মধ্যপ্রদেশ
ভারতের মধ্যপ্রদেশে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১০, আহত ২৪
ভারতের মধ্যপ্রদেশে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জানায়, শনিবার গভীর রাতে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ৪৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে মাইহার জেলার নাদান দেহাত থানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'গতকাল গভীর রাতে নাদান দেহাত থানা এলাকায় জাতীয় সড়কে যাত্রীবাহী একটি স্লিপার কোচ বাস দাঁড়িয়ে থাকা পাথর বোঝাই একটি ডাম্পার ট্রাকে ধাক্কা মারে। এতে ১০ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়।’
আরও পড়ুন: স্পেন যাওয়ার পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি, নিহত ৯, নিখোঁজ ৪৮
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। ২৯ জনকে আহতাবস্থায় সাতনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আরও দুই যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাসটি উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্রের নাগপুর যাচ্ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, আর্থমুভার ও স্টিল কাটার ব্যবহার করে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাসের ভেতর আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
ভারত বেহাল সড়ক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে প্রায়ই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
সরকারি নথিতে দেখা যায়, প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় ৫ লাখ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে যাতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫৯, আহত ৩৬
২ মাস আগে
ভারতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একই পরিবারের ৬ জনকে গুলি করে হত্যা
ভারতের মধ্যপ্রদেশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক পরিবারের সদস্যরা অন্য পরিবারের ওপর গুলি চালালে তিন নারীসহ অন্তত ছয়জন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাজ্যের মোরেনা জেলার লেপা গ্রামে গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এক টুকরো জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কয়েক দশক ধরে বিরোধ চলছিল। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
হত্যাকারীদের একজন রাইফেল দিয়ে নিহতদের ওপর গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভারতীয় গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্থানীয় পুলিশ খুনিদের শনাক্ত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারখানার গ্যাস লিকেজে নিহত ১১
ভারতে মিউজিশিয়ানদের বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
১ বছর আগে
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে এল আরও ১২টি চিতা
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা ভারতে এসেছে। শনিবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে চিতাগুলোকে জোহানেসবার্গ থেকে ভারতে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের এয়ার ফোর্স স্টেশনে আনা হয়। এরপরে চিতাগুলোকে কুনো জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- পাঁচটি মহিলা ও সাতটি পুরুষ চিতা।
আরও পড়ুন:৭০ বছর পর ভারতে ফিরে এসেছে চিতাবাঘ
এর আগে গত বছর নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছিল। নতুন আসা ১২টি চিতাকে আটটি নামিবিয়ান চিতার সঙ্গে একই অভয়ারণ্যে রাখা হবে।
এর মধ্যদিয়ে ভারতে চিতার সংখ্যা বেড়ে ২০টিতে পৌঁছেছে।
এদিকে ১৯৫২ সালে ভারত থেকে চিতাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
তবে ভারত সরকারের একটি উচ্চাভিলাষী স্থানান্তর প্রকল্প ‘প্রজেক্ট চিতা’-র অধীনে ভারতে চিতা আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির চিতা বিড়াল
সুন্দরবন থেকে গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে কৃষক
১ বছর আগে
ভারতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ভারতের মধ্যপ্রদেশ সোমবার একটি যাত্রীবাহী বাস সেতু থেকে নদীতে পড়ে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজ্যের রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার দূরে ধর জেলার খালঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে রাস্তা থেকে সরে গিয়ে নর্মদা নদীতে তলিয়ে যাওয়ার সময় চালক ও কন্ডাক্টর সহ ৪০ জনেরও বেশি লোক বাসটিতে ছিলেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, হালকা বৃষ্টির মধ্যে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সরকারি মালিকানাধীন বাসটি পাশের রাজ্য মহারাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
তিনি বলেন, নদী থেকে প্রায় ১৩টি লাশ এবং ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান টুইটারে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ অফিসার বলেছেন, দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
