ধামরাই
বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফার ওপর জনমত গড়তে ধামরাইয়ে সমাবেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার ওপর জনমত গড়তে ঢাকার ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এই সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহাসমাবেশের ডাক
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা জেলা যুবদল সভপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি মানা হবে না। সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফেরাতে যদি আবারও আন্দোলন করতে হয়, তার জন্য ধামরাইয়ের জনগণ প্রস্তুত আছে।
ঢাকা জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্ব এবং আমজাদ হোসেন, খালেদ হোসেন লেবিন ও বেন ইয়ামিনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় নেতা এম এ জলিল, আব্দুর রহমান বাবুল, খন্দকার আইয়ুব, আসিফুর রহমান খান মিলন, আব্দুল জলিল মাস্টার, বজলুর রহমান, নুরুল ইসলাম, সানোয়ার হোসেন, জালাল উদ্দিন, শ্যামল দাস, আবু তাহের মুকুট, আনসার আলী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যশোরে সমাবেশে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
৩ সপ্তাহ আগে
ধামরাইয়ে গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ধামরাইয়ে গর্তের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) বিকালে ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের খাতরা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মো. ইয়াছিন (৫) ও মো. হাকিম (৩) পাবনার আব্দুল মালেকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাঁতার শিখতে এসে শাবিপ্রবির পুকুরে ডুবে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে বৃষ্টিতে বাড়ির পাশের একটি গর্তে পানি জমেছিল। রবিবার বিকালে ওই দুই শিশু খেলতে বের হলে ওই গর্তে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
নিহতদের মা সালমা বেগম জানান, তারা স্বামী ও স্ত্রী কর্মস্থল থেকে বিকালে বাড়িতে এসে তাদের দুই ছেলেকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। এসময় বাড়ির পাশে গর্তের পানিতে তার এক ছেলের জুতা ভাসতে দেখেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দুই শিশুকে ওই গর্ত থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুজন সিকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
গাইবান্ধায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৮ মাস আগে
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ: আশুলিয়া, সাভার ও ধামরাইয়ের ১৩০ কারখানা বন্ধ
শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে আশুলিয়া, সাভার ও ধামরাইয়ের ১৩০টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) কারখানাগুলোর প্রবেশপথে বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে।
সাভার শিল্প পুলিশ সুপার মো. সারওয়ার আলম জানান, সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ১৩০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রোজ ড্রেসস লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, পাইওনিয়ার লিমিটেড, এআর জিন্স প্রোডিউসার লিমিটেড, আগমী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রসওয়্যার লিমিটেড, সাইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটওন লিমিটেড, অর্নেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।
মূল বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।
গত ৭ নভেম্বর পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
আরও পড়ুন: সাভারে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১০
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
১ বছর আগে
ধামরাইয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
ধামরাইয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার ভোর ৪ টার দিকে যশোরের অভয়নগর থানার ভাঙ্গাগেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিরাজ শেখ (২২) খুলনার ডুমুরিয়া থানার ডুমুরিয়া গ্রামের মো. হান্নান শেখের ছেলে। তিনি ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালিপাড়া এলাকার শামসুল হকের বাড়িতে ভাড়া থেকে থ্রী স্টার নামের একটি ইটভাটায় কাজ করতেন।
নিহত স্ত্রী জুলেখা ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বাস্তা আদর্শ গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হেরোইনসহ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
মাগুরায় এতিমখানায় চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর জুলেখার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর থেকেই নিহতের স্বামী মিরাজ পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানায়, প্রায় তিন থেকে ৪ মাস আগে জুলেখার সঙ্গে মিরাজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আসামি জুলেখাকে সন্দেহ করে গালিগালাজ ও মারধর করতেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী তার মায়ের কাছে বেশ কয়েকবার নালিশ করেন। মায়ের কাছে নালিশ করায় মিরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ অক্টোবর জুলেখাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জুলেখার বড় ভাই মো. আল-আমিন মিরাজসহ অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৪। পরে আজ ভোরে র্যাব-৪ ও ৬ এর যৌথ অভিযানে মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান জানান, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি তার স্ত্রী জুলেখা’কে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
তাকে ধামরাই থানায় হন্তান্তরের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৩৬ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ২
২ বছর আগে
ধামরাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ধামরাই সদর ইউনিয়নে এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম শরীফবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু আহম্মেদ (১০) ধামরাই পৌরসভার কান্দিকুল এলাকার মো. তোতা মিয়ার ছেলে এবং রাজু শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। নিহত অপর শিশু মো. রিয়াজুল ইসলাম (৮) ধামরাই সদর ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম শরীফবাগ এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং শরীফবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে বাচ্চারা খেলছিলো। পাশেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কেটে চতুর্দিকে আইল তৈরি করে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ভরাট করছিল। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে অনেক পানি জমে ছিল। সেখানে খেলা করার সময় শিশু দুটি পানিতে পড়ে যায়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাচ্চারা বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে খুঁজতে থাকেন। না পেয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওখানে কাছে জানতে পারেন তারা বিকালে পাশেই খেলা করছিল। তখন পাশের লোকজন সেই গর্তের পানিতে নেমে শিশুদের খুঁজতে থাকেন। সেখান থেকে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর শিশু দুটিকে ধামরাই সরকারি হাসপাতলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে ধামরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গায় ভরাট করার জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কেটে আইল তৈরি করে বালু ফেলে ভরাটের কাজ চলছে। সেখানে বাচ্চারা খেলা করতে গিয়ে পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর শুনে ঘটস্থল পরিদর্শন করে লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
বল তুলতে গিয়ে পদ্মায় ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু!
২ বছর আগে
এশার নামাজ পড়ে ফেরার পথে মোটরসাইকেল চাপায় ব্যক্তি নিহত
সাভারের ধামরাইয়ে এশার নামাজ পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে বেপোরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল চাপায় ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আটিমাইঠান আঞ্চলিক সড়কে আটিমাইঠান খেলার মাঠের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান একই এলাকার মৃত দিনু বেপাড়ীর ছেলে।
আরও পড়ুন: জামাই বাড়িতে বেড়াতে এসে মোটরসাইকেল চাপায় বৃদ্ধ নিহত
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আতিকুর রহমান জানান, আব্দুর রহমান এশার নামাজ শেষ হেটেঁ বাড়ি যাওয়ার সময় পেছন থেকে দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল তাকে চাপা দেয়, এতে তার কোমরের হাড়, হাত ও পা ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরা হলো না তার!
ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মোটরসাইকেল চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।
২ বছর আগে
ধামরাইয়ে প্রাইভেটকার চাপায় ২ ছেলেসহ মায়ের মৃত্যু
ঢাকার ধামরাইয়ে প্রাইভেটকার-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও দুই ছেলেসহ একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সিএনজি চালকসহ আরও তিন জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ঢুলিভিটা এলাকায় ঢুলিভিটা-ধামরাই বাজার সড়কের মমতাজ মেডিকেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া এলাকার নাসির উদ্দিন খানের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪৫) ও দুই ছেলে নাসিব খান (২০), ছোটন খান (১৮)।
আহত সিএনজি চালক ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া গ্রামের আবুল দেওয়ানের ছেলে শাহ আলম (৩২) এবং একই এলাকার মামুনের ছেলে তুষার (২৪)। এবং অপর একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, দম্পতি আটক
ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য শামীমুজ্জামান শামীম জানান, তারা তিন জন ঢাকায় বেড়ানো শেষে ঢুলিভিটা থেকে সিএনজিযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। মমতাজ মেডিকেলের কাছে আসলে একটি প্রাইভেটকার তাদেরকে ধাক্কা দেয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মমতাজ মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে মা ও উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে দুই ছেলে মারা যায়। গুরুতর আহত সিএনজি চালক ও অপর দুই আহতকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সায়লা শায়মীন জেসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, দুই ছেলেসহ মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। নিহতদের পরিবারের পক্ষে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
