অঙ্গীকার
দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখা ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করাকে তাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেবে তার দল। বাংলাদেশে উগ্রবাদী ও ফ্যাসিবাদীরা আবারও গণতন্ত্রকে কবর দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, ধর্মীয় উগ্রবাদী ও তাদের মৌলবাদীদের অশুভ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে—উগ্রবাদী গোষ্ঠী ও পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি আবারও দেশে গণতন্ত্রকে কবর দেবে।’
এভাবে চলতে থাকলে গণতান্ত্রিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির সংকট দেখা দিতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার কর্মসূচিই হবে উগ্রবাদ ও ধর্মীয় মৌলবাদের অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা। পাশাপাশি গণহত্যার জন্য দায়ী পলাতক মাফিয়া চক্রকে যেকোনো মূল্যে বিচারের আওতায় এনে গণতান্ত্রিক শক্তির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমাধান করা।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, কয়েক হাজার শহীদের রক্তে রঞ্জিত রাজপথে গণঅভ্যুত্থানের সময় গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতিটি স্তরের সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। ‘যদি আমরা স্বাধীনতাকামী ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে কোনো চক্রান্তই সফল হবে না।’
জনগণের মধ্যে আস্থা ধরে রাখতে জনগণকে তার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারেক। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড বা কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা যদি জনগণের কাছে আরও স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট করা যায়—তাহলে তাদের মনের সব সংশয় ও দ্বিধা দূর হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি, গণতন্ত্র-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তারেক
বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা সত্য যে, শুধু একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য আওয়ামী মাফিয়া সরকারকে উৎখাত করা হয়নি।
‘কিন্তু আরও একটি সত্য হলো, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারায় মাফিয়া শাসনের নির্মমভাবে পতন ঘটেছে। তাই একটি নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসতে পারবে কি পারবে না, সেটা বিবেচনা করার সুযোগ নেই।’
২৯ দিন আগে
স্বর্ণ চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার অঙ্গীকার এনবিআর চেয়ারম্যানের
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, স্বর্ণ চোরাচালান রোধ, কর প্রক্রিয়া সহজ করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রবিবার বিমানবন্দর কাস্টমসে যাত্রী সেবা হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
দেশের অভ্যন্তরে আমদানি রেকর্ডের তুলনায় স্বর্ণের পরিমাণের অসামঞ্জস্যতাও তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই ভারসাম্যহীনতা নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। যেকোনো বিমানের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানে সহায়তার প্রমাণ পেলে নিষেধাজ্ঞা ও রুট পারমিট বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সংযুক্তি প্রক্রিয়ায় এনবিআরের ৬ কর্মকর্তাকে নিযুক্ত
উন্নত করদাতা পরিষেবা
ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য আগামী বছর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে চেয়ারম্যান। কর প্রদানের প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করার ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
জটিলতা কমাতে কর কর্মকর্তা ও করদাতাদের মধ্যে সরাসরি মিথস্ক্রিয়া কমিয়ে আনার ওপর জোর দেন তিনি।
কর প্রদান আরও সহজ করতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড লেনদেনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কার্ডের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকার কম পেমেন্টের ক্ষেত্রে প্রসেসিং ফি ২০ টাকা এবং এর বেশি পরিমাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ফি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের মধ্যে সমস্ত করপোরেট ট্যাক্স রিটার্ন অনলাইনে আনা হবে।
মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ট্যারিফ সমন্বয়
রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে এনবিআর।
আলু, পেঁয়াজ ও চিনির যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ভোক্তাদের বোঝা আরও কমাতে সরকার শিগগিরই খেজুরের ওপর শুল্ক হ্রাস করতে চলেছে।
তিনি বলেন, শুল্ক দ্বিগুণ কমানোর কারণে চিনির দাম এখন নাগালের মধ্যে রয়েছে এবং ডিমের আমদানি শুল্ক ইতোমধ্যে কমানো হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে স্থানীয় বাজারে।
যাত্রী সুবিধা নিশ্চিত করা
বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চেয়ারম্যান বলেন, কর্তৃপক্ষ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কাস্টমস সার্ভিস-সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হবে। দুঃখজনক, অনেক নাগরিক তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয় এবং সমস্যাগুলো রিপোর্ট করতে দ্বিধা বোধ করে।’
এখন অভিযোগ করার প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করা হয়েছে। যাত্রীরা এখন অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
‘কাস্টমসের সেবা কোনো অনুগ্রহ নয়, এটি নাগরিকদের অধিকার।’ অনলাইনে জমা দেওয়া অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে বলেও আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কর দিতে ১০ লাখ করদাতা নিবন্ধন করেছেন: এনবিআর
১৫১ দিন আগে
বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলবে, যাতে প্রধানমন্ত্রীও যেন ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন বা স্বৈরাচারী হিসেবে আবির্ভূত হতে না পারেন।
বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে বিএনপি দেশকে গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, যাতে কোনো ব্যক্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন।’
