বাংলাদেশে জ্বালানি, অবকাঠামো ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্রাজিলের বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলের বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও বাণিজ্যের পরিধি এখনও বাড়েনি।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে ব্রাজিলের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং ব্রাজিলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে তাকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: মোমেনকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
তিনি ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও ‘লুলা’ দা সিলভাকে তার অসাধারণ বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
মোমেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও ‘লুলা’ দা সিলভাকে আগামী বছর পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি ব্রাজিল থেকে চিনি, সয়াবিন তেল এবং উন্নত জাতের দুধের গাভী আমদানিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে ব্রাজিল মার্কোসুর দেশগুলোর সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির জন্য বাংলাদেশের উদ্যোগকে সহজতর করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৃহত্তর সহযোগিতার জন্য কার্যকর কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠন নেই।
তিনি বলেন, ব্রাজিল, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য সমমনা উন্নয়নশীল দেশগুলো ভালো সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, তথ্য আদান-প্রদান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দক্ষিণের দেশগুলোকে নিয়ে একটি সংগঠন করতে পারে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ফেরেস এই ধারণার প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক সুবিধার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং ঢাকায় থাকাকালীন সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
উভয় পক্ষ বহুপক্ষীয় ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সমর্থনের বিষয়েও আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: আপনার বাবা ছিলেন বিদেশে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর: টেড কেনেডি জুনিয়রকে মোমেন