মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
বগুড়া বিশ্ববিদ্যালয়: পুরাতন আইন থাকায় অনুমোদিত খসড়া বাতিল
বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে পুরাতন আইন থাকায় ২০১৯ সালে অনুমোদিত এ সংক্রান্ত নতুন আইনের খসড়া বাতিল করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার (১৩ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৯ এর বিষয়ে মন্ত্রিসভার একটি নীতিগত সম্মতি ছিল। কিন্তু নীতিগত সম্মতি নিয়ে ভেটিংয়ের জন্য এটি লেজিসলেটিভ বিভাগে পাঠানো হয়। পরে দেখা গেছে, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ সংক্রান্ত একটি আইন পাশ হয়ে আছে। সে আইনে বলা ছিল-সরকার আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশ করলে সেটি কার্যকর হবে। কিন্তু আইনটি পাশ হলেও সেসময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর পরবর্তীতে আর কেউ এটি নিয়ে কাজ করেনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনও করা হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, একই স্থানে ও একই বিষয়ে দুটি আইন থাকার যুক্তিযুক্ত না থাকায় ২০০১ সালের আইনটি কার্যকর রেখে ২০১৯ সালের নীতিগতভাবে পাশ হওয়া আইনটির খসড়া বাদ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুলের মেয়াদ বাড়ল আরও ২ বছর
১ বছর আগে
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রন্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির দাম অত্যধিক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকানপাট, অফিস এবং বাসাবাড়িতে আলোকসজ্জা না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
পড়ুন: বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে সরকার অফিসের সময় পরিবর্তনের কথা ভাবছে: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় তিন লাখ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই
২ বছর আগে
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: হাতিরঝিলে লেজার শো, ৬৪ জেলায় উদযাপন
আগামী ২৫ জুন দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে উদযাপিত হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। স্মরণীয় অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে ঢাকার হাতিরঝিলে লেজার শোসহ নানা কর্মসূচি থাকবে।
রাজধানী ঢাকা এবং চার জেলা মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুরে পাঁচ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব জেলা প্রশাসককে উল্লিখিত কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলেছে।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নাম চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
২ বছর আগে
নতুন নির্বাচন কমিশন: সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সোমবার সার্চ কমিটিতে জমা পড়া ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, বিশিষ্ট নাগরিক ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে সার্চ কমিটিতে নামগুলো প্রস্তাব করা হয়েছে। ৩২২ জনের তালিকায় সাবেক আমলা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের প্রাধান্য রয়েছে।
তালিকার মধ্যে পেশাজীবীদের মধ্যে শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরাও রয়েছেন ।
সার্চ কমিটি থেকে প্রকাশিত নামের পূর্ণাঙ্গ তালিকাটি দেখুন এখানে: https://cabinet.gov.bd/sites/default/files/files/cabinet.portal.gov.bd/notices/f1b0963f_4882_4020_b479_fb9d83ef7823/List.pdf
এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের নতুন আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পড়ুন: ইসি গঠন: রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এক গেজেট জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
সদ্য পাস হওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক এ সার্চ কমিটিকে দায়িত্ব ও কার্যবিধি সম্পন্ন করতে গেজেটে বলা হয়েছে।
পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
ইসি গঠন: রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি
পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) পদে নাম প্রস্তাব করতে আহ্বান জানিয়েছে সার্চ কমিটি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার রাতে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সিইসি ও ইসির জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করতে পারবে।
এছাড়া সিইসি বা ইসি হিসাবে কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিরাও তাদের নিজস্ব নাম পাঠাতে পারেন।
এই সময়ের মধ্যে তালিকা সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেয়া বা ইমেইল ([email protected]) করা যাবে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের নতুন আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এক গেজেট জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
সদ্য পাস হওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক এ সার্চ কমিটিকে দায়িত্ব ও কার্যবিধি সম্পন্ন করতে গেজেটে বলা হয়েছে।
এছাড়া কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
ইসি গঠনে সদ্য প্রণীত আইনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধান কমিটি সিইসি ও অন্যান্য ইসি প্রার্থীদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে হবে কমিটিকে।
অনুসন্ধান কমিটি সিইসি ও ইসিদের প্রতি পদের জন্য দুজন করে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে। এ ১০ জনের মধ্য থেকে সিইসিসহ পাঁচজনকে দিয়ে ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
২ বছর আগে
সোমবার থেকে অর্ধেক জনবল দিয়ে চলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস
করোনা মহামারির বিস্তার রোধে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সোমবার থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্ধেক কর্মী দিয়ে চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাকি অর্ধেক কর্মী ভার্চুয়ালি কাজ করবে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এই সময়ের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
এর আগে শুক্রবার ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
দেশে করোনা পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৯০৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২২৩ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জনে পৌঁছেছে। এইদিন শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওমিক্রন ছড়ালে অনলাইন ক্লাস হবে’
২ বছর আগে
৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
করোনা সংক্রমণ রোধে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো.সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে পাঁচটি বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে। বিধিনিষেধগুলো হলো-
১. ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৩. সামাজিক/ রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অব্যশই টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টফিকেট আনতে হবে।
৪. সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমুহে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টিকা সনদ প্রহণ করতে হবে।
৫. বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সধরণের জসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। অবশেষে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৭ মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় কাজ করার নির্দেশ
ওমিক্রন ঠেকাতে ১৫ নির্দেশনা
২ বছর আগে
৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এজন্য ৯ সেপ্টেম্বরের (বৃহস্পতিবার) আগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বিকেল ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সভা শুরু হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সার্বিক প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি থাকার কথা, সেটি আমরা তৈরি করছিও। যেখানে ছোটখাটো প্রস্তুতির ব্যাপার আছে, সেটাও আগামী ৯ তারিখের আগেই সব সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অর্থাৎ ৯ তারিখে আমাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দেখবেন। পাঠদান শুরু করার প্রস্তুতি আছে কিনা, তা-ই দেখবেন তারা।
আরও পড়ুন: ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু: মন্ত্রী
এ ইস্যুতে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরিধান করা ছাড়া কেউ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ঢুকবেন না। অভিভাবকদের এখানে বড় ভূমিকা রয়েছে। তারা তাদের সন্তানদেরকে বাসা থেকেই মাস্ক দিয়ে দেবেন, যাতে করে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরিধান করেই আসে। শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকলকেই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, যত ধরণের গাইডলাইন আছে, সেগুলো শিক্ষকরা নিশ্চিত করবেন। সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন আছে। এই রোগটি প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে!
১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে
৩ বছর আগে
১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল, প্রজ্ঞাপন জারি
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ১১ আগস্ট থেকে শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রবিবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হবে।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী চলমান লকডাউন ১০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল এবং ১১ আগস্ট থেকে এটি শিথিল করার কথা ছিল।
আজকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
সড়ক, রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন-যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর-সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সাথে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এতে বলা হয়, গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট এবং পরে ১০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়।
আরও পড়ুন: ১০ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
বাবা-মা এবং ভাইদের কি অপরাধ ছিল? ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
আক্রান্ত ও উপসর্গে বরিশাল বিভাগে ২০ মৃত্যু
৩ বছর আগে
কঠোর লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ল
মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১১ আগস্ট থেকে অফিস আদালত, দোকানপাট, কল-কারখানা খুলে দেয়ায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণপরিবহন বাইরুটেশনের মাধ্যমে সীমিত আকারে চলবে।
মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্ত: মন্ত্রণালয় সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: লকডাউন বাড়ানো নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকের এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। পরবর্তী পরিস্থিতিতে আবারও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার।
পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা: বেশি ঝুঁকিতে বয়স্করা
বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়াল
৩ বছর আগে