তিনি আরও বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়-এটি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি স্তর পর্যন্ত জবাবদিহি ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: তারেকের জন্মদিন পালনের কর্মসূচি নেই বিএনপির
রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, এরই মধ্যে দেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, যাতে স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিবাদীরা আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।’
কেউ কোনো নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা লঙ্ঘন করতে পারবে না-এমন বাংলাদেশ গড়াই বিএনপির ভিশন বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই নিরাপদ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ চাই। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এবং নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার জনগণের মালিকানা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তথাকথিত উন্নয়নের রাজনীতি দেখেছে জাতি; যার মূলে ছিল দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়ন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি জনগণের ভোটে সরকার গঠন করে, তাহলে জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারিত্বের রাজনীতি দেখতে পাবেন। আইনের শাসন, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতাই হবে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি।’
রাজধানীর একটি হোটেলে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা রূপরেখা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন বিদেশি মিশনের কূটনীতিক, সুশীল সমাজের সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন চলাকালে অর্ধশতাধিক দলের সঙ্গে ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রস্তাব প্রস্তুত করেছিল বিএনপি।
তিনি বলেন, হাসিনার শাসনের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় সংস্কার তদারকির জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এসব কমিশন থেকে যেসব সংস্কার প্রস্তাব উঠে আসবে, তা ৩১ দফার রূপরেখার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। তাই আমরা ৩১ দফা রূপরেখা আবারও জনগণের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
২০২৩ সালের ১৩ জুলাই সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার 'সংস্কার' এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে বিএনপি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের সঙ্গে পরামর্শ করে এই প্রস্তাব তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারই জাতীয় সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি: তারেক
১৫৪ দিন আগে
দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, “আমি যখন অভিযান শুরু করেছি, তখন দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেব না, তারা যেই হোক না কেন বা তাদের অবস্থান যাই হোক না কেন। এমনকি আমি এটাও বিবেচনা করব না, কে আমার কাছের বা কে নন। যেহেতু আমি 'জিরো টলারেন্স' নীতি ঘোষণা করেছি সেহেতু এটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করব।”
আরও পড়ুন: আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছু করার নেই: কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
৮ থেকে ১০ জুলাই চীনে তার সাম্প্রতিক দ্বিপক্ষীয় সফরের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অনিয়ম দূর করে দেশকে একটি সুস্থ ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া তার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘অভিযান অব্যাহত থাকবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই অভিযান চালানো হলে আমার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, এটা আমি মনে করি না। না, আমি এটা বিশ্বাস করি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় এখন বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির বিষয় সম্পর্কে জনগণ জেনে গেছে।
তিনি বলেন, ‘অতীতে কেউ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এভাবে অভিযান চালায়নি।’
তিনি বলেন, তার সরকার আগেই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সামাজিক এই অভিশাপের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সফলভাবে এটি করেছি। এখন আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং এটি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাড়িতে আগে কাজ করা একজন পিয়ন এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক এবং হেলিকপ্টার ছাড়া চলতে পারে না। তিনি এটি জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ও শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের মামলার বিচারেরও সমালোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
২৭৭ দিন আগে
দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার র্যাবের নতুন ডিজির
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ দুর্নীতিতে জড়িত না হতে কর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন মহাপরিচালক জোর দিয়ে বলেন, র্যাব সদস্যদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আরসার 'অপরাধীদের' বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত: র্যাব
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, 'নমনীয়তার কোনো সুযোগ নেই। যেকোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এই ঘোষণার ফলাফল দেখতে চাই।’
ব্যারিস্টার রশিদ র্যাব সদস্যদের যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অপেশাদার আচরণ পরিহার করার আহ্বান জানান। ‘এলিট ফোর্সের সদস্যদের অবশ্যই দক্ষ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ হতে হবে। আইন মেনে চলাই পেশাদারিত্ব।’