২ বছর আগে
মধ্যপ্রদেশে প্রেমে বিচ্ছেদ থেকে ভবনে আগুন, নিহত ৭
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের স্বর্ণবাগ কলোনিতে শনিবার ভোররাতে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে সাতজন নিহত হয়েছেন। রবিবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশের বরাত দিয়ে ভোপাল থেকে হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
ইন্দোরের পুলিশ কমিশনার এইচ এন মিশ্র বলেছেন, ‘শনিবার ভোররাতে স্বর্ণবাগ কলোনির একটি ভবনে আগুন লাগে। এতে কয়েকজন জীবন্ত পুড়ে এবং কয়েকজন শ্বাসরোধে মারা যান। এটি একটি জনবহুল ভবন ছিল।’
নিহতরা হলেন-ঈশ্বর সিং সিসোদিয়া (৪৫), নীতু সিসোদিয়া (৪৫), আশিস (৩০), গৌরব (৩৮) ও আকাঙ্ক্ষা (২৫)। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী দুজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, শুভম দীক্ষিত ওরফে সঞ্জয় নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভবনটিতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। ২৮ বছর বয়সী শুভমের ওই ভবনের এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। ওই নারী তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অন্যজনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তারপরও তাকে ফিরে পেতে চেয়েছিল শুভম।
আরও পড়ুন: কমলাপুর রেলস্টেশনে কনটেইনারে আগুন
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার গভীর রাতে লোহামান্ডি থেকে শুভমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালানোর চেষ্টা করলে তিনি পা ও হাতে আঘাত পান।
বিজয় নগর থানার ইনচার্জ তেহজিব কাজী বলেন, পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঝাঁসির বাসিন্দা শুভম স্বর্ণবাগ কলোনির ওই ভবনে মায়ের সঙ্গে থাকা এক নারীকে নিয়ে বিপর্যস্ত ছিলেন। ওই নারী অন্যজনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তিনি পুলিশকে জানান, তারা একটি সম্পর্কে ছিল। এমনকি তাকে ১০ হাজার টাকা ধার দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি অন্য কারো সঙ্গে বাগদান করেছেন।
তেহজিব কাজী বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে তিনি ওই নারীকে টাকার জন্য ডাকেন। (ভবনের কাছে) আলাপ দ্রুতই একটি তিক্ত বাগ বিতণ্ডায় পরিণত হয়। তিনি তাকে হুমকি দেন। পরে তিনি ভবনের পার্কিং এলাকায় এসে একটি বাইক থেকে পেট্রোল বের করে ওই নারীর স্কুটিতে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।’
আরও পড়ুন: সিলেটে হকার্স মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে
তদন্তের সময় কমপক্ষে ১০০ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেছে পুলিশ। একটি ভিডিও ক্লিপে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ভবনে ঢুকতে দেখেছে এবং পরে স্কুটিতে আগুন লাগিয়ে ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেছে।
শনিবার দড়ি দিয়ে নিরাপদে ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন ওই নারী ও তার মা। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ওই নারীর জবানবন্দি নথিভুক্ত করবেন।
২ বছর আগে
ভারতের মধ্যপ্রদেশে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭
ভারতের মধ্যপ্রদেশে শনিবার ভোরে একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাতজন মারা গেছে এবং পাঁচজন আহত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যের রাজধানী ভোপাল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ইন্দোর শহরের স্বর্ণবাগ কলোনির ভবনের বেসমেন্টে ভোর ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রলে আনে।
ঊর্ধ্বতন এক ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের সব বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন। দমকলকর্মীরা ভবন থেকে সাতটি দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আগুন লাগার ঘটনায় ভবনের মালিক আনসার প্যাটেলকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ভবনে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন না করার জন্য অবহেলার কারণে মৃত্যুর জন্য মামলা করা হয়েছে।’
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এ দুর্ঘটনায় টুইটারে শোক জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী টুইট পোস্টে বলেন, ‘মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা পরিবারগুলোর সদস্যরা যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন এবং আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
আগুন লাগার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক তদন্ত বেসমেন্টে একটি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পড়ুন: কিউবায় পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত ২২, আহত ৭৪
২ বছর আগে