বিশ্বকাপ ফুটবল
বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের তরুণ খেলোয়াড়দের তাদের খেলাধুলায় আন্তরিকভাবে মনোনিবেশ করতে বলেছেন যাতে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ফুটবল বিশ্বকাপ জিততে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ধীরে ধীরে আমাদের খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপে খেলবে, তার জন্য তোমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। তোমরা হবে আমাদের সোনার ছেলে। আমরা বিশ্বকাপ জিতব।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বয়েজ অনূর্ধ্ব-১৭ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট গার্লস অনূর্ধ্ব-১৭ এর গ্র্যান্ড ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর ও মন ফিট থাকে এবং একাগ্রতা বিঘ্নিত হয় না।
তিনি বলেন, ‘আপনি যত বেশি খেলাধুলার অনুশীলন করবেন তত বেশি আপনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবেন। তাই আমি তোমাদের আন্তরিকতা নিয়ে খেলতে বলবো।’
দেশের খেলাধুলার মানোন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি এলাকায় ক্রীড়া সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের ঘরোয়া খেলাধুলার বিকাশে পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে জেলা পর্যায়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৬টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের প্রতিটি জেলায় সুইমিং পুল, শুটিং রেঞ্জ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও ইনডোর স্টেডিয়াম স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে ভালো ক্রীড়াবিদ নিশ্চিত করতে আমরা আটটি বিভাগেই বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করব।
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য খেলাধুলা’ সরকারের লক্ষ্য। ‘আমাদের বিবেচনায় সেই লক্ষ্যটি নিয়ে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার ৫৫২ খেলোয়াড় টুর্নামেন্টে যোগ দিয়েছেন এবং এটি বিশাল।
‘এই টুর্নামেন্টের প্রতিভাবান ৪০ জন ছেলে ও ৪০ জন মেয়ে বিকেএসপিতে তিন মাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ পাবে। এছাড়া আমরা খেলোয়াড়দের বিদেশে পাঠানোর মাধ্যমে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নৌবাহিনী 'ক্রেতা' থেকে 'নির্মাতা' হতে চলেছে: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট গার্লস অনূর্ধ্ব-১৭ রংপুর বিভাগ ও খুলনা বিভাগের মধ্যকার ফাইনাল খেলাও উপভোগ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বয়েজ অনূর্ধ্ব-১৭ তে সিলেট বিভাগ চ্যাম্পিয়ন এবং বরিশাল বিভাগ রানার্সআপ হয়েছে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট গার্লস অনূর্ধ্ব-১৭ এর শিরোপা জিতেছে রংপুর বিভাগ এবং রানার্সআপ হয়েছে খুলনা বিভাগ।
গ্র্যান্ড ফাইনালের পর দু’টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের পাশাপাশি সেরা পারফরমার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতাদের মধ্যে পুরস্কার ও পদক বিতরণ করেন হাসিনা।
এছাড়াও, তিনি টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক এবং গ্র্যান্ড ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়দের পদক প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সরকার মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায়: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শাবিপ্রবিতে সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস
হারলেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্বপ্ন এবারের মতো শেষ হত। সেই সঙ্গে শেষ হত বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসির বিশ্বকাপ ছুয়ে দেখার স্বপ্ন। কনকনে শীত ও শিক্ষার্থীদের চলমান পরীক্ষার পড়াশোনা উপেক্ষা করে সমর্থকরা অধীর আগ্রহে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর ফাইনাল খেলায় আর্জেন্টিনার জয়ে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মাতেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শাবিপ্রবি) সমর্থকেরা।
শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ নয়, এই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তন ও আবাসিক হলগুলোর টিভি রুমগুলোতেও।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
আর্জেন্টিনা সমর্থক সিভিল এনভায়রনমেন্টাল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাশিদ মুজাহিদ রাফি বলেন, আর্জেন্টিনা অবশ্যই ভালো খেলে। কিন্তু ভাগ্য তাদের বিশ্বকাপের বেলায় ভালোভাবে সঙ্গে থাকেনি। তাদের পরিশ্রমই বলে দেয় একটা বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার প্রয়োজন। আজকে তা পেয়ে গেলো। মেসিসহ আর্জেন্টিনার সকল খেলোয়াড়দের প্রতি শুভকামনা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের একটি কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা। জীবনে পরীক্ষার মতো অনেক বিষয় আসবে। তবে মেসির বিশ্বকাপ জয়ের খেলা দেখার সুযোগ জীবনে দ্বিতীয়বার হয়তো আসবেনা। আর্জেন্টিনার এই জয়টা বাড়তি আনন্দ দিয়েছে।
ক্যাম্পাসে মুক্তমঞ্চে বড় পর্দার খেলা দেখার আয়োজক শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা সজীবুর রহমান বলেন, খেলার মধ্যবর্তী পরিস্থিতি অনেক দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে শেষ বেলায় আর্জেন্টিনার জয় দিয়েছে আনন্দ। ফাইনাল খেলার পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছিলাম আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ী হলে দুইটি খাসি জবাইয়ের মাধ্যমে ভূড়িভোজের আয়োজন করবো। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে দুইটি খাসি জবাই দিয়ে ভূড়িভোজের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার এই জয় উদযাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
শাবিপ্রবির গবেষণা: হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ
১ বছর আগে
বাগেরহাটে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে খেলা চলাকালে উপজেলার সমাদ্দারখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত টুটুল হাওলাদার (১৬) মোড়েলগঞ্জ উপজেলার গুলিশাখালি গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, মোড়েলগঞ্জের গুলিশাখালি সমাদ্দার বাজারে স্থানীয়রা শুক্রবার রাতে টিভির পর্দায় ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়ার খেলা দেখার সময় টুটুল হাওলাদারের সঙ্গে রুবেল সমাদ্দারের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রুবেল সমাদ্দার টুটুল হাওলাদারকে ছুরিকাঘাত করে।
আরও পড়ুন: সুদে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি, কৃষকের আত্মহত্যা!
ওই রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম আরও জানান, টুটুল হাওলাদারের সঙ্গে রুবেল সমাদ্দারের পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। খেলা দেখার সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। রুবেল এক পর্যায়ে টুটুলকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
পুলিশ আরও জানান,আসামিকে ধরতে পুলিশের একাধিক সদস্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগে ২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
পুলিশের সামনে থেকে যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা
১ বছর আগে
বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২: কোস্টারিকার কাছে জাপানের হার, স্পেন ও জার্মানির পথ সুগম
কোস্টারিকার কাছে জাপানের হারে স্পেন ও জার্মানির পথ সুগম হয়েছে। কেশার ফুলার ৮১তম মিনিটে জাপানের বিপক্ষে গোল করে কোস্টারিকাকে ১-০ ব্যবধানে জয় এনে দেয়। বিশ্বকাপের গ্রুপ ই-তে দু’টি খেলার পর উভয় দলই তিন পয়েন্ট নিয়েছিল।
জাপান বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ফুলার একটি রক্ষণাত্মক ত্রুটির সুযোগ নিয়েছিলেন এবং জাপানের গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডার লাফানোর আঙুলের ঠিক ১৮ মিটার দূর থেকে জালে আঘাত করেন।
আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে রবিবারের ম্যাচটি কৌশলগত এবং অনেকটাই দুর্বল ছিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে গোলে একটি শটও দেয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ভালো ছিল জাপানের চাপে ছিল কোস্টারিকা বিপর্যস্থ না হওয়া পর্যন্ত।
শেষ মিনিটে বেশ কয়েকটি আকস্মিক আক্রমণ রুখে দিয়ে জয় নিশ্চিত করেন কোস্টারিকার গোলকিপার কিলর নাভাস।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ ২০২২: পর্তুগালের কাছে ৩-২ গোলে ঘানার পরাজয়
গ্রুপ ‘ই’ তে স্পেনের সঙ্গে জাপানের একটি খেলা বাকি আছে। আর কোস্টারিকা তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে জার্মানির মুখোমুখি হবে। জয়ের সঙ্গে জাপান তার উদ্বোধনী ম্যাচে জার্মানিকে ২-১ গোলে বিপর্যস্ত করে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে পারত। কোস্টারিকা তার প্রথম খেলায় স্পেনের কাছে ৭-০ গোলে হেরেছিল এবং টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল।
জাপান কর্নার শট এবং মাঠ দখলে রাখতে পেরেছিল কিন্তু জালে বল গড়াতে পারেনি।
প্রথমার্ধটি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে খারাপ হতে পারে যা ইতোমধ্যে চারটি ০-০ ড্র দেখেছে। কৌশলগত অচলাবস্থায় কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।
জার্মানির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে জাপানের একটি গোল করা রিতসু ডোয়ান, ডান দিক থেকে ক্রস কাটতে চেয়ে শুরুতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মনে হয়েছিল।
জোয়েল ক্যাম্পবেলের মতো দেখতে কোস্টারিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর খেলোয়াড় সবসময় বাম দিকে তার গতি ব্যবহার করার চেষ্টা করে।
পুরো প্রথমার্ধের চেয়ে বিরতির পর প্রথম দুই মিনিটে বেশি অ্যাকশন ছিল।
হিডেমাসা মরিতা প্রথম মিনিটে নাভাসকে একটি ব্লিস্টারিং শটের মুখোমুখি হন এবং তাকুমা আসানো এক মিনিট পরে আরেকটি আক্রমন রুখে দিতে বাধ্য করেন।
জাপানের আক্রমণাত্মক খেলা সত্ত্বেও আগের রক্ষণাত্মক ত্রুটির জন্য দলটিকে মূল্য দিতে হয়েছিল। যা ড্র এবং একটি মূল্যবান পয়েন্টের দিকে এগিয়েছিল বলে মনে হয়েছিল।
জাপানকে এবার সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে দেখা গেল। এর আগে তিনবার নকআউট পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে প্রতিবারই হেরেছে রাউন্ড অফ ১৬ -এ। কোস্টারিকা ২০১৪ সালে ব্রাজিলে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল।
জাপান বিশ্বকাপ নাও জিততে পারে, কিন্তু ম্যাচের পরে ভক্তদের এবং খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম পরিচ্ছন্ন ঐতিহ্যের সঙ্গে তারা বাহবা পেয়েছে। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে জাপানের প্রথম অভিষেক হয়। এবার জাপানি দলের কর্মকর্তারা আরব, জাপানি এবং ইংরেজিতে ধন্যবাদ-সম্ভাষণসহ আট হাজার ট্র্যাশ ব্যাগ নিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: মেসির গোলে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে আর্জেন্টিনার জয়
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে ব্রাজিলের জয়
১ বছর আগে
আমার স্বপ্ন, একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি যখনই সময় পান ফুটবল খেলা দেখেন এবং স্বপ্ন দেখেন একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে।
তিনি বলেন, ‘এখন বিশ্বকাপ হচ্ছে, কিন্তু ফুটবলে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। এটা আসলে আমাকে কষ্ট দেয়।’ তিনি সেই দিনের স্বপ্ন দেখেন যেদিন ‘আমাদের ছেলেরা এবং মেয়েরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে’।
বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের সমাপনী ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তৃতীয় বারের মতো ১২টি ইভেন্টে দেশের ১২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ৮৫০ জন মহিলাসহ প্রায় ছয় হাজার ৯৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
তরুণ প্রজন্মকে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা মাদক, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস চাই না। আমরা শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বাস করি। আমি জানি শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য সরকারের সহযোগিতা সবসময় প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালু করা হয়েছে। এসব প্রতিযোগিতার ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আরও ভালো করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, দেশের শিশুরা বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সুবাদে নিজেদের সাজিয়ে তুলছে। ‘শিশুরা যতটা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারে ততই তাদের জন্য ভাল হবে।’
বাংলাদেশের শিশুদের অত্যন্ত প্রতিভাবান ও মেধাবী হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, একটু সুযোগ পেলেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণসহ খেলাধুলার উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস এবং ব্যাডমিন্টন, কাবাডি ও দাবাসহ ১২টি ইভেন্টের অধীনে সেরা পারফরমারদের মধ্যে প্রায় ৭২০টি পদক বিতরণ করা হয়।
প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আর ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছেন- যৌথভাবে সেরা পুরুষ অ্যাথলেট উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশিফ রেজা ও মাহমুদুন নবী এবং সেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুষ্টিয়া) তামান্না আক্তার।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
এর আগে, গণবিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ৩-১ গোলে পরাজিত হলে নারী ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভিন্ন ইভেন্টের অধীনে চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর মধ্যে রয়েছে পুরুষ ফুটবলে ড্যাফোডিলস ইউনিভার্সিটি, মহিলাদের হ্যান্ডবল, মহিলাদের ভলিবল এবং মহিলাদের কাবাডি; নারী ফুটবল, পুরুষ ভলিবল ও পুরুষ কাবাডিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়; পুরুষদের হ্যান্ডবল এবং পুরুষদের বাস্কেট বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; মহিলাদের বাস্কেট বলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি; পুরুষদের ক্রিকেটে এআইউবি এবং মহিলাদের ক্রিকেটে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯ সালে প্রবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত যশোর
১ বছর আগে
আসুন বিনোদিত হই, খেলাকে খেলা হিসেবেই নেই: আসিফ আকবর
রবিবার (২০ নভেম্বর) থেকে কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। চার বছর পর এই আয়োজনকে ঘিরে মেতে ওঠেন পুরো বিশ্বের ফুটবল ভক্তরা। বাংলাদেশেও এ থেকে পিছিয়ে নেই।
বিশ্বকাপের সময় পতাকা টাঙানো থেকে শুরু করে বড়পর্দায় আয়োজন করে খেলা দেখা সবই হয় এখানে।
দেশের তারকারাও বিশ্বকাপের সময়টা নিজেদেরে পছন্দের দল নিয়ে নানান আলোচনায় মেতে ওঠেন।
সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর এরইমধ্যে তার ফেইসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন।
লেখাটি পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধারা হলো।
আরও পড়ুন: আসিফ আকবরের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন
১৯৮২ সালে ক্লাস ফোরে পড়ি। বাসায় ছয় চ্যানেলের সাদাকালো ফিলিপস টিভি। রাত জেগে খেলা নিয়ে আব্বার কোন অবজেকশন নেই, এদিকে আম্মাও ব্রাজিল সাপোর্টার। তিনি খেলা দেখেন, সঙ্গে আমরাও। বাসায় লোকজন ভরপুর একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। বেগম জার্মানির সাপোর্টার হলেও ব্রাজিলের প্রতি দুর্বল, রণ সরাসরি ব্রাজিল।
রুদ্র মেসি সাপোর্টার হলেও বেসিক ব্রাজিল। আমার মেয়ে রঙ্গন ছোট হলেও ওর ম্যাচুরিটি বলে সেও ব্রাজিল সাপোর্টার।
ভাইবোনদের মধ্যে ইতালী জার্মানি আর ইংল্যান্ডের আনকমন সাপোর্টারদের অকার্যকর উপস্থিতি সহনীয় পর্যায়েই আছে।
আর্জেন্টিনার কোন সাপোর্টার নেই ঘরে, কষ্টদায়ক ব্যাপার একটু।
শনিবার খবর পেলাম বৌমা ঈশিতা আর্জেন্টিনা সমর্থক, অবশ্য এই বিষয় নিয়ে তার ব্রাজিলিয়ান হাজবেন্ডের সঙ্গে এখনো সাংঘর্ষিক কোন কিছু দৃশ্যমান হয়নি। শ্বশুর হিসেবে আমি স্বাগত জানিয়েছি। চার বছর পরপর ফুটবল বিশ্বকাপ ফিরে আসে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ আখ্যা নিয়ে।
ক্রিকেট খেলা শিখেছি, নিজে স্পোর্টিং মেন্টালিটির। ইদানীংকালে খেলাধুলার মূল স্পিরিট অভদ্র লেভেলের তর্কে পৌঁছে গেছে। সমর্থকদের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে প্রতিমুহূর্তে স্পোর্টিং স্পিরিট নিহত হচ্ছে।
অথচ বিশ্বভ্রাতৃত্বের সিম্বলিক যথার্থতা খোঁজা হয় বিশ্বসেরা এসব টুর্নামেন্টে।
আমার আশেপাশে আর্জেন্টাইন সাপোর্টারের সংখ্যা আশঙ্কাজনক।
জার্মানি ইতালীর কিছু জেনুইন সাপোর্টারও ফসিল হিসেবে টিকে আছে।
আজকে আর্জেন্টাইন বন্ধুদের কাছে মুচলেকা দিয়েছি-ব্রাজিল ভাল না খেললেও তাদের সঙ্গে অসৌজন্যতা করবো না। যদি করি তাইলে তারা বাসায় খেলা দেখবে, আমাকে বয়কট করবে।
এই ধরনের হুমকির মুখে আরও স্পোর্টিং হওয়ার শপথ নিতেই হয়েছে।
আসুন বিনোদিত হই, খেলাকে খেলা হিসেবেই নেই, অনেক কাহিনীতে জর্জরিত বিশ্বে একটু আনন্দিত থাকি। আনন্দ করুন, সমালোচনা করুন, মজা করুন, স্মার্ট সমর্থক হিসেবে অন্য দলের সমর্থকদেরও সম্মান দিন।
যে কোন স্পোর্টস নিছক বিনোদন নয়, জীবনযুদ্ধের বৈশ্বিক কাঠিন্যের বিরুদ্ধে কিছুটা আনন্দ পাবার জন্য এক মহাবিদ্রোহ।
পরষ্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বা শত্রুতা তৈরির ক্ষেত্র নয়। তাই আর কোন মূর্খতা নয়, বি স্পোর্টিং।
আরও পড়ুন: প্রকাশ হলো আসিফ আকবরের জীবনীগ্রন্থ
২ বছর আগে
মাগুরায় এবার সাড়ে ৭ কি. মি. দীর্ঘ জার্মান পতাকা
বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে উন্মাদনার অংশ হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাড়ে সাত কিলোমিটার লম্বা জার্মানির পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে। শুক্রবার এ পতাকা প্রদর্শন করা হয়।
জার্মানি দলের সমর্থক মাগুরার ঘোড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন এই সাড়ে সাত কিলোমিটার লম্বা জার্মানির পতাকা তৈরি করেছেন।মাগুরা সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর হাইস্কুল মাঠে এই পতাকা প্রদর্শন করা হয়।
পতাকা প্রদর্শনের সময় চাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানসহ গ্রামবাসী ও সুধীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা জার্মানির পতাকা তৈরীকারী আমজাদ হোসেন ২০১৮ সালে আরও দুই কিলোমিটার বাড়িয়ে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার লম্বা পতাকা তৈরি করেছিলেন। এবার তা আরও দুই কিলোমিটার বাড়িয়ে সাড়ে সাত কিলোমিটার করেছেন।
জানা যায়, আমজাদ হোসেন পেশায় একজন কৃষক। আমজাদ হোসেনের এই সাড়ে সাত কিলোমিটার লম্বা জার্মানির পতাকা তৈরি করতে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এছাড়া জার্মানির বিটি নামে হোমিও ওষুধ খেয়ে তার অসুখ সারায় তিনি জার্মানির ভক্ত হয়ে যান।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২: আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর শুরু
বিশ্বকাপ জ্বরে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় বিভক্ত কুষ্টিয়া!
কাতার বিশ্বকাপ: স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল বিক্রির অনুমতি নেই
২ বছর আগে
বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনায় রাজধানীতে ‘গলি গ্রাফিতি’
ফুটবলের প্রতি আবেগ প্রকাশে বাংলাদেশের ফুটবলভক্তরা অতুলনীয়। বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে উন্মাদনার প্রকাশেও এদেশের ভক্তরা সব সময় এগিয়ে থাকেন। তাছাড়া অন্যভাবে বলতে গেলে প্রায় প্রতিবার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে উন্মাদনার মাত্রা অনেক ক্ষেত্রে বেশি থাকেই দেখা গেছে।
আগামী ৮ জুন কোকা-কোলার উদ্যোগে বাংলাদেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২’ ট্রফি ট্যুর। ফুটবলের প্রতি সেই আবেগ, সেই উন্মাদনা আবার জাগিয়ে তোলার জন্য আঁকা হচ্ছে গলি গ্রাফিতি।
২ বছর আগে
বিশ্বকাপ ফুটবল: ৬ লাখ পিস টি-শার্ট তৈরি করেছে সনেট টেক্সটাইল
আগামী নভেম্বরে কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। প্রায় মাসজুড়ে উৎসবে ভাসবে দেশটির মানুষ। সেই উৎসবের ঢেউ স্পর্শ করবে দুনিয়ার তাবৎ ফুটবল প্রেমীদের। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করতে না পারলেও বাংলাদেশের তৈরি টি-শার্ট পড়বে ফুটবল ভক্তরা।
চট্টগ্রামের সনেট টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ফিফার লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি হয়েছে টি-শার্টগুলো। প্রায় ছয় লাখ টি-শার্ট বানিয়ে রপ্তানি করেছে চট্টগ্রামের এ পোষাক কারখানা। যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৩ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের টি-শার্ট, জ্যাকেট তৈরি করেছিল।
ইতোমধ্যে অর্ধেক শার্ট রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ম্যাচেও আধিপত্য ধরে রাখতে চায় টাইগাররা
জানা গেছে, বিশ্বকাপ ফুটবলে পোশাকপণ্য ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য আয়োজক সংস্থা ফিফা বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানকে জার্সি, টি-শার্ট, জ্যাকেটসহ নানা সরঞ্জাম তৈরির কার্যাদেশ দেয়। কাতার বিশ্বকাপের পোশাকপণ্য সরবরাহে অনেকের মতো ফিফার লাইসেন্স পেয়েছে রাশিয়ার একটি বিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইল লিমিটেডকে ছয় লাখ টি-শার্ট বানানোর কার্যাদেশ দিয়েছিল।
ফিফার অফিশিয়াল টিশার্ট তৈরিতে কঠোর সব শর্ত মানতে হয়। সেইসব শর্ত পূরণ করে দিনরাত কাজ করছেন বাংলাদেশি পোষাক শ্রমিকরা। এটি তাদের পেশাগত কাজ হলেও বর্তমান উৎপাদনে বাড়তি আনন্দ আছে বলে জানান শ্রমিকরা।
সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ফিফার লাইসেন্সে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পণ্য তৈরি করে নিয়ে যায়। আমাদের রাশিয়ান ক্রেতাও ফিফা থেকে লাইসেন্স নিয়ে প্রায় ছয় লাখ টি-শার্ট তৈরির অর্ডার দিয়েছিল। তারা যে ডিজাইন দিয়েছিল সেই অনুযায়ী আমরা টি-শার্টগুলো তৈরি করে দিয়েছি। এগুলো রাশিয়া নিয়ে যাবে। সেখানে তারা তাদের স্টলে সেগুলো বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘শাপলা পাতা’ মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি, বিলুপ্তির আশঙ্কা
নিট পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এর আগেও আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের টি-শার্টও রপ্তানি করেছিলাম।
তিনি বলেন, আমারা নিয়মিতই পোশাক রপ্তানি করি। তবে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়া বড় একটি ইভেন্টের টি-শার্ট তৈরি করতে পেরে ভালো লেগেছে। কেননা এর সঙ্গে দেশের ইমেজ জড়িত।
২ বছর আগে