মহাপরিচালক র্যাবের ওপর জনগণের আস্থা ও নির্ভরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি র্যাবের সব সদস্যকে এ লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, পেশাদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তরুণ প্রজন্মের ওপর মাদকাসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে র্যাবের নতুন ডিজি সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকার করেন। সারাদেশে কিশোর গ্যাং কার্যক্রম নির্মূলেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিলেন র্যাবের নতুন ডিজি
র্যাবের নতুন ডিজি হারুন-অর-রশিদ
২৯৮ দিন আগে
ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক গভীর করার অঙ্গীকার হাসিনা-মোদির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার করেছেন দুই দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, 'আগামী দিনগুলোতে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে দুই নেতা আশা প্রকাশ করেছেন।’
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রবিবার ভারত সফররত মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই নেতা পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া ভোজসভায় অংশ নেন।
পরস্পরের প্রতি প্রত্যাশার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে অনেক বিষয় জড়িত। একসঙ্গে কাজ করার কিছু সুফল রয়েছে।’
তিনি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে যোগাযোগসহ উভয় দেশের জনগণ নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের বহুমুখী গভীর সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ হবে এবং এটি আরও গভীর হবে।’
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩১১ দিন আগে
'সুন্দর জীবনের' জন্য উন্নত ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ঢাকাকে এমন একটি শহরে রূপান্তর করতে কাজ করছে যেখানে নাগরিকদের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, 'এই এলাকার (পুরান ঢাকা) মানুষ উপকৃত হবে এবং সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
শনিবার পুরান ঢাকায় নতুন ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বাজার নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত বছরের ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজার মার্কেটটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অস্ত্র চোরাচালান বন্ধে প্রচেষ্টা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী
অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি সরণি (৮ লেনের সড়ক), হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু উদ্যান ও নজরুল সরোবর।
ঢাকার সঙ্গে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকার পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে উল্লেখযোগ্য সড়ক অবকাঠামোর অভাবের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, 'আমরা সহজ আন্তঃজেলা যোগাযোগ সহজতর করতে ঢাকায় একটি রিং রোড নির্মাণ করতে চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, 'সড়ক যোগাযোগ সহজ করার জন্য সরকার ইতোমধ্যে একটি মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে এবং অন্যান্য অনেক সড়ক নির্মাণ করেছে, আরও কয়েকটি মেট্রোরেল প্রকল্প নির্মাণাধীন রয়েছে।’
জনগণকে উন্নত সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নগরবাসীর কল্যাণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করেছে। এর জায়গায় একটি জাদুঘর, একটি স্কুল ও একটি শিশু পার্ক নির্মিত হয়েছে। সেখানে একটি বিনোদন পার্ক নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।’
এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ক্যাম্পাস নির্মাণে সরকারের জমি বরাদ্দের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নকশা প্রস্তুত করেছি এবং এ সংক্রান্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে।’
সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে ঢাকার বাসিন্দাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। জলাবদ্ধতা ও মশার বংশবিস্তার রোধে সবাইকে নিজ নিজ বাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: ১০ তলা বঙ্গবাজার পাইকারি বিপণিবিতানের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
৩২৭ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হয়ে যাব।
আরও পড়ুন: তথ্য অধিকার আইনে গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অন্যায়ের কাছে আপস না করে, পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। প্রধানমন্ত্রীর জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে জয়ের গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুদের কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আইনজীবী কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম।
আরও পড়ুন: সরকার-নাগরিকের অংশীদারিত্ব তৈরি হলে সমস্যা সমাধান সহজ হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতিতে আরও বেশি শ্রম-মেধা বিনিয়োগ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৩৩৩ দিন আগে
বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারদের সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের কৃষিখাতকে ঝুঁকিমুক্ত, স্থিতিশীল, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান বৈশ্বিক অংশীদাররা।
ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ অঙ্গীকার করা হয়।
বৈশ্বিক কৃষি-প্রযুক্তি সেক্টরগুলো বাংলাদেশে সম্ভাব্য সুযোগগুলো কীভাবে কাজে লাগাতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয় গোলিটেবিল বৈঠকে।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে: সিমিন হোসেন
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৩০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক এ আলোচনায় অংশ নেন।
গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস), কানাডা যৌথ আয়োজক হিসেবে অংশ নেয়।
শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ছয়টি উপস্থাপনা বাংলাদেশের চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপর আলোকপাত করে: দ্রুত ফসলের ফলন বৃদ্ধি; স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থা প্রণয়ন, খামার যান্ত্রিকীকরণ বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি।
বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে তাদের অব্যাহত সহায়তা বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) এবং বিশ্বব্যাংক।
কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার কৃষির রূপান্তরের বিষয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন।
কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা সহায়তা বৃদ্ধি করতে সম্মত হন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, নেদারল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষি খাত অগ্রাধিকার পাবে। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন কৃষক থেকে রাজনীতিবিদ হয়েছি। আমার জীবনের সাত দশক ধরে আমি দেখেছি কীভাবে আমাদের লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা আমাদের বদ্বীপে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন।
আলোচনা শেষে ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়; যার মাধ্যমে বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে পাইলট উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়িত হবে।
নেদারল্যান্ডস বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষি-খাদ্য রপ্তানিকারক। তাদের কৃষি রপ্তানির পরিমাণ ১২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০২২)। এখন পর্যন্ত, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের কৃষি-বাণিজ্য সম্ভাবনার উপর ৭টি মার্কেট স্ক্যান করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে এই উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে, বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াগেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের কৃষি ভবিষ্যতের সম্ভাবনা, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে প্রথমবারের মতো একটি আলোচনার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ: কৃষি মন্ত্রণালয়
বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আলোচনা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার
৩৪৬ দিন আগে
বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন: সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে।
ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তরে ৫ মার্চ শুরু হওয়া সীমান্ত সম্মেলনটি জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন (জেআরডি) দলিল সইয়ের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার (৯ মার্চ) শেষ হয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি পাঠ করা হয়।
এতে বলা হয়, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিবেচনায় রেখে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নীতিন আগরওয়ালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি মৌলিক উদ্বেগের পাশাপাশি চোরাচালান, মানবপাচার, অসাবধানতাবশত সীমান্ত অতিক্রম ও যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের পাশাপাশি নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, সীমান্ত হাট বৃদ্ধি, আটকে থাকা আইসিপি/এলসিপি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সমাপ্তকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের সময়াবদ্ধ সম্মতি প্রদানের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
গত ২২ জানুয়ারি সিপাহী মো. রইসউদ্দিনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিএসএফ মহাপরিচালক আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিএসএফ ও বিজিবির সমন্বিত প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশ করে উভয়েই সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উভয় পক্ষ যৌথ টহল, নজরদারি, জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার, যথাযথ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ, আন্তর্জাতিক সীমান্তের (আইবি) পবিত্রতা সম্পর্কে সীমান্তের জনগণকে শিক্ষিত করা এবং অপরাধী বা বাসিন্দাদের আইবি অতিক্রম করা এবং সঠিক সময়ে তথ্য আদান-প্রদান করে নেওয়ার মাধ্যমে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বা আহত শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষ আইবি লঙ্ঘন বা অবৈধ অতিক্রম বা অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, মানব পাচার, সীমান্ত স্তম্ভ উপড়ে ফেলা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য সীমান্তের জনগণকে সংবেদনশীল রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে। সার্বিকভাবে সীমান্তের কাঙ্ক্ষিত পবিত্রতা রক্ষার আশ্বাস দিয়েছে দু'পক্ষই।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
প্রতিনিধি দলের উভয় নেতা আন্তঃসীমান্ত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিষয়ে তাদের বিদ্যমান 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাাৎক্ষণিক তথ্যের মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত চলাচল রোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হন।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি যশোর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য সিপাহী মো. রইসউদ্দিনের মৃত্যুতে বিএসএফ মহাপরিচালক গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তবে সিপাহী রইসউদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএসএফের ডিজি নীতিন আগরওয়াল সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
সিপাহী রইসউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এটি মূলত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নয়। উভয়পক্ষের অস্পষ্টতা, কুয়াশা ও বিভ্রান্তির মধ্যে এটি ঘটেছে। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ থেকে ইউনিফর্ম বিজিবি ও বিএসএফ সদস্য বা বাংলাদেশ ও ভারত উভয় বেসামরিক নাগরিকের উপর যেকোনো হত্যা এড়াতে সমস্ত প্রচেষ্টা থাকবে।
বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগরওয়াল বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
৪০৪ দিন আগে