অশনি
সারাদেশে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপে পরিণত ‘অশনি’, নামলো সতর্ক সংকেত
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ৭৮ মিলিমিটার।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনি বৃহস্পতিবার সকালে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভারতের অন্ধ্র উপকূলের অদূরে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগেরে অবস্থানরত অশনি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ ও পরবর্তীতে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুমান ‘মধ্যম’
২ বছর আগে
ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে বৃষ্টির কারণে রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৮৭ রেকর্ড করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ১৭তম স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, চিলির সান্তিয়াগো ও সৌদি আরবের রিয়াদ যথাক্রমে একিউআই ১৮৫, ১৬২ ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'খারাপ' বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: একিউআই: আবারও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
২ বছর আগে
অশনি: উদ্বেগে সাতক্ষীরা উপকূলীবাসী, মোকাবিলায় প্রস্তুত আশ্রায়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সাতক্ষীরায় মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও দুপুর পর্যন্ত কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
এছাড়া উপকূলীয় নদী বেশ উত্তাল হওয়ায় এই এলাকার মানুষজন উদ্বেগের মধ্যে সময় পার করছেন। তবে অশনি মোকাবিলায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসন জানায়, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় ২৯৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে প্রায় দুই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া খাদ্য, তাবু ও নগদ তিন লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে অশনির প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি
স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরবন উপকূলবর্তী শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় নদীর জোয়ারের পানি এক থেকে দেড় ফুট বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সংস্কারের কাজ চলছে। আম চাষিরা ঝড়ের ভয়ে অপুষ্ট আম গাছ থেকে পেড়ে ফেলছে। ফলে আম চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক এলাকায় কৃষকেরা এখনও বোরো ধান ঘরে তুলতে পারেনি। তবে কেউ কেউ ঝড়ের আগেই খেতের ধান বাড়ি তোলার জন্য রাত-দিন কাজ করছে।
শ্যামনগর উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন বলেন, গত বছর আম্পানের ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি মানুষ। এরই মধ্যে অশনির সংকেত যেন মানুষের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঝড়ের আগেই যাতে সাধারণ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেন সেজন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
২ বছর আগে
অশনি: খুলনায় প্রস্তুত ৮১৪ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় অশনি’র প্রভাবে খুলনা ও এর আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি ৩৪৯ টিসহ মোট ৮১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার সোমবার বিকেলে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত আছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকদের মাঠে সক্রিয় রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।’
জানা গেছে, খুলনা জেলায় সরকারি ৩৪৯টির পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি মিলিয়ে ৮১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব। দুর্যোগ পূর্ব ও পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য দুই হাজার ৪৬০টি সিপিবির স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। পাশাপাশি এনজিও’র এক হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ দুর্বল হচ্ছে
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে উঠেছে। নতুন গাছপালা জন্মেছে। আর অবকাঠামোগত ক্ষতি মেরামতে রাজস্ব বরাদ্দ থেকে কাজ চলমান রয়েছে। সম্পন্ন হতে সময় লাগছে। এ অবস্থায় অশনির আগমনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে।
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ দুর্বল হচ্ছে
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
মঙ্গলবার আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা বন্দর থেকে এক হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে এক হাজার ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর উত্তাল থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তাদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
পড়ুন: খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
২ বছর আগে
‘অশনি’র প্রভাবে উপকূলজুড়ে বৃষ্টিপাত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে রবিবার সকাল থেকে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
সোমবার দুপুরে এটিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে এক হাজার ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে এক হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল বলে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অশনি' মোকাবিলায় বরিশালে প্রস্তুত প্রায় ৫ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, জেলেদেরকে ঘূর্ণিঝড় সর্ম্পকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় অশনি সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা পাইনি। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে জেলেদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের লোক মাঠে আছেন; তারা কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কৃষকরা ৫০ শতাংশ মুগডাল ঘরে তুলেছেন। বাকি ডাল দ্রুত ঘরে তোলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে এমন বোরো খেতের ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন- চার নম্বর সতর্কতা সংকেত পাওয়ার পরে আমাদের প্রস্তুতি সভা হবে। তারপরও আমরা ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' সম্পর্কে অবজারভেশনে আছি।
এদিকে বৃষ্টির কারণে রবিশস্য নিয়ে বিপদে পড়েছে এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক পরিবার।
গলাচিপা উপজেলার বাউরিয়া এলাকায় কৃষক ইউনুস হাওলাদার বলেন,লোকমুখে অশনির কথা শুনেছি। প্রায় এক-দেড় একর জমিতে ঘরে তোলার উপযোগী পাকা মুগডাল রয়েছে। কিন্তু মজুর সঙ্কটে সেই ডাল ঘরে তুলতে পারিনি। ঘূর্ণিঝড়ে যদি জল ওঠে, তা হলে সব ডাল ভেসে যাবে।
আরও পড়ুন: ‘অশনি’: তিন বিভাগে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’: আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে
২ বছর আগে
‘অশনি' মোকাবিলায় বরিশালে প্রস্তুত প্রায় ৫ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবিলায় বরিশাল বিভাগে চার হাজার ৯১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২০ লাখ মানুষের পাশাপাশি তাদের গবাদি পশুও রাখা যাবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় বিপুল পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সোমবার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
গতিপথ অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় অশনি উপকূলের দিকে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশের দক্ষিণের উপকূলে ব্যাপক আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই আশিঙ্কা মাথায় রেখেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়।এর মধ্যে বরিশাল জেলায় এক হাজার ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র, পটুয়াখালীতে ৯২৫টি, ভোলায় এক হাজার ১০৪টি, পিরোজপুরে ৭১২টি, বরগুনায় ৬২৯টি এবং ঝালকাঠিতে ৪৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অশনি’: তিন বিভাগে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি,শুকনা খাবার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে।বরিশাল জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থাদের ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিপিপি ভলান্টিয়ারদেরও প্রস্তুত করা হয়েছে। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসন সূত্র।বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান বলেন, ঘূ‘র্ণিঝড় অশনি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় অশনি নিয়ে জেলায় জেলায় আলোচনা শেষে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ মাসে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে জেনে আমরা আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। তাই বিভাগের ছয় জেলার প্রায় ৫ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র আগে থেকেই ব্যবহার উপযোগী করে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’: আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে
২ বছর আগে
‘অশনি’: তিন বিভাগে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) দেশের তিনটি বিভাগে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু- এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে।
পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’: আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’: আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১২০কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা বন্দর থেকে এক হাজার ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে এক হাজার ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এতে বলা হয়, এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকবে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তাদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে পরিণত
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় অশনির বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনির বাংলাদেশে আঘাত হানার কোন আশঙ্কা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটি ১২ মে ভারতের উডিশা, বিশাখাপত্তম, ভূবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাবে। বাংলাদেশে আঘাত হানার কোন আশঙ্কা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ১২ মে সকালে ভারতে আঘাত হেনে ঘূর্ণিঝড় থেকে নিম্ন চাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোন ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হবে না। এটাই আমাদের কাছে সর্বশেষ তথ্য।
রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে পরিণত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ১৭৫ কিলোমিটার ও কক্সবাজার থেকে এক হাজার ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির গতি ঘন্টায় ৫৫ কিলোমিটার। গত ৪ মে ভারতের আন্দামানে সৃষ্ট ঝড় অশনি ধীরে ধীরে লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপ এই চারটি স্থর পেরিয়ে আজ ভোর ৬ টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। এর অবস্থান হলো অক্ষাংশ ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি।গতিপথ পরিবর্তন হলে বাংলাদেশের কোন অংশে আঘাত হানতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সব সময় পরিবর্তন হয়। যেকোন সময় যেকোন দিকে গতি নিতে পারে। এটা উত্তর পশ্চিত দিকে ধাবিত হচ্ছে। যদি ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে ধাবিত হয় তাহলে এটা আমাদের দেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় আঘাত হানতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় অশনি মিয়ানমারের ডেল্টা উপকূল অতিক্রম করেছেত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার একটি সভা করেছি। সেখানে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়া অফিস, সিপিপি সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের ও জেলা দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সিপিপি ইতোমধ্যে মাঠে কাজ করছে।তিনি বলেন, আমরা সাইক্লোন সেল্টারগুলোকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছি। সেখানে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। রান্না করে খাওয়ানোর জন্য চাল ও অর্থ দিয়েছি। মোটামুটি আমাদের প্রস্তুতি আছে। সাইক্লোন সেল্টারগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
২ বছর আগে