ফজলি আমের জিআই স্বত্ব নিয়ে শুনানি শেষে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম’ হিসেবে নতুন করে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন।
আগামী রবিবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে।
তবে এই রায়ে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ আদালতের আশ্রয় না নিলে আগামী দুই মাস পরে জিআই পণ্য ফজলি আমের নতুন জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) গেজেটে প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন: জিআই স্বীকৃতি পেল রাজশাহীর ফজলি আম
জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর আমটির ভৌগোলিক নির্দেশক নাম হয়েছে (জিআই) ‘রাজশাহীর ফজলি আম’। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই স্বীকৃতি মিলেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক তাদের দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিকেশনের (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩–এর ১২ ধারা অনুসারে তা প্রকাশ করেছে।
এই স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালের ৯ মার্চ আবেদন করা হয়েছিল।
কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত নভেম্বরে ফজলি আমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দাবি করে রাজশাহীর জিআইয়ের বিরোধিতা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর এ শুনানির আয়োজন করে।
মঙ্গলবার রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম।
বেলা ১১টায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের সভাপতিত্বে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন কি না, জানতে চাইলে রাজশাহী আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বাহারি আম এবং তাদের উৎপাদনকারী অঞ্চল