ঘূর্ণিঝড় অশনি’র প্রভাবে খুলনা ও এর আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি ৩৪৯ টিসহ মোট ৮১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার সোমবার বিকেলে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত আছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকদের মাঠে সক্রিয় রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।’
জানা গেছে, খুলনা জেলায় সরকারি ৩৪৯টির পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি মিলিয়ে ৮১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব। দুর্যোগ পূর্ব ও পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য দুই হাজার ৪৬০টি সিপিবির স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। পাশাপাশি এনজিও’র এক হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ দুর্বল হচ্ছে
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে উঠেছে। নতুন গাছপালা জন্মেছে। আর অবকাঠামোগত ক্ষতি মেরামতে রাজস্ব বরাদ্দ থেকে কাজ চলমান রয়েছে। সম্পন্ন হতে সময় লাগছে। এ অবস্থায় অশনির আগমনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে।