খোলা চিঠি
দেশ বাঁচাতে আ.লীগ-বিএনপির কাছে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি’র খোলা চিঠি
বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি (বিওপি) নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছানোর মাধ্যমে দেশ বাঁচাতে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর জজকোর্ট এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে বিওপির নেতৃবৃন্দ উভয় পক্ষের উদ্দেশে খোলা চিঠি পড়ে এ আহ্বান জানান বলে দলীয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবদুর রহিম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন ঢালী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ হাসানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক শক্তির উপর নির্ভর করে অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে দেশের প্রধান দুই দল। তাই নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে খোলা চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিওপির নেতারা।
লিখিত বিবৃতিতে বিওপি অভিযোগ করেছে, দেশে গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করে বিদেশিদের সম্পৃক্ত করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোট একে অপরকে পরাজিত করার সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা করেছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো কেউ একে অপরকে হারাতে পারে না। কিন্তু উভয় জোটই দেশকে ধ্বংস করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। বড় দুই দলের আচরণ তাদের জীবনকে কঠিন করে তুলবে বলে জানান তারা।
দেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরও বাড়াতে পারে ভবিষ্যতে এমন সংঘাত এড়াতে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য দুটি নেতৃস্থানীয় দলের শীর্ষ নেতাদের আহ্বান জানান বিওপি নেতাদের।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ
নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
১১ মাস আগে
ড. ইউনূসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: এইউবি ও ডিইউটিএ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৭০ জনেরও বেশি বৈশ্বিক নেতার খোলা চিঠিকে অবৈধ ও অযৌক্তিক দাবি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ (এইউবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ডিইউটিএ)।
তারা বলেন, চিঠিটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আইনের শাসনের জন্য হুমকি, কারণ শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্ব নেতারা আদালতের কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উভয় সংগঠন বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে বিশ্ব নেতাদের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে এইউবি বলেছে, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। দেশের বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর এ ধরনের অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং এটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে ওই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এইউবি।
অপর এক বিবৃতিতে ডিইউটিএ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের বিচার বিভাগ দেশের বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এতে বলা হয়, ‘সুতরাং, চিঠির লেখকরা অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছেন।’
ডিইউটিএ বলেছে, তাছাড়া এ ধরনের বক্তব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিধান এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সম্পর্কিত বিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বিচার বিভাগ ও শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিইউটিএ।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে সরকার হয়রানি করছে না, বিবৃতিদাতাদের প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে: অর্থমন্ত্রী
ইউনূসকে ব্যবহার করে বিএনপির ‘নতুন খেলা’ শুরু: কাদের
১ বছর আগে
এবার ড.ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ১৬০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি
১০০জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০জন বিশ্বনেতা বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুরক্ষা ও সুস্থতার বিষয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি সম্বোধন করা চিঠিতে সই করাদের মধ্যে রয়েছে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিক, কূটনৈতিক, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতারা।
এর মধ্যে রয়েছেন- বারাক ওবামা, হোসে রামোস-হোর্তা, মেরি রবিনসন, মারেড করিগান-ম্যাগুয়াইয়ার, শিরিন এবাদি, ডেনিস মুকওয়েগে, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা, অস্কার আরিয়াস সানচেজ, জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, বান কি-মুন, লরা বোলড্রিনি, পল ডেভিড হিউসন (বোনো) এবং স্যার রিচার্ড ব্রানসন প্রমুখ।
এই চিঠিতে সইকারীরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’
চিঠিতে সইকারীরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তারা লিখেছেন, ‘তবে, সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল।’
ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াকে ‘বিচারিক হয়রানি’ বলে অভিহিত করে সইকারীরা তার বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বারাক ওবামার চিঠি
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তা হলো―নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন, সম্প্রতি তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা সসম্মানে অনুরোধ করছি আপনি অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন, তারপরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণসহ আপনার দেশের মধ্যে থেকে নিরপেক্ষ বিচারকদের একটি প্যানেল দ্বারা অভিযোগ পর্যালোচনা করা হবে। আমরা নিশ্চিত, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী ও শ্রম আইনের মামলাগুলোর যে কোনও পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করা হলে তিনি খালাস পাবেন।’
এই সর্বশেষ চিঠিটি মার্চ মাসে পাঠানো আগের চিঠির অনুসরণ ছিল।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আপনি জানেন, ‘কীভাবে সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ আন্তর্জাতিক অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হতে পারে’- এ নিয়ে প্রফেসর ইউনূসের কাজ আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণামূলক।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিরা কীভাবে বৈশ্বিক অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন তিনি তার একটি প্রধান উদাহরণ। আমরা আন্তরিকভাবে কামনা করি তিনি যেন নিপীড়ন বা হয়রানিমুক্ত হয়ে তার উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
চিঠির সমাপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি, আপনি এই আইনি সমস্যাগুলোর সমাধান একটি সমীচীন, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত পদ্ধতিতে নিশ্চিত করবেন। এর পাশাপাশি আসছে দিনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন এবং সব ধরনের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান (প্রদর্শন) নিশ্চিত করবেন। সামনের দিনগুলোতে কীভাবে এই বিষয়গুলোর সমাধান করা হয় তা ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখার জন্য আমরা বিশ্বের লাখ লাখ উদ্বিগ্ন নাগরিকদের শিবিরে যোগ দেব’।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ডে. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
পাবলিক ডোমেনে থাকা মামলার নথি অনুসারে, কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) কর্মকর্তা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের কার্যালয় পরিদর্শন করে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান।
২০২১ সালে ডিআইএফই-এর করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১০১ জন কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি, কর্মচারী অংশীদারিত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়নি।
ড. ইউনুস গ্রামীণ টেলিকমের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতিত্ব করেন, যা একটি ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তার সহযোগী আশরাফুল হাসান, মো. শাহজাহান ও নূর জাহান বেগম।
গত শনিবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ড. ইউনূসকে আলাদাভাবে চিঠি লিখেছিলেন।
তার সই করা চিঠিতে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে 'ব্যাঙ্কার টু দ্য পুওর' তার 'গুরুত্বপূর্ণ কাজ' চালিয়ে যেতে পারবেন।
অন্যদিকে, রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশের ৩৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সব ধরনের হয়রানি বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চিঠিতে তার আইনজীবীদের যুক্তি উল্লেখ করে তারা জানান, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা মামলার অভিযোগগুলো দেওয়ানি প্রকৃতির, তবুও সরকার একটি ফৌজদারি মামলা করেছে।
ড. ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কার, ইউএস কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল ও ইউএস প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পাওয়া মাত্র সাতজনের একজন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বিচার চলবে
১ বছর আগে
খোলা চিঠিতে সাংবাদিক রোজিনার ‘হয়রানি’ বন্ধের আহ্বান জানাল সিপিজে ও মানবাধির গোষ্ঠীগুলো
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ‘হয়রানি বন্ধ’ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার পাঠানো একটি খোলা চিঠিতে এই আহ্বান জানায় সংগঠনগুলো।
চিঠিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সিসি তালিকায় রাখা হয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
চিঠিটি সিপিজে-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এতে লেখা আছে: আমরা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীর পক্ষে নিম্নসাক্ষকারীরা। বাংলাদেশি সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের হয়রানির অবিলম্বে অবসান নিশ্চিত করার জন্য আপনার ভূমিকা কামনা করছি।
রোজিনা ইসলামের কাজের জন্য তিনি ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। এটি একটি জনসেবা, অপরাধ নয় এবং জনস্বার্থ তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা) আইনের ধারা ৪ এবং ৫ এর অধীনে সুরক্ষিত হওয়া উচিত।
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের সুষ্ঠু বিচারের অধিকারসহ তার মানবাধিকারকে পূর্ণ সম্মান ও সুরক্ষা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সব ধরনের বিচার বিভাগীয় হয়রানি বন্ধ করতে, বিচার বিভাগীয় হেফাজত থেকে তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার সুবিধার্থে এবং তার কাজের জন্য তাকে আরও প্রতিশোধের শিকার হতে হবে না তা নিশ্চিত করা।
খোলা চিঠিতে সই করা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, কোয়ালিশন ফর উইমেন ইন জার্নালিজম, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, সিভিকস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা ফ্রি মিডিয়া মুভমেন্ট, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডারস, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ইন্টারন্যাশনাল উইমেনস মিডিয়া ফাউন্ডেশন, ওভারসিজ প্রেস ক্লাব অব আমেরিকা, পাকিস্তান প্রেস ফাউন্ডেশন, পেন আমেরিকা, পেন বাংলাদেশ, পেন ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস, সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ওএমসিটি)।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে পিবিআইকে মামলা তদন্তের নির্দেশ
সাংবাদিক রোজিনার মামলায় ডিবির প্রতিবেদনে শুনানি ১৫ জানুয়ারি
১ বছর আগে
ফসলি জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃষকদের খোলা চিঠি
খুলনার দাকোপ উপজেলার বাণীশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছে এক হাজার কৃষক পরিবার।
সম্প্রতি বাণীশান্তা-ভোজনখালী সংযোগ সড়কে এ উপলক্ষে চিঠি লেখা কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীন, তীব্র তাপদাহে রোপা আমন ও সবজি নিয়ে বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা
পোস্টকার্ডের মাধ্যমে লেখা ওই চিঠিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পশুর নদ খননের বালু কৃষিজমিতে না ফেলে বিকল্প জায়গায় ফেলার দাবি জানান কৃষকরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কৃষকদের বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন। কিন্তু তারা তা না করে বিভিন্ন মহলকে উসকানি ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। এ অবস্থায় বাণীশান্তার ৩০০ একর তিন ফসলি উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় ১২০০ কৃষক পরিবারের পাঁচ হাজার মানুষের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
তারা বলেন, উন্নয়ন করতে গিয়ে কৃষিজমি নষ্ট করা যাবে না, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা জীবন দেবো, তবুও বাণীশান্তার তিন ফসলি কৃষিজমিতে বালু ফেলতে দেবো না।
সভাপতির বক্তব্যে ইউপি সদস্য কৃষক পাপিয়া মিস্ত্রি বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃক বাণীশান্তার কৃষিজমিতে বালু ফেলার বিরুদ্ধে দাকোপের জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা ঐক্যবদ্ধ।
আরও পড়ুন: তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে হাওরের কৃষকের হাহাকার
আমাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিকল্প জায়গায় বালু ফেলে বাণীশান্তার উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় উদ্যোগী হবে।
২ বছর আগে
উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আব্দুল হামিদ বরাবর খোলা চিঠি লিখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এ খোলা চিঠি পাঠ করেন এক শিক্ষার্থী।
চিঠিতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক প্রতিনিধিস্বরূপ উপাচার্য নিয়োগ করে থাকেন। দেশের কল্যাণে নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নে নিবেদিত আছেন।
এতে আরও বলা হয়, গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের সামনে নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বিনা উস্কানিতে ও সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশের নিষ্ঠুর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
'জনগণের টাকায় ক্রয়কৃত আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের শিকার হন নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী যার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২৬ এর অধিক। এর মধ্যে কারও মাথা ফেটেছে, কারও রাবার বুলেট বা সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষত হয়েছে। ছাত্রীদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা লাঠিচার্জ করেছে,' চিঠিতে বলা হয়।
খোলা চিঠিতে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নৃশংস হামলার ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। দাবি না মেনে পুলিশি হামলায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলায় শাবিপ্রবি উপাচার্য যেভাবে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছেন, তা সরাসরি সংবিধান বিরোধী এবং আপনার কর্তৃক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ।'
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
২ বছর আগে