কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এই ক্ষুধাকে জয় করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ধান রোপণ ও ধান কাটায় প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।’
সোমবার (৮ জুলাই) নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশে ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হয় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেশিনের মাধ্যমে সহজেই অল্প সময়ে অধিক জমির ফসল তোলা সম্ভব। কৃষক ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছেন। কোনোটা বিনামূল্যে কোনোটা ভর্তুকি মূল্যে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। চাষাবাদ বাড়াতে হবে। ঘরের আশে-পাশের জমিতেও মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করলে পরিবারের খরচ কমবে। দেশের সামগ্রিক উৎপাদনে এটার গুরুত্ব আছে।’
বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান বোরো সংগ্রহে সরকার চালের দাম এক টাকা বাড়িয়েছে কিন্তু ধানের দাম দুই টাকা বাড়িয়েছে। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’
ট্রানজিট নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের চুক্তি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রানজিট এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বাড়ায়। বিশ্বায়নের যুগে একা থাকলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা কাজ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা গোলামি চুক্তি করেননি। বিএনপি মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।’
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে চান তিনি। উন্নয়ন থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’
পোরশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান খোকন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে গাছের চারা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক এবং অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী