আধিপত্য
ভারত আধিপত্য বিস্তারে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করছে: রিজভী
ভারত উপমহাদেশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার অজুহাত হিসেবে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করতে কট্টরপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীগুলোকে উসকানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, 'আপনারা সাম্প্রদায়িকতাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ভারতকে বিভক্ত করেছেন। আর এখন আপনারা ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যমান গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকেও ধ্বংস করছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আপনারা উগ্র হিন্দুদের উসকে দিয়ে উপমহাদেশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ঘৃণ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ভারতের সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের। ‘বাংলাদেশও আপনাদের সঙ্গে নেই। এটি হয়েছে আপনাদের ঔদ্ধত্য ও শোষণমূলক মনোভাবের কারণে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ, ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ নারীর সম্ভ্রম হারানোর মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন,‘ আপনারা ১৮-১৯ কোটি মানুষের এই দেশকে কি শুধু চোখ রাঙ্গিয়ে মিথ্যা প্রচার করে, আমাদের ভয় দেখিয়ে দমন করতে পারবেন? আপনাদের কী এমন হয়েছে যে, আপনারা হঠাৎ করে মরিয়া হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছেন?'
বিএনপি নেতা বলেন, ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ঘৃণ্য সরকার ক্ষমতায় ছিল। যে সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য শিশুদের হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান রিজভীর
রিজভী আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে দ্বিধা করেনি তারা। তারা ক্রসফায়ারের মাধ্যমে নদী ও খালের পাড়ে মানুষ হত্যা করত। সেই হাসিনা সরকার আপনাদের এত প্রিয় ছিল কেন? কারণ, আপনাদের উসকানিতে শেখ হাসিনা এদেশে যা খুশি তাই করেছেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ, ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ নারীর সম্ভ্রম হারানোর মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
১৮-১৯ কোটি মানুষের এই দেশকে কি শুধু চোখ কুঁচকে মিথ্যা প্রচার করে আমাদের ভয় দেখিয়ে দমন করতে পারবেন? আপনার কী এমন হয়েছে যে আপনি হঠাৎ করে মরিয়া হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছেন?'
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ঘৃণ্য সরকার ক্ষমতায় ছিল, যে সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য শিশুদের হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।
গণতন্ত্রকে ভালোবাসে এমন মানুষদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে দ্বিধা করেনি তারা। তারা ক্রসফায়ারের মাধ্যমে নদী ও খালের পাড়ে মানুষ হত্যা করত। সেই হাসিনা সরকার আপনার এত প্রিয় ছিল কেন? কারণ, আপনাদের উস্কানিতে শেখ হাসিনা এদেশে যা খুশি তাই করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারত হয়তো ভাবতে পারে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও সয়াবিন তেল রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের জনগণ বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে।
তিনি বলেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রমী এবং তারা নিজেরাই পেঁয়াজ, রসুন ও আদা উৎপাদন করতে জানে। আপনি মনে করেন আপনারাই পৃথিবীর একমাত্র দেশ। এমন কি আর কোনো দেশ নেই যেখান থেকে আমরা পেঁয়াজ, রসুন, তেল আমদানি করতে পারি?’
তিনি ভারতকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভারত ৫ থেকে ৬ বছর গবাদি পশু রপ্তানি বন্ধ রাখার পর বাংলাদেশের জনগণ এক ঈদে প্রতিটি গ্রামে গরু ও ছাগলের খামার গড়ে তুলেছে এবং ১ কোটি ২০ লাখ গরু জবাই করেছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় কলকাতার নিউমার্কেটসহ সেখানকার হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য এলাকার দোকানদাররা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অস্থির হয়ে উঠবে ভেবে আপনারা ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ খুশি। প্রয়োজনে তারা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া বা অন্য কোনো দেশে যাবেন। মানুষ ভারতের মতো দেশে যেতে চায় না, যারা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে।’
চট্টগ্রাম ভারতের অংশ ছিল বলে দাবি করায় ইন্ডিয়ান রিপাবলিক বাংলা টিভির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, একসময় মুসলিম নবাবদের শাসিত বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার মতো এলাকারও মালিকানা দাবি করবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ভারতে কূটনৈতিক মিশনে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
২ সপ্তাহ আগে
এই দেশে আর কোনোদিন ভারতের আধিপত্য চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, যতদিন আমাদের মনে সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ ও সাজিদের রক্ত আছে, তদদিন ভারত আমাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না। ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে, সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোট আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর ছাত্র ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান তানভীর।
সভায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের আর কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। এবার যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে বাংলাদেশ আর কোনোদিন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।’
আরও পড়ুন: হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদ জাতীয় নাগরিক কমিটির
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে নীতিগত মতপার্থক্য থাকবে, এটা হলো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু এই দেশের অখণ্ডতা, বিদেশি আগ্রাসন, সার্বভৌমত্ব- এসবের প্রশ্নে কোনো আপস চলবে না। সবাইকে একমত হতে বাধ্য করা ছিল শেখ হাসিনা ও আওয়ামী কালচার।’
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে কম্প্রোমাইজ করে দেশ শাসন করেছে উল্লেখ করে আহ্বায়ক বলেন, ‘আওয়ামী সরকার বছরের পর বছর আমাদের শাসন এবং শোষন করেছে। তারা দিল্লিকে কেবলা বানিয়ে ঢাকাকে শাসন করেছে।’
‘আপনারা যারা ভারতের পলিসি মেকার আছেন, মালদ্বীপকে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারেননি; শ্রীলঙ্কাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি; নেপালের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন; ভুটান আর মায়ানমারের সঙ্গেও আপনাদের কোন্দল। পাশ্ববর্তী কোনো দেশের সঙ্গে আপনাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নেই।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের ধর্মীয় কারণে সম্পর্কের অবনতি হয়নি। তাই যদি হতো তাহলে নেপাল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও তাদের সঙ্গে কেন আপনাদের ভালো সম্পর্ক নেই?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যতদিন ঐক্য আছে, ততদিন আমাদের মধ্যে কেউ বিভেদ তৈরি করতে পারবে না। আমাদের সামনে অনেক পথ, সেই পথ কণ্টকাকীর্ণ। এই অতিক্রম করতে হলে আমাদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। নিজেদের মতপার্থক্য যেন পরম সহিষ্ণুতার পর্যায়ে থাকে, আওয়ামী লীগের মত দমন নিপীড়নের পর্যায়ে যেন না যায়- সে বিষয়ে নিজেদের সজাগ থাকতে হবে।’
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘এই জাতি যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন জুলাই অভ্যুত্থানের কথা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই বিজয় যেন চিরঞ্জীব থাকে, সেই দোয়া করি।’
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের বিন ইয়ামিন মোল্লা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: হাসনাত-সারজিসের গাড়িবহরে ধাক্কা: গ্রেপ্তার দুজন রিমান্ডে
২ সপ্তাহ আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের টানা তৃতীয় হার, আধিপত্য শ্রীলঙ্কার
শ্রীলঙ্কার কাছে আট উইকেটের পরাজয়ের পরক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ডিফেন্সে আরেকটি আঘাত হানল। ২০০৩ সালের পর থেকে আজকের ১৫৬ রানের স্কোর সর্বনিম্ন। লাহিরু কুমারার ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দেন এবং বেন স্টোকস ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন।
শ্রীলঙ্কা ২৪ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে ১৬০ রান করে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। পাথুম নিসাঙ্কা (অপরাজিত ৭৭) ও সাদিরা সামারাবিক্রমা (অপরাজিত ৬৫) আক্রমণাত্মক হাফ সেঞ্চুরি করেন।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি শ্রীলঙ্কার টানা পঞ্চম জয়।
নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় পরাজয় এবং আফগানিস্তানের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর টুর্নামেন্টের প্রথম পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য ভারত ছেড়ে ঢাকায় সাকিব
টানা তৃতীয় হারের ফলে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। সেই সময় শ্রীলঙ্কা পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরেছিল এবং সুপার সিক্স পর্ব এবং শেষ নকআউটের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাও বড় ধাক্কা খেয়েছিল কারণ তারা নেট রান রেটের কারণে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে মাত্র দুই পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে।
চার পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে শ্রীলঙ্কা।
জনি বেয়ারস্টো (৩০) ও দাউদ মালান (২৮) প্রথম উইকেটে ৩৯ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সপ্তম ওভারে মালানকে আউট করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। আর দুই ওভার পর তিন রানে রান আউট হন জো রুট।
১৪তম ওভারে কাসুন রাজিথাকে (২/৩৬) আউট করে বেয়ারস্টো আউট হলে পতন শুরু হয়। অধিনায়ক জস বাটলার ব্যাট হাতে কঠিন রান অব্যাহত রেখেছিলেন এবং পরের ওভারে কুমারার বলে ক্যাচ পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড
লিয়াম লিভিংস্টোন সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এক রানে এলবিডাব্লু আউট হওয়ায় ইংল্যান্ড ১৭ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৫ রানে গুটিয়ে যায়।
স্টোকস ৪৬ বলে মঈন আলীর (১৫) সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়েন এবং ম্যাথিউস দ্বিতীয় উইকেট পান। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার পাঁচ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেন।
মাত্র ৩৪ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের পতন অব্যাহত থাকে। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে কুমারার বলে ক্যাচ আউট হন স্টোকস।
জবাবে পেরেরা (৪) ও মেন্ডিসকে (১১) আউট করে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই হোঁচট খায়। এছাড়া, নিসাঙ্কা এবং সামারাবিক্রমা তরী স্থিতিশীল করেছিলেন, প্রত্যেকে ৫০ এ পৌঁছেছিলেন। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম তারা একসঙ্গে ১৩৭ রান যোগ করে ইংল্যান্ডের টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ পরাজয় নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় স্কোয়াডে যোগ দেবেন সাকিব
১ বছর আগে
নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া ৬টি দোকান এবং ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরেরোভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার নড়াগাতি থানার বাগুডাঙ্গা গ্রামে থেমে থেমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নড়াইলের বাগুডাঙ্গা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বায়জিদ মোল্যা এবং আমিনুল কাজী গ্রপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাগুডাঙ্গা বাজারে দুই গ্রপের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আহতদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
একটি পক্ষের মাতুব্বর বায়াজিদ মোল্যা বলেন, হঠাৎ করে আমিনুল কাজীর নেতৃত্বে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আমাদের ১২জন গুরুতর আহত হয়েছে। তিনটি মোটরসাইকেল ও ছয়টি দোকান ভাঙচুরসহ দুই লক্ষাধিক টাকা এবং দোকানের মালামাল লুট করেছে প্রতিপক্ষরা। এছাড়া শুক্রবার সকালেও আমাদের দুইজনকে ব্যাপক মারধর করেছে।
এদিকে অপরপক্ষের মাতুব্বার আমিনুল কাজী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বায়জিদ মোল্যার নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমাদের লোকজনের ওপর প্রথমে হামলা করেছে। এ হামলায় সাতজন আহত হয়েছে।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
কুমিল্লায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ
১ বছর আগে
কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সুজা বাদশা মসজিদের কাছে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহবুব হোসেন মান্না নগরীর গাংচর চৌধুরীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
স্থানীয়রা জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজনের ছুরিকাঘাতে আহন হন মান্না।
তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে ভোর ৪টার দিকে মান্নার মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন বলেন, নিহত মান্না একজন মাদক কারবারী ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মান্নার বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি ও তিনটি মাদক মামলা আছে।
এছাড়া মান্নার খুনিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
চট্টগ্রামে ফেসবুক পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
১ বছর আগে
মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, কলেজছাত্র খুন, আহত ৫
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে কাঠপট্টি লঞ্চঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পৌর কাউন্সিলের ছেলে সম্রাট ঝলক (২২) নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছে। বুধবার এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- তুষার দাস, সম্পদ মিয়া, সায়েম হোসেন অপূর্ব, লিটন মিয়া ও আবু বকর সিদ্দিক। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. লিটন মিয়ার ছেলে এবং সরকারি হরগঙ্গা কলেজের স্নাতক সম্মান শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র সম্রাট ঝলক প্রতিপক্ষের ধরালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন দুটি বাড়িতে হামলা চালাতে গেলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরা: লক্ষ্মীপুরে জেলে-নৌপুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব খান জানায়, বুধবার দুপুরে কাঠপট্টি লঞ্চঘাটের কাছে জিল্লুর গ্রুপ এবং লিটন কমিশনার গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে জিল্লুর গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাউন্সিলরের ছেলে ঝলককে আঘাত করলে সে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে এখনও কোনো মামলা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ঝলকের বাবা কমিশনার লিটন অভিযোগ করে বলেন, আমার সামনে ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেললো। আমি পাশে দাঁড়ানো।
তিনি বলেন, একটা দল ঘাটে নিয়মিত চাঁদা তুলছিল। লোকজনের টাকা পয়সা রেখে দিচ্ছিল। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে লোকজন আমার কাছে আসে। আজকে ঘাটে টাকা তোলার সময় আমি সেখানে যাই। আমার ছেলে আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি প্রতিবাদ করলে জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে আমি কিছু বোঝার আগেই আমার ছেলের পেটে ছুড়ি বসিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
রাজশাহীতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
২ বছর আগে
তৃতীয় ম্যাচেও আধিপত্য ধরে রাখতে চায় টাইগাররা
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচেও নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামে এ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে প্রথম ম্যাচে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত জুটিতে ভর করে চার উইকেটে জয় তুলে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচেও লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের দারুণ জুটিতে ভর করে আফগানদের বিপক্ষে ৮৮ রানের জয় এবং এক ম্যাচে হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করে নেয় টাইগাররা।
আরও পড়ুন: লিটন-মুশফিক জুটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
একই সঙ্গে পর পর দুই জয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগের পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় তামিমের দল। আর তৃতীয় ম্যাচে জয়ে টাইগারদের শীর্ষ অবস্থান আরও পাকা হবে।
তৃতীয় ম্যাচ সামনে রেখে মেহেদী হাসান গণমাধ্যমে বলেন, ‘সিরিজ জেতার চেয়েও ১০ পয়েন্ট বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি শীর্ষ আট দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে। তাই সিরিজের শেষ ম্যাচে আমরা আরও ১০ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে পারলে সেটি আমাদের সহায়তা করবে।’
রবিবার দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে কম খেলোয়াড়ই অংশ নেয় যা ইঙ্গিত দেয় প্রথম দুই ম্যাচ জয়ে টাইগাররা বেশ প্রফুল্ল। তবে মেহেদী বললেন, প্রথম ম্যাচের মতোই জয়ের জন্য তারা মুখিয়ে আছেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় বাংলাদেশের
২ বছর আগে