব্যয় করে দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাই এদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকে কি না-এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট বিশেষ করে বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত -এই কথাটা আমরা বহুদিন ধরে বলে আসছি। তারপরও হয়তো অনেকের মনে নানা প্রশ্ন ছিল। প্রকৃতপক্ষে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি রুখে দেয়ার জন্য, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি রীতিমতো অর্থ ব্যয় করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্য দাখিল করে। সেখানে বিএনপি এই ফার্মের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়, যেটি শাহরিয়ার আলম গতকাল পার্লামেন্টে জানিয়েছেন। বিএনপি তাদের নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে এই ফার্মের সঙ্গে চুক্তিটা করেছে। এই ফার্মকে তারা প্রতি মাসে পঞ্চাশ হাজার ডলার করে এবং শুরুতে দেড় লাখ ডলার এডভান্স দিয়েছে। অর্থাৎ প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার তারা তিন বছরে ‘পে’ করেছে। নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে করা চুক্তি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নাই। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ঠিকানা দিয়ে বিভিন্ন নামে তারা ১২টিরও বেশি লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার তারা এই ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে। অর্থাৎ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্য, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি রুখে দেয়ার জন্য, দেশে রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠান হিসেবে লবিস্ট নিয়োগ করে এই কাজগুলো করছে।’
আরও পড়ুন: শীতকালীন সংসদে গণমাধ্যমকর্মী আইন উত্থাপনের আশাবাদ তথ্যমন্ত্রীর
ড. হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, ‘আপনারা জানেন যে, ওয়াশিংটন টাইমসে বেগম খালেদা জিয়ার নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছিল, কয়েক বছর আগে। সেই নিবন্ধে তিনি বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে যাতে আমদানি বন্ধ করে সেজন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রী কিভাবে দেশের বিরুদ্ধে বিদেশি একটি পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে বলে যে বাংলাদেশ থেকে যাতে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি না করে!’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দেশে তাদের অফিসের ঠিকানা দিয়ে চুক্তি করে বিদেশি লবিস্ট ফার্মকে লাখ লাখ ডলার ‘পে’ করছে, নির্বাচন কমিশনে তারা যে ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে, সেখানে তো এই হিসাব দেয়নি, নির্বাচন কমিশনের উচিত তাদেরকে তলব করা। দ্বিতীয়ত, এই লাখ লাখ ডলার তারা কোথা থেকে পায়, কোথা থেকে আসে, সেটিও তো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমি মনে করি এখানে দুদকেরও ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি আয়কর বিভাগ থেকেও এ বিষয়ে তদন্ত ও তাদের তলব করা প্রয়োজন। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেটার দালিলিক প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। যে রাজনৈতিক দল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সে দলের কি দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে!’
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
এ বিষয়ে সরকারের মনোভাব প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের ওপর, জনগণের রায়ের ওপর বিশ্বাস করে না। তারা মনে করছে এ ধরণের প্রোপাগান্ডা চালালে তাদেরকে কেউ কোলে করে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরসহ নানা মেকানিজম এ বিষয়ে কাজ করছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার একটি রাজনৈতিক সরকার। আমরা বিশ্বাস করি, এদেশের ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণ যাদেরকে মনে করবে তাদেরকেই ক্ষমতায় বসাবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের রায় ও জনগণের শক্তির ওপর ভর করেই দেশ পরিচালনা করেছে। আর বিএনপি বিশ্বাস করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের ওপর এবং সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের ওপর।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘সরকারের সিংহাসন টলোমলো’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সিংহাসন মধ্যযুগীয় শব্দ। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন হয়তো তারা সিংহাসন মনে করতেন। সরকার কিন্তু দেশ পরিচালনা করছে জনগণের রায়ে, সিংহাসনে নাই। আর সরকারের অবস্থান টলোমলো -এটি আমরা বারো বছর ধরে শুনে আসছি। তাদের কর্মীরা যে হতাশ হয়ে গেছে সেই হতাশা থেকে মুক্ত রাখার জন্য রিজভী সাহেবদের এই কথাগুলো বলতে হয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভাবমূর্তি উন্নয়নে বাংলাদেশ লবিস্ট নিয়োগ করতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের স্বার্থে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ওয়াশিংটন এবং এর বাইরে লবিস্ট নিয়োগ করতে বাংলাদেশ পিছপা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে, আমরা একে ‘তদবির’ (লবিং) বলে থাকি। যেখানে প্রয়োজন সেখানে আমরা লবিং করব। আমরা দেখব কীভাবে আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে এই কাজটি করতে পারি।’
শুক্রবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে (বিলিয়া) এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ দেয়া সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধ দাবি করে আব্দুল মোমেন বলেন,প্রত্যেকেরই লবিস্টকে নিয়োগ দেয়ার অধিকার আছে, এতে (অবৈধ) কিছু নেই।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির কথিত লবিস্টদের জড়িত করার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা তাদের মাথাব্যথা, আমার নয়।
আরও পড়ুন: এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মোমেন বলেন,বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্রে অনেক ধাক্কা আসে। সব গণতন্ত্রেই অপরিপূর্ণতা আছে। এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা দিনে দিনে পরিপক্বতা অর্জন করেছি। আমেরিকা পরিপক্বতা অর্জন করার মধ্যেও ধাক্কা খায়। এ ধরনের ধাক্কা আসে। কোথাও দুর্বলতা থাকলে আমরা অবশ্যই তা দূর করার চেষ্টা করব।
যুক্তরাষ্ট্রকে অত্যন্ত পরিপক্ব জাতি হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যদিও র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমেছে। এটা তাদের নিরপেক্ষ সমীক্ষা। সেগুলো নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করবে। পৃথিবীজুড়ে সন্ত্রাস দূর করা ও সন্ত্রাসীদের ধরা তাদের লক্ষ্য। মাদক ও মানব পাচার কমানো তাদের লক্ষ্য। র্যাব এগুলো সফলভাবেই করছে। এ কারণেই র্যাব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমার মনে হয় সবাই এটা বুঝবে। তখন হয়তো অবস্থার পরিবর্তন হবে।
আগের দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীর বিলিয়া অডিটোরিয়ামে ‘মহামারি এবং মহামারি পরবর্তী সময় আইন ও আইনি শিক্ষা’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিলিয়া চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন ডক্টর মো. রহমত উল্লাহ এবং বিলিয়ার পরিচালক মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কিছু দেশের অসন্তুষ্ট থাকার কারণ বের করে সমাধানের চেষ্টা করব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে