ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৭০ জনেরও বেশি বৈশ্বিক নেতার খোলা চিঠিকে অবৈধ ও অযৌক্তিক দাবি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ (এইউবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ডিইউটিএ)।
তারা বলেন, চিঠিটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আইনের শাসনের জন্য হুমকি, কারণ শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্ব নেতারা আদালতের কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উভয় সংগঠন বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে বিশ্ব নেতাদের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে এইউবি বলেছে, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। দেশের বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর এ ধরনের অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং এটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে ওই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এইউবি।
অপর এক বিবৃতিতে ডিইউটিএ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের বিচার বিভাগ দেশের বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এতে বলা হয়, ‘সুতরাং, চিঠির লেখকরা অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছেন।’
ডিইউটিএ বলেছে, তাছাড়া এ ধরনের বক্তব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিধান এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সম্পর্কিত বিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বিচার বিভাগ ও শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিইউটিএ।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে সরকার হয়রানি করছে না, বিবৃতিদাতাদের প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে: অর্থমন্ত্রী