নির্বাচনী ইশতেহার
‘নির্বাচনী ইশতেহারের অগ্রাধিকার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া আছে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
সোমবার (৪ মার্চ) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না: শ্রমপ্রতিমন্ত্রী
ডিসিদের জন্য আপনাদের কোনো নির্দেশনা ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃচ্ছ্রসাধনের বিষয়টি ডিসিদের আগেই বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে আজ সার্বিক বিষয়ে কথা বললাম। প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে তারাই কাজ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ১১টি অগ্রাধিকার দেওয়া আছে, সে বিষয়েও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সে অগ্রাধিকারের যে নির্দেশনা আছে সে বিষয়ে কথাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
ছোট-বড় যেকোনো দুর্নীতি নির্মূলের চেষ্টা করব: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
উন্নয়ন-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলে জনগণকে উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে তার দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আসুন, আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনারা আমাদের ভোট দিন; আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে 'স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান' স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে ঘুষ ও দুর্নীতি নির্মূল, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা জোরদার করার বিষয়ও ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে আছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যোগ দিতে যাচ্ছে। এই রূপান্তর একদিকে যেমন সম্মানের, অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জের।
আরও পড়ুন: সকালে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নৌকায় ভোট দেবেন: তারাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাহক আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। আজকের বাংলাদেশ কোনোভাবেই দারিদ্র্যপীড়িত বা অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ 'পরিবর্তিত বাংলাদেশ'। বাংলাদেশ এখন একটি দ্রুতগতির দেশ যা তার সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ছোটখাটো ব্যর্থতা আজ আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতীতের ধারাবাহিকতায় এবার আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করেছে। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতা দ্বাদশ নির্বাচনী ইশতেহারেও বজায় রাখা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন খাত নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারের কয়েকটি বিষয় সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
যেসব বিষয় ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে:
- ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর- সুশাসন- জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন- জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলা- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি- গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এমন দাবি করবেন না যে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা সত্ত্বেও তারা সবসময় সরকার পরিচালনায় শতভাগ সফল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কথার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা যা বলি তাই করি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন তারই প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো বেশি দামে পণ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পণ্যের দাম এবং মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। বহুবার বহুমুখী ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে পারিনি। এই সমস্যা শুধু আমাদের দেশের জন্য নয়, এই সমস্যা ধনী-দরিদ্র সব দেশের জন্যও।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্দশা লাঘব করার চেষ্টা করছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা এই বাধা অতিক্রম করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
ইশতেহার উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলটির নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
১০ মাস আগে
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা
জনগণের দোরগোড়ায় টেকসই স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ৮টি বিভাগীয় হাসপাতালে ১০০ শয্যার ক্যান্সার ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে।
এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও চলছে।
সরকারি নথি অনুযায়ী, সৌদি সরকারের সহায়তায় একটি প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট স্থাপন শুরু করেছে সরকার।
এছাড়া জেলা সদর পর্যায়ে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ‘মেডিকেল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫ হাজার শয্যার বিশ্বমানের আধুনিক হাসপাতালে পুনর্নির্মাণ ও রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে।
এছাড়া পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ের মেডিকেল কলেজে পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
পড়ুন: জনবল সংকটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা বন্ধ
২ বছর আগে
বাজেট ২০২২-২৩: দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নতুন অর্থবছর (২০২২-২৩) থেকে দেশে একটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর ২০২২ সালের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ খসড়া আইনটি সংসদে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে-ইনশাআল্লাহ।’
তিনি উল্লেখ করেছন যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রের বিপুল সংখ্যক নাগরিককে নিয়ে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, এর ফলে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোকে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার সুযোগ থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার এখনই উপযুক্ত সময় কারণ বর্তমানে কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা বয়স্ক জনসংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি।
পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: উৎসবের আমেজ ফিরল সংসদে
বয়স্ক এবং দরিদ্র সম্প্রদায়ের সামাজিক সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় সরকার প্রায় ১ দশমিক ১৫ কোটি সুবিধাভোগীকে ভাতা প্রদান করছে।
সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা মাথায় রেখে বয়স্ক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে ‘ইউনিভার্সাল পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২২’ প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি টেকসই এবং সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বার্ধক্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয়ভাবে একটি সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে সরকার জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রে একটি ব্যাপক, সমন্বিত এবং অংশগ্রহণমূলক পেনশন প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব করে।
এর আগে ২০১৯-২০২০ বাজেট বক্তৃতায় সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের রূপরেখা দেয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, সরকার আগামী অর্থবছর থেকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রমবাজারের প্রায় ৮৫ শতাংশ কর্মশক্তি অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত।
অনানুষ্ঠানিক খাত এবং প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামো না থাকায় তাদের বৃদ্ধ বয়সে জীবিকা নির্বাহের অনিশ্চয়তার সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: পাচার হওয়া অর্থ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ
বাজেট ২০২২-২৩: মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে