পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, হাওর এলাকায় ৯০ শতাংশ বোরো ধান কৃষকেরা ঘরে তুলেছেন।
শুক্রবার শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া-জাজিরার পদ্মার ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘হাওর এলাকার অবশিষ্ট ১০ শতাংশ ধান শিগগিরই কাটা হবে।’
শামীম বলেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে হাওড়ের মানুষ।
তিনি বলেন, দেশে দুই লাখ ২২ হাজার আটশ’’ পাঁচ হেক্টর হাওড় রয়েছে। এরমধ্যে পাঁচ হাজার সাতশ’ ৬৫ হেক্টর হাওড়ের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জিসহ কয়েকটি এলাকায় রেকর্ড এক হাজার ২০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ওই বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে হাওড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতির পরিমাণ ২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বন্যার পানি হাওরে ঢুকে ফসলহানির আশঙ্কা সুনামগঞ্জের কৃষকদের
উপমন্ত্রী বলেন, আমি (পানিসম্পদ উপমন্ত্রী), প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। তিনদিন সেখানে থেকে কাজও করেছি। সেখানকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর হাওড়ের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অসময়ের বন্যা থেকে ফসল রক্ষায় নতুন প্রকল্প আসছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় ১৮০৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন একনেকে