আতিকুল ইসলাম
খাল দখলকারীদের ধিক্কার জানালেন ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকারি খাল, খাস জমি এগুলো কতিপয় দখলদার অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যারা খাল, খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক।
যারা সরকারি জমি, জনগণের জমি দখল করেছে তাদেরকে আমি ধিক্কার জানাই।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সাতারকুল-ভাটারা একশ’ ফুট এলাকায় সূতিভোলা খালের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং খালের দলখ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, নদী রক্ষা কমিশনসহ পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিব। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করব। অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চলবে।
শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খাল এবং পরে পাশের সমুদ্র খালের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খালের পাড় দিয়ে হেটে যান।
এসময় মেয়রের উপস্থিতিতে খালের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ইটের তৈরি ওয়াল ভেঙে দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মত বিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম বলেন, মূল খালের পাশে অনেক খাস জমি রয়েছে। সেসব খাস জমিতে শিশুদের জন্য খেলাধুলার জায়গা করে দেওয়া হবে, খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন, নান্দনিক গণপরিসর, পার্ক, নৌকার জন্য ঘাট নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রথম ধাপে ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন কাজ করা হবে। এর আওতায় সূতিভোলা খাল ও সমুদ্র খালের উন্নয়ন হবে। প্রায় সাত কিলোমিটার খাল উন্নয়নের এই প্রকল্পে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মেয়র বলেন, ঢাকার পূর্ব পাশে মোট প্রায় ২৯ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন ও খালগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি তৈরি করা হবে। এ বছরের মধ্যে প্রথম ধাপে সূতিভোলা খালের ৭ কিলোমিটার উন্নয়ন করব এবং পরে বাকী ২২ কিলোমিটারের উন্নয়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৯ মাস আগে
মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের কোনো জায়গা কিন্তু মালিক ছাড়া নেই। ঢাকার প্রতিটি জায়গা হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অধীন। অতএব মালিক বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের জায়গা ও জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে কিউলেক্স মশার প্রকোপ-নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবনে ভবনে কার্যকর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চত করার নির্দেশনা ডিএনসিসি মেয়রের
মেয়র আতিক বলেন, আমি সবাইকে সাত দিন সময় দিচ্ছি। সাত দিন পর আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবো। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাবেন। কোথাও কচুরিপানা বা মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না। নিয়মিত মামলা দেয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতে মশার চাষ হচ্ছে। এগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থার অধীন। জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন করা সম্ভব না। সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে।
মেয়র বলেন, শুধু কিউলেক্স মশা নয়। এডিস মশা এখনো রয়েছে। আমাদের মশক নিধন কার্যক্রম ও অভিযান চলমান। দুই ভবনের মাঝখানে খালি জায়গায় অনেকে ময়লা ফেলে দেন। দয়া করে এটি বন্ধ করুন। স্থানীয় জনগণ ও হাউজিং সোসাইটির উদ্যোগে এগুলো বন্ধে কাজ করুন। অনেক হাউজিং সোসাইটি মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন কিনেছেন। আমরা সেসব সোসাইটিকে ডিএনসিসি থেকে বিনামূল্যে মশার ওষুধ সরবরাহ করবো।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য ভবনের পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি বৃষ্টির পানি নামার সারফেস ড্রেনে দিয়ে শহরের খাল ও জলাশয় দূষণ করছে। আমরা বার বার বলেছি প্রতিটি ভবনে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। গুলশান, বনানী, নিকেতন ও বাড়িধারা এলাকায় আমাদের বর্জ্যবিভাগ থেকে ইতোমধ্যে সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন করেছে। ৪ জানুয়ারি এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধিরা।
এসময় ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগকে সব সংস্থা ও হাউজিং সোসাইটিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পহেলা জানুয়ারি থেকে এক বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে একটি ক্যালেন্ডার প্রনয়ণের নির্দেশ দেন তিনি।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ডিএনসিসির মশক নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
৩০দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
১ বছর আগে
বিশ্বকাপের সব খেলা বড় পর্দায় দেখাবে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মাঠে একসঙ্গে সবাই মিলে খেলা দেখার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ফলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া ডিএনসিসির সব এলাকায় মাসব্যাপী বিশ্বকাপের সব খেলা বড় পর্দায় (ডিজিটাল স্ক্রিন) দেখানো হবে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর ২০২২) বিকালে মিরপুর ১১নং সেকশনের প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর খেলা বড় পর্দায় (ডিজিটাল স্ক্রিন) মাসব্যাপী প্রদর্শনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, দলবেঁধে খেলা দেখার আনন্দ অনেক বেশি। সবার আনন্দের কথা চিন্তা করে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছি। অনেকে অফিস থেকে ফেরার পথেই খেলা দেখার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: ৪০০ কোটি টাকার বিল বকেয়া: ডিএনসিসি এলাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে তিতাস
উল্লেখ্য, ডিএনসিসি এলাকায় নয়টি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হচ্ছে। স্থানগুলো হলো-
১)রবীন্দ্র সরণি, উত্তরা
২)মানিক মিয়া এভিনিউ
৩)মুজিব চত্ত্বর, হাতিরঝিল, মধুবাগ
৪) নগর ভবন, গুলশান-২
৫)বছিলা, মোহাম্মদপুর (লাউতলা খাল সংলগ্ন)
৬)প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠ
৭)কাচকুড়া কলেজ মাঠ
৮)শ্যামলী পার্ক
৯) খিলগাও তালতলা মার্কেট
আরও কয়েকটি স্থান নির্বাচন করে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যার কথা শোনার জন্য আমি প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শুরু করেছি। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা সরাসরি শোনার জন্য আমি নিজে তাদের কাছে যাচ্ছি। জনগণের দাবি পূরণ করে ও সমস্যা সমাধান করে সুন্দর নগর গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। জনগণকে সম্পৃক্ত করে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।'
শিশুদের খেলাধূলার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে যেমন প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতা, তেমনই প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ শহরে প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ নেই। চারপাশে শুধু ভবন নির্মাণ হচ্ছে। শুধু ভবন নির্মাণ করলে হবে না। শিশুদের বিকাশের জন্য খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ছোট শিশুদের কথা চিন্তা করতে হবে। শিশুরা যখন খেলার মাঠের জন্য অনশন করে সেটা সত্যি দুঃখজনক। মাঠের অভাবে তারা খেলতে পারে না। মানুষ হাঁটার সুযোগ পাচ্ছে না। ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মাঠের জায়গায় প্লট এটা মানা যায় না। এই প্যারিস রোড মাঠে শিশুরা উৎসবমুখর পরিবেশে আজকে খেলা দেখছে। এবং প্যারিস রোডের এই মাঠে শিশুরা খেলবে। এই স্থানটি মাঠ হিসেবেই থাকবে।
বড় পর্দায় সরাসরি খেলা প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র শিশুদের সঙ্গে মাঠে বসে আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরবের খেলাটি উপভোগ করেন এবং শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বড় পর্দায় মাঠে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে খেলা দেখার কারণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিশুদের আনন্দের কথা ভাবতে হবে। তাদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। এই প্যারিস রোড মাঠ প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এখানে কিছুতেই প্লট বরাদ্দ দেয়া যাবে না। প্লট যারা পেয়েছিলেন তাদের জন্য অন্য জায়গায় প্লটের ব্যবস্থা করা হবে। এটি খেলাধুলার জন্য মাঠ হিসেবেই থাকবে।
৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলররা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
রায়েরবাজারে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
১ বছর আগে
গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত লেক পরিষ্কার করছি, খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করছি। কিন্তু বাসা-বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের লাইন খালে গিয়ে প্রতিনিয়ত খালের পানিকে দূষিত করছে। দূষণের ফলে খালে মাছের চাষ করতে পারছি না, সেখানে মশার চাষ হচ্ছে। এটি আর হতে দেয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর ২০২২) সকালে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর সমাপ্তি উপলক্ষ্যে রাজধানীর কুড়িল লেকে মাছের অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২০ ফিটের কম প্রশস্তের রাস্তার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই: মেয়র আতিক
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শুধু কুড়িল লেকে নয়। পর্যায়ক্রমে সবগুলো লেকে মাছ চাষ করা হবে। গুলশান, বনানী, বাড়িধারা ও নিকেতন এলাকার লেকগুলোতে মাছ চাষ করার বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। অধিদপ্তর আমাকে জানিয়েছে, এসব লেকের পানি দূষিত, মাছ মারা যাবে। অতএব লেকের পানি দূষণ থেকে রক্ষা করতে হবে। পয়ঃবর্জ্যের লাইন লেকে দেয়া যাবে না। বাসা-বাড়িতে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে পয়ঃবর্জ্যের লাইন পরিদর্শন করছে। পয়ঃবর্জ্যের লাইন ড্রেনে বা খালে পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
এসময় মেয়র বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন পদ্মাসেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো মেগা প্রকল্প নির্মাণ করছেন। অন্যদিকে পশুপালন, মৎস্য চাষ ও কৃষির উন্নয়ন করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে পশুপালন, মৎস্য চাষ ও কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। চাষযোগ্য জমিতে চাষ করতে হবে। জলাশয়, লেক, পুকুরে মাছ চাষ করতে হবে।'
শহরের জলাধার ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, 'কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জলাধার ভরাট করে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ কাজ শুরু হলে আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেটি বন্ধ করে দেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লাউতলা খাল উদ্ধার করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করেছি। শহরে জলাধার, লেক ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। রাতের আধারে জলাধারে বালু ভরাট করে ভবন নির্মাণ করলে জনগণ সেটি মানবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাধার ও লেকগুলোকে বাঁচাতে হবে।'
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরকে বাঁচাতে গাছ লাগাতে হবে: মেয়র আতিক
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, শহরকে বাঁচাতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। শহরকে, দেশকে মনে প্রাণে ভালোবাসতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নভেম্বর মাসেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। ড্রেন বা নর্দমার পানিতে কিন্তু এডিস মশার জন্ম হয় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। জমে থাকা স্বচ্ছ পানি ফেলে দিন।
কুড়িল মোড় এলাকায় স্থান নির্বাচন করে একটি কমিউনিটি সেন্টার ও খেলার মাঠ নির্মাণ করা হবে বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র কুড়িল লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। রুই, কাতলা, কালিবাউশ, মৃগেল এই চার প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কুড়িল লেকে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড়ো হবে এগুলো।
ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বি.এম. মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য: মেয়র আতিক
২ বছর আগে
কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসিতে সমন্বিত অভিযান শুরু
কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) অঞ্চল ভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) শুরু হয়েছে। শুক্রবার ব্যাতীত আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
৩ বছর আগে
আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হিসাবে ৪টি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে: মেয়র তাপস
আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হিসাবে ঢাকা মহানগরীর শহরতলির চারটি স্থানকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
৩ বছর আগে
বনানী সড়ক সংলগ্ন সেতু ভবন সরাতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
বনানী সড়ক সংলগ্ন খালি জায়গায় সম্পূর্ণ নিয়মবর্হিভূতভাবে সেতু ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এটা এ সড়কের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করায় এখান থেকে ভবনটি সরিয়ে নিতে হবে।
৩ বছর আগে
২০২১ সালের নববর্ষে নগরে এলইডি বাতি: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘২০২১ সালের নববর্ষে নগরবাসীর জন্য উপহার হিসাবে সড়কে এলইডি বাতি দিতে চাই।’
৪ বছর আগে
যত ক্ষমতাবানই হোন না কেন সড়ক ও ফুটপাতে ব্যবসা নয়: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সোমবার বলেছেন, যত ক্ষমতাবানই হোন না কেন এই শহরের ফুটপাতে কোনো ধরনের নির্মাণসামগ্রী বা অন্য কোনো সামগ্রী রেখে ব্যবসা করতে পারবেন না।
৪ বছর আগে
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসিতে শনিবার থেকে ফের চিরুনি অভিযান: আতিকুল
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে শনিবার থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব ওয়ার্ডে ফের একযোগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) শুরু হচ্ছে।
৪ বছর আগে