স্বতন্ত্র
স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো দলে না গিয়ে যদি আলাদা থাকেন, তবে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনিা বলেন, স্বতন্ত্রদের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা আলাদা আলাদা থাকবেন, তবে জাতীয় পার্টি যেহেতু ১১টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি অবশ্যই (বিরোধী দল হিসেবে) প্রাধান্য পাবে।’
তিনি জানান, বিরোধী দল হতে হলে ১০ শতাংশ আসন থাকতে হয়।
এমপিদের শপথ, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল (বুধবার) নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। এ আমন্ত্রণ জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকার গঠন করবেন। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না গঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখন যে সরকার আছে তারা দায়িত্বে থাকবেন। নির্ধারিত সময় না থাকলেও রীতি রয়েছে শপথ নেওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই নতুন সরকার গঠিত হয়। আমার মনে হয়, এবারও তাই হবে।’
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন সংসদ সদস্যদের একটা গেজেট করবে। এটা করার পরে শপথ নিতে হবে, সেখানে একটা সময়সীমা রয়েছে যে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই শপথ নিতে হবে। এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
স্বতন্ত্ররা কোনো মোর্চা করতে পারবে কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘কেন পারবে না? স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজস্ব একটা গ্রুপ করবেন, অবশ্যই তারা সেটা করতে পারেন। তখন কাকে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা নির্ধারিত হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল শপথ নেওয়ার পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান কি হবে তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। স্বতন্ত্রদের অবস্থান নির্ণয় হওয়ার পরেই আমার মনে হয় বিরোধী দল কারা থাকবেন সেটা আমরা বুঝতে পারব।’
স্বতন্ত্র যারা তারা আওয়ামী লীগের। তারা যদি বিরোধী দলে যায়, তবে সরকার এবং বিরোধী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগ হলো। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের হিসেবে নির্বাচিত হননি। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগের এটা মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইন ও বাস্তবতার কথা সেটা নয়।’
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘তারা স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তারা যদি মনে করেন তারা স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন। তাহলে দেখা যাবে কতজন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেন। যদি দেখা যায় তারা একটা মোর্চা করবেন। অবশ্যই সেখানে তখন বিরোধীদল কে হবে তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
সংসদ সদস্যদের শপথ বুধবার হলে মন্ত্রিসভা কবে গঠিত হবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন তিনি ইনশাআল্লাহ আবারও আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির দল নেতা হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তিনি তখন ঘোষণা দেবেন কখন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলে আসছি নির্বাচন তখন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, যখন জনগণ ভোট দেয়। আপনারা সবাই দেখেছেন এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সেজন্য আমরা বলব, আমরা যেটা বলি সেটা সঠিক। এর কারণ হচ্ছে বাস্তব চিত্র আমরাই দেখেছি। এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে, যেটা জনগণ স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ওপরে কারও স্বীকৃতি প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।’
আরও পড়ুন: পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
৯ মাস আগে
উপনির্বাচন: ৬ আসনে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জয়
ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের তিনজন, ১৪ দলীয় জোটের দুজন ও স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বুধবার আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিয়াউর রহমান ৯৪ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার আপেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৯৯ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হককে তিন হাজার ৬৫৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুল ওয়াদুদ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৬৩৮ ভোট এবং সামিউল পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৮০ ভোট।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এ কে এম গালিব খান রাত ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন।
বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। আলম মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হন।
আরও পড়ুন: ৬টি আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসির অনুমান
বগুড়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৬৪ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, যিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতাও, তিনি ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৩৫ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ পেয়েছেন তিন হাজার ২৬৯ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন ৮৪ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায়কে ৩৩ হাজার ৭৩৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
গোপাল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩০৯ ভোট এবং ১৪ দলের সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী পেয়েছেন ১১ হাজার ৩৫৬ ভোট। সেখানে উপ-নির্বাচনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে, তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ছয়টি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে গড় ভোটার উপস্থিতি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। এটি আমাদের প্রাথমিক অনুমান, চূড়ান্ত নয়। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপ-নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান। তবে ভোটকেন্দ্রে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়নি।
ছয়টি আসনে চল্লিশ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর এক জনসভায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গত ১১ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান পদত্যাগ করেন। বিএনপির অপর দুই সংসদ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন অর রশীদ পরবর্তীতে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহজাহান আলম সাজু।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা আইনজীবী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ উপনির্বাচনে এখন পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্য চার প্রার্থীরা হলেন: জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্রভাবে জাপা বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু আসিফ।
উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে মো মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগত কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’
আবদুস সাত্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন ও দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিএনপি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদসহ দলের অভ্যন্তরীণ সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাত্তার।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদের সাতজন বিএনপি সদস্যের মধ্যে পাঁচজন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশিদ যিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্পিকারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
গত ১০ ডিসেম্বর সংসদ সদস্যরা ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
১ বছর আগে
নাসিক নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোট
টানা ১৮ দিনের প্রচার-প্রচারণার পর রবিবার (১৬ জানুয়ারি) তৃতীয়বারের মতো বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মোট সাতজন মেয়র প্রার্থী, ২৭ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতেই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
নির্বাচনে সাতজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের (হাতি প্রতীক) মধ্যে।
গত দুই সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার আগে ২০০৩ সালে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
২০১১ সালে প্রথম নাসিক নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে দেশের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এরপর ২০১৬ সালে বিএনপির দলীয় প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের ব্যানারে দ্বিতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হন আইভী। টানা ১০ বছর নগরমাতার দায়িত্ব পালন করে নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজ এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ২০১১ সালে যাকে ভোট গ্রহণের কয়েক ঘন্টা আগে বসিয়ে দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: সবার নজর নারায়ণগঞ্জে
২ বছর আগে