খুব দ্রুত সময়ের ভেতরে ঘাতক প্রাইভেটকার ও চালককে আটক করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন ওসি।
আরও পড়ুন: রেললাইনে গেম খেলারকালে ট্রেনের ইঞ্জিনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত, বাবা-মা আহত
২ বছর আগে
ধামরাইয়ে ট্রাকচাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত
ঢাকার ধামরাইয়ে মাটিবাহী ট্রাকের চাপায় জেসমিন আক্তার (২৮ ) নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার কাওয়ালীপাড়া নব গ্রাম বাজারে এ দুর্ঘটনায় নিহত জেসমিনের পরিবার ৫ লাখ টাকায় আপোষ রফা করেছে বলে জানা গেছে।
নিহত জেসমিন উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দুনি গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, ওইদিন রাতে জেসমিন কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় মাটিবাহী একটি ট্রাক তাকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মত্যু হয়। পথচারীরা ট্রাকটি আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ নিহত পোশাক শ্রমিকের লাশ ও ট্রাকটি কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সারারাত ট্রাকের মালিক ও নিহত পোশাক শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে পুলিশ ৫ লাখ টাকায় আপোষ রফা মিটমাট করান পরে পুলিশ ট্রাকটি ছেড়ে দেয়। ময়না তদন্ত ছাড়াই পুলিশ নিহত জেসমিন আক্তারের লাশ তার পরিবারের কাছে গোপনে হস্তান্তর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
এ ব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মোল্লা জানান, নিহত পোশাক শ্রমিকের মা মামলা করবে না বলে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি। তবে আপোষ রফার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
নিহতের স্বামী ইউসুফ আলী আপোষ হয়েছে বলে জানালেও পুরো টাকাটি তিনি পাননি বলে জানান।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
২ বছর আগে
মিরপুরে ডাকাতি: ধামরাই ও কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার ৬
রাজধানীর মিরপুরের শ্যামলীবাগের ইডেন অটো মোটরসাইকেল শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার ধামরাই ও কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড মো. জহিরুল ইসলাম (৩৩), জসিম উদ্দিন (৩৪), মো. জাহিদুল ইসলাম শিকদার (২৬), মো. খাইরুল ভূঁইয়া (২০), মো. রাকিব হাসান (২০) ও মো. নয়ন (২৮)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চারটি দেশীয় অস্ত্র এবং শোরুম থেকে লুট করা এক লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করে র্যাব।
র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইডেন অটো মোটরসাইকেল শোরুমে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ব্যবস্থাপক ওদুদ সজীব ও মোটর টেকনেশিয়ান নূর নবী হাসানকে আক্রমণ করে ডাকাত চক্রের সদস্যরা। এ সময় তারা শোরুমের গ্লাস, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ভাঙচুর করে এবং ক্যাশ ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ও একটি ডেস্কটপ মনিটর লুট করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১০
রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার
মিতু হত্যা: বেনাপোল থেকে ভোলা গ্রেপ্তার
৩ বছর আগে
মায়ের নামে জমি দেওয়ায় বাবাকে পেটালো ছেলে
ঢাকার ধামরাইয়ে ছেলের বিরুদ্ধে মা-বাবার ওপর হামলা ও বাড়ি ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বাবা-মাকে বেদম পিটিয়ে আহত করেছেন ওই ছেলে। এ ঘটনায় বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বুধবার (৩০ জুন) ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের মঙ্গল মিয়ার (৬০) বড় ছেলে মাসুদ হোসেন (৩৫) ও ছোট ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০)। দুই ছেলের কেউ বাবা-মাকে দেখাশোনা করেন না। মঙ্গল মিয়া স্ত্রী আমেনা খাতুনকে (৫৫) নিয়ে আলাদা ঘরে থাকেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের মতলবে বাবার লাশ দাফনের পরই বিয়ের পিড়িতে ছেলে
কয়েকদিন আগে মঙ্গল মিয়া স্ত্রীর নামে ১৩ শতাংশ জমি হেবা দলিল করে দেন। এই ঘটনায় ছোট ছেলে আলমগীর ক্ষীপ্ত হয়ে বাবা-মাকে বেদম পিটিয়ে আহত করে। এমনকি বাবা-মার থাকার ঘর, রান্না ঘর ও সৌর বিদ্যুৎ সংযোগ ভাঙচুর করে। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে বাবা মঙ্গল মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলেরা আমাদের ভাত কাপড় দেয় না। আমার শরীরও ভাল না। তাই আমার স্ত্রীর নামে ১৩ শতাংশ জমি হেবা করে দিয়েছি। আমার ছোট ছেলে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। আমাদের পিটিয়ে আহত করেছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে ৬ মাসের ব্যবধানে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধার
এসময় নিজের ছোট ছেলেকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান মঙ্গল মিয়া।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘ছেলে বাবা-মাকে মেরেছে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ছেলের বিরুদ্ধে বাবার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ছেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
৩ বছর আগে