কর্ণফুলি
কর্ণফুলিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
রাঙামাটির কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও এক পর্যটক এখনও নিঁখোজ রয়েছেন। বুধবার বিকাল ৫টায় কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লোকাস বৈদ্য (১৯) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা গ্রামের অপু বৈদ্যের ছেলে এবং চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। নিঁখোজ ব্যক্তির নাম অপূর্ব সাহা (১৮)।
নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।এছাড়া অপর একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়,চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা থেকে ছয় বন্ধু কাপ্তাইয়ে বেড়াতে এসে বুধবার বেলা তিনটার দিকে কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামে। এসময় তারা ছয়জনই পানিতে তলিয়ে যায়। এদের মধ্যে তিনজন পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। বাকি তিনজনকে খুঁজে পাওয়া যায় না। খবর পেয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৩টা ১০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে কাপ্তাই উপজেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
উপজেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, আহত ব্যক্তি বর্তমানে সুস্থ আছেন।
কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর পরিদর্শক নুরুল করিম বলেন, ছয় বন্ধু কাপ্তাইয়ে বেড়াতে এসে কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামে। তাদের মধ্যে তিনজন সাঁতরিয়ে উঠতে পারলেও তিনজন নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। একজনকে জীবিত ও একজনের লাশ উদ্ধার করলেও অপর একজনকে উদ্ধারে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত বছর একই এলাকায় গোসল করতে নেমে এক পর্যটক নিখোঁজ হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমে পানিতে ডুবে কমিশনারের মৃত্যু
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামের কর্ণফুলি উপজেলায় মামুনুর রশীদ সাগর নামে এক যুবক খুন ও আরেকজনকে কুপিয়ে অঙ্গহানির ঘটনায় সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। একই রায়ে একজনকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ রায় দেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন-মো. আজম, ফারুক, আলী আজগর, শওকত হোসেন, ওমর উদ্দীন, আশরাফুল আলম সুমন ও মো. পারভেজ। এদের মধ্যে সুমন ও পারভেজ পলাতক আছে। এছাড়া ওমর উদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ুব খান রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী উপজেলার শাহমীরপুর এলাকায় মাদক ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মামুনুর রশীদ মামুন নামে এক যুবককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে দণ্ডিত আসামিরা। একই ঘটনায় আসামিরা নিহতের বন্ধু আজিজকেও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে; পরবর্তীতে তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইয়াছিন বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ২০১৯ সালের ১১ মার্চ সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করে। আদালত ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। মামলায় ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত থাকা সাত আসামির পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয় অন্য দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: জিল্লুর হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে