নিষেধাজ্ঞা অমান্য
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯৪ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ৬ দিনে ৯৪ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ১০ লাখ ৬২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ইলিশ ধরায় ২ জেলেকে কারাদণ্ড
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৩ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ৭১১টি অভিযান চালানো হয়েছে। ২৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ২৫৯টি। আর গত দুই দিনের অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৪৯ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ মিটার অবৈধ জাল।
এছাড়া নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে ১ লাখ ২ হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। এসময়ে বরিশাল বিভাগে ১৪১ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১ হাজার ৭০ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ১ হাজার ৯৯১ বার বিভিন্ন আড়ত ও ১ হাজার ১৪৯ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
মৎস্য বিভাগের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ।
প্রসঙ্গত, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৩ হাজার ১৯ হাজার ৮৩০ জন জেলেকে ৭ হাজার ৯৯৬ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
২ মাস আগে
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮৮ জেলে আটক
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স।
এর মধ্যে নৌপুলিশ ৭২ জন, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স ৫ জন ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১ জনকে আটক করে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নৌপুলিশ চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান নৌপুলিশের অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নৌপুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭২জন জেলেকে আটক করেন। এর মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৪৫ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
এসব ঘটনায় দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োজিত ও ১৪টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযানে জব্দ ৬৭২ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ, ৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৬টি মাছ ধরার নৌকা নৌপুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২৪ জেলে আটক
১ বছর আগে
মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
লক্ষ্মীপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নামায় ১৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুস সালেহীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ১০ জেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তিন জেলেকে মুচলেকে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭২ জেলে আটক
এসময় তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৪০ কেজি জাটকা ও তিনটি নৌকা জব্দ করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশ মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনটি নৌকাসহ ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪০ কেজি জাটকা ও প্রায় লাখ টাকা মূল্যের দুই লাখ ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
জাটকাগুলো মেঘনাপাড় এলাকার অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ জেলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত জাল মজুচৌধুরীরহাট মাছ ঘাট এলাকায় প্রকাশ্যে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মেঘনা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞাকালীন নদীতে মাছ শিকার করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার, ৪ জেলে আটক
১ বছর আগে
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২৪ জেলেকে কারাদণ্ড-জরিমানা
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা শিকার করার অপরাধে ২৬ জেলেকে আটক করা হয়।
আটক জেলেদের মধ্যে ১৬ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড, আটজনকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুইজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় শাসন করে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার রাতে কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
আটক জেলেদের বাড়ি শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জাটকা ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
রাত সাড়ে ১০টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২৬ জন জেলে আটক এবং এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, ফিল্ড সহকারী মো. জামিউল হোসেন, কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
১ বছর আগে
আপাতত দেশের বাইরে যেতে পারবে না জাপানি ২ শিশু
জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে বিদেশে নিয়ে যেতে জাপানি মায়ের আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে যে যেখানে যেভাবে আছে সেভাবেই (স্ট্যাটাসকো) থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে দুই শিশুকে নিয়ে জাপানি মা নাকানো এরিকো আপাতত বিদেশে যেতে পারবেন না। আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না, এই আদেশের বিরুদ্ধে একটি সিভিল রিভিউ পিটিশন ও একটি এক্সপাঞ্জ চেয়ে আবেদন করেছিলেন জাপানি মা। আপিল বিভাগের আগে একটি আদেশ ছিল আপিল বিভাগের অনুমতি ছাড়া দুই সন্তানকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা যেন আদেশ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয় তার জন্য আবেদন করেছিলেন জাপানি মা।
বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের মা নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ জাপানি মা দুইবার চেষ্টা করেছেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার। মা নাকানো এরিকোও একটা আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। কারণ বাবা ইমরান একটি শিশুকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। এ কারণে তিনি এ আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের জিম্মায় দুই সন্তান, রায়ের বিরুদ্ধে বাবার আপিল
এই চারটি আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশে বলেছেন, মা নাকানো এরিকো যেন শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করে। একইসঙ্গে জেলা জজ আদেশ দিলেন শিশুদের জিম্মায় রাখা সংক্রান্ত আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার।
এছাড়া আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি হলো স্থিতিবস্থা মেনে চলার। যার অর্থ এখন যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থাটা মেনে চলতে হবে যতদিন পর্যন্ত জেলা জজ আদালতে থাকা আপিল নিষ্পত্তি না হয়। এর অর্থ দুই শিশুকে দেশের বাইরেও নেয়া যাবে না। তারা যে যার কাছে আছে, সেখানেই থাকবে।
এর আগে বাবা ইমরানের করা মামলাটি গত ২৯ জানুয়ারি খারিজ করে রায় দেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান। দুই মেয়েকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। ছোট মেয়ে শুরু থেকে বাবার কাছেই রয়েছে। তাকে উদ্ধারে মা গুলশান থানায় জিডি করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত ২ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালত খাস কামরায় ছোট মেয়ে লায়লা লিনার বক্তব্য শোনেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একদিন বাবার কাছে এবং আরেকদিন মায়ের কাছে থাকার আদেশ দেন আদালত। এরই মধ্যে পারিবারিক আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার জেলা জজ আদালতে আপিল করেন বাবা ইমরান শরিফ। পরে জেলা জজ আদালত আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এই আপিলটিই আজ সর্বোচ্চ আদারত তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
জাপান থেকে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন বাবা ইমরান শরীফ। মামলায় বাদীপক্ষের তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। বিবাদীপক্ষে সাক্ষ্য দেন জাপানি মা এরিকো। জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাদের তিনটি মেয়েসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে। ইমরানের কাছ থেকে দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ২০২১ সালের আগস্টে হাইকোর্টে রিট করেন এরিকো। অন্যদিকে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে পৃথক একটি রিট করেন ইমরান। পৃথক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে দুই শিশু তাদের বাবা ইমরানের হেফাজতে থাকবে বলে একই বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এরিকো, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। পরবর্তীতে এরিকোর করা আবেদন (লিভ টু আপিল) নিষ্পত্তি করে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আদেশে বলা হয়, ঢাকার পারিবারিক আদালতে থাকা মামলাটি (২০২১ সালে শিশুদের বাবার করা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাপান থেকে আসা দুই শিশু তাদের মায়ের হেফাজতে থাকবে। শিশুদের বাবা তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। মামলার পারিপার্শ্বিক বিষয় ও শিশুদের স্বার্থ বিবেচনায় তাদের এ আদালতের এখতিয়ারের বাইরে (দেশের বাইরে) নেয়া যাবে না। আপিল বিভাগের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
পরিবারিক আদালতে বাবার মামলা খারিজ যে কারণে-
মামলার কাগজপত্রের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জাপানি নারী নাকানো এরিকো ও ইমরান শরীফ দম্পতির বিয়ে, জাপানে তাঁদের তিন কন্যাসন্তানের জন্ম, তাঁদের কর্মজীবন, সংসারজীবনের নানা তথ্য উঠে এসেছে এই মামলায়। রায়ে আদালত বলেছেন, জাপান থেকে আসা দুই শিশুর মা-বাবা দুজনই বলেছেন, জাপানে থাকার সময় দুই নাবালিকা শিশু পড়াশোনায় খুব মেধাবী ছিল। তাদের ফল খুব ভালো ছিল। তাদের বাবা দাবি করেন, এ দেশে আনার পর দুই শিশুকে একটা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ভর্তি করান। একই সঙ্গে তারা অনলাইনে আমেরিকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছিল। আদালত বলেন, জাপানে পড়াশোনা করা দুই মেধাবী শিশুকে বাবার একান্ত চিন্তাভাবনা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাপ্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত সমীচীন নয়।
আরও পড়ুন: বাবার মামলা খারিজ, দুই সন্তান থাকবে জাপানি মায়ের কাছে
আদালত রায়ে আরও বলেছেন, জাপানের টোকিও পারিবারিক আদালতে একই বিষয়ে মামলা চলা অবস্থায় মায়ের সম্মতি ছাড়া বাবা দুই শিশুকে এ দেশে নিয়ে আসেন। একই বিষয়ে জাপানে বিচারাধীন মামলার তথ্য লুকিয়ে একই বিষয়ে মামলা করার সাধারণ যৌক্তিক চিন্তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর বিষয়টি নাবালিকা কন্যাদের মানসিক বিকাশের স্বার্থে নিঃসন্দেহে মারাত্মক ও অনুসরণ অযোগ্য কাজ বলে প্রতীয়মান হয়।
রায়ে এই দম্পতির দুই মেয়ের মতামত তুলে ধরেছেন আদালত। বড় মেয়ে স্পষ্ট বলেছে, তার জন্ম বেড়ে ওঠা জাপানে। বাবার বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই। তবে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। তার স্কুলের সব বন্ধু জাপানে থাকে। সে জাপানে যেতে চায়। রায়ে আদালত বলেছেন, জাপান ছেড়ে আসার আগপর্যন্ত তিন বোন একসঙ্গে ছিল। তারা এখনো বিচ্ছিন্ন হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে অভ্যাসগত বসবাসের জায়গা থেকেও তিন বোনকে বিচ্ছিন্ন করা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে মঙ্গলজনক হবে না বলে প্রতীয়মান হয়।
এ প্রসঙ্গে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে আদালত বলেন,নাবালক-নাবালিকার হেফাজত ঠিক করার ক্ষেত্রে তাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল বা কল্যাণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এই দম্পতির সব ধরনের তথ্য পর্যালোচনা করে রায়ে আদালত বলেছেন, সাধারণ অন্য দশটা মায়ের মতো জাপানি মা তাঁর সন্তানদের দেখভাল করেন। বাবা বাসায় থাকা সাপেক্ষে স্ত্রীকে সহযোগিতা করতেন। তবে নাবালিকা কন্যাদের প্রাথমিক যত্নকারী হিসেবে জাপানি মায়ের তুলনায় বাবার কাছে তাদের হেফাজত অধিকতর কল্যাণকর, তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বাদী।
জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাঁদের তিনটি কন্যাসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে।
ইমরানের কাছ থেকে দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ঢাকায় এসে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট করেন নাকানো এরিকো। অন্যদিকে ছোট মেয়েকে ফিরে পেতে পৃথক একটি রিট আবেদন করেন ইমরান। পৃথক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে দুই শিশু তাদের বাবা ইমরানের হেফাজতে থাকবে বলে ওই বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এরিকো; যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
এরিকোর করা আবেদন (লিভ টু আপিল) নিষ্পত্তি করে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে বলা হয়, ঢাকার পারিবারিক আদালতে থাকা মামলাটি (২০২১ সালে শিশুদের বাবার করা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাপান থেকে আসা দুই শিশু তাদের মায়ের হেফাজতে থাকবে। শিশুদের বাবা তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।
আদেশে আরও বলা হয়, মামলার পারিপার্শ্বিক বিষয় ও শিশুদের স্বার্থ বিবেচনায় তাদের এই আদালতের এখতিয়ারের বাইরে (দেশের বাইরে) নেওয়া যাবে না। আপিল বিভাগের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ২ মেয়েসহ জাপানি নারীকে দেশত্যাগে বাধা
১ বছর আগে
গোয়ালন্দে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ৬ জেলের কারাদণ্ড
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার করায় ছয় জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার সকালে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আশরাফুর রহমান এই ছয় জেলেকে সাজা দেন।
জানা গেছে,গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া দেবগ্রাম ও উজানচর এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটি। এসময় এই জেলেদেরকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৪ জেলের জেল-জরিমানা
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে মা ইলিশ নিধনের দায়ে ছয় জেলেকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলেদের কাছ থেকে জব্দকৃত ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো.শাহরিয়ার জামান, মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল।
আরও পড়ুন: ইউএনওর নির্দেশে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলার পোড়ানোর অভিযোগ
ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৪৫ জেলে আটক
ভোলার মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার অপরাধে চার ট্রলারসহ ৪৫ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মৎস্য বিভাগ ও পুলিশ।
আটকদের মধ্যে ১৫ জনকে কারাদণ্ড ও ১৭ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন ভোলায় ১৫ জেলে আটক, ১২ জনের অর্থদণ্ড
