লড়াই
প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হয়ে যাব।
আরও পড়ুন: তথ্য অধিকার আইনে গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অন্যায়ের কাছে আপস না করে, পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। প্রধানমন্ত্রীর জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে জয়ের গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুদের কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আইনজীবী কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম।
আরও পড়ুন: সরকার-নাগরিকের অংশীদারিত্ব তৈরি হলে সমস্যা সমাধান সহজ হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতিতে আরও বেশি শ্রম-মেধা বিনিয়োগ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
কানাডার সরকার সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, তারা এই বসন্তের শুরু থেকেই ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে।
ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল ডিফেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা হয়ে উঠেছে। ড্রোনগুলো নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যুদ্ধাস্ত্রসহ সরবরাহ স্থানান্তরের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এগুলোর জন্য ৯৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের (৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি খরচ হবে এবং এগুলো ইউক্রেনের জন্য পূর্বে ঘোষিত ৫০০ মিলিয়ন কানাডিয়ান (৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সামরিক সহায়তার অংশ।
আরও পড়ুন: ক্রেমলিনের শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু পশ্চিমা ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে, তবে পুতিনকে থামানো যায়নি
স্কাইরেঞ্জার আর৭০ মাল্টি-মিশন মানবহীন এরিয়াল সিস্টেমগুলো অন্টারিও প্রদেশের ওয়াটারলুতে অবস্থিত টেলিডাইন-এর তৈরি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তির কয়েকদিন আগে এই ঘোষণা এলো।
কানাডা এর আগে ইউক্রেনকে ১০০টি উচ্চ-রেজুলেশনের ড্রোন ক্যামেরা দিয়েছিল এবং গত দুই বছরে সামরিক সহায়তায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
৯ মাস আগে
জমে উঠেছে খুলনা- ৪ আসনের নির্বাচন, হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভোটের লড়াইয়ে তার ফিরে আসায় চিন্তা বেড়ে গেছে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী শিবিরে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
এলাকার ভোটাররা বলছেন, গত বছর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দারা।
এছাড়া বাছাইতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির প্রার্থিতা বাতিল হলে নির্ভার ছিলেন সালাম মুর্শেদী। কিন্তু উচ্চ আদালতের রায়ে দারা ভোটের মাঠে ফেরায় জয় পেতে নতুন ছক কষতে হচ্ছে মুর্শেদী সমর্থকদের।
রূপসা, তেরখাদা ও দীঘলিয়া উপজেলা নিয়ে খুলনা-৪ আসন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
২০১৮ সালে তিনি মারা গেলে আসনটিতে মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ‘নবাগত’ ব্যবসাযী ও বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি এবারও নৌকার টিকিট পেয়েছেন।
এছাড়া নির্বাচনী এলাকাসহ খুলনার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল সুজার।
জানা গেছে, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সুজার কিছু অনুসারী সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে যোগ দেন। তিনি বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকায় দলের মধ্যে কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরি হয়।
তাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে আওয়ামী লীগের অন্য অংশের নেতা-কর্মীর। এখন তারা নানা ভাগে বিভক্ত। এরই জেরে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ১৮ নেতা আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করুন: প্রার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সালাম মুর্শেদীকে আওয়ামী লীগ বেছে নিলেও ১৪ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই ও আপিল শেষে ১০ জন প্রতীক পেয়েছেন।
দারা ফিরে আসায় লড়াই হবে ১১ জনের মধ্যে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী জানান, গত পাঁচ বছরে নানা কারণে সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীর। এতদিন তারা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সন্ধানে ছিলেন। দারা নিশ্চিতভাবে এসব নেতার সমর্থন পাবেন। প্রয়াত ভাই সুজার অনুসারীদের জনপ্রিয়তাও তার পক্ষে থাকবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন সাবেক নেতা জানান, ভোটের মাঠে দারা দারুণ কৌশলী। ২০২২ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
ওই নির্বাচনে শেখ হারুন ৫০৬ ও দারা পান ৪০৩ ভোট। নির্বাচনে শেখ হারুনের পক্ষে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতারা মাঠে সক্রিয় ছিলেন; বিপরীতে দারার জন্য তেমন কাউকে দেখা যায়নি। সংসদ নির্বাচনে এবার দারা বড় চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।
জানতে চাইলে মোর্ত্তজা রশিদী দারা বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের কপি নিয়ে বুধবার খুলনায় ফিরব। আশা করছি, প্রতীক নিয়ে ওই দিনই প্রচারে বের হতে পারব। আমি সব সময় খুলনার সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকি। তারা যখন খুশি ডাকলেই আমাকে কাছে পায়। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।’
এ ব্যাপারে সালাম মুর্শেদীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীকে আমি ছোট করে দেখছি না। আমার বিশ্বাস, রূপসা, তেরখাদা ও দীঘলিয়ার মানুষ নৌকার বিপক্ষে যাবে না। গত পাঁচ বছরে এলাকায় যত উন্নয়ন হয়েছে, স্বাধীনতার পর এত উন্নয়ন হয়নি।’
প্রসঙ্গত, খুলনা-৪ আসনে এবার মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৫৩ জন। তিনটি উপজেলার ১৩৩টি কেন্দ্রের ৮০৫টি বুথে ভোটাররা ভোট দেবেন।
আসনটির অন্যান্য প্রার্থী হলেন-
জাতীয় পার্টির মো. ফরহাদ আহমেদ (লাঙ্গল), বিএনএমের এসএম আজমল হোসেন (নোঙর), এনপিপির মো. মোস্তাফিজুর রহমান (আম), স্বতন্ত্র এমডি এহসানুল হক (সোফা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা (ডাব), স্বতন্ত্র জুয়েল রানা (ট্রাক), রেজভি আলম (ঈগল), ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান (মিনার) এবং তৃণমূল বিএনপির মো. হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
১০ মাস আগে
সহিংসতা ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে বৈশ্বিক সমর্থনের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহিংসতা ও ভুল তথ্যকে দু’টি প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা।
তারা সহিংসতা ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে বিশ্ব বন্ধুদের আন্তরিক সমর্থন কামনা করেন।
৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে তারা অভিমত দেন, টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তখনই সম্ভব, যখন সহিংসতা ও ভুল তথ্যের অপরাধীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দূর করা হবে।
পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ওয়েবিনারের প্যানেলিস্টরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৫ বছরের ধারাবাহিকতার পূর্ণ কৃতিত্ব দেন।
'ভায়োলেন্স অ্যান্ড মিসইনফরমেশন: ব্যারিয়ারস টু ইকোনমিক প্রসপারিটি ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলম্যান, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট লেখক ড. নুরুন নবী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিন, এসডিজি অর্জন করুন: বক্তারা
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্যানেলিস্টরা হলেন- অধ্যাপক আবদুর চৌধুরী, অধ্যাপক এবিএম নাসির, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সেথ ওল্ডমিক্সন এবং জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. মাজহারুল ইসলাম রানা।
বক্তারা লাখ লাখ বাংলাদেশিকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী, বিধবা ও স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়া নারীদের জন্য ভাতা প্রবর্তনের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরেন।
বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল যদি এই সময়ের মধ্যে 'নৈরাজ্য ও সহিংসতা' না করে, তাহলে বাংলাদেশ আরও অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে প্যানেলিস্টরা ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী সমাবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল যেদিন উদ্বোধন করেন, সেদিন তারা রাজধানীতে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা, বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন ও হাসপাতালে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে আহত করেন।
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির বিষয়ে বক্তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, দলগুলো কেন অসাংবিধানিক কিছু দাবি করছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদ নিরসন করা উচিত: নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদগণ
তারা সংবিধানের কথা উল্লেখ করে মনে করিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে হতে হবে।
অধ্যাপক আবদুর চৌধুরী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের পরবর্তী শীর্ষ ১০টি উদীয়মান অর্থনীতির একটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং যা ১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দেশটির অসাধারণ অগ্রগতি।
তবে ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের মতো বর্তমান বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দেন।
ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন তার বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সাম্প্রতিক একটি জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বর্তমান সব অর্থনৈতিক সমস্যা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭০ শতাংশ অনুমোদনের রেটিং রয়েছে।
ব্ল্যাকবার্ন বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন 'অনলাইনে একচেটিয়া ভুল তথ্য' বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রকৃত প্রভাব ফেলে। তাই ইউরোপীয় ও আমেরিকান উভয় অংশীদারদেরই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে আসা উচিৎ।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষতি করছে এবং বিএনপি অগ্নিসংযোগ ও গুজব ছড়ানো চালিয়ে যাচ্ছে।
ড. মাজহারুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ক্রমাগত ভুল তথ্য, গুজব ছড়িয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার চক্রান্ত সৃষ্টি করেছিল এবং একই শক্তি এখনো সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা তারেক রহমান, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও জামায়াতের নির্দেশনায় সক্রিয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
অধ্যাপক এবিএম নাসির ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থান প্রতিহত করতে এবং প্রগতিশীল গণতন্ত্রের উদাহরণ ও একটি মডেল মধ্যপন্থী মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য আমেরিকান নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই ধারাবাহিক সহিংসতার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের ৫ বছরের দুঃশাসন ছিল দেশের ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীরা ২০১৩-২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতা-কর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং প্রগতিশীল ব্লগারদের ওপর হামলা চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে একই ধরনের সহিংসতা পুনরায় দেখা দিয়েছে।
অধ্যাপক নাসির যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান, একটি টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কেবল তখনই কার্যকর হবে যখন সহিংসতা ও ভুল তথ্যের অপরাধীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দূর করা হবে। অন্যথায় এটি আফগানিস্তানের মতো বিপর্যয়ে পরিণত হবে।
সেথ ওল্ডমিক্সন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে সতর্ক করে বলেন, সহিংস চরমপন্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষকে নিযুক্ত করতে এবং বাংলাদেশে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার জন্য বেশ সক্রিয়। এই ভুল তথ্য প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিনি ইতিবাচক তথ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণহত্যা প্রত্যাখ্যান ন্যায়বিচার ও প্রতিকারের দাবিকে দুর্বল করে: ওয়েবিনারে বক্তা
১ বছর আগে
গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নয়, ধ্বংসের জন্য লড়াই করছে বিএনপি: কাদের
বিএনপি গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য লড়াই করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি চায়। অস্থিরতা থাকলে বিএনপি এখন পর্যন্ত একটি সমাবেশও করতে পারত না। তবে ২৮ অক্টোবর শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইলে এবারও ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন এসব কথা বলেন।
আগামী ২৮ অক্টোবর শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সফল করতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সাইবার স্পেসে গুজব ছড়ালে কেউ রেহাই পাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে কোনো আন্দোলন হয় না। তারিখ ঘোষণা করে বিশ্বের কোনো দেশেই কোনো আন্দোলন সফল হয়নি। এমনকি আমাদের দেশেও '৬৯ ও '৯০-এর আন্দোলন কোনো তারিখ ঘোষণা করে হয়নি। ভুল পথে চলার কারণে এবার বিএনপির আন্দোলন গর্তে পতিত হবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তি চায়। আমরা কেন ক্ষমতায় অস্থিরতা চাই? কিন্তু এখন যদি কেউ কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি করতে আসে, তাহলে আমরা তা দেখিয়ে দেব, কাকে অস্থিরতা বলা হয়।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমি ২৮ অক্টোবর উত্তাল সমুদ্র দেখতে চাই। আমি উত্তাল বঙ্গোপসাগরের গর্জন শুনতে চাই। আমরা অনেক সহ্য করেছি। সহনশীলতার একটা সীমা আছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ৪০টি দলের সঙ্গে সমাবেশ করবে। স্বপ্ন তো স্বপ্ন। বিএনপির সেই স্বপ্নে রঙিন বেলুন চুপসে যাবে। একটু অপেক্ষা করুন।’
মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতাসীন দলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন তা বিস্ময়কর।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাস্তা দখল ও অবরোধের হুমকি দিয়ে বিএনপির ইচ্ছা পূরণ হবে না: কাদের
১ বছর আগে
সুদানের সেনাবাহিনী ও প্রতিপক্ষ বাহিনীর লড়াইয়ে নিহত ৫৬
সুদানের সামরিক বাহিনী ও একটি শক্তিশালী আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে শনিবার রাজধানী ও অন্যান্য এলাকায় প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে। গণতন্ত্রে উত্তরণের আশা এবং বৃহত্তর সংঘাতের আশঙ্কায় এই ঘটনায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশটির চিকিৎসক সিন্ডিকেট শনিবার রাতে জানিয়েছে, অন্তত ৫৬ জন নিহত ও ৫৯৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। তবে সুদান ডক্টরস সিন্ডিকেট জানিয়েছে, পশ্চিম দারফুর অঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর মেরোওয়েতে সামরিক ও আরএসএফ সদস্যসহ অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এই সংঘর্ষের ফলে সশস্ত্র বাহিনী ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গ্রুপের মধ্যে কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা রয়ে গেছে। এই উত্তেজনার কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি বিলম্বিত হয়েছিল, যা ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটিকে গণতন্ত্রে স্বল্পমেয়াদী রূপান্তরে ফিরিয়ে আনতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্লু নীল প্রদেশে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত: সুদানীয় কর্তৃপক্ষ
এক দিনের তীব্র লড়াইয়ের পরে সামরিক বাহিনী আরএসএফের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে, পরিবর্তে এটি ‘বিদ্রোহী মিলিশিয়া’ নামে অভিহিত করে। কঠোর ভাষা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের যৌথ পরিকল্পনাকারী প্রাক্তন মিত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুদান ডক্টরস সিন্ডিকেট তাৎক্ষণিকভাবে ২৭ জনের মৃত্যুর বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। তবে তাদের মধ্যে অন্তত ছয়জন রাজধানী খার্তুম ও এর সিস্টার সিটি ওমদুরমানে অবস্থান করছেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দক্ষিণ দারফুর প্রদেশের রাজধানী নিয়ালার আশেপাশে অন্তত আটজন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে পদত্যাগ করলেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঢাকা টেস্ট: আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে লড়াইয়ে দ্রুত চার উইকেট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে, বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ড দ্রুত পরপর চার উইকেট হারিয়ে কঠিন অবস্থায় পড়ে।
বুধবার দিনের শেষে, তারা ১৭ ওভারে চার উইকেটে ২৭ রান করতে পারে, হ্যারি টেকটর এবং পিটার মুর যথাক্রমে ৮ এবং ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত আয়ারল্যান্ডের
আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানের জবাবে ৩৬৯ রান পোস্ট করার পর বাংলাদেশ ১৫৫ রানের লিড নেয়।
জেমস ম্যাককলামকে শূন্য রানে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। এরপর তিনি কার্টিস ক্যাম্পারকেও ধরাশায়ী করেন। দুই উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম; স্কোরবোর্ডে ৮৭ রান যোগ করেন সাকিব। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের হয়ে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন, প্রথম আইরিশ স্পিনার যিনি টেস্ট ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেন।
তাদের প্রথম ইনিংসে, হ্যারি টেকটর আয়ারল্যান্ডের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন, কিন্তু তাইজুল ইসলামের কাছে তারা পরাজিত হয়েছিল, যিনি টেস্টে তার ১১তম পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: মুশফিকের দশম টেস্ট সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের লিড ১০৩
ঢাকা টেস্ট: তাইজুলের ৫ উইকেট শিকারে ২১৪ রানে প্যাকেট আয়ারল্যান্ড
১ বছর আগে
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ইমরান খানের
সংসদীয় অনাস্থা ভোটে পদচ্যুত হওয়ার পরেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি তার সমর্থকদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার সারাদিন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন কয়েক দফা মুলতুবি হওয়ার পর মধ্যরাতের পর অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পরিষদের ৩৪২জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ভোট দেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম একজন প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হল।
রবিবার ইমরান খানের উত্তরসূরি নির্বাচিত হবেন এবং সোমবার সংসদে শপথ নেবেন। ইমরান খানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ।
শাহবাজ শরীফ বিরোধী দলগুলোর মিলিত জোটের সবচেয়ে বড় দলের প্রধান। আর প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ইমরান খানের মনোনীত প্রার্থী হবেন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি।
শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার শীতল সম্পর্কের মধ্যে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হয়। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং পাকিস্তানি রুপির মানের পতনের কারণে বিরোধীরা ইমরান খানের সরকারকে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান
ইমরান খান দাবি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করেছে। তার স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি ওয়াশিংটনের অসন্তুষ্টির কারণ।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় তিনি তার বৈদেশিকনীতি তাদের পছন্দ মতো নির্ধারণ করেন।কারণ তার নীতি প্রায়ই চীন ও রাশিয়ার পক্ষে চলে যায়। ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের অংশীদারিত্বেরও কঠোর বিরোধী।
খান বলেন, রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের বিরোধিতা করেছিল ওয়াশিংটন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক দ্য স্টিমসন সেন্টারের পাকিস্তান বিশেষজ্ঞ এলিজাবেথ থ্রেলকেল্ড বলেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও খান প্রায়ই বিরোধী নেতার ভূমিকা পালন করতেন।
তবে, ২০২৩ সালের আগস্টের আগে দেশটির সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা নেই। এমনকি যদি নতুন প্রধানমন্ত্রী আগাম নির্বাচনের পক্ষে থাকেন, তাহলেও অক্টোবরের আগে নির্বাচন হবে না।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন যারা নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করে,তারা গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে ২০১৭ সালের আদমশুমারির ফলাফলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচনী এলাকাগুলিকে পুনরায় সারিবদ্ধ করার কাজ শেষ করতে হবে।
রবিবারের ভোটের পরে ইমরান খান তার সমর্থকদের গভীর রাতে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় তার সমর্থকেরা বিশালাকার ইস্পাতের কন্টেইনার দিয়ে পার্লামেন্ট এবং রাজধানী ইসলামাবাদের কূটনৈতিক এলাকার প্রধান রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ করে।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক উইলসন সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর মাইকেল কুগেলম্যান পাকিস্তানের জন্য একটি উত্তাল সময়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের অধিবেশন শুরু
কুগেলম্যান বলেছেন, আগামী মাসগুলো রাজনৈতিকভাবে উত্তাল সময় পার করবে পাকিস্তান।
ইমরান খানের সরকার ১৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বজায় রাখায় এবং প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছ থেকে গত বছর রেকর্ড ২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আনার কৃতিত্বও রয়েছে। এছাড়া ইমরান খানের দুর্নীতিবিরোধী খ্যাতি প্রবাসী পাকিস্তানিদের বাড়িতে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করেছে। তার সরকার করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলা এবং দেশব্যাপী শাটডাউনের পরিবর্তে ‘স্মার্ট লকডাউন’ বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক প্রশংসাও পেয়েছে।
কিন্তু তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। সেনাবাহিনী দেশটির ৭৫ বছর স্বাধীনতার ইতিহাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে সরাসরি শাসন করেছে এবং বেসামরিক সরকারগুলোকেও পরোক্ষভাবে চালিত করেছে।
খানের বিরোধীরা বলছেন, পানামা পেপারসে নাম আসার পর দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয় ইমরান খান।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজ শরীফকে পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। পাকিস্তানের একটি আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি স্ব-আরোপিত নির্বাসনে লন্ডনে বসবাস করছেন। তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডও দেয়া হয়েছিল।
গত নভেম্বরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের সম্পর্কের ফাটল শুরু হয়েছিল। যখন তিনি নতুন গোয়েন্দা প্রধান নিয়োগ নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন।
গত সপ্তাহে জাভেদ বাজওয়া ইমরান খানের মার্কিন বিরোধী অবস্থান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
বাজওয়া বলেছে, পাকিস্তান তার বৃহত্তম রপ্তানি বাণিজ্য অংশীদার চীন ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। এবং তিনি রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার নিন্দা করেন।
আরও পড়ুন: ফের অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি ইমরান খান
২ বছর আগে
কিয়েভের উপকণ্ঠে রুশ-ইউক্রেন সেনাদের লড়াই চলছে: যুক্তরাজ্য
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কিয়েভ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়ার স্থলবাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর লড়াই চলছে।
শনিবার একটি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, কিয়েভের উত্তরে রাশিয়ার বিশাল সামরিক বাহিনী ছড়িয়ে পড়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী হয়ত রাজধানী কিয়েভকে ঘেরাও করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী কিয়েভের বাইরে খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি এবং মারিউপোল শহরগুলো ঘিরে রেখেছে এবং শহরগুলোর ওপর ক্রমাগত ভারী গোলা বর্ষণ করছে।
এর আগে রাশিয়ার সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ শহর মারিউপোলে ৮০ জনেরও বেশি লোকের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি মসজিদে গোলা বর্ষণ করেছে। শনিবার ইউক্রেনের সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা এক সরকারি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের সংখ্যা জানানো যায়নি।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ মারিউপোলে মসজিদে রুশ বাহিনীর গোলা বর্ষণ: ইউক্রেন
এ হামলার বিষয়ে তুরস্কের ইউক্রেনীয় দূতাবাস জানিয়েছে, বন্দর নগরী মারিউপোলে চলমান রুশ হামলা থেকে বাঁচতে ৩৪ জন শিশুসহ ৮৬ জনের একটি দল আশ্রয় নিয়েছিল। এদের মধ্যে তুর্কি নাগরিকও ছিল।
দূতাবাসের একজন মুখপাত্র শহরের মেয়রের বরাত দিয়ে এ তথ্য উদ্ধৃত করেছেন।
মেয়রের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ১২ দিনের হামলায় মারিউপোলে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৫০০ পেরিয়েছে। এই সপ্তাহে শহরের একটি প্রসূতি হাসপাতালে গোলা বর্ষণের ফলে তিনজন নিহত হয়।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে মারিউপোল সবচেয়ে বড় দুর্দশায় পড়েছে। কারণ অবিরাম হামলার কারণে খাদ্য ও পানীয় সঙ্কট এবং আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
শনিবার ইউক্রেনের জরুরি তথ্য পরিষেবা কেন্দ্র জানিয়েছে, খারকিভের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং থেকে দুই নারী, এক পুরুষ ও দুটি শিশুসহ মোট পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের শিল্প কেন্দ্রে রুশ যুদ্ধবিমান ও আর্টিলারির হামলা
পশ্চিম ইউক্রেনে বিমানবন্দরের কাছে রাশিয়ার হামলা
২ বছর আগে