চামড়া
চামড়া সংরক্ষণে প্রান্তিক পর্যায়ে হিমাগার চান ব্যবসায়ীরা
কোরবানির পশুর চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পচন রোধে নাটোর, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ প্রান্তিক আড়ৎ পর্যায়ে স্টোরেজ সুবিধা চান কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বিভিন্ন অঞ্চলে অব্যবহৃত স্টোরেজ আধুনিকায়নের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে চামড়া সংরক্ষণ সংকট দূর করা সম্ভব। এতে, প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ কোরবানির পশুর চামড়া নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত হাইড অ্যান্ড স্কিন, লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড আর্টিফিসিয়াল লেদার বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা জানান তারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক শাহীন আহমেদ। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: শিল্পায়নে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে সরকারকে প্রতি জেলায় স্টোরেজ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজনে এই উদ্যোগে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করা যেতে পারে। পাশাপাশি, চামড়া শিল্পের শতভাগ কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু রপ্তানি বাজারের জন্য নয়, নিজেদের জন্য পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে।
চামড়া শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেন আমিন হেলালী।
কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে চামড়া শিল্পপল্লী। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও সেখানে সিইটিপি বা কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। কঠিন বর্জ্য (সলিড ওয়েস্ট) ব্যবস্থাপনায়ও দুর্বলতা রয়েছে। যা আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ছাড়পত্র (লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট) পাওয়ার পেছনে বড় বাধা।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে এটিই অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বলে জানান স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মো. সাইফুল ইসলাম।
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে চামড়া শিল্পের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ওপর জোর দেন কমিটির চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। রপ্তানি বাড়াতে চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়া রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নন-ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সভার মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়নের ব্যবস্থা, ডিজাইনারসহ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী তৈরি, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা, দেশে প্রচলিত ছুরি ও যন্ত্রপাতি উন্নয়ন এবং কসাইদের প্রশিক্ষণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের জন্য কমন ডিসপ্লে সেন্টার, পাদুকা শিল্পপল্লী, আধুনিক স্লটারিং হাউজ, লেদার টেকনোলজি বিষয়ে শর্ট ডিপ্লোমা কোর্স এবং উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করা, হাইড অ্যান্ড স্কিন ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওয়া পরিশোধ, সাভার চামড়া শিল্প নগরীর পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রাপ্তির কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ, চামড়া শিল্প ব্যবস্থাপনা আইনবিষয়ক জাতীয় কমিটিতে খাতের সব অংশীজনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা।
সভায় আরও ছিলেন- এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, আজিজুল হক, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখুন: এফবিসিসিআই
নিম্নমানের অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধে এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
৫ মাস আগে
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
এবার ঢাকার মধ্যে গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
সেইসঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন এই মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন।
আরও পড়ুন: খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
৬ মাস আগে
খুলনায় চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা
খুলনায় স্থায়ীভাবে কোনো মার্কেট গড়ে না ওঠায় এবারের ঈদেও সড়কের ওপরেই চামড়া কেনা-বেচা করতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। নগরীর চামড়াপট্টি খ্যাত শেখপাড়ায় সড়ক ও ফুটপাথ জুড়েই ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন চামড়া কেনা-বেচা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, মার্কেট না থাকায় চামড়া সংরক্ষণেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আপাতত ক্রয়কৃত চামড়া সড়কের পাশেই লবণ লাগিয়ে জড়ো করে রেখেছেন ব্যবসায়য়ীরা। যদিও কয়েকদিন পর সেখান থেকে চামড়াগুলো নিয়ে নগরীর জিরো পয়েন্টের গুদামে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
খুলনায় এবার ১০০, ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার গরুর চামড়া ট্যানারির নির্ধারিত মূল্য প্রতি বর্গফুট ৪৭-৪৮ টাকা এবং ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন: দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
চামড়া ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম পিয়ারু জানান, এবার তিনি ২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তার চামড়া জিরোপয়েন্টের একটি গোডাউনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানে ১৫-২০ দিন রাখার পর ট্যানারীতে বিক্রি করা হবে।
অপর ব্যবসায়ী মো. আবু মুসা বলেন, তিনি এবার ৭০-৮০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
ব্যবসায়ী মো. আজিজুলও জানান, তিনি ২০০-২৫০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির ক্যাশিয়ার মো. বাবর বলেন, এবার চামড়ার দাম গত বছরের মতোই আছে। আমি ৪০০ পিস গরুর চামড়া কিনেছি। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া রয়েছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার সর্বোচ্চ ৬ হাজার পিস চামড়া কিনতে পেরেছেন। যার পিস প্রতি গড় মূল্য পড়েছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, সরকার ঘোষিত মূল্য ট্যানারি মালিকরা তাদের প্রদান করলে তারা লাভের মুখ দেখবেন। আর যদি না দেয় তাহলে তাদের লোকসান গুণতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ঘোষ বলেন, এ বছর শেখপাড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তবে এর বাইরে ট্যানারি কর্তৃপক্ষ সরাসরি বিভিন্ন মাদরাসা থেকে কিছু চামড়া কিনেছেন। কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট না থাকায় খুলনায় ফুটপাতে, সড়কের ওপরই চামড়া কিনতে হয়।
তিনি জানান, গেল ঈদে খুলনার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৮-১০ হাজার চামড়া কিনেছিলেন। এবার পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কয়েকজন সারা বছর জবাই হওয়া গরু-ছাগলের চামড়া কিনে নগরীর জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী এলাকায় তাদের গোডাউনে নিয়ে লবণ লাগিয়ে সংরক্ষণ করেন। তবে ঈদের ৩ দিন সড়কের উপরেই সব কার্যক্রম চলে।
আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
১ বছর আগে
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
হিলি ও আশপাশের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারির কথা জানিয়েছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদের দিন থেকে আগামী ১৫ দিন এই নজরদারি করা হবে। এছাড়া টহল জোরদার সহ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম জানান, চামড়া আমাদের দেশের সম্পদ। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে পশুর চামড়ার দাম তুলনামূলক বেশি। একারণে ভারতে চামড়া পাচারের সম্ভাবনা থাকে। কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবেই ভারতে পাচার হতে না পারে, সে জন্য জয়পুরহাট-২০ বিজিবি নিয়ন্ত্রণাধীন ৪১ কিলোমিটারের মধ্যে জয়পুরহাট, পাঁচবিবি ও হিলি সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর ও অরক্ষিত এলাকাসহ সীমান্ত জুড়ে বিশেষ সর্তকতা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে কোরবানরি পশুর চামড়া জমায়েত হওয়ার স্থানগুলোতে সাদা পোশাকে নিজস্ব গোয়ন্দো সদস্যরা নজরদারি করবে।
তিনি আরও জানান, ঈদকে সামনে রেখে এবার সীমান্ত দিয়ে দেশে একটিও ভারতীয় গরু আসতে দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। বিজিবির কঠোর ভূমিকার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর থেকে প্রতিটি বিওপি ক্যাম্পে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য। যাতে দিনে কিংবা রাতে কোনোভাবেই কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার না হয়, সেজন্য বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আধাবেলা পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
১ বছর আগে
সাভারে ৩ বছর মেয়াদি চামড়া শিল্পের মান উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্প শুরু
চামড়া শিল্পের মান উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। পাশাপাশি পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ‘সাস লেদার’ নামে সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে একটি গবেষণা প্রকল্পের প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই প্রকল্পে দেশের বেসরকারি আহসানাউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন এর সাথে সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করবেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন আইডিয়া ট্রি। তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশে নিয়োজিত ডেনমার্ক হাইকমিশন।
মঙ্গলবার সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ট্যানারি বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্প। কিন্তু কিছু ওয়ার্কপ্লেস সমস্যা এবং পলিসি ইস্যুজনিত কারণে শিল্পটি কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। যথাপোযুক্ত পলিসি ইমপ্লিমেন্টেশন এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তা বাস্তবায়ন ট্যানারি শিল্পকে ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছাতে সম্ভব হবে। ট্যানারি শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। প্রকল্প শেষে এই গবেষণা চামড়া শিল্পনগরীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় আহসানাউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভিন্ন ট্যানারির মালিক, অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি এই প্রকল্পে বিসিকের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রয়েল ড্যানিশ দূতাবাসের সেক্টর কনস্যুলার সোরেন অ্যালবার্টসেন, প্রজেক্ট লিডার প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার মোর্শেদ, সাভার চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান রিজওয়ানসহ কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা।
২ বছর আগে
বাগেরহাটে হরিণের ৫ চামড়াসহ পাচারকারি আটক
বাগেরহাটের মোংলা থেকে পাঁচটি হরিণের চামড়াসহ পাচারকারি চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে র্যাব খুলনা-৬ এর সদস্যরা মোংলা উপজেলার বিদ্যারবাহন খেওয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আটক আল আমিন শরীফ (২৪) খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার উত্তর বানিয়াশান্তা গ্রামের মো. ফারুক শরীফের ছেলে।
র্যাব খুলনা-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, হরিণের চামড়া ক্রয়-বিক্রিয় করা হচ্ছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল মোংলার বিদ্যারবাহন খেওয়াঘাট এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে আল আমিন নামে ওই যুবক সেখানে পৌঁছালে র্যাব সদস্যরা তার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে। এসময় ওই ব্যাগ থেকে হরিণের পাঁচটি কাঁচা চামড়া উদ্ধার করা হয়। এক থেকে দুই দিন আগে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের পর ওই চাড়মা পাচারকারি চক্রের মাধ্যমে বিক্রির জন্য নেয়া হচ্ছিল বলে র্যাব কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৩
তিনি আরও জানান, র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আল আমিন হরিণের চামড়া পাচারকারি চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। সুন্দরবনে শিকারিদের কাছ থেকে হরিণের চামড়া নিয়ে চক্রের অপর সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করার কথা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মোংলা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস, ফাঁদসহ আটক ১০
২ বছর আগে
নভেম্বরের মধ্যে চালু হবে বাংলাদেশ-কানাডা যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ২০১৭ সালে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ করতে সম্মত হয় দুই দেশের সরকার। এ লক্ষ্যে একটি টার্মস অব রেফারেন্সও তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখনও তা বাস্তব রূপ লাভ করেনি। সেই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপকে নভেম্বরের মধ্যে চালু করতে আগ্রহী বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ আগ্রহ প্রকাশ করেন হাইকমিশনার বেনোই প্রফনটেইন। তিনি জানান, এরইমধ্যে কানাডার পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতের চারজন প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
কানাডিয়ান হাই কমিশনারের এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, তিনি নিজে এই গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে আছেন। চলতি মাসেই যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনায় বসবে এফবিসিসিআই। তিনি জানান, বাংলাদেশে নির্মাণাধীন ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে অনেকগুলো দেশ বিনিয়োগ করেছে। কানাডার বিনিয়োগকারীদের জন্যও এসব অঞ্চল আকর্ষণীয় হতে পারে। প্রাইমারি টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিরামিকস, আসবাব শিল্প, অবকাঠামো ও ব্লু ইকোনমি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মো. জসিম উদ্দিন।
বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজারের বিকাশসহ আর্থ সামাজিক নানা সূচকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতির দেশ হয়েও, কানাডার বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ এখনও অনেকটাই অপরিচিতি। তাই নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিবেচনা করছে না দেশটির উদ্যোক্তারা। তবে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করতে এরই মধ্যে সিনিয়র ট্রেড কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে কানাডা দূতাবাস।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
সাক্ষাত অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, বিশ্ব বিনিয়োগকারীরা নানা কারণে বিনিয়োগের জন্য চীনের বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিবেচনা করতে পারে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
৩ বছর আগে
বরিশালে ৬ হরিণের চামড়াসহ মাংস উদ্ধার, আটক ৪
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ছয়টি হরিণের চামড়াসহ ৩৭ কেজি মাংস পাচারকালে এক অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় চারজনকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে হরিণের খামার থেকে চামড়া ও মাংস জব্দ করা হয় এবং সেখান থেকেই চারজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- আগৈলঝাড়াস্থ একটি হরিণের খামার মালিক ও এনজিও আলোশিখা সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক জেমস মৃদুল হালদার, খামারের অফিস সহকারী খোকন সরকার, খামারের নাইট গার্ড সুনীল চন্দ্র হালদার ও বিপ্লব সরকার।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস ও মাথাসহ শিকারি আটক
আটককৃতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি আগৈলঝাড়ার বিভিন্ন এলাকায় হলেও বিপ্লব সরকারের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার থানা এলাকায়। তার মাধ্যমেই হরিণের মাংস পাচার করার প্রক্রিয়া চলছিলো বলে ধারণা পুলিশের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজিহার ইউনিয়নের হরিণের খামারে অভিযান পরিচালনা করলে সেখানে পাচার ও স্থানীয়ভাবে বিক্রির উদ্দেশে রাখা ছয়টি হরিণের চামড়া ও ৩৭ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ওই খামারের মালিকসহ চারজনকে।
আরও পড়ুন: মনপুরায় জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা দুটি হরিণ শাবক অবমুক্ত
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশের এই কর্মকর্তা।
৩ বছর আগে
দাম না পেয়ে যশোরের হাটেই রেখে গেছেন চামড়া
খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। ঈদের পর শনিবার প্রথম হাটের দিন চামড়ার দাম ছিল কম। আর হাটে চামড়াও উঠেছিল অল্প পরিমাণে।
ঢাকার ট্যানারি মালিকরা বকেয়া টাকা না দেয়ায় কাঙ্খিত পরিমাণ চামড়া কিনতে পারেনি ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খুচরা ব্যবসায়ীরা যারা মোকামে চামড়া তুলেছিলেন, তাদের অনেকেরই পুঁজি বাঁচেনি। এ ছাড়া ব্যবসায়ী কম হওয়ায় চামড়ার দাম পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। দূর-দূরান্ত থেকে চামড়া নিয়ে এসে হতাশা নিয়ে ফিরেছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
তেমনি এক জন সাতক্ষীরার সোহেল হোসেন। তিনি ২৫০ পিস চামড়া নিয়ে এসেছিলেন এ হাটে। এর মধ্যে ছিল ১৫০ পিস গরুর চামড়া ও ১০০ পিস ছাগলের চামড়া।
তিনি জানান, ৫০ পিস ছাগলের চামড়া সাত টাকা করে বিক্রি করেছেন। যেখানে তার ক্রয় মূল্য ২৫ টাকা করে। তাছাড়া গরুর চামড়ার দিকে কোনও ব্যাপারীর নজরই পড়েনি। এমনকি হাটে বড় ব্যবসায়ীরা আসেনি। স্থানীয়রা কিছু কিনছেন। তাও খুবই কম দামে।
খুলনার পাইকগাছার চামড়া বিক্রেতা স্বপন বৈরাগী জানান, এক হাজার পিস চামড়া নিয়ে এসেছেন। দাম না পেয়ে হাটে রেখে গেছেন কিছু চামড়া।
তিনি বলেন, ‘এভাবে চামড়ার দাম চলতে থাকলে আমাদের পরিবার নিয়ে পথে নামতে হবে। সরকার যদি এই চামড়া ব্যবসায়ীদের দিকে সুনজর না দেয় চামড়া শিল্প হারিয়ে যাবে।’
একই উপজেলার ব্যবসায়ী নির্মল সরকার জানান, দুই হাজার পিস চামড়া ক্রয় করেছেন। যশোরের রাজারহাট বাজারে এক হাজার পিস নিয়ে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমারা বাড়ি বাড়ি থেকে পিস প্রতি ২০-৩০ টাকা করে ছাগলের চামড়া ক্রয় করেছি। লবণ ও যাতায়াত খরচসহ প্রায় ৪০ টাকা করে পড়েছে। এখন দাম পাচ্ছি পাঁচ টাকা করে। গরুর চামড়া ৩০০-৪০০ ও কিছু চামড়া ৫০০ করেও কেনা হয়েছে। তবে এই চামড়া ২০০-৩০০ টাকার বেশি দাম উঠছে না।’
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শেখ হাসানুজ্জামান হাসু জানান, যশোরের রাজারহাট চামড়া বাজারে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী চামড়া কেনাবেঁচা করছে। তবে এবছর হারিয়ে গেছে অনেকে। সবাই ট্যানারি মালিকদের কাছে লাখ লাখ টাকা পাবে। তাদের পাওনা টাকা না পেয়ে চামড়া কিনতে চাচ্ছে না তারা। প্রায় তিন বছর যাবত টাকা নিয়ে ঘুরাচ্ছেন ট্যানারি মালিকরা। আজ-কাল বলে এতো দিনেও টাকা পরিশোধ করেনি তারা।
আরও পড়ুন: যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বাইরের ব্যবসায়ীরা বাজারে আসতে চাচ্ছে না। এ কারণে চামড়ার দাম কম। বড় ব্যবসায়ী না থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। দামও পাচ্ছেন না।’
কৃষি বিপনণ অধিদপ্তরের জেলা বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, যশোরের রাজারহাট বাজারে গরু-ছাগল মিলে প্রায় ২৫ হাজার পিস চামড়া শনিবারের হাটে উঠেছিল। এর মধ্যে ছোট গরুর চামড়া ২৫০-৩০০ টাকা, মাঝারি ৪০০-৪৫০, বড় ৮০০-৯০০ ও ছাগলের চামড়া ২০-৫০ টাক করে বিক্রি হয়েছে।
৩ বছর আগে
চামড়া পাচার রোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
যশোরের বেনাপোলসহ শার্শার সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। বেনাপোল সীমান্তের কয়েকটি এলাকা ঘুরে বিজিবির বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সতর্কতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা।
আরও পড়ুনঃ ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
জানা যায়, বর্তমানে দেশে চামড়ার বাজার মূল্য খুব কম। অনেক সময় কেনা দামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারেন না। সরকারি দামে ক্রয়-বিক্রয়ে সাড়া থাকে না। ফলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন এ সময়টায় চামড়ার দাম ভারতে একটু বেশি থাকবে। সে জন্য বেশি মুনাফার আশায় চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্রমতে, শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৫ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৩৫০-৪০০ এবং ১০ মণ গরুর চামড়া ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫ মণ ওজনের কোরবানি গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৬০০ রুপি ও ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস ৮০০ থেকে হাজার রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোরের যে সব সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের সম্ভবনা থাকে সে সমস্ত এলাকা বেশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেমন বেনাপোলের গাতীপাড়া, বড় আচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, পুটখালী ও শার্শার গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা এবং শাহজাতপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল বাগে জান্নত কওমি মসজিদের খাদেম আব্দুল ওহাব বলেন, এলাকার মানুষ তাদেরকে কোরবানির পশুর চামড়া দান করেছেন। কিন্তু চামড়ার দাম এবার খুবই কম। গরুর চামড়া ছোট বড় মিলে গড়ে সাড়ে ৪০০ টাকা দাম পেয়েছেন। গত দুই বছর আগে চামড়ার দাম ছিল ৭০০ টাকা পর্যন্ত। ছাগলের চামড়ার দাম হয়েছে প্রতি পিস ২০ টাকা।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাটে হরিণের ১৯টি চামড়াসহ ২ পাচারকারি আটক
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি পোস্টে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। বিশেষ করে রাতে টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে কেউ অবৈধভাবে ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবত থাকবে বলে জানান তিনি।
৩ বছর আগে