জিআই পণ্য
`সুন্দরবনের মধু' বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে
'সুন্দরবনের মধু' বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের আবেদন পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্যাদি জার্নাল আকারে প্রস্তুত করে বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। জার্নাল প্রকাশের তারিখ থেকে দুই মাস সময়ের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষের আপত্তি বা বিরোধিতা না পাওয়া গেলে পণ্যটিকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে প্রবেশে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু, দুশ্চিন্তায় সংশ্লিষ্ট পেশার মানুষ
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক 'সুন্দরবনের মধু' পণ্যটিকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আবেদন দাখিল করেন। ডিপিডিটি ওই আবেদন পরীক্ষা করে আবেদনে উল্লিখিত বিষয়ে আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের জন্য আবেদনকারীকে অনুরোধ জানায়। ডিপিডিটি'র অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরবনের মধুর পুষ্টিগুণ বিষয়ে বিএসটিআই একটি পরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ডিপিডিটিকে প্রদান করে। এছাড়াও চাওয়া অন্যান্য তথ্যাদি না পাওয়ায় ওই বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। সেসব তথ্যাদি আবেদনকারী ২৭ জুন আবার দাখিল করে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১২৭টি হরিণসহ সুন্দরবনে মৃত প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১৩২
৫ মাস আগে
নিবন্ধনযোগ্য জিআই পণ্যের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
নিবন্ধিত পণ্যসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধনযোগ্য এমন ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের তালিকা করে তা আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই তালিকা দাখিলের জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
রুলে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও নিবন্ধনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। বাণিজ্যসচিব, কৃষিসচিব, সংস্কৃতিসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের জিআই পণ্য নিয়ে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া, আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে আরও দুটি পণ্য। এ অবস্থায় জিআই পণ্যের সমন্বিত তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
পরে সারওয়াত সিরাজ শুক্লা পরে সাংবাদিকদের বলেন, ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যগুলোকে নিয়ে রিট আবেদন করেছিলাম। আদালত সব জিআই পণ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে আদেশ দিয়েছেন। এ জন্য একমাস সময় দিয়েছেন। রুলও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিনোদনে হাতি ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুর
১০ মাস আগে
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল নাটোরের ‘কাঁচাগোল্লা’
দেশের ১৭ তম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল নাটোরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি 'কাঁচাগোল্লা'।
নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞাঁ জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প নকশা ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রায় আড়াইশ' বছরের ঐতিহ্যবাহী কাঁচাগোল্লার বিকৃতি ঠেকাতে এবং এর ভৌগলিক উদ্ভাবন স্থানের স্বীকৃতি চেয়ে চলতি বছরের ৩০ মার্চ মাসে আবেদন করেছিলো নাটোরের জেলা প্রশাসন।
বিষয়টি যাচাই-বাছাই শেষে ১৭তম ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ছানার তৈরি নাটোরের কাঁচাগোল্লাকে।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা
জিআই স্বীকৃতি পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম
জিআই স্বীকৃতি পেল রাজশাহীর ফজলি আম
১ বছর আগে
ফজলি আমের স্বত্ব রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের
ফজলি আমের জিআই স্বত্ব নিয়ে শুনানি শেষে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম’ হিসেবে নতুন করে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন।
আগামী রবিবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে।
তবে এই রায়ে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ আদালতের আশ্রয় না নিলে আগামী দুই মাস পরে জিআই পণ্য ফজলি আমের নতুন জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) গেজেটে প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন: জিআই স্বীকৃতি পেল রাজশাহীর ফজলি আম
জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর আমটির ভৌগোলিক নির্দেশক নাম হয়েছে (জিআই) ‘রাজশাহীর ফজলি আম’। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই স্বীকৃতি মিলেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক তাদের দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিকেশনের (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩–এর ১২ ধারা অনুসারে তা প্রকাশ করেছে।
এই স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালের ৯ মার্চ আবেদন করা হয়েছিল।
কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত নভেম্বরে ফজলি আমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দাবি করে রাজশাহীর জিআইয়ের বিরোধিতা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর এ শুনানির আয়োজন করে।
মঙ্গলবার রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম।
বেলা ১১টায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের সভাপতিত্বে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন কি না, জানতে চাইলে রাজশাহী আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বাহারি আম এবং তাদের উৎপাদনকারী অঞ্চল
২ বছর আগে