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, তার নেতৃত্বে ভোলায় ইলিশা ও কাচিয়া এলাকার মেঘনা নদীতে মৎস্য বিভাগ ও পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করার সময় ১০টি ট্রলারসহ ২৯ জেলেকে আটক করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল,দুটি বেহুন্দি জাল ও প্রায় এক মণ মাছ জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, আটক জেলেদের মধ্যে ১৫ জনকে ২০ দিনের কারাদণ্ড ও ১৪ জনকে জরিমানা করেন ভ্রামাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালে আহমেদ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক
এছাড়া তজুমদ্দিন উপজেলায় আটক তিন জেলেকে জরিমানা ও চরফ্যাশন উপজেলার ১৬ জেলেকে আটক করায় হয়েছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ইলিশসহ সব মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোলার ১৯০ কিলোমিটার এলাকার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে ১ মার্চ থেকে ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে মৎস্য বিভাগ।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ ধরার অপরাধে চাঁদপুরে ১৬ জেলে আটক
২ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চাঁদপুরে ১০ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ১০ জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে এ সময় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জেলেদের এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের লালপুর ও খেরুদিয়া এলাকার নাছির হোসেন (৩০), সফিকুল ইসলাম (২০), আব্দুস সুক্কুর গাজী (২০), খোকন বেপারী (২৩), ফারুক দর্জি (৩০), মনির হাওলাদার (২০), মো. ফারুক খান (৩২), মো. নাছির (২৯), আউয়াল হাওলাদার (৬৩) ও গোলাম মো. রাসেল (২৩)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মা ইলিশ ধরায় ১৩ জেলের কারাদণ্ড
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম অভিযানে মেঘনা নদী থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে দুটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। ওই সময় ইলিশ ধরার অপরাধে ১০ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টচার্য বলেন, আটক জেলেদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার পর জেল হাজতে পাঠানো হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং নৌকা দুটি কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ভোলায় ১১ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় সম্পদ ইলিশ প্রজনন রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৩ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চট্টগ্রামে দুই শতাধিক বাহন আটক করেছে পুলিশ
করোনা মহামারীর কারণে সারাদেশে দূর পাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীবাহী পরিবহনে নিয়োজিত প্রায় দুই শতাধিক গাড়ি আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রবেশদ্বার সিটি গেইট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব গাড়ি আটক করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ মে থেকে গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণা
আটককৃত গাড়ির মধ্যে বাস, যাত্রী পরিবহণকারী ট্রাক, মাইক্রোবাস হাইস ও প্রাইভেট কার রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবি শ্রমিকদের
পুলিশ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নানা কৌশলে রাতের আঁধারে, ভোরে চট্টগ্রাম নগরী ছাড়ছে অন্য জেলার মানুষ। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিটি গেট এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
আরও পড়ুন: করোনায় সড়কে গণপরিবহনের যাত্রা শুরু
সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের (পশ্চিম) সহকারী কমিশনার মো: মমতাজ উদ্দিন জানান, সিএমপির ট্রাফিক (পশ্চিম) বিভাগের উপ-কমিশনার তারেক আহমেদের নেতৃত্বে করোনা মহামারীর সংক্রমণ রোধ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে আন্তঃজেলা বাস, যাত্রীবোঝাই পণ্যবাহী গাড়ি আটক করা হচ্ছে সিটি গেটে। সোমবার রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দুই শতাধিক গাড়ি আটক করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন জব্দ
কুমিল্লা, ১১ মে (ইউএনবি)-সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রবেশের কারণে দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি বিপুল পরিমান যাত্রী পরিবহনকারী মাইক্রোবাস ও পিকআপ জব্দ করেছে কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ।
রবিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে থানা এলাকা ও দাইদকান্দি এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের চেকপোস্টে এসব যানবাহন জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট
সরেজমিনে দেখা যায়, গভীর রাতে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। গনপরিবহন চলাচল করতে না দেয়ায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সাভারের আমিনবাজারে ব্রিজে ফাটল: ৩য় দিনের মতো এক পাশে যান চলাচল বন্ধ
কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন জানান, মহাসড়ক দিয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলতে থাকবে।
৩ বছর আগে