ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কিয়েভ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়ার স্থলবাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর লড়াই চলছে।
শনিবার একটি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, কিয়েভের উত্তরে রাশিয়ার বিশাল সামরিক বাহিনী ছড়িয়ে পড়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী হয়ত রাজধানী কিয়েভকে ঘেরাও করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী কিয়েভের বাইরে খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি এবং মারিউপোল শহরগুলো ঘিরে রেখেছে এবং শহরগুলোর ওপর ক্রমাগত ভারী গোলা বর্ষণ করছে।
এর আগে রাশিয়ার সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ শহর মারিউপোলে ৮০ জনেরও বেশি লোকের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি মসজিদে গোলা বর্ষণ করেছে। শনিবার ইউক্রেনের সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা এক সরকারি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের সংখ্যা জানানো যায়নি।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ মারিউপোলে মসজিদে রুশ বাহিনীর গোলা বর্ষণ: ইউক্রেন
এ হামলার বিষয়ে তুরস্কের ইউক্রেনীয় দূতাবাস জানিয়েছে, বন্দর নগরী মারিউপোলে চলমান রুশ হামলা থেকে বাঁচতে ৩৪ জন শিশুসহ ৮৬ জনের একটি দল আশ্রয় নিয়েছিল। এদের মধ্যে তুর্কি নাগরিকও ছিল।
দূতাবাসের একজন মুখপাত্র শহরের মেয়রের বরাত দিয়ে এ তথ্য উদ্ধৃত করেছেন।
মেয়রের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ১২ দিনের হামলায় মারিউপোলে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৫০০ পেরিয়েছে। এই সপ্তাহে শহরের একটি প্রসূতি হাসপাতালে গোলা বর্ষণের ফলে তিনজন নিহত হয়।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে মারিউপোল সবচেয়ে বড় দুর্দশায় পড়েছে। কারণ অবিরাম হামলার কারণে খাদ্য ও পানীয় সঙ্কট এবং আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
শনিবার ইউক্রেনের জরুরি তথ্য পরিষেবা কেন্দ্র জানিয়েছে, খারকিভের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং থেকে দুই নারী, এক পুরুষ ও দুটি শিশুসহ মোট পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের শিল্প কেন্দ্রে রুশ যুদ্ধবিমান ও আর্টিলারির হামলা