বিনিময় হার
রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১০৭.৫ টাকা
রপ্তানি আয়ের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাফেদা ও এবিবি’র একটি যৌথ কমিটিকে বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা একাধিক বিনিময় হারের ব্যাপকতাকে নিন্দা করে একক ও একীভূত বিনিময় হারের দিকে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু বাফেদা-এবিবি কমিটি এখনও পর্যন্ত সেই চাহিদা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আজকের ঘোষণার পর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রায় পাবেন ১০৭টাকা ৫০ পয়সা।
অন্যদিকে প্রবাসী আয়ের (রেমিটেন্স) ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার লাফিয়ে বেড়ে ১০৯ টাকায় পৌঁছেছে
এদিকে সর্বোচ্চ আন্তঃব্যাংক রেট হবে প্রতি মার্কিন ডলার ১০৯ টাকা, তাও অপরিবর্তিত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট হয়ে ওঠে।
এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করলে এতে সংকট আরও তীব্র হয়।
পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় হার নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে আসে।
এবিবি ও বাফেদাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেই দাম পরিবর্তন করা হয়।
এরপর থেকে এ দুটি সংস্থা যৌথভাবে রপ্তানি ও প্রত্যাবাসন আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের জন্য ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে আসছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে এ দুটি প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের দর ১০৮.৫ টাকা, রপ্তানির জন্য ১০৭ টাকা
১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে
১ বছর আগে
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের বিনিময় হার ১ টাকা বাড়ল
রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার এক টাকা বাড়িয়ে যথাক্রমে ১০৮ টাকা ও ১০৬ টাকা করা হয়েছে।
এর ফলে, রেমিটার প্রতি ডলারের বিপরীতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনাসহ ১১০টাকা ৫ পয়সা করে পাবেন এবং রপ্তানিকারক প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৬ টাকা পাবেন।
রবিবার পর্যন্ত রেমিট্যান্সের বিপরীতে এক ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা এবং রপ্তানি আয়ের বিপরীতে এই দাম ছিল ১০৫ টাকা।
আরও পড়ুন: মার্চে রেমিট্যান্স আবারও ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
রবিবার অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার (১ মে) থেকে নতুন বিনিময় হার কার্যকর হবে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাফেডার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আরএফ হোসেন এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এবিবি ও বাফেডা আলোচনার মাধ্যমে বিনিময় হার নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: ডলার সংকটেও জানুয়ারিতে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৬ কোটি ডলার
দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১০.৪৯ বিলিয়ন ডলার
১ বছর আগে
অস্থির ডলার স্থিতিশীল করতে অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক মুদ্রার অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সকল ব্যাংকের জন্য টাকার সঙ্গে মার্কিন ডলারের অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক ও বৈদেশিক মুদ্রার ডিলারদের রবিবারের মধ্যে অভিন্ন হারের সুপারিশ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকের সিইও-এমডিদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো কারসাজি থেকে দূরে থাকার জন্যও বৈঠকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রবাহকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বিধান
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, এতে রেমিট্যান্স বাড়ানো, অপ্রয়োজনীয় আমদানি রোধ এবং আরও কিছু ব্যাংকিং বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ডলারের চাহিদা মেটাতে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সহায়তা ও ডলার সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
এছাড়া এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে রপ্তানি বিল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রা পাঠানো ও অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা
২ বছর আগে