ব্যবহার
‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হচ্ছে’
মানবদেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে অনেক সময় আমাদের শরীরে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘তার চেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য হলো, আমরা যে অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছি তা আবার পরিবেশে ফিরে যাচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে কেউ ভাবছে না, এটি যে ভাববার বিষয়, তা আমাদেরই ঠিক করতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) জনসচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ওয়ান হেলথ বলতে যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্রীয়ভাবে রাখা হয় তাহলে তারা শুধু তাদের বিষয় নিয়েই কাজ করবে।’
ওয়ান+ওয়ান= ওয়ান হবে, নাকি ওয়ান বলতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অথবা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বুঝাবে তা ভেবে দেখা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ফরিদা আখতার বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপারে অত্যন্ত দেরি হয়ে গেছে। এখনই কাজ করার সময়, প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে বোঝার ক্ষেত্রে এখনও ঘাটতি রয়েছে। এখন সময় এসেছে দায়িত্ব নেওয়ার।’
কোন কাজ কোথায় করব তা জেনে বুঝে করা অতীব জরুরি বলে মনে করেন ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে। এর অর্থ এই নয় যে স্বাস্থ্যের দিকে আমরা উন্নত। আমরা বেঁচে আছি, তবে ভালোভাবে বাঁচছি না। এখনও অনেক মানুষ অসুখ হলেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে।’
‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হওয়ার ফলে মানুষ তথা রাষ্ট্রের খরচ বাড়ছে। আর মানুষ অসুস্থ থেকে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
তাই সুস্থতার জন্য ওষুধের ওপর নির্ভর নয়, বরং ওষুধ ছাড়া আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হবে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
‘নিরাপদ খাদ্য’ কথাতেই আপত্তি রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘খাদ্য অনিরাপদ নয়, খাদ্য নিরাপদই হতে হবে। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’
‘জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে প্রমাণ হয়েছে, তরুণরাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। খাদ্যকে অনিরাপদ করার জন্য বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে, অথচ সেদিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। এখানে আমাদের কাজ করতে হবে।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, ফ্লেমিং ফান্ড গ্রান্ট বাংলাদেশের টিম লিড প্রফেসর ড. শাহ্ মনির হোসেন, সিস্টেম স্ট্রেনদেনিং ফর ওয়ান হেলথের চিফ অব পার্টি অধ্যাপক ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, বাংলাদেশে নিযুক্ত খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কান্ট্রি টিম লিডার ড. ইরিখ ব্রুম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান; প্রাণির স্বাস্থ্য খাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ক্ষমতার তথ্য উপস্থাপনা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. শাহীনুর ইসলাম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. নূর আসাদ উজ জামান।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা
১ দিন আগে
ওজোন স্তর রক্ষায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত: উপদেষ্টা
ওজোন স্তর রক্ষায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ফ্রিজ ও এসি এবং নন-সিএফসি ইনহেলার ব্যবহার করা উচিত বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, টেকনিশিয়ানদেরও ওজোন স্তরের জন্য ক্ষতিকারক পদার্থ নির্গমন রোধে সচেতন থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আগারগাঁও পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছরের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব। ত্বকের ক্যান্সার ও চোখের ছানি পড়া রোধে ওজোন স্তর রক্ষা জরুরি। এজন্য বিশ্ববাসীকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নারীদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ তারা ফ্রিজ বা এসি কেনার সময় সিদ্ধান্ত দেন।
আরও পড়ুন: মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
এছাড়া, গণমাধ্যমকে জনসচেতনতা তৈরির কাজে ভূমিকা রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: নৌপথে পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
২ মাস আগে
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এই ক্ষুধাকে জয় করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ধান রোপণ ও ধান কাটায় প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।’
সোমবার (৮ জুলাই) নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশে ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হয় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেশিনের মাধ্যমে সহজেই অল্প সময়ে অধিক জমির ফসল তোলা সম্ভব। কৃষক ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছেন। কোনোটা বিনামূল্যে কোনোটা ভর্তুকি মূল্যে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। চাষাবাদ বাড়াতে হবে। ঘরের আশে-পাশের জমিতেও মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করলে পরিবারের খরচ কমবে। দেশের সামগ্রিক উৎপাদনে এটার গুরুত্ব আছে।’
বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান বোরো সংগ্রহে সরকার চালের দাম এক টাকা বাড়িয়েছে কিন্তু ধানের দাম দুই টাকা বাড়িয়েছে। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’
ট্রানজিট নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের চুক্তি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রানজিট এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বাড়ায়। বিশ্বায়নের যুগে একা থাকলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা কাজ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা গোলামি চুক্তি করেননি। বিএনপি মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।’
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে চান তিনি। উন্নয়ন থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’
পোরশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান খোকন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে গাছের চারা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক এবং অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৪ মাস আগে
গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা সংসদ সদস্যের
অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের কারণে নতুন প্রজন্ম পঙ্গু হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
শনিবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অ্যাপ তৈরি করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার নিষ্ক্রিয় করতে পারে কি না, সে বিষয়ে পরামর্শ দেন কুমিল্লা-৭ আসনের এই সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল টাওয়ার ফ্রিল্যান্সিং ছাড়া অন্য কোনো কাজে বা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বিকল্প পথ হিসেবে কেন ব্যবহার করা হয় না- সেটিও আমাদের খতিয়ে দেখা উচিত।’
আরও পড়ুন: ৫ সদস্যের জাতীয় সংসদের প্যানেল সভাপতি মনোনীত
তা না হলে ১০ বছর বয়স থেকে শুরু করে তার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সবাই কানে কম কথা শোনার অভিযোগ করছেন বলে জানান প্রাণ গোপাল দত্ত।
তিনি আরও বলেন, মানুষ অভিযোগ করছে যে তারা শুনতে পারছে না, তারা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারছে না। তাই এমন কিছু উদ্ভাবন করা উচিত যাতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকে।
এই সংসদ সদস্য বলেন, স্বাস্থ্য খাত সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাত যেখানে পরীক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচ আকাশচুম্বী।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের উদ্ধৃতি দিয়ে দত্ত বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সরকারি খাতের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, 'এখন এটা (শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা) সারা বিশ্বে পণ্যে পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে টাকা থাকলে চিকিৎসা হবে, টাকা না থাকলে চিকিৎসা পাবেন না। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দেখাশোনা করার কেউ নেই।’
চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গবেষণা, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্যে বিশেষ নজরদারির আহ্বান সংসদীয় কমিটির
৪ মাস আগে
পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, মানুষ, উদ্ভিদ ও প্রতিটি জীবের জন্য নিরাপদ পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে আবাদি জমি কমছে। টেকসই উন্নয়ন ও সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পানি অপরিহার্য। সেজন্য আমাদের সবাইকে পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বব্যাপী সব অংশীজনের সম্মিলিত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমেই এটি অর্জন করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: উদ্বৃত্ত সত্ত্বেও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়: কৃষিমন্ত্রী
পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কৃষিতে সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি ও ধান চাষে পানির সাশ্রয়ী ব্যবহারে বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ তুলে ধরেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা কৃষিকাজে পানির অপচয় রোধ ও কৃষকের সেচ খরচ আরও কমাতে কাজ করে যাচ্ছি। ভূগর্ভস্থ পাইপের মাধ্যমে সেচ প্রদান ও ধান চাষে পর্যায়ক্রমে ভেজানো ও শুকানো (এডব্লিউডি) পদ্ধতির সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলমান ১০ম ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ফোরামের ‘গ্রহ ও মানুষের জন্য ধান’ শীর্ষক মিনিস্টিরিয়াল সেশনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষক ও কৃষির কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি, গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণা অবকাঠামোর উন্নয়ন, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছেন। এসব বহুমুখী উদ্যোগ বিশ্বে বাংলাদেশকে কৃষিপণ্য উৎপাদনের রোল মডেলে পরিণত করেছে; বিশেষ করে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে চালের উৎপাদন চারগুণেরও বেশি বেড়েছে। দেশে এখন চালের ঘাটতি নেই, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই চাহিদা মেটানো যাচ্ছে। এই অর্জন না হলে আমাদের লাখ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়ত, খাদ্য শরণার্থী হয়ে যেত এবং বিশ্বব্যাপী সংকট তৈরি হতো কিন্তু বাস্তবে এই অর্জনের ফলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান ও খাওয়ানোর সাহস দেখিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, সকলের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি সব দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হবেন: কৃষিমন্ত্রী
প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে: ডিএনসিসির বর্জ্য প্রদর্শনীতে মেয়র
রাজধানীতে খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে বলে আক্ষেপ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নির্বিচারে ময়লা ফেলায় ড্রেন ও খালের প্রবেশ মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং এ কারণে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সময় লাগে।
তিনি বলেন, 'আমরা দেখছি অনেকে অসচেতনভাবে গৃহস্থালির বর্জ্য খাল, ডোবা, নালা, ড্রেনে ফেলে দেই। সারফেস ড্রেনে ও খালে এমন কোনো ময়লা নেই পাওয়া যায় না। আমরা অবাক হয়ে যাই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ময়লা নির্বিচারে সবাই ফেলে দিচ্ছে খালে ও ড্রেনে।’
আরও পড়ুন: রিকশাচালকদের স্যালাইন-পানি ও ছাতা বিতরণ করলেন ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টব, রিকশার অংশবিশেষ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানা পরিত্যক্ত পণ্য। এগুলোর কারণেই মূলত পানি প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার।'
শনিবার (১১ মে) বেলা ১১টায় ডিএনসিসির সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠোনে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ করে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ডিএনসিসি। পরে মেয়র ঘুরে ঘুরে বর্জ্যগুলো দেখেন এবং প্রদর্শনীতে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের সচেতন করেন।
গুলশান-২ ডিএনসিসি'র নগর ভবনের সামনের রাস্তায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ১১ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ড্রেনে, খালে ও যত্রতত্র এসব বর্জ্য ফেলায় দূষণ হয় নগরের পরিবেশ। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আজকে এই বর্জ্য-প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার সৃষ্টি হয়। জনগণ যেন বুঝতে পারে কী ধরনের বর্জ্য ড্রেনে ও খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে এই জন্যই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছি।'
মেয়র আরও বলেন, 'উন্নত দেশে বাড়ির সামনের দিকে খাল থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো চিত্র। সবাই খাল পেছনে রেখে বাড়ি বানায়। খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। শহরের প্রতিটি খাল থেকে নানা ধরনের বর্জ্য পাওয়া যাচ্ছে। খালগুলোতে চেয়ার টেবিল, লেপতোশক, টায়ার, কমোড, সোফাসহ এমন কিছু নেই যে পাওয়া যায় না। সারফেস ড্রেনে প্লাস্টিক বোতল, পলিথিনে ভর্তি। এগুলোর কারণে ড্রেন ও খালের প্রবেশ মুখ ব্লক হয়ে থাকে। ফলে বৃষ্টি হলেই জলজট সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ড্রেন থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে সময় লেগে যায়।'
আরও পড়ুন: ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, 'এছাড়াও যত্রতত্র বর্জ্য ফেলায় জন্ম হয় এডিস মশার। আমাদের অসচেতনতায় ডেঙ্গু ভয়াবহ হতে পারে। খাল জলাধার রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর খাল-ড্রেন ও জলাধারে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা অপরাধ। এই বিষয়ে আমি জনগণের সহযোগিতা চাই। নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি।'
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল বলেন, 'রাজধানীতে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতার জন্য ১০টি অঞ্চলে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে জলজট দূর করতে এই কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে।’ কোথাও পানি জমে থাকলে নগরবাসীকে ১৬১০৬ হট লাইনে যোগাযোগ করার কথা জানান তিনি।
মেয়র বলেন, ডিএনসিসি'র হট লাইনে অভিযোগ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছে যাবে এবং কাজ শুরু করবে।
খালে বর্জ্য ফেলা নিয়ে মেয়র বলেন, বৃষ্টি হলে শহরে যেভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো সেটা অনেকাংশে সমাধান হয়েছে। একসময় বিভিন্ন প্রধান সড়কেও কয়েকদিন জলাবদ্ধতা হতো। এখন আর প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা হয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই জলাবদ্ধতা নিরসন এখনো অল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়। এ জলাবদ্ধতা শুধু ড্রেনে ময়লা জমে জলাবদ্ধতা হয়। এখন কেউ খাল ও ড্রেনে বর্জ্য ফেললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুশিয়ারি দেন ডিএনসিসি মেয়র।
বর্জ্য প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: রিকশাচালকদের ছাতা-স্যালাইন-পানির বোতল দিলেন ডিএনসিসি মেয়র
৬ মাস আগে
নিষিদ্ধ সব জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, কোনোক্রমেই অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
রবিবার (৫ মে) চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ অডিটোরিয়ামে সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অংশীজনের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।
আরও পড়ুন: গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এসব জাল ব্যবহার করে মাছের ডিম পর্যন্ত তুলে ফেলা হচ্ছে এবং দেশের স্বার্থে, দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের স্বার্থে অবৈধ জালের বিস্তার অবশ্যই রোধ করতে হবে। তা করা না গেলে আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসবে না।
সামুদ্রিক মৎস্য রক্ষার্থে কোনো অবস্থাতেই অবৈধ উপায়ে ও অবৈধ জাল ব্যবহার করা যাবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
তিনি আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি এটিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ ধরে ফেললে কোনো প্রযুক্তিই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা যথাযথভাবে পালনের জন্য অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, এবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন নৌযান কতৃক সাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে।
অংশীজনের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হ্রদ, নদী ও সাগরের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার উন্নয়নে যা কিছু করার প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে তার সব কিছুই করা হবে।
তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের।
মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এই দেশ গড়ে তোলা হবে। রাজনীতি যারা করে তাদের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের চিন্তা না করে ১৬ কোটি মানুষের কথা চিন্তা করেন।
মন্ত্রী বলেন, সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় আন্তরিক রয়েছে।
জাহাজের মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই লেকের যৌবন ফেরাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৬ মাস আগে
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার বন্যপ্রাণীর টেকসই সংরক্ষণ ও বৈধ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও পরিষেবা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্বেষণ করা হচ্ছে। প্রকৃতির টেকসই অভিযোজন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রয়োগে নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তিবিদ এবং সংরক্ষণবাদীসহ সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) বন অধিদপ্তরে মানুষ ও ধরিত্রীর বন্ধন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন শ্লোগানে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপ, বাঘের শিকার প্রাণীর বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তি ও স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেম, রিয়েল টাইম ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং রেডিও কলারিং প্রভৃতির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য রোধের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের আওতাধীন ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক ল্যাব এ ট্রফি বা বন্যপ্রাণীর নমুনা থেকে প্রজাতি চিহ্নিতকরণ এবং জিনগত সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ডিএনএ বারকোড ডেটাবেস তৈরি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি মাইলফলক।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে হাতির রেডিও কলারিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বনাঞ্চলে হাতির বিস্তৃতি ও চলাচল পথ নির্ণয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে বন অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ব্যবহারের জন্য একটি বন্যপ্রাণী অপরাধ রিপোর্টিং টুল তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যার মাধ্যমে সারাদেশে বন্যপ্রাণী অপরাধ সংঘটনের চিত্র খুব সহজেই পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নেপাল বাংলাদেশের সমুদ্র ও দুইটি স্থলবন্দর (বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী) ব্যবহার করতে চায় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা মিটিং হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালের সঙ্গে আমাদের অনেক এনগেজমেন্ট আছে। নেপালের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের ব্যাপারে নেপালের খুব আগ্রহ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নেপাল ভূমি বেষ্টিত একটি দেশ। তারা মূলত মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায়। এছাড়া তারা বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরও ব্যবহার করতে আগ্রহী। বন্দর ব্যবহার করে তারা পণ্য আনা-নেওয়া করতে চায়।
এসব ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগতভাবে বন্দরগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি চান যাতে দ্রুত এগুলো হয়। আমরাও এটি বাস্তবায়নের গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে এটি নিয়ে কথা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি একটি বিষয় উত্থাপন করেছেন যে, আমরা কীভাবে ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারি। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল এখন ফুলবাড়ী পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু আমাদেরগুলো যেতে পারে না। এ সংকট নিরসনে আমরা তিন দেশ মিলে কাজ করছি। এটা তারা চায়, আমরাও সেটা চাই। এটা হলে বহির্বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বেশি মসৃণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
জনসেবা দিতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়কে জনবান্ধব করতে সব জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বাড়াতে ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি, কর্মকর্তাদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, তাদের মূল্যায়নের জন্য কি-পারফর্মেন্স ইন্ডিকেটর, প্রজেক্ট বাস্তবায়ন ড্যাশবোর্ড প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।
সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয়ে পরিণত করতে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশমন্ত্রীর ১০০ কর্মদিবসের পরিকল্পনা ঘোষণা
মন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি স্মার্ট ও সফটওয়্যার ভিত্তিক করা হবে। মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট করতে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জনসেবা প্রদানের মানকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ডিজিটালাইজেশনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে এটুআই নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আইসিটি শাখার কর্মকর্তাসহ দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্মার্ট মন্ত্রণালয় বিনির্মাণে উভয় মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও, স্মার্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ এবং জনসেবা প্রদানে আইসিটি ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সাফারি পার্কে প্রবেশে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৯ মাস আগে