বলীখেলা
জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন জীবন বলী
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৩ তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার জীবনবলী। কুমিল্লার শাহজালাল বলীকে হারিয়ে তিনি বিজয়ের মুকুট অর্জন করেন। এর আগে ১০৯ তম আসরেও তিনি চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।
সোমবার বিকালে লালদীঘি সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে বালুর তৈরী অস্থায়ী মঞ্চে এ বলী খেলা (কুস্তি প্রতিযোগিতা) অনুষ্ঠিত হয়।
জীবন বেশ কয়েকবার শাহজালালকে ধরাশায়ী করার চেষ্টা করেও পারেননি। শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট ভিত্তিতে তারিকুল ইসলাম জীবনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন খেলার রেফারি আব্দুল মালেক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আজ ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা
করোনার মহামারির কারণে দুই বছর এ আয়োজন বন্ধ থাকার পর ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা ও মেলার এবার বসেছে ১১৩তম আসর। প্রতিযোগিতায় অংশ নেন চট্টগ্রাম কক্সবাজার, নোয়াখালী কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য বলী।
জব্বারের এই বলী খেলায় এবার প্রথম রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল (চ্যালেঞ্জিং বাউট),সেমি ফাইনাল ও ফাইনালে (চ্যাম্পিয়ন বাউট) মোট ৭২ জন বলী অংশ নেন।
বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
উল্লেখ্য, ১৯০৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে লড়তে দেশের তরুণ যুবকদের শারীরিকভাবে তৈরি করতে এই বলী খেলার প্রচলন করেছিলেন চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আবদুল জব্বার। ধারাবাহিকভাবে শত বছর পেরিয়ে বর্তমানে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসবেই শুধু পরিণত হয়নি এই খেলা, ঠাঁই করে নিয়েছে ইতিহাসেও।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে আজ ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা
চট্টগ্রাম আজ (২৫ এপ্রিল) সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলীখেলা (কুস্তি প্রতিযোগিতা)। এ উপলক্ষে চলছে তিন দিনের বৈশাখী মেলা।
বিকেলে শহরের লালদীঘির জেলা পরিষদ মার্কেট প্রাঙ্গণের সড়কের উপর বিশেষ ব্যবস্থায় এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে। করোনার মহামারির কারণে দুই বছর এ আয়োজন বন্ধ থাকার পর ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা ও মেলার এবার বসছে ১১৩তম আসর। প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন চট্টগ্রাম কক্সবাজার, নোয়াখালী কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক বলী।
এদিকে আজকের বলীখেলা ও গতকাল রবিবার থেকে শুরু তিন দিনের বৈশাখী মেলার কারণে কয়েকদিন ধরে লালদীঘি, কে সি দে রোড, বক্সিরহাট, সিনেমা প্যালেস, আমানত শাহ রোড, খাতুনগঞ্জ-আসাদগঞ্জগামী রোড সহ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিএমপির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লাগানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা।
তিন দিনব্যাপী এ মেলা আজ এবং আগামীকাল পর্যন্ত চলবে। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের গৃহস্থালি ও লোকজ পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। মাটির তৈরি তৈজসপত্র, মাটির টেপা পুতুল, কাঁচের চুড়ি, পাটপণ্যের পাশাপাশি কাঠের পুতুল, খেলনা, বাঁশ-বেতের জিনসিপত্র আর মুড়ি-মুড়কি বাতাসার দোকানের ভিড় লেগেছে।
বৈশাখের তপ্ত দুপুরে মাথার ওপর প্রচণ্ড তাপদাহ। তারই মাঝে বাহারি গ্রামীণ পণ্যের পসরায় সেজেছে লালদিঘী মাঠের আশে পাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। মেলায় এসেছে নানা বয়সী মানুষ।
পড়ুন: চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা হবে: মেয়র
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা হবে: মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও তিন দিনের বৈশাখী মেলা।
তিনি বলেন, তবে এবার লালদিঘী মাঠে নয়; বলিখেলার আয়োজন হবে রাস্তার উপর। আগে পাঁচদিন হলেও এবার মেলা হবে তিন দিন। ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত বৈশাখী মেলা চলবে কোতোয়ালি থেকে আন্দকিল্লাহ পর্যন্ত সড়ক জুড়ে।শনিবার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাটে নিজ বাসভবনে ‘আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটি’র সদস্যদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে লালদীঘি মাঠের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় বলীখেলা ও মেলার ১১৩তম আসর স্থগিত ঘোষণা করেছিল মেলা আয়োজক কমিটি। পরে এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেয় সিটি মেয়র রেজাউল করিম। মেয়র বলেন, কয়েকদিন আগে একটা ঘোষণা এসেছিল, এবার নাকি আবদুল জব্বারের বলীখেলা হবে না। এটা জানার পর সবার মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। অনেকে মোবাইলে সেই হতাশার কথা আমাকে জানান। তারা প্রশ্ন করেছেন, কেন বলীখেলা ও মেলা হবে না। এরপর আমি বললাম, মেলা অবশ্যই হবে। সে জন্য আয়োজক কমিটির সবাইকে ডেকে কথা বললাম।
আরও পড়ুন: এবারও হচ্ছে না চট্টগ্রামের শত বছরের জব্বারের বলি খেলা
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) আবদুল জব্বারের বলীখেলা হবে। তবে এবার লালদিঘী মাঠে নয়, খেলা হবে বিকাল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে মাঠের সামনের খোলা জায়গায়। একইসঙ্গে মেলাও হবে। আগে পাঁচদিন হলেও এবার মেলা হবে তিনদিন। ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বৈশাখী মেলা। মেলা আয়োজক কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির সভাপতি চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন।উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুবকদের অনুপ্রেরণা দিতে ১৩১৬ সনের ১২ বৈশাখ প্রচলন করেন এ ‘বলীখেলা’। তখন থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১১০তম আসর নিয়মিত বসলেও করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। বলীখেলার আগের দিন থেকে শুরু করে পাঁচদিনব্যাপী মেলা বসে লালদীঘির মাঠ ও আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।
আরও পড়ুন: দু বছর পর ফের বাংলা বর্ষবরণে মেতেছে চট্টগ্রামবাসী
স্নানোৎসবকে ঘিরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৭ কি.মি জুড়ে যানজট
২ বছর আগে