অবকাঠামো
প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে
‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। দুর্নীতি অনিয়ম দূর করে জনবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের তাগিদ দেন তারা।
শনিবার (২ নভেম্বর) ‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
সেমিনারে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
বিএসআরএসফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন- বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আতিকুর রহমান।
এসময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ভবিষ্যৎ এ প্রকল্প গ্রহণ করার আগে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা হবে। কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। জনবান্ধব প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। দুর্নীতি কমিয়ে উন্নয়নকে জনগণের প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতেই এ সরকার কাজ করছে। বিশাল ঋণের বোঝা রেখে গেছে এ সরকারের ওপর। যা অন্তবর্তী সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতির অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছি। আমরা দুর্নীতি যতটা সম্ভব কমিয়ে সংস্কার করব।
তিনি বলেন, হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটি প্রকল্প সম্পন্ন হয়। এটা ব্যক্তিগত টাকা নয়, জনগণের টাকা। এটা মাথায় রাখা উচিত। এ সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা আকাশচুম্বী। সবাই ভাবেন আমাদের কাছে জাদুর কাঠি আছে। আসলে কিছু নেই আমাদের কাছে। ব্যাংকে টাকা নেই। রাজনীতিবিদরা উসখুস করছেন কবে ক্ষমতায় আসবেন। আমরাও চাই নিজেদের কাজে ফিরে যাই।
ফাওজুল কবির বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতি, গ্যাস বিদ্যুতের দাম নিয়ে ক্ষুদ্ধ মানুষ। আমরা এখানে একটা কাজ করেছি, দুর্নীতির কাঠামো ভেঙে দিয়েছি। বিইআরসির আগের কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি। ঢাকা মেট্রোতে সাবেক সচিব হতে হবে বলে যে বিধান ছিল, সে নিয়ম বাদ দিয়েছি। যার অভিজ্ঞতা আছে তিনিই এখানে কাজ করতে পারবেন। আবার পাওয়ার গ্রিডে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে আমরা কাঠামোগত পরিবর্তন করতে শুরু করেছি।
আলোচনায় অংশ নেন মো. সারদার শাহদাত আলী, ড. মো. শামসুল হক, ড. শর্মিন্দ নীলর্মি, ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, মেহেদী এইচ ইমন, উমামা ফাতেমা ও মো. মাহিন সরকার।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী ফুটবলারদের দাবিগুলো লিখে জানাতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ২ বছরে সরকারি খাতে ৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে: উপদেষ্টা আসিফ
১ মাস আগে
অবকাঠামো, সমবায় ও পল্লী উন্নয়নে বিনিয়োগের আগ্রহ ভারতের
অবকাঠামো, সমবায় ও পল্লী উন্নয়নে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে এক সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ সুদৃঢ় হলে দুটি দেশের মানুষ তার সুফল ভোগ করবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বৈঠকে ভারতের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা কিভাবে কাজ করে তার বিস্তারিত জানতে চান রাষ্ট্রদূতের কাছে। বাংলাদেশে কার্যকর ও দক্ষ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় ভারতের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
সমবায়ের উপর ভারত সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, সমবায়ের ক্ষেত্রে উভয় দেশ অভিজ্ঞতা বিনিময় করলে লাভবান হবে।
গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে ভারতের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, সুপেয় পানি সরবরাহ ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন বিষয়ে উভয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও বাণিজ্য সহজীকরণ হবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
১০ মাস আগে
অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশের গ্রামীণ রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া এলজিইডি সম্পাদিত বিভিন্ন প্রকল্পের গুণগত মান এখন অনেক বেড়েছে। ফলে শহরের বিভিন্ন সুবিধা এখন সহজেই গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। দেশের অর্থ-সামাজিক উন্নতিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অবদান তাই অনস্বীকার্য।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি এবং প্রশাসনিক বিষয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার ফলে আজকাল গ্রামে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুবসমাজের আয়ের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা যেমন কমেছে, সঙ্গে গ্রামের অর্থনীতিও শক্তিশালী হচ্ছে।
মন্ত্রী এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে দেশের অর্ধেক উপজেলা পর্যায়ে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, শিগগিরই বাকি উপজেলাগুলোতে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে, যাতে বিভিন্ন কাজের মান ঠিক থাকে।
তিনি এ সময় গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার লোড ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ফলে গ্রামের রাস্তাঘাটেও এখন ভারী যানবাহন চলাচল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখন থেকেই আমাদের সে অনুযায়ী অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট তৈরি করতে হবে। তবে কখনো কখনো ব্যয় সংকোচন নীতি নিতে গিয়ে অল্প পরিমাণ টাকার জন্য কাজের গুণগতমান যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দিয়ে বলেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করে নিতে হবে। তিনি এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়নের বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়ন পেলে তা আমাদের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১০ মাস আগে
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশ-ফ্রান্সের
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রেলওয়ে সেক্টরসহ বাংলাদেশে মানসম্মত ও স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আশা প্রকাশ করেছেন, প্যারিস ও টুলুসে আগামী ২৩ ও ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ফ্রান্স বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি আনবে।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে এমন উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী ও অটুট।’
যৌথ প্রবৃদ্ধি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতি ফ্রান্স আস্থা প্রকাশ করেছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই শিল্প থেকে পরিষেবা পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরে বিস্তৃত তাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের গভীরতার কথা স্মরণ করেছে এবং ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় সহযোগিতার মাধ্যমে এটিকে আরও গভীর ও প্রসারিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিতে খুশি ফ্রান্স
ফ্রান্স বাংলাদেশের শ্রম খাতে (২০২১-২০২৬) জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের প্রশংসা করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্সের (জিএসপি) অধীনে একটি মসৃণ ও টেকসই পরিবর্তনের সুবিধার্থে এর বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির বহুমুখীকরণের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
২০২১ সালের নভেম্বরে তার আমন্ত্রণে ফ্রান্স সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময়ে প্রধানমন্ত্রী ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশে আসার নিমন্ত্রণ করেন। অবশেষে, চলতি মাসের ১০-১১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বাংলাদেশে সফর করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সোমবার ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য সাক্ষাত করেছেন এবং বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিস্থাপকতা, সমৃদ্ধি এবং মানুষ-কেন্দ্রিক সংযোগের সমর্থনে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের জন্য একটি বিশ্বস্ত ও অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য তাদের অভিন্ন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স তাদের অংশীদারিত্বের কৌশলগত মাত্রাকে আরও গভীর করতে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে সম্পর্ককে 'কৌশলগত' পর্যায়ে নিতে চায় ঢাকা-প্যারিস
নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮৪ ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি সই
১ বছর আগে
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে পাবনা জেলার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ শেষে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দেন।
উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পাবনা জেলার সড়ক যোগাযোগ, পানি উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অবকাঠামো উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন স্থানীয় চাহিদা ও জনস্বার্থ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান, কারণ সব প্রকল্প একযোগে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন এনএসইউ’র ভিসি
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি কর্মকর্তাদের মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রকল্পগুলো শেষ করার নির্দেশ দেন।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (অতিরিক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘরের প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে
বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সংযুক্ত আরব আমিরাত: প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত
সংযুক্ত আরব আমিরাত পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আলী আল হামুদি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতার বিষয়ে তার বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত স্মরণ করেন যে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল দুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর উপসাগরীয় দেশ সফরের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে শেখ নাহিয়ান ১৯৮৪ সালে ঢাকা সফর করেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাটিকানের পোপের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
আগামী নভেম্বরে দুবাইয়ে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে তিনি সেখানে চাকরির জন্য যেতে ইচ্ছুকদের আরবি ভাষা শেখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে অবস্থানকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর ঢাকায় কনসুল্যার মিশন খুলতে পারে পর্তুগাল
১ বছর আগে
৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০টি শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
রবিবার তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফলক উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দেশের বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এর মধ্যে চারটি শিল্প ইউনিট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে এবং আটটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন শুরু করেছে।
এছাড়া কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) প্রশাসনিক ভবন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, ২০ কিলোমিটার শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০ কেভিএ গ্রিডলাইন এবং বিএসএমএসএন-এ সাবস্টেশন খোলা হয়েছে।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৯টি শিল্প ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর এবং বিএসএমএসএন-এ প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বিএসএমএসএন-এ যে চারটি শিল্প কারখানা বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে সেগুলো হল ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, জাপানের নিপ্পন স্টিল, বাংলাদেশের ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ও টিকে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সমুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার ইতোমধ্যে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলমান।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে রয়েছে এবং অন্য ৬১টি নির্মাণাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগকারী সমিতির সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
আরও পড়ুন: বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে উদার ও স্বচ্ছ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ৫০ শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন করবেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ৫০টি শিল্প-কারখানা ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এ কর্মসূচি পালন করবে।
কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে বদলপুরা ও শাহ মিরপুর মৌজায় অবস্থিত। এটি গত বছরের মার্চ মাসে বেজা থেকে জমি নিয়ে দেশের অন্যতম বড় কোম্পানি কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে।
ড্রাইডক নির্মাণ ব্যয়ের জন্য বিশ্বব্যাংক ৮০০ কোটি টাকার সহজ ঋণ দিয়েছে।
১৪ মিটার ড্রাফটের এই ড্রাইডকটি ২৮৫ মিটার দীর্ঘ ও ৫৬ মিটার চওড়া। এর ডকে এক লাখ টন ওজনের জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত করা সম্ভব। এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি ড্রাইডক নির্মাণের কাজও এখন চলছে।
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারায় কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় দুটি জেটি নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আমদানি পণ্যবাহী জাহাজ জেটিতে আসতে শুরু করেছে এবং লোড-আনলোড কার্যক্রম নিয়মিত চলছে। যা চট্টগ্রাম বন্দরের কার্গো জাহাজের যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বিশেষ করে বহির্নোঙ্গরে জাহাজের অপেক্ষার সময় কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলের অধীনে আরও দুটি জেটি ও কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বেজা ২০ দশমিক ৯৮ একর জমি লিজ নিবে এবং কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের নিজস্ব জমিতে আরও দুটি জেটি নির্মাণ করা হবে।
মোট আটটি ভেন্যুতে একযোগে প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
ভেন্যুগুলো হল- গণভবন, ঢাকা; চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর; মৌলভীবাজারে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল; চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চল; জামালপুর সদরে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল; কক্সবাজারের সাবরাং পর্যটন পার্ক ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেনদি অর্থনৈতিক অঞ্চল।
সর্বশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হবে।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড ইতোমধ্যে এক হাজার ২০০ জাহাজ ও নৌকা তৈরি করেছে, প্রায় ৮০০ জাহাজ মেরামত করেছে এবং ৫০টি ড্রেজার নির্মাণ করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: ইসলামের অপব্যাখ্যা প্রতিহত করুন: হজ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে কুয়েতের প্রস্তাবিত পেট্রোলিয়াম শোধনাগার দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
২ বছর আগে
জ্বালানি, অবকাঠামো, আইসিটি খাতে ব্রাজিলের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশে জ্বালানি, অবকাঠামো ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলের বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও বাণিজ্যের পরিধি এখনও বাড়েনি।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে ব্রাজিলের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং ব্রাজিলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে তাকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: মোমেনকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
তিনি ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও ‘লুলা’ দা সিলভাকে তার অসাধারণ বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
মোমেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও ‘লুলা’ দা সিলভাকে আগামী বছর পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি ব্রাজিল থেকে চিনি, সয়াবিন তেল এবং উন্নত জাতের দুধের গাভী আমদানিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে ব্রাজিল মার্কোসুর দেশগুলোর সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির জন্য বাংলাদেশের উদ্যোগকে সহজতর করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৃহত্তর সহযোগিতার জন্য কার্যকর কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠন নেই।
তিনি বলেন, ব্রাজিল, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য সমমনা উন্নয়নশীল দেশগুলো ভালো সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, তথ্য আদান-প্রদান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দক্ষিণের দেশগুলোকে নিয়ে একটি সংগঠন করতে পারে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ফেরেস এই ধারণার প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক সুবিধার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং ঢাকায় থাকাকালীন সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
উভয় পক্ষ বহুপক্ষীয় ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সমর্থনের বিষয়েও আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: আপনার বাবা ছিলেন বিদেশে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর: টেড কেনেডি জুনিয়রকে মোমেন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে সুখবর নেই: মোমেন
২ বছর আগে
ঢাকায় অবকাঠামো সহযোগিতা কেন্দ্র চালু করল দ. কোরিয়া
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন বলেছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে অবকাঠামোগত যাত্রায় তার দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
সোমবার ঢাকায় কোরিয়া-বাংলাদেশ অবকাঠামো সহযোগিতা কেন্দ্রের (কেবিআইসিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কেবিআইসিসির উদ্বোধন কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক যে ঘনিষ্ঠ হওয়াকে নির্দেশ করে।
তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোরিয়ার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও প্রদর্শন করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
২ বছর আগে