পানিসম্পদ
নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার
নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
রবিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এছাড়া, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) নাজমুল আহসানকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুনের শেষ সপ্তাহে পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
২২ ফেব্রুয়ারির পর বিধিনিষেধ বাড়বে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের ভাঙন ঠেকাতে ৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছেন, যমুনার ভাঙন থেকে চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলকে রক্ষায় ৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের শেষে ওই প্রকল্পের আওতায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেছেন, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ৫’শ মিটার যমুনার ভাঙ্গন কবলিত এলাকাকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙন থেকে রক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে নদী ভাঙনের কবলে কয়েক গ্রামের বাসিন্দা
তিনি আরও বলেন, নদীর নাব্যতা ফেরাতে ও ভাঙন ঠেকাতে সরকার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যমুনার ভাঙ্গন থেকে চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলকে রক্ষায় ৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের শেষে ওই প্রকল্পের আওতায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। পাশাপাশি যমুনার চর এলাকাকেও স্থায়ী বাঁধের আওতায় আনার পরিকল্পনার কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে তিনি চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের চরছলিমাবাদ, মিটুয়ানী, ভুতের মোড় ও বিনানই গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাউবো) অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (কেন্দ্রীয় অঞ্চল) আব্দুল মতিন সরকার, বগুড়া পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ, সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ও চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়ি-ঘর
২ বছর আগে
হাওড়ে ৯০ শতাংশ ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক: উপমন্ত্রী
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, হাওর এলাকায় ৯০ শতাংশ বোরো ধান কৃষকেরা ঘরে তুলেছেন।
শুক্রবার শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া-জাজিরার পদ্মার ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘হাওর এলাকার অবশিষ্ট ১০ শতাংশ ধান শিগগিরই কাটা হবে।’
শামীম বলেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে হাওড়ের মানুষ।
তিনি বলেন, দেশে দুই লাখ ২২ হাজার আটশ’’ পাঁচ হেক্টর হাওড় রয়েছে। এরমধ্যে পাঁচ হাজার সাতশ’ ৬৫ হেক্টর হাওড়ের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জিসহ কয়েকটি এলাকায় রেকর্ড এক হাজার ২০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ওই বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে হাওড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতির পরিমাণ ২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বন্যার পানি হাওরে ঢুকে ফসলহানির আশঙ্কা সুনামগঞ্জের কৃষকদের
উপমন্ত্রী বলেন, আমি (পানিসম্পদ উপমন্ত্রী), প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। তিনদিন সেখানে থেকে কাজও করেছি। সেখানকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর হাওড়ের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অসময়ের বন্যা থেকে ফসল রক্ষায় নতুন প্রকল্প আসছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় ১৮০৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন একনেকে
২ বছর আগে
‘বাঁধের কাজ ভালো হওয়ায় এবার ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে’
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সুনামগঞ্জে এ বছর ২০১৭ সালের চেয়েও বেশি পানি হয়েছে। তবে বাঁধের কাজ ভালো হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর ও দিরাই উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওর পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব) মাহবুবর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) এস এম শহিদুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কর্মচারীর বাঁধ রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শত শত শ্রমিকও প্রতিনিয়ত কাজ করছে। বাঁধের গোড়ায় মাটি ভর্তি বস্তাও ফেলা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ রক্ষায়ও কাজ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, মার্চ মাসের ৩০ তারিখ প্রথম দফা পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করে। নদ-নদী ও হাওরে ব্যাপক পরিমাণে পানি বৃদ্ধি পায়। উজানের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জির ভারী বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের নদ-নদী ও হাওড়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ঢলের পানি হাওড়ের পাড় উপচে তাহেরপুর উপজেলার বর্ধিত গুরমার হাওড়ে ঢুকছে। সর্বশেষ রবিবার রাতে দিরাই উপজেলায় হুরামন্দিরা হাওরে পানি ঢোকে। এখানে জমি আছে এক হাজার হেক্টর, ক্ষতি হয়েছে ২০০ হেক্টরের।
আরও পড়ুন: ভোলাসহ উপকূল রক্ষায় বাঁধের উচ্চতা বাড়াতে সমীক্ষা চলছে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে আছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। আগামী বোরো মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার দেয়া হবে। এছাড়া,সারা বছর ধরে ভিজিএফসহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে, যাতে খাদ্যের জন্য কেউ কষ্ট না করে। কৃষকবান্ধব সরকার হাওর অঞ্চলে ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার কৃষকদের দিচ্ছে যাতে করে উৎপাদন খরচ কম লাগে।কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এ পর্যন্ত ১৭টি ছোট–বড় হাওর ও বিলের পাঁচ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। প্রথম দফা পাহাড়ি ঢলের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার দ্বিতীয় দফায় ঢল নামতে শুরু করেছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলায় ধান কাটা হয়েছে ৮৪ হাজার ৭৪৮ হেক্টর জমির। যা মোট ধানের ২৪ ভাগ। এবার হাওর ধান চাষাবাদ হয়েছে দুই লাখ ২২ হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছিল ১৪ লাখ মেট্রিক টন। আমরা কৃষকদেরকে বলছি, ৮০ ভাগ ধান পাকলে কাটার জন্য।উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন হাওড়ে ৭২৭টি প্রকল্পে ১শ২২ কোটি টাকায় ৫শ৩৬ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারকাজ হয়েছে। এ বাঁধ নির্মাণকাজের সময়সীমা ছিল ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সময় বাড়িয়েও বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। এছাড়া হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুই-তিন দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় ১৩৯ পোল্ডার তৈরি করা হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
দেশে ১০০০ খাল খননের পরিকল্পনা রয়েছে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে